নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীরেরা সত্য বলতে কখনোই কুন্ঠিত নন

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ

আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দুইডা মানিকরে কেমনে শোয়ায় দিমু

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

পৃথিবীতে সবয়ে ভারী বস্তু হলো পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এরচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক আর কিছু নেই। বাহরাইনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড প্রাণ কেড়ে নিয়েছে চাঁদপুরের দুই সহোদর শাহাদাত ও টিটু আহমেদের। মঙ্গলবার বিমানবন্দরে দুই পুত্রের কফিনে মোড়া লাশ নিতে এসে বুক চাপড়ে শাহ্ আলম বারবার বলছিলেন, “আমার দুইডা মানিকরে কেমনে শোয়ায় দিমু।”



চাঁদপুরের কচুয়া থানার নাওপুরা গ্রামে বাস করতেন শাহ আলম। কুষিকাজই ছিল তার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায়। সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য তার বড় ছেলে শাহাদাত হোসেনকে প্রায় সাত বছর আগে বাহরাইনে পাঠান। এরপর বেশ ভালই চলছিল তার সংসার। এরপর ছয় মাস আগে তার দ্বিতীয় পুত্র টিটু আহমেদকেও বাহরাইনে পাঠান শাহ আলম। এরপরই ঘটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা। প্রাণ হারায় তার দুই আদরের ধন।



শাহ আলম পরিবর্তন ডটকমের প্রতিবেদক যাকারিয়া ইবনে ইউসুফকে জানান, “বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর পর তেমন টাকা পাঠাতে পারেনি। এরপর আমার আরেক ছেলে টিটু আহমেদকে বড় ভাইয়ের কাছে পাঠাই। কিন্তু আমার বুকের মানিকেরা যে লাশ হয়ে ফিরবে এটা ভাবতেও পারি নাই।”



তিনি বলেন, “মনে কতো আশাছিল পোলা আমার টাকা পয়সা কামায়া দেশে ফিরবো। সুন্দর লাল টুকটুকে দুইডা বউ আনুম। আর অভাব অনটন থাকবো না। ঘরবাড়ি হইবো, সুখের সংসার হইবো।”



ছেলেদের বিদেশ পাঠানোর টাকা জোগার প্রসঙ্গে তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, “ছোট ছেলেকে পাঠানোর সময় প্রায় ৭ লাখ টাকা সুদের ওপর কর্জ নিয়ে পাঠাই। এখন আমি কেমনে এতো টাকা শোধ করমু। আমার আরো তিনটা ছোট-ছোট পোলা আছে।”



পুত্রের কফিন দেখে বৃদ্ধ পিতা যেন শোকে পাথর হয়ে পরেন।দুই ছেলের ছবি বুকে নিয়ে চোখ বেয়ে নেমে আসে কষ্টের লোনাজল।

Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

অকৃতজ্ঞ বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.