নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীরেরা সত্য বলতে কখনোই কুন্ঠিত নন

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ

আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবুও তিনি আমাদের আশার ফুল

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৪

আশরাফুল বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম একজন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস লিখতে গেলে তাকে বাদ দেয়ার সাধ্য কারো নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার আগমন রাজপুত্রের মতো। বাংলাদেশ ক্রিকেটের শিশু বয়সে আশরাফুল এসেছেন, খেলেছেন আর জয় করে নিয়েছেন এদেশের লাখো-কোটি ক্রিকেট ভক্তের হৃদয়। তার ব্যাটেই নিশ্চিন্তে হাসতে শুরু করে বাংলাদেশ, দায়িত্বশীলতার সাথে খেলে তিনি হয়েছিলেন বাংলাদেশের আশার ফুল। যাকে নিয়ে প্রতিনিয়তই দানা বাঁধতে থাকে তারুন্যের স্বপ্নেরা। তিনি তার প্রতিদানও দিয়েছেন সাকিব-মুশফিক পূর্ববর্তি সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পেছনে অবদান রেখে। আশরাফুলের অবদান এমনই। তারুণ্যকে পথ দেখাবার চওড়া বুকের পাটা তার ছিল এবং আবারো তা প্রমাণ হলো। তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে যাওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন। চওড়া বুকের পাটা না হলে এভাবে দোষ স্বীকার করার রেওয়াজ এ দেশের আর একটি আছে কীনা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে।



যারা এ পর্যন্ত পড়ে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধারের মনস্থির করেছেন, তাদের বলছি, আশরাফুল ম্যাচ পাতিয়ে/স্পট ফিক্সিং করে যে অন্যায় করেছেন সেটার দায় শুধু তারই। তার এই অপকর্মের জন্য আর কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। যে দেশে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসানো হয় সরকারি যোগসাজশে, পদ্মা সেতুর মতো সুবিশাল প্রকল্পে দুর্নীতির প্লট তৈরি হয়, হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো বাঙলার আকাশ ঢেকে দেওয়া কলঙ্ক হয়, বিরোধী দলের টানা সংসদ বর্জন চলে, রামুতে বৌদ্ধদের ওপর হামলা চলে, র‌্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, দিনের পর দিন হরতাল, বিদেশে টাকা পাচার করে দেশের বারোটা বাজানো হয়, রানা প্লাজা ধ্বসের মতো ঘটনায় ব্যক্তি মানুষকে দায়ী করা হয়-সরকার যন্ত্র হিসেবের বাইরে রয়ে যায়, সেখানে আশরাফুল অনণ্য উদাহরন স্থাপন করেছেন নিজের দোষ স্বীকার করে। বুক ফুলিয়ে এই তারুন্যের জন্য আবারো গর্ববোধ করছি। আবারো এই তারুন্যের জন্য প্রাণ খুলে বলছি, সাবাশ আশরাফুল! সাবাশ। ভুল হতেই পারে, সেই ভুল দ্রুততায় স্বীকার করে অন্যদের জন্য আপনিই উদাহরন স্থাপন করলেন। সাবাশ। যারা পত্রিকার পাতা, টেলিভিশন টকশোয় গলা ফাটাচ্ছে আপনাকে নিয়ে তাদের মুখে জুতা মেরেছেন আপনি। তারুন্যকে এ দেশে কেউ দমায়ে রাখতে পারবে না। এগিয়ে যান আশরাফুল। আছি কোটি তারুন্য আপনাদের পাশে। ক্রিকেট বাংলাদেশের পাশে।



বাংলাদেশের ক্রিকেটের আকাশটা যখন একটু বিস্তৃত হতে শুরু করলো তখনই আশরাফুলের সাথে যোগ হন সাকিব, তামিম, মুশফিক, নাসিররা। আর ঠিক তখনই যেন কালো মেঘ হয়ে নেমে আসে স্পট ফিক্সিংয়ের ভয়াল থাবা। ধ্বংস করে দিতে চায় এদেশের লাখো মানুষের স্বপ্ন, আশা আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে ওঠা ক্রিকেটার, লিটল মাস্টার খ্যাত আশরাফুলকে। তার বিরদ্ধে ওঠে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ। আর তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে ঘটে যায় আমাদের আশার ফুলের অপমৃত্যু। বেদনায় নীল হয়ে যায় পুরো দেশ। আমরা সবাই জানি, ফিক্সিংয়ে তৃতীয় পক্ষের বাড়াবাড়ি রকমের হস্তক্ষেপ থাকে। কোথাও কোথাও আন্ডারওয়ার্ল্ডের চোখ রাঙানিও থাকে। পাপের টাকা হাতে নিতে হবে নইলে জীবন যাবে। এ রকম নানা চাপ খেলোয়াড়দের ওপর হামেশাই থাকে। এসব চাপ সামাল দেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেই কারণে পথচ্যূত হয়ে পড়েন তারকা খেলোয়াড়রা।



পুরো আর্টিকেল এখানে-

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৮

অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: উই লাভ ইউ আশরাফুল, অলওয়েজ লাভ ইউ।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৭

টানিম বলেছেন: হুম ।কয়েকদিন আগে আমিও ঘটা করেলিখছিলাম । পড়ে আসতে পারেন ।
আশরাফুলের সমস্যা মানসিক (একটু আপডেট আছে)

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১৩

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: ১০০% সহমত।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০১

শুটিং স্টার লষ্ট বলেছেন: আমার দ্বিমত আছে। স্পট ফিক্সিং করেছে সে টাকার জন্যে। আর টাকা নিয়ে দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে সে যে কাজটা করেছে তাকে বলা উচিত 'রাজাকার'। দেশের হয়ে খেলার সময় যদি টাকার প্রায়োরিটি আগে চলে আসে তাকে বেঈমান বলা ছাড়া আর কোন বলার নেই।

তবে এটা সত্যি যে সে প্রতিভাবান খেলোয়ার। কিন্তু অন্যায় অন্যায়ই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.