নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীরেরা সত্য বলতে কখনোই কুন্ঠিত নন

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ

আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।

যাকরিয়া ইবনে ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইন্টারনেট : দাম কমায় সরকার আর লাভের গুড় খায় প্রোভাইডার!

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সময়টা এখন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির। বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর আবিষ্কারের মধ্যে বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত গতিময়তার এক মাইল ফলকের নাম হলো ইন্টারনেট। নেট মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে অভাবনীয় গতি আর দৈনন্দিন জীবনকে এক সুতোর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এ সুতো একমূহুর্তের জন্য ছিঁড়ে গেলে অচল হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন। সেই প্রেক্ষাপটে সরকার নেটের খরচকে গ্রাহকের হাতের নাগালে রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে সেই সুফল পৌছায় না। অর্থাৎ সরকার দফায় দফায় ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমালেও প্রোভাইডাররা সেই মূল্য অনুসরণ করেন না।



যার ফলে নেট প্যাকেজের দাম এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমাতে গত ৫ বছরেই ব্যান্ডউইথের দাম কমেছে ৫ গুণেরও বেশি। তবে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ প্রায় আগের মতই রাখা হয়েছে। প্রতারিত গ্রাহকরা বলছেন, নেট প্যাকেজের দাম কমিয়ে দেয় সরকার আর সেই লাভের গুড় খায় প্রোভাইডাররা।



ইন্টারনেট-মায়াবি চক্রজাল: সর্বপ্রথম মার্কিন সামরিক সংস্থা বিশ্বব্যাপী নিজেদের অবস্থানগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক গোপন যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ১৯৬৯ সালে প্রথম ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করে। তখন এটি পরিচিত ছিল 'MILNET' নামে। পরবর্তীকালে এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, যা বর্তমানে ইন্টারনেট নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। কিন্তু তখন বাংলাদেশ ছিল অফ-লাইন ইন্টারনেট। বাংলাদেশ অনলাইন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে। ২০০৫-এর শেষের দিকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে এবং এর ফলে দেশ-বিদেশের যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তবে অন্যান্য বিশ্বে ইন্টারনেট খরচ যখন মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে তখন বাংলাদেশের আনলিমিটেড প্যাকেজ ১২০০ টাকা।



গত ৪ বছরে ব্যন্ডউইথের দাম কমেছে ৫ দফা তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমেনি। ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের (প্রোভাইডার) সংগঠন, আইএসপিএ'র সভাপতি আক্তারুজ্জামান মনজু একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বলেন, “স্পিড আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ইন্টারনেটের খরচও কমেছে, তবে ভ্যাট এবং আনুসাঙ্গিক খরচ কমেনি। ব্যান্ডউইথের খরচ এবং আমাদের টোটাল সেবার খরচ ৩০%। আমাদের প্রতিমাসে প্রতিমিটারের জন্য ২ টাকা চার্জ দিতে হচ্ছে। কাজেই মূল্য সংযোজন করসহ আনুষঙ্গিক খরচ না কমালে ইন্টারনেটকে সুলভ করা সম্ভব নয়।”



বিটিআরসি’র সিস্টেম এবং সার্ভিস ডিভিশনের সহকারী পরিচালক সঞ্জিব কুমার সিংহ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, “ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কেমন হবে অর্থাৎ দাম বাড়বে না কমবে সে বিষয়ে বিটিআরসি’র মিটিং চলছে। মিটিং শেষেই একটা সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।” দেশের কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল দাবি করছে যে, মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমেছে। এ ব্যাপারে সঞ্জিব কুমার বলেন, “এটা কোন অথেনটিক সংবাদ নয়।”



বিটিআরসির তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ। গত দুই মাসে এটি আরও বেড়েছে। চার্জ কমলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিটিআরসির তথ্য অনুসারে বর্তমানে দেশে ১০ কোটি মোবাইল সংযোগ রয়েছে।



২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ২৭ হাজার টাকা থেকে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৮০০ টাকায়। অথচ ৫ বছর পরও ইন্টারনেট সেবা পেতে গ্রাহকদের খরচ করতে হচ্ছে প্রায় একই পরিমান টাকা।



২০০৯ সালের জুলাইয়ে ২৭ হাজার থেকে কমিয়ে করা হয় ১৮ হাজার টাকা। ২০১১ জানুয়ারিতে ১৮ থেকে কমিয়ে ১২ হাজার টাকা, ২০১১ সালের আগস্টে ১২ থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়। ২০১২ সালের আগস্টে ১০ থেকে কমিয়ে ৮ হাজার করা হয়। ২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রতি এমবিপিএস ৮ থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৮০০ করা হয়।



জানা যায়, গ্রামীণফোন প্রতি জিবি ডাটা সরকারের কাছে থেকে ক্রয় করে মাত্র ১৩.৫৮ টাকায়, কিন্তু গ্রাহকদের তা কিনতে হচ্ছে ৩৪৫ টাকায় ! আর ১৫ মেগাবাইট কিনতে হয় এখনো ৩৫ টাকা দিয়ে অথচ পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতে একি মূল্যে গ্রাহকদের ১ জিবি দেয়া হয়।



জিপি সবসময় আনলিমিটেড এর নামে ফেয়ার ইউজেস পলিসি লাগিয়ে দিয়ে ৯৭৭টাকার একটি আনলিমিটেড মাসিক প্যকেজ দিচ্ছে। তবে শর্ত হচ্ছে ৫ জিবি ব্যবহারের পর স্পিড পাবেন ২ কেবিপিস!



আমাদের দেশে ইন্টারনেট বিলের টাকা উপার্জন করতে একজন গ্রাহকের কয়েকদিন লেগে যায়। আর প্রথিবীর প্রায় সকল দেশে ইন্টারনেট এতোই সহজলভ্য যে তাদের আনলিমিটেড প্যাকেজের টাকা জোগাড় করতে লাগে মাত্র কয়েক ঘন্টা।



আমাদের দেশের আনলিমিটেড মাসিক বিল- প্রায় ১২০০ (ভ্যাটসহ ১৫০০) টাকার মত। ফিনল্যান্ডের Elisa, Saunalahti, Welho অপারেটরগুলোর আনলিমিটেড প্যাকেজ দেয় মাত্র €২৫-৪০ আর স্পিড ৮-১০ মেগা বাইট প্রতি সেকেন্ডে। যা ফিনিশীয়দের কয়েক ঘণ্টার আয় মাত্র। কানাডার Bell Canada'র মাসিক আনলিমিটেড প্যাকেজ ৬ মাসের মূল্য মাত্র $ ২৯ থেকে $ ৩৯। আর আপলোড স্পিডও কমপক্ষে ৫ মেগাবাইট। যা কানাডীয়দের মাত্র ৩ ঘণ্টার আয়। আর ইন্ডিয়ার আনলিমিটেড প্যাকেজ মূল্য মাত্র ১৬০ রুপী থেকে ১৮০ রুপী।



২০০৬ সালে EDGE সার্ভিস চালু করা গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট খরচ এখনো সেই আগের মতই আছে। ২০০৯ সালের ১ জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজের দাম এখনো ৩৫০ টাকাই আছে।



একইভাবে এয়ারটেল, সিটিসেল, রবি, বাংলালিংক, টেলিটকও তাদের ইন্টারনেট বিল প্রথম দিকের মতো অপরিবর্তিত রেখেছে। যা এক রকম গ্রাহকদের ওপর জুলুম।



দেশকে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করতে ইন্টারনেট বিল কমানোর বিকল্প নেই। আর এ খাতে প্রোভাইডারদের পুকুরচুরি বন্ধ করা আগে জরুরি। বিশেষজ্ঞদের এমনটাই মত।



তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: হাসানুজ্জামান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, “দেশকে ডিজিটালাইজড করতে ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমানোর কোনও বিকল্প নেই। তবে বারবার ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর পরও প্যাকেজের দাম কমানো সম্ভব হয়নি। কেননা প্রোভাইডাররা লাভের অংশ পুরোপুরি ভোগ করে। প্যাকেজের দামের ওপর সরকার তথা বিটিআরসির হাত নেই।মধ্যসত্বভোগী হিসেবে মোবাইল অপারেটররা লাভের পুরো অংশ নিয়ে যাচ্ছে। বাইরের দেশগুলোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণটা বেশি আমাদের দেশে কম।”



তিনি আরো বলেন, “আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে ইন্টারনেটের আলোকে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।”



Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০২

নীল পেন্সিল বলেছেন: +++

২| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২২

বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: ভাই বোন বন্ধুরা ও দেশের আপামর জনতা সামনের রবিবার অগ্রিম হরতাল ইন্টারনেটের গিগাবাইট হিসেবে দাম কমানোর দাবিতে । যে যেভাবে পারেন নিজের মত করে দলবদ্ধভাবে যতটুকু সময় আছে তারমধ্যে বিভিন্ন ফোরাম, গ্রুপ, ইভেন্ট তৈরি করে সকলকে জানিয়ে দিন । পে পার ইউজ দাম কমানোর কোন মানে হয় না । এতে আমাদের আগে যে টাকা ব্যয় হত এখনও তাই হবে । এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের ও বিটিআরসি কে আর কোন সুযোগ দেওয়ার অবকাশ নেই । আর আমাদের একা বসে থাকলে চলবে না সকল কিছু বন্ধ করে দেওয়া হোক । জনগনের দাবি পুরন হবেই ।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭

বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: যারা ঢাকায় আছেন তারা গ্রুপের মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে প্রেস কনফারেন্সের ডাক দেন .। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সবাই চলে আসবে শুধু তাদের জানাতে হবে সময় আর লোকেশন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.