![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।
‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়...’ অথবা ‘এমন দিনে তারে বলা যায় এমন ঘনঘোর বরিষায়’ এভাবেই বাংলা সাহিত্যে বর্ষা বিভিন্ন রূপ নিয়ে উপস্থিত হয়। কখনো প্রেমের ঋতু, আবার কখনো বা বিরহের। বর্ষার রিমঝিম শব্দে কখনো আবার মনের মধ্যে ওঠে বিদ্রোহের ঝড়। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর প্রিয় মানুষের হাতের একগুচ্ছ কদমফুল জানিয়ে দেয় বর্ষার আগমন বার্তা।
শুক্রবার পহেলা আষাঢ়। বর্ষার প্রথম দিন। ষড়ঋতুর এ দেশে আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস ঘিরেই নিয়ে বর্ষা ঋতু। গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে তপ্ত প্রকৃতিকে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া এনে দেয় বর্ষা। আবহ বৈচিত্রে বৈশাখ থেকেই কম বেশি বর্ষার দেখা পাওয়া যায়। তবে বর্ষা তার অবিরাম ঝড়ে পরার রুপ এই আষাঢ়-শ্রাবণেই মেলে ধরে।
বাঙ্গালির জীবন প্রবাহের সাথে অতঃপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে বর্ষাকাল। কৃষি থেকে শুরু করে সাহিত্য, সব যায়গাতেই বর্ষার প্রভাব রয়েছে প্রতক্ষ্য ভাবে। আমাদের সাহিত্যে বর্ষাকে ঘিরে অসংখ্য রচনা রয়েছে। কবি মহাদেব সাহা লিখেছেন...
[বৃষ্টির কথা থাক, বিরহের কথা বলি
শুনাই দুজনে বিদ্রাপতির বিষন্ন পদাবলী,
বর্ষার কথা থাক, বকুলের কথা বলি
ঝরা বকুলেই ভরে রাখি এই প্রশস্ত অঞ্জলি।
আকাশের কথা থাক, হৃদয়ের কথা শুনি
যদিও বিরহ তবু মিলনের স্বপ্নজালই বুনি,
অশ্রুর কথা থাক, আবেগের কথা শুনি
সহস্র রাত কেটে যাক দূর আকাশের তারা গুনিব।
গরিমার কথা থাক, বিনয়ের পাঠ ধরি
কলহের কোনো কাজ নেই, কিছু করুণার গান করি।
বিদ্যার কথা থাক, প্রেমের কবিতা পড়ি
চারদিকে এই জলধারা তবু সৃষ্টির দ্বীপ গড়ি।]
আমাদের কৃষিক্ষেত্রও অনেকটাই এই বর্ষা নির্ভর। অপরদিকে মৎস্যজীবীদের জন্যও বর্ষাকাল একটি গুরুতাপূর্ণ সময়। সবমিলিয়ে আমদের আবেগ অনুভূতিসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বর্ষার প্রভাব বেশ। তাইতো বাঙালিরা বর্ষাকে স্বাগতম জানায় হৃদয় জাগানিয়া ভালোবাসায়।
বর্ষার নবধারা জলের সাথে সাথে নেচে ওঠে প্রকৃতি জনজীবন। নুতন প্রাণের আনন্দে অঙ্কুরিত হবে গাছপালা, ফসলের মাঠ। মাঠে মাঠে কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি। বৃষ্টির রিমঝিম ধ্বনিতে পেখম মেলবে ময়ূর। নদী নালা খাল-বিলে লাগবে প্রাণের ছোঁয়া। মৃত খাল-বিলগুলোও যেন বেঁচে থাকার স্পন্দনে জেগে ওঠে। গ্রামের মাঠ ঘাটগুলো কখনো কখনো বর্ষায় ছোয়ায় জল থৈ থৈ রুপে প্রকাশ পায়। নতুন পানিতে মাছ ধরার ধুম পড়বে। বর্ষার অফুরন্ত জলে কৃষক ধান বুনতে বুনতে দেখবেন নতুন দিনের স্বপ্ন।
আষাঢ়কে বরণ করে নিতে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষা উৎসবের। মিয়া মল্লার রাগে, বর্ষার গানে-নাচে বাঙালি মিলিত হবে আনন্দধারায়।
সাম্প্রতিক নতুন বছরগুলোতে এ রকম উৎসব বাঙালির জন্য এক অসাম্প্রদায়িক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। মিয়া মল্লার রাগে, বর্ষার গানে-নাচে বাঙালি মিলিত হবে আনন্দধারায়।
পার্বত্য এলাকায় পাহাড়গুলো সাজবে নতুন সাজে। চৈত্র থেকে পাহাড়গুলোর লাস্যময় রূপ হারিয়ে গেছে। এখন তা ফিরবে। ঝরণাগুলোতে তেজি স্রোতধারা ছুটে চলবে।
বর্ষা যেমন বাঙ্গালীর জীবনে আশির্বাদ বয়ে আনে তেমনি অতিবৃষ্টিতে দুঃখের কারনও হয়ে ওঠে। বর্ষার অকৃত্রিম দান কৃষকের সেচের খরচ বাঁচিয়ে দেবে। তবে বর্ষায় অতিবৃষ্টি বন্যাও নিয়ে আসে। তাই বর্ষার সাথে মিশে আছে আমাদের আনন্দ-বেদনার কাব্য। বর্ষার আগমন সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখানুভতি। বর্ষার ছটায় নাগরিক মন ভিজে যাক। সকল ক্লান্তি ভুলে গেয়ে উঠুক মন- এসো নীপবনে ছায়াবিথী তলে/এসো করো স্নান নবধারা জলে...।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: