নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক যান্ত্রিক পাগল। যান্ত্রিক তবে যন্ত্র নই। অনুভূতিগুলোতে জং ধরে গেলেও আবেগটা রক্তে মিশে আছে। জীবনের ছোট ছোট দুঃখগুলো আমার কাছে বড় বড় আনন্দ হয়ে ধরা দেয়।

যান্ত্রিক পাগল

কিছু অসমাপ্ত ভাঙা গল্পের পার্শ্বচরিত্র হতে চাই

যান্ত্রিক পাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোষী কারা?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। স্বার্থান্ধ
কারণে
বিভিন্ন সময়ে নানা অবৈধ কাজও সমাজে বৈধ হিসেবে গৃহীত
হয়ে যায়।
যেমন ধরুন পাশ্চাত্য সমাজে সমকামিতা বৈধ। প্রকৃতি বিরোধী
একটি কাজ যেটা সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত।
আমাদের দেশেও বেশকিছু গর্হিত কাজ আমরা নিজেদের
প্রয়োজন মাফিক বৈধতার লেবাস লাগিয়ে দিব্যি করে
বেড়াচ্ছি।
প্রশ্ন ফাঁস।
কিছুদিন আগে একজনের সাথে কথা বলছিলাম। তার ছেলে
ভর্তি পরীক্ষার্থী। তো তিনি বেশ দুঃখ করে বলছিলেন তার
ছেলে এখন পর্যন্ত কোথাও চান্স পায়নি (পাবলিক ভার্সিটি)।
তিনি বলতে লাগলেন, অথচ তার ছেলের চেয়ে অনেক
নিম্নমানের স্টুডেন্টও প্রশ্ন পেয়ে ভাল ভাল জায়গায় চান্স
পেয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন
তিনি।
প্রশ্ন ফাঁস এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। একটা
জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চাইলে শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে
ধ্বংস করাই যথেষ্ট। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে সেটাই হচ্ছে।
যাকগে, যা বলছি,
আমি ওনার মতামত জানতে চাইলাম পাবলিক পরীক্ষাগুলোর
প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে।
অত্যন্ত বিস্মিত হলেন তার জবাব শুনে।
তিনি বেশ স্বাভাবিকভাবেই বললেন, "আরে এসএসসি/
এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হইলে কিছু হয় না। ওখানে সবাই
এ+ পাইলেই ক্ষতি কি? কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা হইল জীবন-মরণ
ব্যাপার। এখানে প্রশ্ন ফাঁস একটা জীবন নষ্ট করে দিতে
পারে। ভর্তি পরীক্ষায় একটা সিটের জন্য একটা ছাত্রকে
৫০/৬০জনের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। মুক্তিযুদ্ধেও মনে হয় এতজনের
সাথে একজন যুদ্ধ করে নাই।"
মূল্যবোধ ঠিক কোথায় গিয়ে পৌঁছালে একজন মানুষ ভর্তিযুদ্ধ
আর মুক্তিযুদ্ধ এক করে ফেলে।
শুধু কি তাই, তিনি তো পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসকে
একরকম বৈধতা দিয়েই ফেলেছেন।
বিষয়টা অনেকটা এরকম যে,
"শুয়োরের মাংস খেলে তুমি মোসলমান নও কাফের,
অথচ মদ খেলে তুমি আধুনিক সমাজের গর্বিত নাগরিক।"
আসলে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন খুবই অল্প পরিশ্রমে
বেশিরভাগ মানুষের হাতে চলে আসে তাই তা বৈধ। কিন্তু
যেহেতু ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্ন বিশাল অংকের টাকায়
কিনতে হয় যা সবার দ্বারা সম্ভব হয় না, তাই সেটি অবৈধ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১২

বিজন রয় বলেছেন: সবাই কম বেশি দোষী। আপনিও, আমিও।

কেউ বেশি, কেউ কম।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সময়ের পারিপার্শ্বিকতায় অনেক অনিয়মও নিয়ম হয়ে যায়।
অপরাধের রুপ বদলায়।
আস্তে আস্তে সুশীলে প্রবেশ করে।
জাতি হয়ে যায় বিবেকহীন।
এ যেন কিছুই না।
কয়দিন আহাজারি। তারপর ভুলে থাকা।
তারপর.....।
আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা।
আবার নতুন কোন আহাজারি......
এভাবেই চলছে।
কি আর করবেন!
যেভাবে আছেন, সেভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.