![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবার ভর্তি পরীহ্মা আগত। দেশের কোমলমতি শীহ্মার্থী দের আরেক দফা ডলা দিতে আমাদের দেশের এই অভিনব পদ্ধতি আমাদের সবাইকে হতবাক করে দেয় । কিন্তু যতই এটা নিয়ে বকবক করি কিছুই করার নাই । ভাল কোথাও পরতে হলে আমাদের ওই ভর্তি পরীহ্মার মধ্য দিয়েই যেতে হবে। প্রাচিনকালে রোম সম্রাজ্যে গ্লাডিয়েটররা যে যুদ্ধ করত এ যুদ্ধ তার থেকে কোন অংশে কম নয়। প্রতিটা পরীহ্মাকে বলা যায় এক একটা এরেনা। যেখানে বিজয়ী কেবল বেচে থাকবে। আর যারা হেরে যাবে তাদের জন্য কারো কোন সহানুভুতি থাকবে না যদিও যুদ্ধ শুরু হবার আগে সবাই সেরা বীর ছিল।
আর কয়েকদিন পর এইচএসসি রেজাল্ট দিবে। হয়তো অনেকের রেজাল্ট আশানুরুপ হবে না। তারা হাল ছেরে দিবে। আবার অনেকেই সেইরকম রেজাল্ট করে অতিরিক্ত আত্নবিশ্বাসে ভুগতে
থাকবে। দুটোই ভুল সিদ্ধান্ত। অনেক কম জিপিএ নিয়ে যেমন অনেকেই ভাল প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পায় তেমনি সর্বোচ্চ রেজাল্ট করেও ঢাবিতে অনেকেই পাশ করতে পারে না। সুতরাং সবাই
সাবধান......
আমার এক বন্ধু পুরো ভর্তি পরীহ্মার মৌওসুম কখনো রাতে ঘুমায় নাই । সারারাত পরে সকালে ঘুমাত এবং সকাল দশটায় উঠে কোচিং এ চলে যেত। আমরা সবাই ওরে খুব সমীহ করতাম কারন আমাদের বিশ্বাস ছিল আমাদের মাঝে কেউ চান্স পেলে ওই পাবে। অবাক করা বিষয় হল আমরা সবাই কোথাও না কোথাও টিকে গেলাম কিন্তু আমাদের বন্ধুটি কোথাও টিকছিল না। শেষ পর্যন্ত শেষের সারির একটা ভার্সিটিতে খুবই নরমাল একটা সাবজেক্টে
সুযোগ পাইল। এটুকু পড়ে অন্তত বুঝার কথা যে আমি আসলে কি বুঝাতে চাইছি। আমি বেশী পড়তে না করছি না । শুধু এটুকু বলব অন্ধের মত পড়ো না।কি পড়তেছ তা বুঝে তারপর পড়। যা পড়বা তা যেন মাথায় থাকে এবং প্রয়োজনে যেন প্রয়োগ করতে পার। একশটা টপিক পড়ে ২০ টা মনে রাখার থেকে ৩০ টা পড়ে ২০ টা মনে রাখাই কিন্তু বেশী কার্যকরী।
এবার আসা যাক মুল প্রস্তুতিতে। কোচিং এর অপকারীতা নিয়ে অনেক ব্লগ লেখা হয়ছে তাই আমি আর সেদিকে যাব না। তবে এইটুকু বলতে পারি চান্স পাবার জন্য সবথেকে বড় বাধা হল কোচিং কে ফলো করা। শুধু পরীহ্মা দেওয়া ব্যাতিত কোচিং এর আর কোন উপকারীতা নেই। মুল বই পড়। এটাই কাজে লাগবে। মুল টপিক গুলো লাল/নীল কলম দিয়ে মার্ক করতে থাক। যেগুলো বেশী কমন মনে হবে সেগুলো স্টার চিহ্ন দিয়ে দিতে পার। পদার্থ/ম্যাথ এর গানিতিক টপিক গুলো বেশী বেশী প্রাকটিস কর। সাধারনত পদার্থে গানিতিক টার্ম বেশী আসে। তাই থিওরী এর থেকে এদিকেই বেশি নজর দিতে পার। রসায়ন,বায়লজি এর ব্যাপারে বলব বারবার পড়ে ইনপর্টেন্ট টপিক গুলো মাথায় তুলে নাও। যে সাবজেক্ট তোমার বেশী ভাল লাগবে সেটাতে বেশি গুরত্ব দাও। যেমন তোমার ফিজিক্স আর ম্যাথ ভাল লাগে তাহলে এখানেই বেশি সময় দাও যেন পরীহ্মার এই পার্টগুলোতে ফুল মার্কস পাও। তবে অবশ্যই বাকি সাবজেক্টে একদম খারাপ করা চলবে না।
অবশ্যই কনফিডেন্স অনেক বড় একটা বিষয়। নার্ভ কে শক্ত রাখতে পারলে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেই ভাল করা যায়। তুমি ভাল স্টুডেন্ট। সবাই পারলে তুমিও পারবে এটা সবসময়
মাথায় রাখবা। তোমাকে পারতেই হবে। পড়তে পড়তে বোরিং লাগবে। ব্যাপার না। কাছের কোন দোকান থেকে চা খেয়ে আস। একটা ভাল ছিনেমা দেখতে বসে যাও। মন ভাল হলে আবার পড়তে বস। বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে কোথাও ঘুরে আস। রাতের পড়াটা ভাল হবে। দুঘন্টা পড়ার পর ৩০ মিনিট এর ব্রেক নাও। আব্বু-আম্মুর সাথে কথা বল। প্রিয় কারো সাথে গল্প কর!!!!.........আবার টেবিলে এসে বস......এটা হল তোমার একটা সাধনা। ধ্যান । চালিয়ে যাও শুধু চালিয়ে যাবার জন্য নয়,চালিয়ে যাও ভাল থাকার জন্য।
সাধারনত প্রথম দিকে ফর্ম কিনলে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে সিট পড়ে। তাই দূরের ভার্সিটিতে ট্রাই করার ইচ্ছা থাকলে প্রথম দিকেই ফর্ম কিনে ফেল। সুবিধা হবে। এটা শর্ট হিটলিস্ট তৈরী করে ফেল। কোন কোন ভার্সিটি তোমার টার্গেট সেটা ঠিক করার পর প্লানিং করে ফেল। কিভাবে পড়বে সেটা তুমিও ঠিক করতে পার আবার কোন সিনিয়র ভাই-বোন এর কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে পার। তারা অবশ্যই তোমাকে হেল্প করবে। প্রতিষ্ঠান নিয়ে তোমার সাথে
তোমার বাবা-মা এর মতোবিরোধ হতেই পারে। তোমার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ওদিকে তোমার জন্মের সাথে সাথে হয়তো তোমার বাবা কিংবা মা ঠিক করে রেখেছেন তোমাকে ডাক্তার
বানাবেন। উনাদের শান্তভাবে বুঝাও। রাগারাগি করো না। উনাদের জানাও তোমার সপ্নের কথা। আমারো এরকম সমস্যা হয়েছিল। আমি কিন্তু ঠিকই বুঝাতে পেরেছি এবং এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি। একটা কথা মাথায় রাখবা যখন তুমি একটার পর একটা যায়গায় ব্যার্থ হবা তখন তখন সবাই তোমাকে দুয়ো দিবে শুধু বাবা-মা ছাড়া। সুতরাং বাবা-মা এর দোয়া অনেক বেশী দরকার।
স্পেশাল চয়েস থাকতেই পারে কিন্তু সেটাকেই একমাত্র চয়েস বানানো ঠিক নয়। বাংলাদেশ এর সব পাবলিক ভার্সিটিই ভাল এবং সন্মানিত। সুতরাং এই ভার্সিটিতে চান্স না পাইলে তোমার জীবন শেষ আর ওইখানে চান্স পাইলেই তুমি জীবনে যা তা করে ফেলতে পারবা এরকম ফালতু চিন্তা বাদ দাও আর যার এরকম কথা বলে তাদের এড়িয়ে চল। এরা তোমাকে কিছু টেনশন ছারা আর কিছুই দিতে পারবে না। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী একটা স্থান তুমি অবশ্যই পাবা।
নিজেকে প্রস্তুত করে নাও জীবনের শ্রেষ্ঠ এরেনার জন্য। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক উপদেশ দিয়ে ফেললাম। হ্মমাপ্রার্থী। আমি নিজেও খুব বড় প্রতিষ্ঠানে পড়ি না। সু্তরাং ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে। যে কেউ কোন পরামর্শ দিতে চাইলে মন্তব্য করতে পারেন।
সমালোচনা সাদরে গ্রহনযোগ্য।
শুন্য মাত্রিক
আইসিটি ডিপার্টমেন্ট,
মওলানা ভাসানী বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮
জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো একটা টপিকে লিখেছেন, সাধুবাদ সেজন্য ...
অনেক আগে এরকম একটা কচকচানি লিখেছিলাম এই টপিকে সামুতেও আছে লেখাটা ... আপনার লেখাটা দেখে মনে পড়লো ওটার কথা..
পড়ে দেখতে পারেন ... বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাঃ তথাকথিত পদ্ধতি ও কিছু কথা...
লেখা ভালো হয়েছে ...
শুভকামনা রইলো ...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৩
জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।আমার মত নতুন ব্লগারদের জন্য একটা সাধুবাদ অনেক বেশী গুরত্বপুর্ন।ভাল থাকবেন।আপনার লেখাটি অবশ্যই পরব।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৮
জনি ইয়াহইয়া বলেছেন: আপনার লেখা পইড়া কিছুটা সাহস পাইলাম।দোয়া কইরেন যাতে ঢাকার ভেতর কোন ভারসিটিতে চান্স পাইয়া যাই নাইলে প্রাইভেট ছাড়া কোন গতি থাকবে না।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২২
মাইনুল ইসলাম মিলন বলেছেন: প্রাচিন রোম যুদ্ধের সাথে একজন ছাত্রের জীবন তুলনা করলে চলবেনা।ব্যবস্থার ভুল স্বীকার করতে হবে।একটা ছাত্রের ভবিষ্যত/ক্যারিয়ার নিয়ে কেন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হবে।ছাত্ররা কি বায়োলজি প্র্যাকঃ ক্লাসের ব্যঙ যেন একটা ব্যঙ মরে গেলোতো কার কি যায় আসে!!প্রতিটা ছাত্রের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ।
সীমিত আসন সংখ্যা।বিস্তারিতে যাচ্ছিনা।তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ভুলগুলো কিন্তু স্বীকার করতে হবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১
জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: অবশ্যই স্বীকার করছি। শিহ্মাব্যবস্থায় অবশ্যই বিশাল একটা গলদ আছে। কিন্তু এটাও সত্যি যে রাতারাতী এটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। এর জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১০
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: ভাল লিখছেন.....