নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন দেখে আমি প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হই

জিরো ডাইমেনশন

আমি এক স্বপ্নবাজ তরুন। স্বপ্ন দেখে চলি নিরন্তর। অনেকের কাছে যা দিবাস্বপ্ন আমার কাছে তাই বাস্তবতা।

জিরো ডাইমেনশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্য গল্প - পাথরের মায়াজাল - পর্ব ০১

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫১

পর্ব ১
রাস্তার পাশে বেশ কিছু পাথর রাখা । সম্ভবত কোন কনস্ট্রাকশন এর কাজের জন্য । বিল্ডিং বা কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য যে পাথর ব্যবহার করা হয় সেখানে ভালো শেপের পাথর থাকে না। থাকলেও খুজে পাওয়া বেশ কঠিন। এটা ভাববেন না যে পাথর সংগ্রহ করা আমার শখ। কিন্তু কি মনে করে যেন খানিকটা অন্যমনস্ক ভাবেই পাথর খুজতে লাগলাম। সাথের বন্ধুটি একটু অবাক হয়ে দেখছে আমার কাজ।
' হঠাত পাথর খুজতে শুরু করলে যে? গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে কাজ করছো নাকি ইদানিং? '
' আরে না। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেছে। আগে সুন্দর পাথর দেখলে পকেটে নিয়ে ঘুরতাম। '
' কয়দিন? '
প্রশ্নটা একটু অমুলক লাগলেও উত্তর দিলাম, ' এই দুই-তিন দিন '।
' তিনদিনেই পাথরের প্রতি ভালোবাসা শেষ ? '
' শুধু একটা পাথরের প্রতি তিনদিন ভালোবাসা কম মনে হয় তোমার কাছে ? চলো যাই। '

আবার হাটা শুরু করলাম। আমার হাতে চারটা সাদা রঙ এর ছোট পাথর। পাথরগুলো মোটেও সুন্দর না, এবরে থেবরো। কোন শেপেই ফেলা যায় না। তবে এইগুলা নিবার পিছনে কারন মনে হয় সাদা রঙ। পাথর গুলো নিয়ে প্যান্টে ঘসা দিয়ে ময়লা কিছুটা পরিস্কার করে নিছি। একটু সাইনিং লাগতেছে এখন।

হাটতে হাটতে একটা পাথর পড়ে গেলো হাত থেকে। প্রথমে গ্রাহ্য করলাম না। কিন্তু একটু হাটার পরে কেমন জানি ্লাগলো। একটা সুন্দর দাবার সেট থেকে যদি একটা গুটি হাড়িয়ে যায় তাইলে যেমন লাগে অনেকটা সেরকম লাগতেছে। ফিরে গিয়ে তুলে নিয়ে আসলাম এবং আবার যাতে হাড়িয়ে না যায় সেজন্য পকেটে রেখে দিলাম।

এরপর চারদিন কেটে গেছে। আমার আর কিছু মনে নাই পাথরের কথা। আমার কাপর আমি একেবারে সপ্তাহের শেষে ধুয়ে নেই তারপর পুরো সপ্তাহ একটা একটা করে পরি। ওই প্যান্ট ওইদিনের পর আর পড়িনি। পাথরগুলো পুনরায় আবিষ্কার করলাম কাপর ধুয়ে দিবার সময়। পাথর গুলো বের করার পর কেন জানি মনে হলো একটু ময়লা ময়লা হয়ে গেছে। হাতের কাছেই সাবান পানি ছিলো। ভালো করে ধুয়ে নিলাম। একদম ঝকঝকে হয়ে গেলো। মনে হচ্ছে পাথর ঠিকরে যেন আলো বের হচ্ছে। এখন দেখতেও খুব একটা খারাপ লাগছে না। আমার রুমে টেবিলের এক কোনায় রেখে দিলাম। আমি চিন্তাই করি নাই যে পাথর একটা বেশি মানে পাচটা কেন।

আরো দুইদিন পরে আমি টেবিলে ল্যাপটপে কাজ করছি। হঠাতই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। পাথর এখন সাত টা । ধিরে ধিরে পাথর এর সংখ্যা বাড়ছে । কিভাবে? আমি কি খেয়াল বশত আরো পাথর এনেছি?... মনে পড়ছে না। আমার বাসার আশেপাশে কোথাও পাথর নেই। আর ওইদিকে সেদিনের পর আর যাওয়া হয় নি। তাহলে একইরকম আরো তিনটা পাথর কোথা থেকে আসলো ?

পাথরগুলো হাতে নিয়ে দেখলাম। না, সত্যি সাতটা পাথর। একই রকম। এই প্রথমবার একটু অদ্ভুত লাগলো বিষয়টা। পাথরগুলো একটু লালচে হয়ে আসছে। হাতের মধ্যে দুই একটা পাথর একটু নড়ে উঠলো মনে হলো। দ্রুত আবার রেখে দিলাম টেবিলে। এবার একটা কাজ করলাম... পাথরগুলো ড্রয়ারে রেখে দিলাম। ওইদিকে চোখ পড়লেই কেমন জানি লাগছিলো।

পরদিন সকালে ঘটলো প্রথম ঘটনা টা। আমার বাসায় একটা বিড়াল ঘুরা ফিরা করতো। পুষতাম না এমনি বাইরে থেকে আসতো। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম মেঝেতে বিড়ালটা পড়ে আছে। মেঝে পুরো রক্তে ছড়াছড়ি। বিড়ালটার মাথায় দুইটা পাথর মোটামুটি ঢুকে গেছে। খুলি ফেটে কিছুটা মগজ ও ছিটকে গেছে মেঝেতে। আর বাকি পাথরগুলো ছড়ানো ছিটানো মেঝেতে। মোটামুটি বিভতস দৃশ্য। পেট উলটে বমি আসলো। একটু ধাতস্থ হবার পরে মাথায় চিন্তা আসলো এটা কিভাবে সম্ভব। ড্রয়ার থেকে পাথর বের করলো কে । আর যে অবস্থা তাতে পাথরকে মোটামুটি গুলির বেগে না ছুড়লে এরকম হবার কথা না।

সবার আগে রুমটা পরিষ্কার করতে হবে। তারপর পাথর নিয়ে চিন্তা করা যাবে। একটা পাথর হাতে নিয়ে দেখলাম... মোটামুটি সাদা ভাবটা চলে যাচ্ছে। কিছুটা জীবন্ত লাগছে। কে বা কারা এই পাথর গুলো ব্যবহার করলো বা একটা নিরিহ বিড়াল কেন শিকার হলো কোন কিছু সম্পর্কেই আমার কোন ধারনা নেই। মেঝে পরিষ্কার করে পাথরগুলো আবার জড়ো করলাম। এগুলোকে এখন আর এভয়েড করা যাচ্ছে না। কোন একটা কারন তো অবশ্যই আছে। বিছানায় বসে একটা সিগারেট ধরালাম। নিকোটিন এর ধোয়ার মস্তিষ্ক পরিস্কার হবার বদলে আরো ধোয়াশা হচ্ছে। মাথায় অনেকগুলো চিন্তা ঘুরাফিরা করছে। সমস্যা হলো কোন চিন্তার কোন যুক্তি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

চলবে.........

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

কাইকর বলেছেন: চলবে......

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৬

ওমেরা বলেছেন: আমার ভাইয়ার এই বদঅভ্যাস ছিল, বাসায় ফেরার সময় রাস্তা থেকে পাথর কুড়িতে নিয়ে আসত, আমি সেগুলো দিয়ে খেলতাম তাই খুশীই হতাম কিন্ত ভাবী রাগ হত কিন্ত ভাইয়ার অভ্যাস এখনে যায়নি ! এখনো পকেট খুঁজলে ২/১ পাথর বের হয় মাঝে মাঝে !

আপনার গল্পটা বেশ ভালই লাগল । ধন্যবাদ ।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: পর্ব-১ এ আকর্ষণ সৃষ্টি। এখন পর্ব-২ এর জন্য অপেক্ষা। চলবে....চলুক........

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আরও কয়েকটা পর্ব পড়ি তারপর বুঝতে পারব।
তখন মন খুলে মন্তব্য করতে পারব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.