নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মেদ জিয়াউল হক

স্বাধীনদেশে স্বাধীনভাবে কিছু লিখতে চাই।

মোহাম্মেদ জিয়াউল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেক নিয়ে প্রতারিত হলে কি করবেন?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

ধরা যাক, আপনি এক বেক্তির কাছে দশ লাখ টাকা পান। লোকটির কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি দশ লাখ টাকার একটি চেক দিলেন। আপনি চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলেন। কিন্তু ব্যাংক ‘অপর্যাপ্ত ফান্ড’ দেখিয়ে চেকটি ফিরিয়ে দিল। আপনি কয়েক দিন পর আবারও টাকা তুলতে গেলেন; কিন্তু এবারও বলা হোল; যিনি আপনাকে চেকটি দিয়েছেন তার হিসাবে যথেষ্ট টাকা নেই। আপনি মহা চিন্তায় পরে গেলেন। চেক দাতার কাছে বার বার চেয়েও আর লাভ হল না। এখন আপনি কি করবেন? প্রচলিত আইনেই আপনি এর প্রতিকার চাইতে পারেন। এই অপরাধের বিচারের জন্য হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ নামের একটি আইন রয়েছে। এই আইনের ১৩৮ নম্বর ধারায় আপনি প্রতারক বেক্তির বিরুদ্ধে প্রতিকার পেতে পারেন।







মনে রাখতে হবে, চেক দিজঅনারের ক্ষেত্রে কিছু সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলে আর প্রতিকার পাওয়া যায় না। প্রথমেই যেটি জেনে রাখতে হবে তা হল, যে কোন চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে উপস্থাপন না করলে চেকটির কার্যকারিতা আর থাকে না। এ ক্ষেত্রে প্রতিকার পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে, চেকটি ইস্যুর তারিখ থেকে ছয় মাস সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ক্যাশ করার জন্য জমা দিতে হবে। চেকটি ব্যাংক থেকে দিসঅনার হওয়ার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের জন্য চেক প্রদানকারীকে লিখিতভাবে নোটিশ দিতে হবে। প্রথমে চেষ্টা করতে হবে নোটিশটি বেক্তিগতভাবে সরাসরি চেক প্রদানকারীর উপর জারি করতে হবে। যদি এ ক্ষেত্রে সম্ভব না হয়, তার বাসস্থান বা যে স্থানে তিনি সর্বশেষ কাজ করেছেন, সেই ঠিকানায় প্রাপ্তি স্বীকার রশিদসহ (এডি) ডাকযোগে নোটিশ পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, নোটিশটি ফেরত না এলেও নোটিশটি চেক প্রদানকারীর ওপর সঠিক ভাবে জারি হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। নোটিশ জারির তৃতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে, একটি বহুল প্রচলিত জাতীয় পত্রিকায় নোটিশটি প্রকাশ করা। ঐ নতিশে চেক প্রদানকারীকে টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে চেক প্রদানকারী টাকা পরিশোধে বেরথ হলে এ সময় পার হবার পর তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। কোন ভাবেই নোটিশ প্রদান না করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারনার শিকার হলে এই আইনের ১৩৮ ধারার পাশাপাশি ১৪০ ধারা উল্লেখ করে মামলা করতে হবে। এ ধরনের নোটিশ জারি ও মামলা করার জন্য আপনি একজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে পারেন।



এ ধরনের অভিযোগ নালিশি মামলা বা সিআর মামলা হিসেবে মহানগর এলাকা হলে চিফ মেট্রো পলিটান মাজিস্ট্রেট আদালতে অথবা মহানগরের বাইরে হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করতে হবে। মামলা করার সময় আদালতে মুল চেক, ডিজঅনারের রসিদ, আইল নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তির কপি, পোস্টাল রসিদ, প্রাপ্তি রসিদ আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, একবার চেক ডিজঅনার হলে একবার অপরাধ সংঘটিত হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৮

দি সুফি বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মোহাম্মেদ জিয়াউল হক ভাই। জেনে রাখলাম, কাজে লাগতে পারে।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই আমি তো এইখানে ফাইস্যা আছি। এক লোক ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয় ২০১২ এর নভেম্বরে; বিনিময়ে আমাকে সে একটা দুই লাখ টাকার চেক দেয় ন্যাশনাল ব্যাংক এর যেটা তার অন্য বাবস্যা প্রতিষ্ঠানের নামের একাউন্ট। কথা ছিল ব্যবসার যা লাভ হবে খরচ বাদে দুই ভাগ করে একভাগ সে নিবে একভাগ আমাকে দিবে। দিয়েও ছিল ৬ - ৭ মাস। কিন্তু ২০১৩ এর তে তার ডিলারশীপ চলে যায়। তারপর আসল দুইলাখ টাকার জন্য তাগাদা দিলে এই তারিখে দেবো, ওই তারিখে দেবো, জমি বিক্রি করতে পারিনি, পারলেই দেবো এমন করছে। এবাবে ৬-৭ মাস চলে যাচ্ছে। শুধু আমি না; আমার এলাকার প্রায় ১৫ জন লোকের ৬৭ লাখ টাকা নিয়েছিল সে এইভাবে। এখন কারো টাকাই দিচ্ছে না। কি করি বলুন।
বাজারে তার একটা শাড়ীর দোকান আছে। আর জমি আছে প্রায় দুই কোটি টাকার। যে ব্যবসাটা মার খেয়েছে সেটা হলো অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজের ডিলারশীপ, ভালুকা থানার।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি একদফা চেক নিয়ে ঝামেলায় পড়লে মামলা করে টাকা আদায় করি । এটা অজামিনযোগ্য অপরাধ । পি পির অনুরধে আমি তাঁকে হাজত থেকে বাঁচিয়েছিলাম । টাকা পেয়েছি তবে দেরিতে । যে কোন লেনদেনে চেক নেবেন ,ভালো হয় যাকে দিচ্ছেন তার ব্যাক্তিগত হিসাবের । এমনকি যাকে দিচ্ছেন তাকেও ক্রস চেক দেবেন । ব্যাবসা হলে চুক্তিপত্র মাস্ট ।

ভিটামিন সি # আপনি মেয়াদ উত্তীর্ণ চেক দিয়ে কিছুই করতে পারবেন না । তবে যেহেতু আপনি একটি চেক পেয়েছেন ওটা দিয়েই একটা ৪২০ ধারার মামলা করতে পারবেন । আপনি ২ লাখ দিয়েছিলেন তার কোন প্রমান থাকলে ভালো উকিলের পরামর্শে একটা সুরাহা হবে । আর যদি মাসেল থাকে তাহলে তাই ব্যাবহার করুন ।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ জিয়া ভাই, ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

জীবিত থাকিয়াও মৃত বলেছেন: চেক ডিজঅনার হলে, মামলা কতদিনে নিস্পত্তি হয়? এই বিষয়ে জানতে চাই। যিনি চেক দিয়েছেন তিনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তার চেকে বিকৃতভাবে স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন হয়রানির জন্য বা যাতে টাকা না তুলতে পারে বা , তাহলে ঐ বিকৃত স্বাক্ষরযুক্ত চেক দিয়ে কোর্টে মামলা করা যাবে?

মামলা করতে উকিল, এবং অন্যান্য প্রসিডিউর মেনটেন করতে সব মিলিয়ে কি রকম খরচ হয়? কেস করার কতদিন পর রায় হয়? এইগুলা একটু বিস্তারিত জানা দরকার।

বিস্তারিত জানতে চাই।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫২

শামীম পাটওয়ারী বলেছেন: “চেক নিয়ে প্রতারিত হলে কি করবেন” এই বিষয়টি নিয়ে আমার দেখা একটি দারুন আইনি ভিডিও আপনারাও দেখতে পারেন । নিচে ভিডিওটির ইউটিউব লিংক দিলাম https://www.youtube.com/watch?v=GOtJYM5rovI

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.