![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারন বিজ্ঞান - দ্বাদশ অধ্যায়
যারা যারা মনে করেন বিজ্ঞান শুধুমাত্র জনৈক গ্যালিলিও, আরকিমিডিস বা আইনস্টাইনের মত লোকেদের ত্বত্ত বা সূত্রের উপর চলছে তারা বোধহয় জানেন না তার চেয়েও বড় সূত্রের উপর চলছে দৈনন্দিন জীবনযাপন। এই জীবনযাপনে ম্যক্সপ্লান্ক বা ওহম তো কোন ছার, স্বয়ং নিউটনও মূল্যহীন। এই জীবনের নাম বিবাহিত জীবন। এই জীবনে শ্বশুরবাড়ী হোয়ে উঠে অষ্টার্চয্য উদ্ভাবনের এক্সপেরিমান্টাল ল্যাবরটরী। যেখানে শ্বাশুরী নিউটন, শ্বশুরমশাই অর্কিমিডিস আর নাদান শালা-শালী অথবা স্ত্রীর বান্ধবীরা এরিস্টটলের মত মহা বিজ্ঞানী। শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র বিবাহিত জীবনেই অনুভব করা যায় ইলেকট্রন নিউট্রন ফোটন ছাড়াও ৫ টনের এই সমগ্র বাংলাদেশে টনকে টন এমন সব পদার্থ রয়েছে যার কাছে নিজেকে অপদার্থ মনে হয়।
বিবাহ পরবর্তী জীবন বিজ্ঞানের সকল সূত্রকে বৃদ্ধাঙুলী দেখিয়ে কিভাবে শ্বশুরবাড়ীর সূত্রে চলে, চলুন দেখে নেয়া যাক তেমনি কয়েকটি সৃজনশীল সূত্র :
১। বরের নিত্যতা সূত্র (বিজ্ঞানী স্ত্রীর জনৈকা খালা): এই সূত্র অনুসারে বর/স্বামী যেহেতু সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যাবেনা, সেহেতু তাকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রুপান্তর করে দাও। (ভেড়া বা গাধা হলে সবচেয়ে বেটার, না হলে নিদেন পক্ষে পছন্দের পেট বানিয়ে রাখ। এমতাবস্থায় এই সূত্রের প্রয়োগে ভর ওরফে বর ওরফে স্বামীকে উঠতে বললে ওঠানো, বসতে বললে বসানো সহজ)
২। নিউটনের পতি সূত্র ( বিজ্ঞানী জনৈকা শ্বাশুড়ি) : কোন ধরনের বল প্রয়োগ করা না হলে স্থির মাল টা চীরকালই স্থির থাকবে। আর যে মালটা গতিশীল চটপটে, সেটা আরো গতি বা স্বাধীনতা পেয়ে উচ্ছন্নে যাবে। ( সুতরাং এই পতিসূত্রের প্রথম সূত্র দ্বারা রিমোট কন্ট্রোলের কাজ করা যায়।)
৩। E=mc2 (বিজ্ঞানী স্ত্রীর জনৈকা বান্ধবী) : এখানে E=expenses হয়, M=monthly budget আর C= cost (এই সূত্রের দ্বারা মাসিক আয়ের দ্বিগুন ব্যায় সম্ভব।)
উপরিউক্ত আলোচনা হতে আমরা কি শিখলাম?
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
হুমায়রা হারুন বলেছেন: অসাধারণ পর্যালোচনা
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: হমম E=mc2