নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলমের তুলি আমার প্রতিবাদের হাতিয়ার

জেআইসিত্রস

তুমি তাকেই ভালবেসে আগলে রাখ যার ভালবাসার বিনিময়ে কিছু চাওয়া পাওয়া নেই।

জেআইসিত্রস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান শিশু শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

বর্তমান শিশু শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা।
---------------------------------
জে আই সি এস।
---------------------------------
বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো শিশুদের জন্য সাবজেলে পরিনত হয়েছে।ঢাকা সহ সারা দেশের শহর গুলোর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশুদের সাবজেল।শহরের অধিকাংশ স্কুলে পযর্াপ্ত ক্লস রুম নেই তাই অনেক শিশু এক সাথে গাদাগাদি করে বসে।এতে করে শিশুর মানসিক ভারসাম্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতা হারাচ্ছে।স্কুল গুলোর নেই নিজস্ব ভবন,নেই খেলার মাঠ,ভাড়া বাড়ীতেই চলে শিক্ষা কার্জক্রম।
একেতো বাসা বাড়ীতে সারাদিন বন্ধী তার উপর আবার প্রাইভেট-কোচিং।শিশুরা তার স্বাভাবিক-মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।শিশুরা সারাদিন টিভি কাটুন-কম্পিউটার গেমস্ এর মধ্যেই সিমাবদ্ধ।পর্যাপ্ত খেলার যায়গা ও শারীরিক দূরন্তপনা না থাকায় শিশুরা হয়ে পড়ছে যান্ত্রীক নির্ভর,শারীরিক ভাবে হয়ে পড়ছে অলস।শিশুর শারীরিক-মানসিক বৃদ্ধি সঠিক ভাবে হচ্ছেনা।এতে শিশুরা অপরিপক্ক আচরন,খিটখিটে মেজাজি ও বিপদগামী হয়ে যাচ্ছে।শিশুরা আগামী দিনের ভবিষৎ নেতা-নীতিনিধর্ারক এবং রাষ্ট্রের সেরা সম্পদ।শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক মানসিকশারীরিক বিকাশ উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা না হলে রাষ্ট্র যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবে পরিবেশের উপর তার প্রভাব পড়বে।প্রতিটি শিশুর রয়েছে শৈশব-কৈশোরে ভালো পরিবেশ ও সুন্দর জীবন ধারন করার অধিকার।শিশুদের অবহেলার মূল্য জতীকে কখনই ক্ষমা করবে না।শিশুদের অবহেলা না করে তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি বা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।একটি শিশুর প্রয়োজন শিক্ষা-সাস্থ সেবা- খেলাধূলা-উৎসাহ-উদ্দীপনা,এ সকল বিষয়ই একটি শিশুকে সামাজিক ও সুস্থ নাগরীক হিসাবে গড়ে তুলতে পাড়ে।শিশুদের সারাক্ষন আদেশ-নিষেধের শৃঙ্খলে আটকে রাখা ঠিক না।তাদের ও খোলা মনে চলা ফেরার অধিকার দিতে হবে।পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার সুযোগ দিতে হবে।আমাদের দেশে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন শিশু জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন কল-কারখানা-কার্পেট শিল্প-বিড়ি ফ্যক্টরী-গৃহস্থলীর কাজে-বাস-টেম্পুর হেলপার-ফুল বিক্রী-কাঠমেস্তী-টোকায়ের মতো কাজ করতে।যা একটি জাতীর উন্নয়নে বাদা।এ সকল অধিকার বঞ্চিত শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ সুস্থ সুন্দর পরিবেশ ও সুযোগ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
সতি্যকার সুস্থ স্বাভাবিক প্রজন্ম পেতে হলে অবশ্যই শিশুদের বর্তমান পারিবারিক ও শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবজেল থেকে মুক্ত করতে হবে।শিশুদের সবচেয়ে বড় অধিকার হলো তাদের মনোভাব প্রকাশ করার অধিকার।শিশুদের সাথে ভাল ব্যবহার মিষ্টভাষার অচরন ও সম্মান করে কথা বলতে হবে।এতে শিশু তার মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে-নিজেকে রাষ্ট্র ও জনগনের সম্পদে পরিনত করতে পাড়বে।শিশুর স্বাভাবিক ও সুস্থ সুন্দর শিক্ষার মাধে্যমে জাতীর শ্রেষ্ট্র সম্পদে রুপান্তর করা সম্ভব।তাই প্রতিটি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত খেলার মাঠ খোলামেলা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ প্রবন্ধ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.