নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদার জন্মদিন ও জাতীয় শোক দিবস

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মতৃবার্ষীকিতে শোক প্রকাশ করছি।
আমাদের রাজনীতি বরাবরই বিতর্কিত ছিল আর আছে। ৭৫এর ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতার সপরিবারে নিহত হয়েছেন, বাঙ্গালী হিসাবে দিনটি আমার জন্য আসলেই শোকের, কিন্তু শোক প্রকাশের নামে বর্তমানে যে ভুরিভোজ চলছে তা কাম্য নয়।
কিছুটা রাগ থেকেই পত্রিকা পড়া বাদ দিয়েছি, বিশেষ করে ধর্ষন ও শিশু হত্যার খবরগুলো এড়িয়ে যাবার জন্য। কিন্তু ফেসবুকের কারণে কিছু খবর চোখে পড়েই যায়। শুনলাম আজ খালেদা জিয়া তার জন্মদিনের কেক কাটেন নি, যেই কারণেই হোক জাতীয় শোক দিবসে কেক না কাটায় তাকে ধন্যবাদ। এ নিয়ে নানা কুটিক্তিও পড়লাম, আবুল মুহিত সাহেব তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সেই সাথে ভূয়া জন্মদিন পালন না করার আহব্বান করেছেন। কথা হলো তার জন্মদিন ভূয়া হোক আর যাই হোক তিনি পালন করেন, তাই শোক দিবসের প্রথম প্রহরে কেক না কাটায় শুধু ধন্যবাদ দিয়েই কী শেষ করা যেত না?

কেক না কাটার কারণ হিসাবে আবার বিএনপির কে যেন বলেছেন, আজ গতকাল শুক্রবার ছিল তাই খালেদা জিয়া অফিসে আসেন নি এবং কেক কাটেন নি। কেন, শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধ জানিয়ে কাটা হয়নি বললে কী হতো? যদিও কারণ তা নয়, শুধু দেশবাসী কেন, বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই এই জন্মদিন পালন করাকে সমর্থন করেন না।

আমাদের দেশে কোনদিনই বিপরীত রাজনৈতিক দলকে সন্মান দেয়া হয়নি। তারা যে কি ভেবে কী করে তা তারাই ভালো জানে। এই বাংলাদেশ তৈরীতে মুজিব-জিয়া দুজনেরই অনেক অবদান আছে। কিন্তু আজ কখনই দুইজনের নাম এক সাথে নেয়া হয় না। একে অন্যকে দোষী প্রমাণ করতে গিয়ে আজ দেশের ১০ সেক্টরের মাঝে ৭ সেক্টর কমান্ডারই দেশদ্রোহী বা পাকিস্থানি এজেন্ট, মুজিব নাকি বাংলাদেশই চায়নি! অথচ যারা এই দুই দলের ভক্ত তারা সবই বুঝে ও জানে, কিন্তু কোনটাই স্বীকার করবে না।

এই দেশ শুধু মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষনে বা জিয়ার ২৬শে (যদিও ঘোষণাটি মুজিবের পক্ষ থেকে ছিল আর এখন অন্য কারো) মার্চের ঘোষনায় তৈরী হয়নি। এ দেশ গড়া লক্ষ শহীদের জীবন দিয়ে, লক্ষ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে এই দেশ। দেশে আজ সরকার বদলের সাথে সরকারী ছুটি বদল হয়, স্থাপনার নাম বদল হয়, জেল-হাজতে আসামী বদল হয়। নানা দিবসের নামে কোটি টাকা খরচ হয় অথচ কোন বীরশ্রেষ্ঠের ছেলে মুজিরি করে খায়, মাইনুল স্যারের মতো কৃতি মানুষ বিনা চিকৎসায় মারা যায়।

যা হয়েছে তা হয়েছে, তাতে আমাদের আর কিছুই করার নেই। কিন্তু দেশে কী এমন কোন শিক্ষিত সরকার আসবে না, যিনি জিয়া ও মুজিব দুই জনের কবরেই ফুল দিবেন?
দেশের মহানায়ক ও বীর মুক্তিযোগ্ধাদের পাশে দাড়াবেন, তাদের শেষ বয়সের দায়ভার নিবেন। এসব করতে যে খালেদা বা হাসিনা কে সরে যেতে হবে তা নয়, শুধু তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু বদলাতে হবে। আর এই জন্য আমাদের সত্য বলার সাহস রাখতে হবে, যেদিন দেশের ১৬ কোটি মানুষের ১০ কোটি সত্য চিৎকার করে বলতে পারবে সেদিন কেউ চাইলেই মুজিবকে পাকিস্থানি আর জিয়াকে এসআই এজেন্ট বানাতে পারবে না। কেউ চাইলেই একটি বই লিখে দেশের ঈতিহাসকে বিতর্কিত করতে পারবে, হয়তো আমিও কোন অন্যায় দেখে বলতে পারব না "এটা বাংলাদেশ, এখানে সবই সম্ভব।"

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

মশামাছি বলেছেন: লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, কিন্তু আপনার গলায় এমন দড়ি দিল কে?
(প্রোফাইল পিকের কথা বলছি, একটু দুষ্টামি আর কী)

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খালেদা জিয়াকে সশ্রদ্ধ সালাম ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

আব্দুল্যাহ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম, ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

মশামাছি বলেছেন: হা হা হা কেউ দেয়নি ভাই, নিজেই নিয়েছি :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: তাই না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.