নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজস্ব আয় বাড়াতেই বেসরকারী শিক্ষার্থীদের উপর ভ্যাট-মাল সাহেব

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

"বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যে ফি নেয়, তা খুবই হাই। আমি একটি হিসাব করে দেখেছি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর প্রতিদিন খরচ হয় এক হাজার টাকা। এটা তার ফি, বইয়ের খরচ, লাইব্রেরি ফি, খাওয়াদাওয়াসহ। আমি সেখান থেকে কত চেয়েছি? মাত্র ৭৫ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি বলেছি যে এই সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট, যেটা টিউশন ফি আদায় হচ্ছে সেখান থেকে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের বলছি, তোমরা যদি নজর না দাও তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কিংবা অন্য কোনো নামে তোমাদের কাছ থেকে এই অর্থ তুলে নেবে। সে জন্য তোমরা আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও, যেন ফি না বাড়ে।
নতুন রাস্তাঘাট আমরা আর করছি না। বিদ্যমান সড়কের মান ভালো করছি। স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আরও অনেক খাত থেকে আমাদের ওপর হুকুম আসছে, সে খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সে টাকাটা কোথা থেকে আসবে? সেটার জন্য রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। আর রাজস্ব বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়। তেমনই একটি হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ।_অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত "


জনাব মাল সাহেব, বুঝলাম আপনার খোচা দেবার অভ্যেস অনেক ভালো এবং আপনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ। হ্যা, এটা সত্য ফি, বইয়ের খরচ, লাইব্রেরি ফি, খাওয়াদাওয়াসহ আমাদের অনেক খরচ হয় কিন্তু ১০০০ টাকা হয় কিনা তা আগে দেখতে হবে।

একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর হাত খরচ গড়ে ২০০টাকার বেশী হয় না, সেই হিসাবে বাকী থাকে ৮০০ টাকা। যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নুণ্যতম একটি সেমিস্টার চলে চার মাস অর্থাৎ ১২০ দিন। ১২০*৮০০=৮৪০০০টাকা, আর ৬মাস অর্থাৎ ১৮০ দিন হলে টাকার অংকটা দাড়ায় ১,৪৪,০০০ টাকা। এবার খোজ নিয়ে দেখুনতো দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো বেশী টাকা নেয়।

আপনার কথা ধরেই বলছি, এই টাকার মাঝেই লাইব্রেরি ফি আছে, আর বইতো কিনি নীলক্ষেত আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সব মিলিয়ে বেশী হলে এক সেমিস্টারে ২০০০ টাকা। কতো দাড়ায়?

দয়া করে কেউ বলবেন না যে, যে কাপড় পড়ে ক্লাসে যাই সেটারও হিসাব দরকার। তা হলে বলব, জনার মন্ত্রী মহাশয় আপনার একটি জাঙ্গিয়ার দামে দুইটা টি-সার্ট/ একটা শার্ট কিনে আমরা দিব্যি চালিয়ে দেই, আর আপনার বৌয়ের টা দিয়ে তো আমাদের বান্ধবীদের ফুল জামা হয়ে যাবে। তা বাদ দিন না এসব পড়া, সেই টাকা দিয়ে না হয় আমাকেই কাপড় কিনে দিলেন?

আর এই যে বললেন, নানা কারণে টাকা দরকার হয়, তাই রাজস্ব বাড়ানো একান্ত দরকার। হ্যা আপনাদের কোটি টাকার গাড়ির ভ্যাট গুলো দিয়ে দিন, কোটি টাকার মেরে যারা আপনাদের সাথেই চলছে তাদের ধরুন। আপনাদের ড্রাইভারের ও ঢাকায় ফ্লাট থাকে আর আমাদের অনেকের পরিবারই চেয়ে আছে আমাদের দিকে, একদিন সাবলম্বী হয়ে একটা স্থায়ী ঠিকানা বানাবো, যেখানে সবাই মিলে শান্তিতে থাকব।

রাস্তা মেরামতের নামে প্রতি বছর ঈদের আগে ও পড়ে কী হয় তা সবাই জানে। কোটি টাকা বরাদ্দ হয়, ঈদে আমাদের নিরাপদে বাড়ি পঠাবেন বলে, সেই টাকা কী হয় তা আপনারাই জানেন। রাস্তাগুলো তো আগের মতোই পড়ে থাকে, বরাদ্দ টাকার করচ দেখাতে সেই রাস্তাকেই শুধু পিচ-বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, যা বাড়ি ফেরার আগেই আমাদের জানান দেয়।

একান্ত রাজস্বের দরকার হলে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুর্তুকি কিছুটা কমাতে পারেন। কিন্তু শিক্ষার উপর ভ্যাট দিয়ে নিজের মেদার প্রমাণ দেবার কোন দরকার আছে কী?

মাননীয় অর্থমন্ত্রী আপনি যদি নিজেকে বডিগার্ডের সালমান মনে করে থাকেন, একবার বলেছেনতো কিছুতেই বদলানো যাবে না তবে সেই সালমানকে কিভাবে সায়েস্তা করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। গতদিন কিছুটা ভরসা দেখিয়ে আমাদের রাজপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, কিন্তু এবার কী করবেন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুর্তুকি কিছুটা কমাতে পারেন- এই হেডম ডা হেগো নাই বাইজান। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লাড়াইলে পোলাপান সরকার পর্যন্ত লাড়ায়া দিতে টাইম নিব না, যেইডায় আপনাগো বহুত টাইম লাগতাসে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: না কমাক তাতে দু:খ নেই, কিন্তু ভ্যাট দেওয়াটা উচিৎ হয়নি।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডাকাতদের হাত থেকে প্রাইভটকে নিয়ে ছাত্রদের মা-বাবাকে মালিক বানাতে হবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ডাকাতদের তো আইন করে সামলানো যেতে পারে কিন্তু ভ্যাট চাপিয়ে অভিভাবকদের চাপে ফেলাম কি কোন মানে আছে?

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অশ্লিল কথা না বললেও পারতেন।উচ্চ শিক্ষা শুধু মেধাবিদের জন্য।উন্নতবিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখেন,অল্প সংখ্যক ই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: মেধাবিদেই স্থানের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু অকারণেই এতোগুলো প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়ার কাজটাও সরকার করেছে। তাদের উচিৎ ছিল মান দেখে পরে কিছুকে ছাটাই করা।

ভাই কেউ যখন ৩০০০০টাকা দিতে পারি বলেই ৭.৫% বেশী দাবী করে তখন কি বলব? আমরাও তো শান্তভাবে দাবী করেছিলাম, কিন্তু অযৌক্তিক যুক্তিগুলো দেখালে কি করতে পারি?
তারপরও কিছু অশ্লিল মনে হলে ক্ষমা চাচ্ছি।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: এত নীচু স্তরের ন্ত্রী দুনিয়াতে আর নেই!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: না ভাই, তার ভরন স্বামীরাই বহন করে। আর স্ত্রীরা মা জাতি, যত বড়ই অপরাধ কোন মাকে গালি দিতে আমার বাধে, কারণ তারও আমার মতো সত্নান আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.