নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেবার বি ব্রোক এগেইন

২১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩২

কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড ঘুরার সময় লক্ষ্য করলাম কিছু গলদা চিংড়ি সোজা হয়ে থাকে আর কিছু বাঁকা হয়ে থাকে,
.
আসলে বেপারটা অন্য জায়গায়, গলদা চিংড়ি সব সময় নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করতে থাকে এবং যে জিতে তার শরীরে সেরোটোনিন নামক ক্যামিকেল বেড়ে যায় যার কারণে সে বুক ফুলিয়ে সোজা হয়ে থাকে,
.
হেরে যাওয়া গলদা চিংড়ির শরীরে অক্টোফেমাইন নামক ক্যামিকেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সে বাঁকা হয়ে গুটিসুটি মেরে থাকতে অভ্যস্থ ৷
.
এখান থেকে একটা বিষয় শিক্ষণীয়, সব সময় এমন ভাব থাকা উচিত যে আমিও জিতবো ৷
.
তাহলে ব্রেইন আমাদের শরীরে এমন কিছু ক্যামিকেল উৎপন্ন করবে যাতে দূর দেখে দেখলে মনে হয় মিঃ বিজয় আসছেন ৷
.
কথায় আছে, 'বনের বাঘে খায় না, মনে বাঘে খায় ৷'
.
লালনের একটি গান আছে, 'আপন মনের বাঘে যারে খায়, কোনখানে পালালে বাঁচা যায়!'
.
মনোবিজ্ঞানীদের ভাষায় এই বিষয়টিকে 'এএনটি' বলে
.
দ্য গার্ডিয়ানে বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছিলাম বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী 'অ্যারন বেক ৷'
.
সহজ কথায় এটা হলো, 'নিজেকে নিজে খেয়ে শেষ করা কিংবা আত্মহত্যার আরেকটি রূপ যাকে বলা হয় অন্তর্ঘাত!
.
জগতের অনেক সফল সম্ভাবনাময় মানুষ এএনটির শিকার হয়ে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়,
.
যার সূত্রপাত হয় নেগেটিভ চিন্তা থেকে যা আমাদের ভিতরের মানুষটা কে বিশ্বাস করতে শিখায় 'আমি শেষ' 'আমাকে দিয়ে কিছু হবে না' 'বেঁচে থেকে লাভ কি বল' 'আমি হেরে গেছি' 'আই এম কোয়াইট' ইত্যাদি ইত্যাদি!
.
চিন্তার উপ্রে ভিত্তি করে অক্টোফেমাইন ক্যামিকেলের প্রভাবে যেভাবে গলদা চিংড়ি বেঁকে যায় সেভাবে আমরাও....!
.
এনএলপি(NLP) নিওরো লিনগোয়েস্টিক পোগ্রাম যার আবিষ্কারক জন গ্রিন্ডলার এবং তার ছাত্র রিচার্ড ব্যান্ডলার এটা একটা ট্রেনিং আবিষ্কার করেছেন যা জগতের সফল ব্যক্তিদের দক্ষতাকে আরো বাড়াতে বেশ জনপ্রিয় ৷
.
সেই প্রশিক্ষণের সারমর্ম হলো, 'মানুষের ভিতরের শক্তি থেকে বাহির চাপ, উদ্বিগ্ন, সমস্যা যখন বেশী হয় তখন তা ভিতরের শক্তিকে চুপসে দেয় যার কারণে মানুষ কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারে না!'
.
কিন্তু যখন ভিতরের শক্তি কে বাহিরের হাজারো পবলেমেটিক শক্তির চেয়ে বেশী করা যায় তখনি এক একজন ওসাইন বোল্ট তৈরী হয় ৷ দরকার মানসিক দৃঢ়তা!
.
সুতরাং এবার জোরে বলেন, 'আই নেভার বি ব্রোক এগেইন!'

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:০৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বাহ, সুন্দর কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন।


একই পোস্ট মনে হয় আপনি আগেও করেছিলেন। লেখাটা আমার পড়া।

"ব্যাপারটা" বানান ঠিক করে নিয়েন। দেখতে কেমন যেন লাগছে।

২| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নেগেটিভ চিন্তা কিন্তু মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, বনের বাঘে না আসলে মনের বাঘে খায়। আমরা যত নেগেটিভ চিন্তা করি তার মধ্যে ৯৯% ই ঘটে না অথচ তা নিয়েই আমরা অস্থির থাকি।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়তে মজা।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়তে মজা।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

বিষাদ সময় বলেছেন: পোস্ট পড়ে মোটিভেটেড হলাম। ভাল একটি লেখা।
শেষে তো ঠিকই লিখেছেন কিন্তু শিরোনামে নেভার বানান ভুল করলেন কেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.