নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বই পড়তে খুব ভালো লাগে। সত্যিকারের সাহিত্য বলতে যা বোঝায় তা আমার কাছে সবসময় প্রিয়। আর জীবনের কথা লিখতে ভালো লাগে।

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক

যৌবনে-জীবনে একজন আউট-ল হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ইচ্ছাটা এখনও আছে। কিন্তু সময় ও সুযোগ পাচ্ছি না। তাই, নিরুপায় হয়ে এখন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ হওয়ার জন্য আমার এই সংগ্রাম আজীবন-আমৃত্যু অব্যাহত থাকবে। দেশপ্রেমকে জীবনের শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করি। আমার দেশ বাংলাদেশ আমার কাছে ধর্মের মতোই প্রিয়। তাই, ভালোবাসি বাংলাভাষা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। আর রাজাকারদের কোনো ক্ষমা নাই।

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে দেশপ্রেমিকের বড় অভাব

১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

বাংলাদেশে দেশপ্রেমিকের বড় অভাব

অনেকেই এখন দেশপ্রেমের শুধু ভান করে থাকে। আর কিছু ফাঁকা-বুলি দিয়ে মানুষের মন জয় করতে চায়। আর দেশের মানুষগুলোও যা হয়েছে না! এরা লাভের ও স্বার্থের একটুখানি সুযোগ পেলে অমনি কুকুরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। মানুষ এখন কুকুরের মতো লোভী হয়ে গেছে। এই মানুষকে ভালো বানানো খুবই কঠিন কাজ। তবুও আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পশুত্ব আর মনুষ্যত্ব আজ একসঙ্গে চলতে পারে না। আর তাই, মানুষকে এখন এর যেকোনো একটি ধরতে হবে। আর যাবতীয় ভণ্ডামি ও শয়তানী ছেড়ে দিয়ে ভালো হতে হবে। আর তাদের দেশের কথা, মানুষের কথা ভাবতে হবে।

শয়তানী করে কে কতবড় হয়েছে? সুলতান মাহমুদ, হালাকু-চেঙ্গিস খাঁ, হিটলার, মুসোলিনি কেউই জোর করে বড় হতে পারেনি। এদের মতো নিষ্ঠুর অসুরেরও পতন হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে, আর রাজত্বও শেষ হয়েছে। তাই, শয়তানী ছেড়ে দিয়ে মানুষকে আবার মানুষ হতে হবে। এইসব মানুষের এখন মৃত্যুচিন্তা নাই। এরা সারাক্ষণ দুনিয়ালোভে ব্যস্ত। এদের চাই অর্থ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, বাড়ি-গাড়ি ও নারী। ভোগই এদের প্রধান আকর্ষণ।

৩০লক্ষ শহীদের দেশ এটি। তবুও এখানে দেশপ্রেমিকের বড় অভাব! এর চেয়ে বড় দুঃখের আর কী আছে আমাদের জীবনে? নিজের স্বার্থটাকে জলাঞ্জলি দেওয়ার সৎসাহস ও আন্তরিকতা মানুষের মধ্যে কবে আবার জন্মলাভ করবে? কবে এই দেশের মানুষ আবার কমপক্ষে ৮০ভাগ দেশপ্রেমিক হবে? আর মানুষকে দেশপ্রেমিক হতেই হবে।

ভোটের সময় দেখা যায়, এইসব মানুষের নোংরা, জঘন্য ও বিকৃত চেহারা। এরা একেকটা ক্ষমতার জন্য একেবারে লালায়িত। সস্তা ভোট-লাভের জন্য এরা নীতি-নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করছে না। তবুও এদের ভোট চাই!

এখন রাজনীতি করলেই তাকে নেতা সাজতে হবে। কারও যেন কর্মী হতে ইচ্ছে করে না। সবাই এখন নেতা হতে চায়। সবাই চেয়ারম্যান, এমপি, মিনিস্টার ইত্যাদি হওয়ার জন্য একেবারে উন্মাদ হয়ে আছে। অধিকাংশ মানুষই আজ মনে করে, রাজনীতি করলে তাকে এমপি-মিনিস্টার হতেই হবে। এগুলো আসলে পাগলামি ও মনোবিকৃতির ফল। আদর্শ বলে এখন কিছু-আর চোখে পড়ে না। সবার চোখেমুখে কেবলই দেখতে পাচ্ছি লোভের আগুন। এদের আগুনে বাংলাদেশ আবার পুড়বে নাতো!

বাংলাদেশে দেশপ্রেমিক-নাগরিকের বড় অভাব। মুখে-মুখে এখন অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে থাকে। জানি, এসব তাদের ভান মাত্র। এদের মতো লোভী ও ভণ্ডদের পাশে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে সৎ, সাহসী, বিনয়ী, নির্লোভ ও দেশপ্রেমিক মানুষকে। এরা শুধু বাংলাদেশের ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলবে। জয় হোক বাঙালির।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.