নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির বিয়ের সংবাদেও লোকে হাহা রিয়েক্ট করে, ডিভোর্স হয়ে কান্নাকাটির ঘটনাতেও তাই। সে বেচারি মাথায় ঘোমটা দিয়ে নির্বাচনী স্টান্ট করলেও লোকে সিরিয়াসলি নেয়না, সেখানেও হাহা রিয়েক্ট। শাকিব খানকে নিয়ে তার দুই বৌয়ের ছ্যাচড়ামিতো আরও এপিক পর্যায়ের কমেডি। দুই মহিলা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কার চেয়ে কতটা সস্তা প্রমান করতে পারে। ইদানিং শুনছি শাকিব খান পরিবারের পছন্দে আরেকটা বিয়ে করতে বসছে। তাই ওর আগের দুই বৌয়ের ঘরে প্রবেশ নিষেধ। আগে দুই বৌয়ে কামড়াকামড়ি করতো, এখন তিন বৌয়ে করবে। শাকিব খান তখন চতুর্থ কোন নায়িকাকে প্রেগন্যান্ট করার মিশনে ব্যস্ত থাকবে। আমাদের হাহা রিয়েক্ট সংখ্যার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।
তা বাংলা সিনেমার আরেক কার্টুন ইভেন্ট হচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। মার্টিন স্করসিসি, স্টিভেন স্পিলবার্গ, ক্রিস্টোফার নোলান, জ্যাক নিকোলসন, রবার্ট ডি নিরো, টম হ্যাংকস, ডেনজেল ওয়াশিংটন - এরা বিশ্ব সিনেমার বাঁক বদলে ভূমিকা রাখলেও এদের কাউকে কখনও দেখলাম না শিল্পী সমিতির পদ নিয়ে কামড়াকামড়ি করতে। আমাদের জায়েদ খান, নিপুন, ইলিয়াস কাঞ্চন, ডিপজল, মিশা সওদাগর, আলেকজান্ডার বো নিজেদের সমস্ত প্রতিভা(!?!?!?!) আর সময় (যার কোন মূল্যই নেই ওদের কাছে) নির্বাচনের পেছনেই ব্যয় করে ফেলে - তারপরে আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট তৈরী করে শিল্পের বারোটা বাজিয়ে দেয়। শিক্ষাঙ্গনের মতন রাজনীতি আমাদের দেশের সিনেমাকেও খেয়ে ফেলেছে। এরা কিভাবে সামনে এগোবে?
তা এইবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মারামারি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, এবং এ নিয়ে যথারীতি পাবলিক হাহা রিয়েক্ট দিয়েছে। এর আগেও আমাদের শিল্পীরা ক্রিকেট খেলতে গিয়ে এমন কমেডির জন্ম দিয়েছিল। ভেবেছিলাম এইবারও হয়তো সেটাই ঘটেছে। পরে শুনি না। এককালের অশ্লীল সিনেমার নায়িকা ময়ূরীর মেয়েকে এক সাংবাদিক ওর মায়ের সিনেমা দেখে কিনা, এবং এর অনুভূতি কি সেটা জানতে চাইলে শিল্পীরা সেই সাংবাদিককে খানিকটা আদব কায়দা শিখিয়েছে।
আমাদের দেশে এখন সবচেয়ে বড় মহামারীর নাম সাংবাদিকতা। করোনার সময়ে এতটা করোনা রোগী পাওয়া যায়নি যতটা সাংবাদিক এখন আমাদের দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিটা অলিতে গলিতে সাংবাদিক কিলবিল করছে। সবার হাতে মোবাইল ফোন আছে, সবার নিজের নিজের ইউটিউব চ্যানেল আছে, ফেসবুক পেজ আছে, যেকেউ এখন ভাইরাল হওয়ার ধান্দায় সাংবাদিক হয়ে রাস্তায় নেমেছে। ভিউ এবং ট্রেন্ডে থাকাটাই এদের মূল লক্ষ্য। সংবাদে মশলা মিশালো নাকি মশলায় সংবাদ, এদের কিচ্ছু যায় আসেনা। মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় খবর পৌঁছাবার আগেই দেখবেন এরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে।
মাঝে মাঝে এদেরকে এদের অবস্থান জানান দিতেও অমন চেয়ার তুলে পেটানোর প্রয়োজন আছে। সাধারণ শিষ্টাচার, ভদ্রতা, রুচীবোধ ইত্যাদি যখন বাড়ি থেকে শিখে আসেনা, তখন বাইরের লোকেই শেখাক।

এই সূত্র ধরেই দুই নম্বর পয়েন্টে আসা যাক।

২. যে খবরটা ভাইরাল হয়েছে তা হচ্ছে, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এক নারী আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করতে গেলে ক্রিকেটাররা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি বিচার দিয়েছে কোন নারী আম্পায়ারের অধীনে ওরা খেলবে না।
খবরটা ফেসবুকে কোন এক উজবুক প্রকাশ করতেই পাবলিক এতে আজকের যুগের সবচেয়ে ভাইরাল টপিক পেয়ে গেল, সেটা হচ্ছে "নারীবাদ" - এবং আর পায় কোথায়? সবাই ভাইরাল হওয়ার ধান্দায় সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই না করেই ঝাঁপিয়ে পড়লো।
পরে জানা গেল এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। ক্রিকেটাররা নাকি কোন আপত্তিই করেন নাই। ম্যানেজমেন্ট থেকে করলেও করে থাকতে পারে - সেটাও আম্পায়ারের লিঙ্গ নিয়ে নয়, রবং এত বড় ম্যাচে একজন আম্পায়ারের আনকোরা আম্পায়ারের অভিষেক ঘটনাকে নিয়ে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচে আপনি আমি আম্পায়ার দাঁড়িয়ে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে শুধু ক্রিকেটাররাই না, দর্শকরাও আপত্তি জানাবে। এখানেও ঘটনা একই। অথচ, ফেসবুক জুড়ে জাতীয় ক্রিকেটারদের গুষ্ঠি উদ্ধার শেষ।
আচ্ছা, এই যে কান কথায় লাফানো পাবলিকরা যখন জানতে পারে ওরা বেহুদাই লাফালাফি করেছে, মূল ঘটনা জানার পরে ওদের কি একটুও লজ্জাবোধ হয় না? সাবধান হয় না যে পরেরবার ভাল মতন খোঁজখবর নিয়ে তারপরে নামবে?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০২

অহরহ বলেছেন: আমরা সবাই তালেবান................।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: শাকিব খান ও তার দুই বউ এর কাদা ছোড়াছোড়ির ঘটনায় বোঝা যায় যে , আমাদের দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ আইন কতখানি দুর্বল। শাকিব তার ইচ্ছেমত একতরফা তালাক দিচ্ছে এবং একাধিক বিয়ে করছে !! বিদেশে একরফা বিচ্ছেদ কোণভাবেই সম্ভব নয় । মিউচুয়াল ডিভোর্স হলেও , সন্তান থাকলে সেটাও খুব কঠিন। শাকিবের সেচ্ছাচারিতায় বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে মেয়েদের কোন সিকিউরিটিই নাই। স্বামী ইচ্ছেমত ডিভোর্স দিয়ে একাধিক বিবাহ করতে পারে !!

দেশের মানুষের এটা নিয়ে কথা বলা উচিত।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেতো মহানায়ক, কিং খান, ওর আবার ফ্যান ফলোয়িংও আছে। :)

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



ঢাবিয়ান ভাই, একবার ভাবুন তো সাকিব খান যদি অভিনেতা না হয়ে, দাঁড়ি টুপিওয়ালা কোন বক্তা হতো!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন। :)

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মূল ঘটনা জানার পরেও ঐ লোকেরা লজ্জা পাবে না, এটাই নিয়ম। ব্লগেও আজকে একজন এটা নিয়ে ব্লগাইছে! তারে বললেও সে মানবে না। কারণ ঐ (সময় নিউজের) নিউজটা তার মন মত হয়েছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা, ভাল বলেছেন। সত্যমিথ্যা ব্যপার না, নিজের মনই আসল। :)

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শাকিব খানের ঔরসে শুধু পুত্র সন্তান হয়। পরের বাচ্চার মা যেই হোক না কেন বাচ্চা নিশ্চিত পুত্র হবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

অহরহ বলেছেন: প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, একবার ভাবুন তো সাকিব খান যদি অভিনেতা না হয়ে, দাঁড়ি টুপিওয়ালা কোন বক্তা হতো!


জী ভাইয়া!!?? শাকিব খানের জায়গায় শুধু আল্লামা মাওলানা মুফতী মামুনুল হকের নামটা বসিয়ে দিন। উত্তর পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের দেশের সিনেমাকে কেউ কেউ ছিনেমা বলে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কারন দিচ্ছে বলেই বলছে। :/

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

অহরহ বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের দেশের সিনেমাকে কেউ কেউ ছিনেমা বলে।

একদম ভাইয়া, সেই সাথে আমাদের দেশের মোল্লাদের বর্তমান ওয়াজ মহফিলের বিনোদনকে কী নামে ডাকা যায়??

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: প্রিয়তমা সিনেমায় নায়িকার বিয়ের সংবাদে হিট খাওয়া নায়ক শাকিব খানের ডায়ালগ "এই দাঁড়া! শুনে যা। আমি তোর চেয়েও অনেক সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করব"

এই ডায়ালগ দেবার আগেও অনেক খোঁচা মারা কথা শুনেও নায়িকার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও এই ডায়ালগ শুনে কাঁদতে কাদতে ভাসিয়ে ফেলে। শাকিব খানে ক্যারেক্টার বলে কথা।

এই সিনেমা নাকি হিট হয়েছে!

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের চলচিত্র ইন্ডাজট্রিতে উচ্চ মানের তো দুরে থাক নিম্ন মানের কোন অভনেতা নাই । যা আছে তা দিয়ে হাল চাষ ও হবে না । তো এরা কি করে খাবে, এই সব সিন্ডিকেট করেই পেট চালায় ।

ক্রিকেটে যা হয়ে তা পুরাটাই সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দেয়ার ফলাফল ।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোই তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সিনেমা করে ইউটিউবে দেয়া ছাড়া দর্শক পাওয়ার উপায় নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.