নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যৌবনে-জীবনে একজন আউট-ল হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ইচ্ছাটা এখনও আছে। কিন্তু সময় ও সুযোগ পাচ্ছি না। তাই, নিরুপায় হয়ে এখন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ হওয়ার জন্য আমার এই সংগ্রাম আজীবন-আমৃত্যু অব্যাহত থাকবে। দেশপ্রেমকে জীবনের শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করি। আমার দেশ বাংলাদেশ আমার কাছে ধর্মের মতোই প্রিয়। তাই, ভালোবাসি বাংলাভাষা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। আর রাজাকারদের কোনো ক্ষমা নাই।
কয়েকদিন আগে হোলি-উৎসব শেষ হয়েছে। কিন্তু এর আলোচনা-সমালোচনা এখনও চলছে। অনেকের মাঝে হোলি-উৎসব নিয়ে বিরাট আতংক বিরাজমান। এরা ভাবছে: ‘আগামীদিনেও যদি এভাবে হোলি-উৎসব হতে থাকে—তাহলে, আমাদের ধর্মের কী হবে?’ আসলে, এরা কেউই ধার্মিক নয়। আর ধার্মিক কখনও কারও ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে না।
ফাল্গুন-মাসের পূর্ণিমাতিথিতে হিন্দুসম্প্রদায়ের দোলযাত্রা বা হোলি-উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আর এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। বাঙালির জনজীবনে হোলি-উৎসব একটি স্বতঃস্ফূর্ততার বিষয়। এখানে, কাউকে জোর করে হোলি-উৎসবপালন করতে বলা হয় না। এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। তাইতো দেখা যায়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এতে অংশ নিয়ে নিয়ে থাকে। তবে মূলত এটি হিন্দুসম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠান। এখানে, অনেক বিদেশীরাও হাসিমুখে অংশ নিয়ে থাকে।
চলতি বছরে হোলি-উৎসব নিয়ে এদেশের নানাপণ্ডিত (অবশ্যই আত্মস্বীকৃত-পণ্ডিতশ্রেণী) নানারকম মতপ্রকাশ করেছে। কয়েকদিন যাবৎ এদের লেখাজোখা পড়লাম। আর দেখলাম, দেশের অনেক মানুষই সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠছে। এদের লাগামহীন-বক্তব্য জাতিগত-সংঘাতের শামিল।
অনেকে আবার আপত্তি তুলেছে—এই বছর নাকি কতিপয় হিজাবপরা-স্ত্রীলোকের গায়ে-মুখে কে বা কারা হোলির রঙ মাখিয়ে দিয়েছে! কী সাংঘাতিক কথা! ধর্মনাশের চক্রান্ত! খবর যাই হোক, এই অপকর্মটি যারা করেছে—তারা এদেশেরই একশ্রেণীর মুসলমান-নামধারী কুলাঙ্গার। আর এরা জন্মগতভাবে সাম্প্রদায়িক, সাম্প্রদায়িক, আর সাম্প্রদায়িক। কোনো হিন্দু এই কাজটি করতে যায়নি। কারণ, আমরা দেখেছি, কয়েক মাস আগে কাবাঘরের উপরে শিবের ছবি টাঙ্গিয়ে ধরা পড়েছে মুসলমান-নামধারী এক নরপশু—মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম! আর এই মুসলমান-নামধারী-নরপশুরা আমাদের পবিত্র কাবাঘরের উপরে হিন্দুদেবতা শিবের মূর্তি বা ছবি স্থাপন করে তার দায় চাপিয়েছিলো এক গোবেচারা হিন্দু—রসরাজের উপর! কতবড় শয়তান এরা। এরা একইসঙ্গে নিজের ধর্মকে করেছে কলুষিত—অপরদিকে, অন্যের ধর্মে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক-দাঙ্গার সৃষ্টি করে সীমাহীন অমানুষিকতার পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। এই নরপশুরাই দেশের কতিপয় হিজাবধারী-মহিলার গালে-মুখে হোলির রঙ লাগিয়ে সার্বজনীন হোলিকে কলুষিত ও জাতির কাছে তা প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছে। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের দেশের এই পশুশ্রেণীটি একেবারেই সাম্প্রদায়িক। এদের কখনওই অপরের ধর্ম সহ্য হয় না।
এদেশে যাদের পরমত বা পরধর্ম সহ্য হয় না। তারা এবারের হোলি-উৎসব নিয়ে হোলির রঙকে দূষিত করার অপচেষ্টা করেছে। হোলির আনন্দপূর্ণ পরিবেশে রঙের খেলা এদের সহ্য হয় না। এই আনন্দ দেখে এদের মন কলুষিত হয়। আর এরা ঘরে-বাইরে একেকজন আইএস-জঙ্গি হয়ে ওঠে। এরা তাই ক’দিন হোলি নিয়ে খুব লিখেছে। আর এর দায়দায়িত্ব চাপিয়েছে এদেশের সংখ্যালঘু তথা হিন্দুসম্প্রদায়ের উপর।
সামান্য হোলির রঙ দেখে এদেশের অনেকের ব্লাড-প্রেসার খুব বেড়ে গেছে। এরা মনে হয় ঘাবড়ে গেছে। আর তাই, হোলি-উৎসবকে বয়কট করার জন্য নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য করেছে, আর লেখালেখিও করেছে খুব। এই সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে বলছি: আপনারা শান্ত হ’ন। আর বাঙালি-হিন্দুর হোলি-উৎসবকে সনাতনপ্রথা হিসাবেই মেনে নিন। এগুলোকে আপনাদের ধর্মজ্ঞান করতে বলছি না। বাঙালি-জনসমাজে সকল ধর্মের মানুষ তার উৎসবপালন করে হাসি-খুশি জীবনযাপন করবে—আমরা তা-ই চাই।
২৫/০৩/২০১৭
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: এসব আলতুফালতু ভিডিও একশ্রেণীর মুসলমান-নামধারী কুলাঙ্গারদেরই অপকর্ম।
ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সময় হলে সব উল্টে যাবে। খালি সরকার বদল হোক। এসব তাফালিং সাময়িক...
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার দাঁড়িপাল্লা-মার্কাই তো বাতিল হয়ে গেছে। আপনি ভোট দিবেন কীসে? ধানের শীষে? আর তারাও তো পরাজয়ের আশংকায় ভোটে-নির্বাচনে নাও আসতে পারে! এখন, আপনি সরকার-পরিবর্তন করবেন গায়ের জোরে?
ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৬
ইউনিয়ন বলেছেন: যারা হোলির সময় অন্য ধর্মের মানুষদের যৌন হয়রানি করেছে তারা কোন কোন না কোন এজেন্টের লোক। এখন চিন্তার বিষয় এই এজেন্ট কর্তৃক সামনের কুরবানিতে কোন অপ্রতিভ ঘটনা ঘটে কিনা।
যারা এই কাজ করে তারা আমাদের দেশের বদনাম করার জন্য করে। ভিডিও দেখে মনে হয়েছে তারা ট্রেনিং প্রাপ্ত এবং তারা পূর্বে থেকে এর রির্হাসেল দিয়েছিল। অর্থাৎ এটা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়।
এখন সরকারের উচিত এর গড ফাদারদের মুখ উন্মেচন করার।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। এদের মুখোশউন্মোচন করা প্রয়োজন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমতপ্রকাশ করায় আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
শুজা উদ্দিন বলেছেন: যেমনটা হয়েছে বিএনপির আন্দোলনের সময়- পেট্রল বোমা মারছে 'অন্যরা' দোষ হইছে বিএনপির।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাই, কথাটি ঠিক নয়। আন্দোলনের নামে পেট্রোল-বোমা মারছে জামায়াত-শিবির আর বিএনপি। তবে এতে বেশি অংশগ্রহণ করেছে জামায়াত-শিবির। কিন্তু এর দায়দায়িত্ব বিএনপি এড়িয়ে যেতে পারে না।
আর হোলির ব্যাপারটাকে পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই একটি সাম্প্রদায়িক-অপশক্তি সুক্ষ্ণভাবে কাজ করেছে।
এখানে দেখুন:
view this link
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
শুজা উদ্দিন বলেছেন: পেপারে তো ছাত্র-যুবলীগকেও দেখা গেছে, এক বার নয় কয়েক বার।
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: টাকার লোভে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-নামধারী কেউ এই অপকর্ম করলেও করতে পারে। এই দেশে এসব বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু এটি ঢালাওভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের উপর চাপানো মানে সত্যের অপলাপ। আসলে, এই পেট্রোল-বোমা-হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত জামায়াত-শিবির আর বিএনপি।
আর এখানে কিছু লিংক দিলাম দেখে নিবেন।
Jamaat-BNP Terrotists Hurled Petrol Bomb on a Truck in Rajshahi, 26 January, 2015
Arson Attack on Truck Driver in Chittangong 17 January 2015
BNP-Jamaat Terrorists Hurled Petrol Bomb in Feni on 1 February, 2015
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার ব্লগ ঘুরে আসেন। আমি মনে করি না শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে বি এন পি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে। আর যেভাবে অসাম্প্রদায়িকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন জোর করে সময় হলে বিস্ফোরণ টা টের পাবেন...
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: দেশবিরোধীদের বিস্ফোরণ মানে তো ষড়যন্ত্র। আর “ঘুঘু বারেবারে ধান খায় না।” কাজেকাজেই সামনে রাজাকারদের জন্য দুর্দিন, ইনশা আল্লাহ।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯
মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: এই বছর নাকি কতিপয় হিজাবপরা-স্ত্রীলোকের গায়ে-মুখে কে বা কারা হোলির রঙ মাখিয়ে দিয়েছে! কী সাংঘাতিক কথা! ধর্মনাশের চক্রান্ত! খবর যাই হোক, এই অপকর্মটি যারা করেছে—তারা এদেশেরই একশ্রেণীর মুসলমান-নামধারী কুলাঙ্গার।
ভাই বিষয়টি আসলেই জটিল...
ভেবে দেখা প্রয়োজন।
কলাম লেখা সহজ বাস্তবতা উপলব্দি করা কঠিন।