নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বই পড়তে খুব ভালো লাগে। সত্যিকারের সাহিত্য বলতে যা বোঝায় তা আমার কাছে সবসময় প্রিয়। আর জীবনের কথা লিখতে ভালো লাগে।

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক

যৌবনে-জীবনে একজন আউট-ল হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ইচ্ছাটা এখনও আছে। কিন্তু সময় ও সুযোগ পাচ্ছি না। তাই, নিরুপায় হয়ে এখন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ হওয়ার জন্য আমার এই সংগ্রাম আজীবন-আমৃত্যু অব্যাহত থাকবে। দেশপ্রেমকে জীবনের শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করি। আমার দেশ বাংলাদেশ আমার কাছে ধর্মের মতোই প্রিয়। তাই, ভালোবাসি বাংলাভাষা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। আর রাজাকারদের কোনো ক্ষমা নাই।

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৬ মার্চ ১৯৭১ : চট্টগ্রামকে অরক্ষিত রেখে কক্সবাজারের দিকে পালিয়ে যান জিয়া...

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৬



২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ না নিয়ে, চট্টগ্রামকে অরক্ষিত রেখে কক্সবাজারের দিকে পালিয়ে যান জিয়া...

“২৫ মার্চ যুদ্ধ শুরুর পর সঙ্গে থাকা সেনাদের নিয়েই চট্টগ্রাম শহর দখল করে ফেলেন ক্যাপ্টেন রফিক ও তার অধীনে থাকা বাঙালি যোদ্ধারা। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয় তাকে। মেজর (অবঃ) রফিক (বীর উত্তম) এর দাবি, কোন এক কারণে সেসময় আরেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়া সহযোগিতা করেন নি তাকে। তিনি বলেন, তাকে (মেজর জিয়া) যখন আমরা মেসেজ পাঠালাম যে আমরা যুদ্ধ শুরু করেছি, তখন এই মেসেজ পেয়ে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তিনি ফেরত আসেন। এসে শহরের যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ না করে, যেকোন কারণেই হোক, সেটা আমি জানি না, উনি তার এইট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য এবং অন্যদের নিয়ে শহর থেকে বেরিয়ে কর্ণফুলী নদী পেরিয়ে কক্সবাজারের দিকে চলে যান।

এই চলে যাওয়া খানিকটা অসহায় করে দেয় মেজর রফিককে। সেই ঘটনা এখনো পরিষ্কারই মনে করতে পারেন তিনি। মেজর (অবঃ) রফিক বলেন, উনি (মেজর জিয়া) চলে যাওয়ার ফলে আমার কাপ্তাই থেকে যে সৈন্যগুলো আসছিলো; ইপিআর এর, এই সৈন্যরা শহরের কাছাকাছি এসে দেখলো যে, বেশকিছু বাঙালি সৈন্য শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তখন তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলো। সেদলের ক্যাপ্টেন হারুন তখন শহর ছেড়ে যাওয়া অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। হারুন আমাকে পরে জানালেন যে, জিয়াউর রহমান সাহেব এবং অন্যরা তাকে বলেছে শহরে কেউ নেই। এজন্য তারা চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে নদীর অপর পাড়ে চলে যাচ্ছে। তখন হারুনও দলসহ তাদের সঙ্গে চলে যান। ফলে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত সৈন্যদের না পাওয়াতে শহর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।”

ছবি; ফেসবুক

[সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সম্পর্কে তথ্যে ভুল আছে:
মেজর রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তম (ডয়েচে ভেলে)]

[ বি. দ্র. লেখাটি মুক্তিযুদ্ধের এক মহান বীরের লেখা। কারও পছন্দ না-হলে আমাকে গালি দিবেন না। লেখাটি মনপুঃত না-হলে কোনো সম্মানিত ব্লগার অশোভন উক্তিও করবেন না। এব্যাপারে বিনীত অনুরোধ রইলো।]

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: সত্য প্রকাশ করলে এক শ্রেনীর লোক গালি দিবেই।জিয়া বাইচান্স মুক্তিযুদ্ধা।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২০

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৬

আমি নই বলেছেন: হুমম, জিয়াতো আর এই কথা ডিফেন্ড করতে আসবেনা সুতরাং যেকোনো কথা বলাই যায়।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: জিয়া নেই তো কী হয়েছে? আপনি তো আছেন! আপনি তার পক্ষ থেকে এসব কথা ডিফেন্ড করুন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৮

নিমো বলেছেন: আমি নই বলেছেন: হুমম, জিয়াতো আর এই কথা ডিফেন্ড করতে আসবেনা সুতরাং যেকোনো কথা বলাই যায়।
হা-হা! বঙ্গবন্ধু, বাকশাল, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শাসনামল চোখে না দেখে ও ঐ সময় পয়দা না হয়েও যখন সমালোচনা করা যায়। তখন এই যুক্তি কই থাকে ? এমনকি এমভি সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতেও উনি যান নাই। =p~

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। সঠিক তথ্য। উচিত জবাব হয়েছে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার সংগ্রহ আরেক যোদ্ধা শমশের মবিন চৌধুরীর কাছে । রেডিওতে জিয়ার ঘোষণার পরেই তারা ভাবলেন এবার রেডিও স্টেশনের উপর হামলা হবে । টিলার উপর জিয়ার কম্যান্ডে যুদ্ধ শুরু হল । অসম এই যুদ্ধে পাক বাহিনি ভারি অস্ত্র ব্যাবহার শুরু করলে ডিফ্যাক্টো বাঙালি বাহিনি পালাতে শুরু করে । লেঃ শমসের একটি মর্টারে আহত হলেন , তার পাশের গানার মারা গেল । জিয়া ক্রলিং করে এসে শমসেরকে রেস্কিউ করতে চাইলেন । শমশের নিজের আঘাত গুরুতর বুঝে অস্বীকার করলেন জিয়ার সাথে যেতে । জিয়া তার বাহিনি নিয়ে টিলা থেকে নেমে গেলেন । শমসেরকে পাঞ্জাবি পাক বাহিনি অত্যচার করে ঢাকা নিয়ে গেল গোপন তথ্য পাবার আশায় ।

শমসের ওরফে শেরু ভাই পিকিং ইউনিয়ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডে শুয়ে আমায় এই গল্প বলেছিলেন ৮৬ বা ৮৭ সালে । তার ব্লাডার ক্ষতিগ্রস্থ এবং তাকে মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে থাকতে হয় ।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি মনে হয়, অনেক তথ্য-ইতিহাসের সাক্ষী।
আমাদের অজানা-তথ্য-প্রদান করে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন।

অশেষ ধন্যবাদ ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না আমার সন্দেহ হয়।
৭১ এর মার্চে জিয়া যখন চট্টগ্রামে, যখন ঘোষনা দেন তখন জিয়া সপরিবারে চট্টগ্রামে থাকতেন।


জিয়াউর রহমান মুক্তি যুদ্ধ করেছেন সত্য, তবে পাকিস্তানী চর হিসেবে।
খালেদার চরিত্রও সন্দেহজনক।
জিয়া প্রকৃতই বেইমান বিশ্বাসঘাতক ছিলেন।
২৫ শে মার্চ রাত ৯ টা দশটার ভিতরে ঢাকায় ক্র্যাক ডাউন হওয়ার পর দেশের সকল বেঙ্গল রেজিমেন্ট সদস্য বিদ্রোহ করে। অথবা বিদ্রোহ করার পূর্বেই পাকিস্তানি বাহিনীদের হাতে বন্দি হয়। এমনকি পাকিস্তানপন্থী উর্দু ভাষী বাঙ্গালীদেরও আটক করা হয়। অথচ জিয়াউর রহমানকে দেখা যায় ক্র্যাক ডাউন এর দুইদিন পরেও উনি পাকিস্তানি বাহিনীর হয়ে কাজ করছে যুদ্ধ করছে। পাকিস্তানি বাহিনীর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাস কাজে যাচ্ছে।
কিন্তু ছাত্রজনতা বাধা দিয়ে মুক্তি যুদ্ধে যোগ দিতে ও ইংরেজিতে ঘোষনা পাঠ করতে রেডিও অফিসে নেয়া হয়। বাধা না দিলে?
পাকিস্তান বাহিনী চট্টগ্রাম পুনর্দখলের আগ পর্যন্ত জিয়া চট্টগ্রামেই ছিলেন খালেদা জিয়া সহ। পাকিস্তানি সেনা জানজুয়াও চট্টগ্রামেই থাকতেন।

পরে জিয়াউর রহমান সহ সব মুক্তিযোদ্ধারা জিপে করে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন হয়ে ভারতে চলে যান আর খালেদা জিয়া দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে ঢাকায় কেন্টনমেন্টে চলে আসেন।
কিভাবে ঢাকা গেলেন? সব রাস্তা বন্ধ ফেরি ডুবিয়ে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা তখন ৩টি ফেরি লাগতো ঢাকা যেতে। ঢাকা কেন যাবেন খালেদা? যেখানে সবাই পরিবারকে আগে নিরাপদ ভারতে পাঠিয়ে দিচ্ছে? ঢাকা কেন্টনমেন্টে জিয়ার কোন বাসস্থান থাকার কথা না, কারন জিয়ার ষ্টেষন ছিল চট্টগ্রামে।
পাকিস্তানি ঘাতকদের অত্যাচারে মানুষ যখন ঢাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছিল তখন খালেদা বিপদসংকুল ঢাকায় রওয়না দিল একা কোলের বাচ্চাদের নিয়ে? বিশ্বাসযোগ্য? (সুত্র- বিচিত্রা পত্রিকায় জিয়ার লেখা, খালেদাজিয়ার পিতার এক লেখায়, স্ক্রিশট আছে) খালেদা ঢাকার দিকে যান, আর জিয়া সীমান্তের দিকে ভারতে।

হয়তো জিয়া ভারত যাওয়ার আগে অধিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে খালেদাকে জানজুয়ার হাতে তুলে দেন। এছাড়া খালেদার ঢাকা পৌছানোর কোন উপায় থাকার কথা না। ঢাকা কেন্টনমেন্টেই জানজুয়া ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন। খালেদাও ক্যান্টনমেন্টে ভিন্ন এক বাসায়, কোইনসিডেন্ট?
কেন? ঢাকা কেন্টনমেন্টে জিয়ার কোন বাসস্থান থাকার কথা না, কারন জিয়ার ষ্টেষন ছিল চট্টগ্রামে।

আসলে জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রকৃতই বেইমান। আলবদরের চেয়েও বড় বেইমান।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৪

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমত। একমত।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাইজান।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

আমি নই বলেছেন: নিমো বলেছেন: হা-হা! বঙ্গবন্ধু, বাকশাল, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শাসনামল চোখে না দেখে ও ঐ সময় পয়দা না হয়েও যখন সমালোচনা করা যায়। তখন এই যুক্তি কই থাকে ?

আমার যুক্তি তখনো সেইম থাকে। অন্যকারো যুক্তি আলাদা হলে তারে জিগান।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাইজান।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩০

নিমো বলেছেন: আমি নই বলেছেন: আমার যুক্তি তখনো সেইম থাকে।
ও! আচ্ছা!
আমি নই বলেছেন:অন্যকারো যুক্তি আলাদা হলে তারে জিগান।
বর্জন ও বটতলা পার্টিকে আমার কিছু জিগানোর আছে, এই যেমন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনাপ্রধান ওসমানীর সঙ্গে বিরোধ এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতির প্রতি আনুকূল্য দেখানো, গোআকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে আনা, জা-শিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা, ও যিনি ঠিক মত বাংলাই বলতে জানতেন না, তার স্বাধীনতা ঘোষনা দাবি করা ( বাংলা বলতে না জেনেও পাঠ করা সম্ভব)। সবশেষে গোলাপী আপুকে উনারা বর্জন করেছেন কিনা, কেননা শুনলাম উনি নাকি ভারতীয়!

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

আবুল খায়ের মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল কথা বলেছেন। একদম সঠিক জবাব।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ;)

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সে আসলে পাকিস্তানিদের গুপ্তচর ছিলো।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: জিয়া ও তার স্ত্রীর কার্যক্রম সন্দেহজনক ছিলো।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪

ভগবান গণেশ বলেছেন: এমন চরম সত্য প্রকাশের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমকে হাজার বার স্যালুট।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪।
আন্তরিক শুভেচ্ছা

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়া ছিলো নিরব ঘাতক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.