নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাউকে বেশ্যা বলার আগে নিজের দিকে তাকাই

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

ডিম্বানু কখনই শুক্রানুর কাছে কাবিন নামা দেখতে চাই না। যদি দেখতে চাইতো তাহলে এমনটি হত না। মেয়েটি বেশ্যা নয়, প্রেমময় একজন নারী যে একজন পুরুষের দায়িত্বহীনতার স্বীকার। পুরুষ হিসাবে আমি লজ্বিত।

মজা নিচ্ছেন নেন সবাই। মজা নেওয়ার সময় এখন। মজা নেওয়ার আগে একটু উল্টো ভাবে ভাবুন সবাই। জুন মাসের কোন একদিন হয়ত মেয়েটি ছেলেটির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। হয়ত ছেলেটির জন্ম দিনে ছিল বলে দেখা করতে গিয়ে থাকতে পারে। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। পরিকল্পনার ছাড়াই ঘটে গিয়েছিল বলছি কারন পরিকল্পনা থাকলে আজ আমরা এ মজাটা নেওয়ার মওকা পেতাম না।

মাত্রই কয়েক মিনিটের সুখ। তারপর থেকে মেয়েটির মানুষিক যন্ত্রনার শুরু কিছু হবে না তো????? একটি একটি করে সে মাসের বাকি পনের বিশটি দিন পার করেছে। তার মনের ভেতরের ঝড় কেউ দেখতে পাইনি, কেউ না। তারপর কিছু ঘটে গেছে। তার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। মনকে বুঝ দিয়েছে মাঝে মাঝেই তো দেরী হয় মনে হয় এমনই দেরি বলে মনকে বুঝ দিতে চেয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন পর শরীর গুলিয়ে ওঠা বমি তাকে সর্ব ইন্দ্রিয় দিয়ে লুকাতে হয়েছে দিনের পর দিন।

ছেলেটির সাথে হয়ত কথা বলেছে। কি করা যায় পরামর্শ করেছে। ছেলেটিকে পাশে পাই নাই আমি নিশ্চিত। শুধু ছেলেটিকে না বরং এমন কাউকে পাশে পাই নাই যাকে তার এ লজ্বার কথা বলে সমাধানের কোন পথ পায়। একটি একটি করে দিন গেছে, মহাকালের সমান একটি একটি দিন। এ্যাবরশন করতে পারে নাই। সীকৃতিও আদায় করতে পারে নাই। দিনের পর দিন বমি আর পেটটাকে লুকিয়ে রাখতে হয়েছে।

মেয়েটি প্রতারনার স্বীকার হয়েছে। সকল র্ধষনের জন্য দায়ী যেমন পুরুষ মানুষ, মেয়েটির এহন অবস্থার জন্যও দায়ী একজন কুলাঙ্গার পুরুষ মানুষ।

আমরা অনেকেই মেয়েটিকে বেশ্যা, বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ্যা বিদ্যালয় বলছি। বলতেই পারি, আমাদের ফ্রিডম আফটার স্পিচ না থাকলেও ফ্রিডম অব স্পিচ আছে।

আমরা ক’জন ভাল ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সে দিন গুলিতে। মেয়েটি যা করেছিল আমরা ক’জন সুযোগ থাকা সত্বেও তা থেকে মুক্ত ছিলাম? বা এখনও সুযোগ ও নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত হলে মুক্ত থাকতে পারব? খুব বেশী জন না?
পার্থক্য শুধু মেয়েটি বোকা ও পরিস্থিতির স্বীকার। সে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না হয়েই ভালবাসার লীলায় মেতে উঠেছিল। আনকন্ডিশনাল ভালবাসায়। বিশ্বাস করেছিল একজন পুরুষকে যে কিনা সে বিশ্বাসের যোগ্য ছিল না। পুরুষ শব্দের অর্থ দায়িত্ববোধ যা কাপুরুষদের থাকে না। তারা আসলে নপুংষক।

মেয়েটি কেন আত্নহত্যা করে নাই??? কেন করবে??? বিশ্বাস করে, ভালবেসে কেন একজন আত্নহত্যা করবে। প্রতারকের আত্নহত্যা করা উচিত। ঐ কাপুরুষ পশু পুরুষ দেখ তোর ঐরশজাত বংশধর ট্রাংকের মধ্যে কেঁদে কেঁদে মরল। বেঁচে থাকলে বেশ্যা পাড়ায় তোর বংশধর বিক্রিও হতে পারত। রেল ইষ্টিশনে রাতে ঘুমাতেও পারত। পলিথিনে ভরে ডান্ডি শুকে শুকে ধুকে ধুকে মরত। ভাগ্যিস মরে গেছে। কার প্রতি প্রতিশোধ তোর।

মেয়েটিকে বেশ্যা বলে যে একটি আঙ্গুল তুলবে তিনটি আঙ্গুল নিজের অজান্তেই সে নিজের দিকেে তাক করবে।
বিয়ে কঠিন হয়ে গেলে সমাজে ব্যাভিচার বেড়ে যায়। বিয়েকে ও ডিভোর্স কে সহজ করার মধ্যে সমাধান আছে। সন্তান বৈধ বা অবৈধ যায় হোক না কেন তাতে সবচেয়ে বেশী লাভোবান হয় রাষ্ট্র। বিয়ে ও ডিভোর্স কে সহজ করে ও সচেতনতা সৃষ্টি করে রাষ্ট্র তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বিয়ে কঠিন হয়ে গেলে সমাজে ব্যাভিচার
বেড়ে যায়। বিয়েকে ও ডিভোর্স কে সহজ
করার মধ্যে সমাধান আছে। সন্তান বৈধ বা
অবৈধ যায় হোক না কেন তাতে সবচেয়ে
বেশী লাভোবান হয় রাষ্ট্র। বিয়ে ও
ডিভোর্স কে সহজ করে ও সচেতনতা সৃষ্টি
করে রাষ্ট্র তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন
করতে পারে।।


সহমত।


সুন্দর লিখেছেন।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: একজন বেশ্যাকেও বেশ্যা বলা উচিত না, কারণ এটা একটা গালি।
আবেগ থেকে লিখেছেন, সমাজে আরো অনেক সত্য আছে...।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কাউকেই গালি দেয়া উচিৎ না।আমরা মানুষ আমাদের মুখটা পবিত্র।সুতরাং পবিত্রমুখে নাপাক কখনও স্থান পায় না।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন: কাউকে খারাপ গালি দিয়ে নিজেকে সভ্যতার বাইরে নেয়া ঠিক না।

আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না, ভাইয়া/আপু। বিবেকহীন অমানুষ দুইটাই।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: কাউকেই খারাপ কথা বলা ঠিক না।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১০

মা.হাসান বলেছেন: বাস্তবতা মেনে অভিযোজিত হওয়া দরকার। মেয়েটি বোকা আপনার এ বাক্যের সাথে আমি একমত।
সবার পারিবারিক শিক্ষা সমান না। সবাই বোরখা পরে ঘরে বসে থাকবে না। বয়সের কারনে ভুল হয়ে যেতে পারে । সুযোগ না পাওয়ায় আমার হয়তো ভুল করা হয়ে উঠেনি, সুযোগ পেলে আমিও এরকম করতে পারতাম। ছেলেদের ভোগান্তি এক্ষেত্রে কম। একটু সচেতন হলে বড় ক্ষতি এড়ানো যায়। ঘটনা ঘটে গেলে গালি গালাজ করে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যেতে পারে, সমাধান হয় না। হুমায়ূন আহমেদকে দিয়ে কলেজের ছাত্রদের জন্য সচেতনতা মূলক একটা লেখা ৮-১০ বছর আগে মনে হয় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এখন কি অবস্থা তা জানা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.