নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতারন

জগতারন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধু !!!

০২ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩১

বন্ধু !!!
বন্ধু-এর অন্য পরিচয় শুভাকাঙ্ক্ষী, বিপদেই এর প্রকৃত পরিচয় মেলে।
বিপদে যে সহমর্মিতার হাত বাড়াইয়া দেয় এবং পাশে আসিয়া দাঁড়ায়, সাহায্য করিবার জন্য হাত বাড়াইয়া দেয় ও সাহায্য করে।
সে-ই তো পরম ও প্রকৃত বন্ধু!
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভীষণ সঙ্গিন, বিপদ ও সঙ্কটতম দিনে আমরা অনেককেই বন্ধু হিসেবে পাসে পাইয়াছিলাম।

ইহাদের মধ্যে অনেক দেশ, দেশের বিখ্যাত মনিষীগণ ও ছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানবতাবাদী মানুষ আমাদের জীবন-মরন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একাত্মতা পোষন করিয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সংগঠন তাঁহাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করিতে দ্বিধাবোধ করেন নাই।
তেমনই একটি উদ্যোগ ছিল “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ”
এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হইয়াছিল; যুক্তরাষ্ট্রের নিউ-ইয়োর্ক শহরে ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসের ১ তারিখে। এই কনসার্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অংশ। এই কনসার্ট-এ “বাংলাদেশ” এই গানটি গাহিয়াছিলেন জগত বিখ্যত গায়কঃ জর্জ হ্যারিসন। এই গানটি গাহিয়া জর্জ হ্যারিসন বাংলাদেশীদের অকৃতিম শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু হইয়া স্মরনীয় হইয়া আছেন। পৃথিবীর বিখ্যাত পপ তারকা-এর প্রতি আজও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষগন তাহার প্রীতি ও প্রেম অনুভব করিয়া থাকেন।
দেশ হিসেবে প্রথমই আসে ভারতের কথা। (যদিও এই সাহায্যে ভারতের স্বার্থ প্রছন্নভাবে জড়িত ছিল) কিন্তু অন্য আরও একটি দেশ রাশিয়ার কথা না বলিলেই নয়!
দেশ রাশিয় আমাদের নিঃস্বার্থভাবেই অর্থ দিয়া, মনোবল দিয়া, সমর কৌশল দিয়া, সমর অস্র দিয়া যে সাহায্য ও সহযোগিতা করিয়াছিল তাহা অস্বীকার করার মতো নয়। ইহা ও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অংশ।
আর ব্যাক্তিঃ টেড কেনেডি, মোহাম্মদ রফি (বিখ্যাত গায়ক, ভারতীয়), রাবিশংকর ইত্যাদী
সেই সব শুভাকাঙ্ক্ষীদের নামগুলি আজও আমাদের চোখে সামনে ভাষিয়া আসে।
ব্যাক্তি হিসেবে সর্ব বৃহৎ অনুদান দিয়াছিলেন; মোহাম্মদ রফি
আর, টেড কেনেডি; আন্তর্জাতি পরিচিতি ও স্বীকৃতি,আমাদের পরিচয় ইত্যাদী আসিয়াছিল টেড কেনেডি-এর সহমর্মিতা ও সাহায্য থেকে। এবং তিনি সশরীরে আমাদের নিদারুন কষ্ট দেখিতে আসিয়াছিলেন ভারতের বিভিন্ন স্মরনার্থী আশ্রয় শিবীর গুলিতে। তাহার এই আগমন ও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অংশ।
(টেড কেনেডি নিয়া এই ব্লগে আমার একটি প্রবন্ধ আছে, সকল পাঠক পাঠীকাদের তা পড়িয়া দেখিতে অনুরোধ জানাইলাম)

আর, রবিশঙ্কর আমাদের আত্মার আত্মীয়।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিপদের বন্ধু "প্রবন্ধের পাদটীকা : ভারত,রাশিয়া, হ্যারিসন,রবিশঙ্কর, কেনেডি।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

জগতারন বলেছেন:
আপনার মন্তব্য আমার দৃষ্টিগোচর হইয়াছে।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রাশিয়া বাংলাদেশের পরম বন্ধু। এটি অনস্বীকার্য।




০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

জগতারন বলেছেন:
আপনার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য আমি পাইয়াছি।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: ভারত যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছে।রাশিয়া সমর্থন করে আমেরিকার মোকাবেলা করছে।সে এক উত্তাল সময় ছিলো যা আমরা কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

জগতারন বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হইয়াছি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংক্ষ ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সুসময়ে অনেকেই বন্ধু হয়, দুঃসময়ে যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় তারাই প্রকৃত বন্ধু।

(টেড কেনেডি নিয়া এই ব্লগে আমার একটি প্রবন্ধ আছে, সকল পাঠক পাঠীকাদের তা পড়িয়া দেখিতে অনুরোধ জানাইলাম)


প্রবন্ধের লিংক দিয়া দিলে যারা পড়তে চাইবেন তাদের জন্য সুবিধা হয়।

* টাইপো সমর অস্র, সমরাস্ত্র হবে বোধ হয়।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

জগতারন বলেছেন:
আসুন বাংলা ভাষার ব্লগে আমরা বাংলা ভাষার বাংলা শব্দের সন্ধি শিখিঃ

সমর অস্রঃ সমর+অস্র = সমরাস্র। (সমরাস্ত্র শব্দ বাংলা অভিধানে নাই)
যুদ্ধ অস্রঃ যুদ্ধ+অস্র = যুদ্ধাস্র।
আনন্দ দসাঃ আনন্দ+দসা = আন্দসা (পিঠা)।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- জীবনের প্রতিটি পর্বেই বন্ধুর দরকার পরে। শেষ দিনটি পর্যন্ত।
- লেখায় বেশ কিছু টাইপো আছে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

জগতারন বলেছেন:
আমি বাংলা ভাষায় তেমন দক্ষ না।
পড়াশুনা করিয়াছি ইংরেজী ভাষায়, অতি সূক্ষ বিষয় বিবেচনা নিয়া এবং কঠিন বাস্তবতায় কর্ম ও করিয়াছি ইংরেজী ভাষীদের সাথে।
আমার লিখায় বাক্য গঠন, শব্দের বানান ভুল হইতেই পারে । 'টাইপো' ধরাইয়া দিলে ভালো হইতো।
আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য পাইয়া আমি অনুপ্রাণিত হইয়ছি।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে আমার কোনো বন্ধু নেই। আমি একা হয়ে পড়েছি।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

জগতারন বলেছেন:
"বর্তমানে আমার কোনো বন্ধু নেই। আমি একা হয়ে পড়েছি।"
শিগ্রই বন্ধু খুঁজিয়া বাহির করুন।
আপনার স্ত্রী'ই তো আপনার সবচেয়ে নির্ভরজনক বন্ধু।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আপনার পোস্ট থেকে। জর্জ হ্যারিসনের 'বাংলাদেশ' গানটার অনুকরনে একটা বাংলা গান তৈরি করেছিলেন গায়ক আজম খান। যেটার প্রথম লাইন ছিল 'রেল লাইনের ঐ বস্তিতে জন্মে ছিল একটি ছেলে মা তার কাঁদে, ছেলেটি মরে গেছে, হায়রে হায় বাংলাদেশ'।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৪১

জগতারন বলেছেন:
আপনি মন্তব্য পাইয়া অনুপ্রাণিত হইয়াছি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংক্ষ ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: মোহাম্মদ রফি শুধু একজন বিখ্যাত গায়কই ছিলেন না-ছিলেন মহানুভব বড় মাপের একজন মানুষ।
রাশিয়ার সহযোগীতার বিষয় আসলে বলতে হয়; সেজন্য তাদের সব অপকর্মকে আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে সমর্থন জানাতে পারি না। তখনকার পাকিস্থানীদের মত এখন তারা একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে আগ্রাসী অভিযান চালাচ্ছে। কিছুদিন আগে এরাও আমাদের মত একই দেশ ছিল একই ভাষায় কথা বলত( রুশ আর উক্রাইনান ভাষার পার্থক্য সামান্য) আজ ভয়ঙ্কর হি্ংস্র শ্বাপদের মত নিজের ভাইকে হত্যা করছে।
রাশিয়াকে সমর্থন করা আর রাশিয়ার বর্তমান সরকার ও তাদের সব কর্মকান্ডকে সমর্থন করা এক কথা নয়। যদিও দেশ নায়ক হিসেবে আমি পুতিনকে পছন্দ করি। কিন্তু উক্রাইনের বিরুদ্ধে তাঁর এই আগ্রাসন আমার পছন্দ নয়।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৩৯

জগতারন বলেছেন: আপনি আমার ব্লগে আসিয়াছেন এবং মন্তব্য করিয়াছেন তার জন্য
আমি যত না খুশি হইয়াছি তার চেয়ে আমি বেশি বিরক্ত।
আমি কি আমার এই ব্লগ লিখায় উল্লেখ করিয়াছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া সমর্থনের কথা ?
যদি না করিয়া থাকি তবে সে কথা আপনি এখানে আনিলেন কেন ?
যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসংগ আনিলেনই,
হ্যাঁ,
আমি রাশিয়ার পক্ষে।
তার কয়েকটি কারন নিন্মে দেওয়া হইলোঃ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে;
মূল বিষয়টাতে একটু নজর দিন দয়া করিয়া;
দুর্বলেরা পক্ষে ও্ স্ববলের বিপক্ষে থাকাই মানবতা নয়।
দুর্বলেরা সর্বদাই নিরীহ নয়।
(যেমন; ইজরাইল)
তাহারা কখনো কখনো স্ববলের ঘুম হারামের কারণ ও হয় l
চলুন একটি বিষয়ে দেখিঃ-
ইউক্রেন বর্তমানে একটি দেশের নাম।
৩০ বছর আগে বিনা রক্তপাতে রাশিয়া থেকে দেশটি আলাদা করা হইয়াছিল।
সেই সময়ে রাশিয়া কত্মৃক এমন আরো ১০টি দেশকে স্বাধীনতা দেয়া হইয়াছিল।
বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সবাই যে যার মতো ভালোই আছে/ ছিল।
এখন এই ইউক্রেন যদি রাশিয়ার নাকের ঢগায় বসে আমেরিকা
ও (ন্যাটো)-কে দাওয়াত করিয়া আনিয়া সমরশক্তি প্রদর্শন করে।
তখন রাশিয়ার মাথা ব্যাথার কারণ হয় কিনা ?
আপনাকে এই প্রশ্ন করা হইলো।
যা এই প্রশ্নের উত্তর একপ্রকার প্রত্যক্ষ হুমকি।
ইউক্রেইনের মধ্যেও জাতিগত দন্দধ আছে।
তাহাদেরকেও ইউক্রেন শক্তি দিইয়া মোকাবেলা বা দমন করে।
আছে রাশিয়ান জাতি এবং অঞ্চল।
সেখানেও বল প্রয়োগ করে ইউক্রেন ...... ইত্যাদি ইত্যাদি।
রাশিয়ার ইচ্ছা;
সেদেশের আয়তন বড় করার পরিকল্পনা নাই।
তবে আসে পাশে মোড়লদের (ন্যাটো) ছায়া যেন না থাকে।
---
আমি ইউক্রেনীদের কান্না দেখিয়া মোটেও বিচলীত নই।
কারণ আমি আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, সিরিয়া,
ইরাক,ইয়েমেন, বসনিয়া, আরাকান, লেবানন,
ও কাশ্মীরীও বাচ্চাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ ও
আহাজারি দেখিতে দেখিতে বড় হইয়াছি।

পশ্চিমাদের এসব আবেগ ফিলিস্তিনিদের সময় কেন থাকে না?
ফিলিস্তিনের অভিবাসীদের কে তো কোন দিন দেখতে যায় না,
কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁহাদের সাথে সেলফি তুলিয়াছে?
তখন কোথায় থাকে তাদের মানবতা?

শুনেন মিঞা'সাব;
যুদ্ধ মঙ্গল জনক নয় তবে এই যুদ্ধর দরকার ছিলো।
আমেরিকা বার বার যে ভাবে বেঈমানি করছিল মুসলমানদের সাথে এতে এটার দরকার ছিলো।
আগ্রাসনকে সমর্থন করা আর বিশ্বমানবতাকে অপমান করা সমান কথা,
আমরা বিশ্বে সকল আগ্রাসনকে নিন্দা জানাই।
--
ন্যাটো মোড়লরা কেন;
রাশিয়া কে জিজ্ঞেস করে না;
"কেন তাহারা ইউক্রেনে আক্রমণ করিয়াছে?"
যদি তাহরা যুক্তিসংগত কোনও কারণ দেখাইতে পারে,
তবে সে বিষয়ে একটা সমাধান করা হউক।
যুদ্ধটাকে এখনই বন্ধ করা খুবই প্রয়োজন।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: না আপনি একবারও উল্লেখ করেন নাই- কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয়েছিল পরোক্ষভাবে আপনি ইউক্রেনের প্রতি আগ্রাসনে রাশিয়াকে সমর্থন করছেন।
মন্তব্যটা প্রকাশ করার পরেই আমি ভাবলাম ভুল হয়ে গেছে। পরে আরেকটা মন্তব্য করে এই ত্রুটি সংশোধন করতে চেয়েছিলাম।

আপনার পুরো মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেবার আর প্রয়োজনবোধ করছি না, কেননা আপনি প্রথমেই যে টোনে উত্তর দিয়েছেন তাতে আপনার সাথে যে কোন বিষয়ে আলোচনা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি,
লেখক বলেছেন: আপনি আমার ব্লগে আসিয়াছেন এবং মন্তব্য করিয়াছেন তার জন্য
আমি যত না খুশি হইয়াছি তার চেয়ে আমি বেশি বিরক্ত।

এ কথাটা একটু অন্যভাবে লিখতে পারতেন। ভাল থাকবেন- আশা করি ভবিষ্যতে আপনাকে আর এভাবে বিরত করিতে আসিব না।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৭

জগতারন বলেছেন:
আপনার আগের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়া
যথা সম্ভব সংক্ষেপে আমার গত ৩০ বছরের পর্যবেক্ষন নিয়া একটি পোষ্ট করিয়াছি।
আপনি ইচ্ছা করিলে দেখিয়া আসিতে পারেন।

ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্য করায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.