নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মনোযোগী পাঠক ।

রানা আমান

রানা আমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাকালে আমার সামান্য কিছু পর্যবেক্ষন ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৬

বর্তমানে আমরাসহ সারাবিশ্ব এক প্রবল সংকটের মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছি । আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব যে কতদুর যাবে তা হিসেব করে কুলাতে পারছিনা । অবশ্য আমাকে কেউ হিসেব করতে বলেও নি । আমি নিজে নিজেই ....কাজ নেই তো খই ভাজ এই আর কি । যাহোক আমার সামান্য কিছু পর্যবেক্ষন হচ্ছে এরকম ... খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলা, বিশেষত ফসলের মাঠ থেকে স্থানীয় বাজার, পাইকারী বাজার হয়ে খুচরা বাজার পর্যন্ত অর্থনৈতিক লকডাউনের কারণে দেশে বাধা পেয়েছে যা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে প্রধান খাবারের দামে। যদিও এটি আংশিকভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধাবাদী আচরণের দ্বারা উত্সাহিত হয়েছে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যে হ্রাস করা যেতে পারে(কঠোর সরকারী হস্তক্ষেপে), ফসলগুলির সরবরাহ মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে হ্রাস পেতে পারে যদি এই ধরনের লকডাউন অব্যাহত থাকে এবং রোপণের জন্য কৃষিকাজের/কৃষি উপকরণের বিতরণকে ব্যাহত করে। মহামারীটির প্রবণতা নেতিবাচক থাকাকালীন, কৃষি পণ্য বিপণন ও সরবরাহে এর প্রভাব জেলা ভেদে পৃথক হতে পারে। তবে কমবেশি সবাই তাদের পণ্য সীমিত পরিবহণ এবং বিপণন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। একইভাবে, বীজ, সার,পশুর খাদ্য এবং শ্রমের মতো উৎপাদনের মূল উপকরণগুলির সীমিত অ্যাক্সেসের কারণে কৃষিক্ষেত্রে ঘাটতি দেখতে হবে বলে আশংকা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক প্রভাব গভীর হওয়ার সাথে সাথে নগর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় (যদি দ্রুত এই নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠা না যায়)উচ্চ-মূল্যবান খাদ্য সামগ্রীর চাহিদা (মাছ, দুধ,ডিম ও মাংস) হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে, খাদ্য এবং অন্যান্য কৃষিজাত সামগ্রীর চাহিদা যেগুলি কম দামের তা অন্তত বর্তমান স্তরে থাকবে বলে আশা করা যায় ।

স্বাস্থ্য মহামারী এবং অর্থনৈতিক লকডাউনের দুটি বিশ্ব সংকট দেশজুড়ে নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে; তাদের সহায়তা করার জন্য ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলি এবং অন্যান্য ঋণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি অর্থনৈতিক ঝড়টি কাটিয়ে উঠতে নিজেদের মত করে চেস্টা করছে বলে মনে হচ্ছে । বিনিয়োগকারী এবং দাতারা তাদের নিজস্ব অর্থনীতিতে যেমন ভুগছেন তেমনি সহায়তা প্রদানের উপায়ও সন্ধান করছেন। মোবাইল মানি অপারেটররা, ইতিমধ্যে, এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির বিরুদ্ধে অভাবীদের হাতে অর্থ প্রাপ্তিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে তৈরি আছে যা অনস্বীকার্য তবে এই নগদ বিতরণে যে মাশুল নেয়া হয় তা অন্তত এসময় কমানো উচিত । অবশ্য ডাক বিভাগের নগদ মাশুল কমিয়েছে । এজেন্টদের উন্মুক্ত থাকতে হবে এবং গ্রাহকদেরকে অবশ্যই সমর্থন দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত তরলতা থাকতে হবে তাদের মূল ব্যবসা এবং যারা তাদের উপর নির্ভর করে।

কম উৎপাদনে সম্ভবত, তবে এখনও লক্ষণীয় নয় - মে/জুন মাসে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত হবে, তাজা খাদ্য সরবরাহের চেইনের জন্য বিশেষত পরিবহনের রুটে বাধা এবং এর ফলে খাদ্যের ক্ষতি ও অপচয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ।


মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি শহরে থাকেন, নাকি গ্রামে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

রানা আমান বলেছেন: আমি ঢাকারই বাসিন্দা চাঁদগাজী ভাই ।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪

ওমেরা বলেছেন: এখন আছি করোনা সংকটে সামনে অপেক্ষা করছে খাদ্য সংকট।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

রানা আমান বলেছেন: খাদ্য সংকটটা হয়তো বেশি ভয়াবহ হয়ে আসবে / এসে পড়েছে বলে আশংকা করছি । জোড়াতালি দিয়ে ম্যানেজ করার চেস্টাও চলছে । আল্লাহ ভরসা । মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ওমেরা ।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: গোপাল কহিল, মহারাজ শক্ত হয়ে দাঁড়ান। অন্য সময় দুর্যোগে মোড়লদের সাহ্য পাইতেন। এবার কিন্তু তারাই টাট্টিখানায় যায় আর আইয়ে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

রানা আমান বলেছেন: কপালের নাম গোপাল । মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নিম্ন আয়ের মানুষ ত্রাণ পেতে কষ্ট হচ্ছে। কৃষকেরা কৃষি কাজ করে লাভ পায় না বলে জমি খালি রেখে দেয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

রানা আমান বলেছেন: সামনে আরোও খারাপ সময়ের আশংকা করছি । মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রানা আমান,





আপনার পর্যবেক্ষন অনেকটাই যথার্থ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০২

রানা আমান বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। এমন পর্যবেক্ষন যথার্থ না হলেই ভালো লাগতো ।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ভালো পর্যবেক্ষণ।
পন্য সরবরাহ ব্যবস্থা কিছুটা বিপর্যস্থ হয়েছে।
আমাদের গ্রামে দুধ এখন ২৫ টাকা লিটার, ফার্মের মুরগী ৯০ টাকা কেজি, সমস্ত সব্জি- করলা বাদে - পাঁচ টাকা কেজি, করলা দশ টাকা কেজি। কৃষক দাম পাচ্ছে না। মুরগীর খামারীরা নতুন মুরগী তুলবে না। গরুর খামারীদের মধ্যে যারা ছোট খামারী তারা গরু বিক্রি করে দেয়ার অবস্থায়। এই অবস্থা আর কিছু দিন চললে কয়েক মাস পরে বাজারে কোনো মুরগী থাকবে না, কৌটার দুধ ছাড়া তরল দুধের দাম অনেক বেড়ে যাবে। কৃষক শঙ্কিত ধান নিয়ে। কিনবে কে? সরকারি গুদামে সাধারণ কৃষক ধান দিতে পারে না, বিশেষ সুপারিশ লাগে। লকডাউনের কারণে ধানের ক্রেতা নেই, দালাল যে দাম বলবে সেই দামেই দিতে হবে। সরকারে উচিৎ অবিলম্বে ঘোষনা দেয়া যে এক ছটাক ধান বাইরে বিক্রি করা যাবে না, উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সব ধান কেনা হবে। ঘোষনা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভালো, না পারলেও, শুধু ঘোষনার কারণেই কৃষক দাম পাবে। আজকের পত্রিকায় এসেছে, মাল পরিবহনের কাজে নিয়জিত ট্রাক ড্রাইভাররা হোটেল বন্ধ থাকায় খাবার কষ্টে আছে। বড় বেশি অসমন্বয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১০

রানা আমান বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ মা. হাসান । আপনার পর্যবেক্ষণও অসাধারন । কাল এ বিষয়টিও আমার লেখায় আনতে চেয়েছিলাম কিন্তু ধৈর্য্যে কুলোয়নি , অন্য একটা কাজেও একটু ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়েছিলো । তবে আপনি ভালো লিখেছেন ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



গার্মেন্টসগুলো ঋণ ও 'ওভার লোন'এ আছে; তাদের কলকারখানা নষ্ট হয়নি, বাজার স্হগিত আছে মাত্র, ওদেরকে 'রেসকিউ প্যাকেজ' দেয়া অন্যায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

রানা আমান বলেছেন: সহমত এবং মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ গার্মেন্টস মালিকদের নিজের পকেট থেকেই দেয়া উচিত । সরকারের রেসকিউ প্যাকেজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক , ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সহ ক্ষেত্রবিশেষে বেছে বেছে দেয়ার দরকার । অবশ্য এখানেও (প্রনোদনার অর্থ বিতরনে) লুটপাট ভালো ভাবেই হবে বলে আশংকা করছি ।
শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে হাতে থাকবে পেনসিল ।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
করোনার প্রভাব আরও পর্যবেক্ষন করতে হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩১

রানা আমান বলেছেন: করছি মোঃ মাইদুল সরকার ভাই । এই করোনার প্রভাবকে রক্তবীজের বংশ বলে মনে হচ্ছে । একটা থেকে একশ টা সমস্যা বেরিয়ে আসছে । মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ।

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যত দিন যাবে নতুন নতুন সমস্যা আর মানুষের নানামুখী কর্মকান্ড চোখে পড়ছে কোন ভাল কোনটা খারাপ। যাই হোক করোনা বিদায় নেক এটাই চাই।

ভাল থাকুন।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১

রানা আমান বলেছেন: করোনার বিদায় কায়মনোবাক্যে আমিও চাই , কিন্তু সে গেলে তো !!

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একদিনতো যাবে সেই আশা করতে পারি। তা মনোযোগী পাঠককে আমার ব্লগ বাড়িতে দেখিনা কেন ?

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রানা আমান বলেছেন: আমি ব্লগে একটু অনিয়মিত মোঃ মাইদুল সরকার ভাই , তবে আবার মনোযোগী হয়ে যাব ।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যদিও আপনার এ আলোচনাটা সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আল্লাহ'র অশেষ রহমতে গত বছরে আমরা খাদ্য সংকট থেকে কোন রকমে বেঁচে গিয়েছিলাম। আপনি যতটা আশঙ্কা করেছিলেন, খাদ্য সংকট সেভাবে হয়নি। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভয়ানক খারাপ। এবারে মনে হয় আর নিস্তার পাব না। করোনার সাথে যোগ হয়েছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার ও বিশৃঙ্খলা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.