নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডোন্ট টেক মোমেন্টস ফর গ্রান্টেড!

আমিনা মুন্নী

আমিনা মুন্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'সৌন্দর্য্য\'ই কি তবে নারীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ?

২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:২৯

'পারসোনা' বিউটি সেলুন, নারীদের নির্ভরতা আর আস্থার এক অদ্বিতীয় নাম। আর এর কর্ণধার কানিজ আলমাস খান, যিনি সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধার পাত্র, তার প্রতিষ্ঠান যখন 'সৌন্দর্য্য' কে নারীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ বলে ফলাও করে প্রচার করেন, তখন আসলে কোন আশায় থাকে না এই সমাজের কাছে। এখনো নারীকে বিচার করার মূল মাপকাঠি যে কেবলই তার বাহ্যিক সৌন্দর্য্য, সেটা সত্যিটাই পুনরায় প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়।

যে নারী নানা প্রতিকূলতা পার করে সন্তান লালন করে, যে নারী তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পৃথিবী জয় করে, যে নারী তার সাহসিকতার জোরে দূ্র্গম পাহাড় জয় করে, শত্রুর মোকাবেলা করে, অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যে নারী কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সময় পার করে এসেও দিনশেষে সুনিপুন হাতে ঘরসংসার সামলায়, যে নারী নিজের উদ্যোগে ব্যবসা দাঁড় করায়, তার প্রধান সম্পদ তার মেধা না, তার নিষ্ঠা, সাহসিকতা বা একাগ্রতাও নয়, তার মূল সম্পদ কি না তার 'সৌন্দর্য্য'?? এও সম্ভব??!!!

এই কথার মানে এটাই দাঁড়ায় যে তার সৌন্দর্য্য নেই, সে সম্পদহীন। মিডিয়া কাঁপিয়ে বেঁড়ানো সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষগুলো যা বছরের ৩৬৫ দিন নারী স্বাধীনতা বা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলে, তারায় যখন এমন হীন কথার মাধ্যমে নিজেদের নিচু মনমানসিকতার পরিচয় দেয়, তখন আমজনতা মানসিকতা বদলানোর কথা আমরা কি করে আশা করতে পারি?
অসুন্দর গড়ন বা কথাকথিত কালো চেহারা বা বেটে বা মোটা গড়নের যে সহস্র মেয়েরা প্রতি মুহুর্ত সমাজের একচোখা বিশ্বাস আর ধারণার কাছে নিপীড়িত ও অবহেলিত হচ্ছে, তাদের মুখে 'পারসোনা' আরোও একবার সপাটে সজোরে চড় লাগালো। বুঝিয়ে দিল সমাজের তথাকথিত মাপকাঠির বিবেচনায় সৌন্দর্য্যহীন মেয়েগুলো প্রকৃতই সম্পদহীন, সোজা কথায় 'বাতিল'

সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো এই যে, নারীর সৌন্দর্য্য কে পুঁজি করে ব্যবসা করে খাওয়া মানুষগুলোয় নারীর মূল্যায়ন নিয়ে মিডিয়াতে সবচেয়ে জ্বালাময়ী কথাগুলো বলে। এরা নারীর ক্ষমতায়নেরও কেবল একটাই পন্থা জানে, তা হলো 'সৌন্দর্য্য'। দিনমান খেটে খাওয়া পরিশ্রমী নারী শ্রমিকদের হাত দিয়ে আসা নারীর ক্ষমতায়ন তারা নির্ভাবনায় এড়িয়ে যান, অথচ দেহ আর বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের বিচারে তারা লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার অথবা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা দিয়ে তার নারী ক্ষমতায়ন হচ্ছে বলে আমাজনতাকে বিশ্বাস করাতে চান।

একজন নারী- যে ঘর সামলাতে পারে, সে স্বামী মাসিক বেতনের টাকায় গুছিয়ে সংসারও চালাতে পারে, সেই একই নারী ইটের ভাটায় কাজ করে, রাস্তায় পিচ ঢালে, খোয়া ভাঙ্গে, আকাশে প্লেন উড়ায়, জাহাজ চালায়, সেনাবহিনীতে পুরুষ সহকর্মীদের সাথে পাল্লা দিয়ে কমিশনড হয়, গার্মেন্টস এর সেলাই মেশিন চালায়, ডাক্তার হয়ে রোগীর সেবা করে, এভারেস্ট জয় করে, সাংবাদিক হয়ে সারবিশ্বে যুদ্ধক্ষেত্রের নির্মমতার খবর পৌঁছে দেয়, সেই নারীই আবার কবিতা লেখে, সন্তান কে লালন পালন করে, আবার প্রিয়জনকেও ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়। যে নারীর এতরূপ, সেই নারীর সব সম্পদকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যখন বলা হয় সৌন্দর্য্যই তার প্রধান সম্পদ, তখন সমাজের হতদরিদ্র কালো রূপটা সত্যিই আর ঢেকে রাখা যায় না। আলোর ঝলকানিতে বাস করা, জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় ঠাঁই করে নেয়া এবং অবশ্যই নারীর ক্ষমতায়নের আইডল হিসাবে যারা সোসাইটিতে নারীসমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা যখন আদিম ধারনার খোলস এবং বিশ্বাস ছেড়ে বের হয়ে আসতে পারেন না, তখন হতাশ হওয়া ছাড়া সত্যি আর কোন পথ খোলা থাকে না।

মিথিলার মতো মেয়ে, যে প্রচলিত অর্থে কেবল বাহ্যিক ভাবেই সুন্দর নন, পাশাপাশি তার মেধা এবং কর্ম পরিধিও যথেষ্ট প্রশংসনীয়, যে কিনা একটি দেশের আন্তর্জাতিক সুনাম সম্পন্ন প্রধান একটি এনজিও এর হয়ে শিশুদের নিয়ে কাজ করে, নারীদের নিয়ে কাজ করে, সে কি করে এমন নিচু ধারনার একটি প্রচারনার অংশ হতে পারে, সেটাও কিন্তু সমানভাবে বিস্ময়কর!

শিক্ষা, আধুনিকতা কোনকিছুই নারীদের বিষয়ে আমাদের প্রাগঐতিহাসিক ধারনামুক্ত করতে আসলে পারেনি। নারী নারী নারী করে আস্ফালন করে মিডিয়া দাঁপিয়ে বেড়ানো মানুষগুলো সাধারণ পরিশ্রমী নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করার জন্য আসলে কিছুই করেন না, যা কিছু করেন তার সবটাই নিজেদের স্বার্থে। নিজেদের প্রচার আর প্রসার বাড়ানোর জন্যই করেন। নারীর ক্ষমতায়নেও তারা ততটুকুই আগ্রহী যতটুকু তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য প্রয়োজন। এই সত্যিটাই আরো একবার প্রমাণিত হলো।

আমার জীবনের প্রথম বিমান যাত্রায় মাইক্রোফোনে একজন নারীর কন্ঠ ভেসে এসেছিল 'দিস ইজ ক্যাপ্টেন তাসনিম', বাংলাদেশের মাটি থেকে বোয়িং বিমানে করে যে আমাদের ৩০০ জনকে নিয়ে ব্যাংকক উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। ভীষন গর্ব হয়েছিল সেদিন। সৌন্দর্য্যই যদি নারীর প্রধান সম্পদ হয়, তাহলে ক্যাপ্টেন তাসনিম বা পৃথুলা রশিদ? তাদের প্রধান সম্পদ কি??
লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক, এমনকি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাজ করা গৃহকর্মী অথবা মোড়ের দোকানের মহিলা চায়ের দোকানদার, অথবা পরিশ্রান্ত দুপুরে মলিন আঁচলে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে থাকা মা, তার প্রধান সম্পদ কি?

প্রিয় পারসোনা, প্রিয় কানিজ আলমাস, প্রিয় মিথালা.....আপনাদের কাছে প্রশ্ন থাকলো??
এদেশের কোটি কোটি খেটে খাওয়া নানান পেশা, নানান বর্ণ ও নানান বাহ্যিক গঠনের নারীরা, যারা আপনাদের মাপকাঠিতে সুন্দর নন এবং সৌন্দর্য্যের মত মহা মূল্যবান সম্পদ যাদের নেই, কিন্তু যারা দেশের অর্থনীতির চাকাকে দ্বিগুন গতিতে ঘুরিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত, যাদের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তাদের প্রধান সম্পদ কি হতে পারে, বলবেন প্লিজ!



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

সনেট কবি বলেছেন: সৌন্দর্য্য'ই নারীর সবটা নয়। গুণটাও খুব দরকার।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২০

আমিনা মুন্নী বলেছেন: অবশ্যই!

২| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

কাইকর বলেছেন: সৌন্দর্য কখনই নারীর মূল্যবান সম্পদ হতে পারেনা

৩| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: 'নারীবাদি' একটা চেতনা। আর বাংলাদেশে 'চেতনা' মানে ব্যবসা...

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২০

আমিনা মুন্নী বলেছেন: এরাই মেয়েদের বেশি অসম্মান করে!

৪| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নারীরা নিজেরাই রুপচর্চাকে জ্ঞানচর্চার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে "পারসোনার" মতো দেশে শত শত পার্লর বাঁচিয়ে রেখেছেন।

৫| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: কানিজ আলমাস খান ব্যবসায়িক মানুষ। উনার মস্তিষ্কে ব্যবসার সম্প্রসারণের চিন্তা থাকায় স্বাভাবিক। যেহেতু তিনি আবার এই সো কলড 'সৌন্দর্য্যে'রই ব্যবসা করেন। তাই উনার এই কর্পোরেইট চিন্তাকে দোষ দেওয়া যাবে না। যেমনটা ইউনিলিভারের 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী'র ক্ষেত্রেও যাবে না। কারণ নারীরাই যে উনাদের আবার ক্রেতা।

কিন্তু উনার যদি নারীবাদী চিন্তা কিংবা নারীদের নিয়ে আলাদা ডিসকোর্স থাকে এবং তা নিয়ে গলাবাজী করেন তা হবে ভণ্ডামীর সামিল। যদিও সমাজে এখন এই সকল ভণ্ডলোকের সংখ্যাই গুবরে পোকার মতো বেড়ে গেছে।

৬| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা, সুন্দর বিশ্লেষণ। তার চেয়েও যেটা বেশি ভালো লাগছে তা হল আপনি ওদের ভণ্ডামি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে আমি মনে করি, নারীবাদ পুরোটাই ভণ্ডামি। নারীদেরকে পুরুষদের সস্তা ভোগযন্ত্র বানানোর জন্যই তাদের যতো এজেন্দা। আর মিডিয়া জগত তো সৌন্দর্য বেচে খায়, ওদের আর কথা কি? ধন্যবাদ...

৭| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ, নারীর সৌন্দর্যই সব সম্পদ নয় কর্মগুণও দরকার।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২১

আমিনা মুন্নী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রায় এই কথাগুলিই বলতে চাচ্ছিলাম এই এড দেখে, আপনি গুছিয়ে সুন্দরভাবে বলে দিলেন....

৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমরা সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার। নিজেদের স্বার্থের জন্য আমরা সব কিছুই করতে পারি যেমনটা পারসোনার কানিজ আলমাস করেছেন মিথিলার মাধ্যমে সুধুমাত্র নিজের ব্যবসার প্রসারের জন্য।

১০| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'সৌন্দর্য্য'ই কি তবে নারীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ? না, তবে অন্যতম মুল্যবান সম্পদ!
Don't take otherwise, এইযে আপনি আপনার B&W প্রোপিকে রাঙ্গা ঠোটকে expose করেছেন, এটাও সৌন্দর্যের একটা বহিঃপ্রকাশ! খুব realistically যদি চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন একটা সুন্দরী মেয়ের আমাদের সমাজে স্থান কোথায়, আর অসুন্দর মেয়ের স্থান কোথায়? তবে উচিত - অনুচিতের কথা যদি বলেন, তাহলে আমিও বলবো,
সৌন্দর্যই নারীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হওয়া উচিত না, একেবারেই না।

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

আমিনা মুন্নী বলেছেন: সৌন্দর্য্য প্রকাশ করা নিয়ে আমার মনে হয় না কোন সমস্যা আছে। কিন্তু সেটা কে ব্যবহার করে ব্যবসা করা এবং সেটাকেই নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ মনে করাটা একটা গুরুতর অপরাধ!

১১| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমিনা আপু, আমি আপনার পুরো লেখার সাথে সহমত পোষন করছি। একদম আমার মনের কথাগুলোই তুলে এনেছেন।

মাঝেমাঝে মনে হয় মিডিয়াকে দোষ দিয়ে লাভ কি? সমাজ আগে তৈরি হয়েছে পরে প্রযুক্তি মিডিয়াকে প্রসারিত করেছে। আমাদের নানী দাদীদের সময়েও তো একটি মেয়ে কালো, বেটে, মোটা, চুল ছোট হলে তাকে হাজারটা কথা শুনতে হতো। বেশি যৌতুকে বেশি বয়সের পুরুষের দ্বিতীয় বউ হবার সৌভাগ্যও জুটতনা! তখন কোন মিডিয়া মানুষকে প্রভাবিত করত? বরং মিডিয়াই সমাজের আদি নিয়মনীতিকে নিয়ে ব্যাবসা করছে।
আদি যুগ থেকে সৌন্দর্য দিয়ে নারীকে বিচার করার অবিচারটি সমাজে কি ভীষন স্বাভাবিক! এতটাই যে আমরা মেয়েরাও মেনে নিয়েছি! মানিয়ে নিয়েছি! আমাদের মানিয়ে নেওয়াতে সমাজের চোখ খুলছেনা, তারা বুঝতে পারছেনা যা আল্লাহর হাতে তা দিয়ে নারীর মতো বিশাল অস্তিত্বকে যাচাই করা কতো বড় অন্যায়!
একসময়ে নারীদের পড়াশোনার, বাইরে কাজ করার, এমনকি কিছু কিছু দেশে ভোট দেবার অধিকারও ছিলনা। সে সবকিছু নারীরা লড়াই করে আদায় করেছে। আমি বিশ্বাস করি যদি সমাজের আনরিয়ালিস্টিক নিখুঁত সৌন্দর্যের ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই করে, তবে অবশ্যই আবারো জিতবে নারীরা! কিন্তু জয় বহুদূর, লড়াই যে কবে শুরু হবে সেটাই ভেবে পাইনা!

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২২

আমিনা মুন্নী বলেছেন: একদম ঠিক কথা!

১২| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: পারসোনা একটি ডাকাত প্রতিষ্ঠান।
এখানে যারা কাজ করে তাদের অনেক কষ্ট। তারা টানা ডিউটি করতে হয়। মোবাইল ব্যবহার করা যায় না। সরকারি ছুটির দিনেও ডিউটি করতে হয়। বেতন খুবই কম। অথচ এই প্রতিষ্ঠান মাসে কম করে হলেও কোটি টাকার উপরে ইনকাম করে।

১৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রূপে গুণে অনন্যা রমনী।

১৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: একজন মেয়ে হিসেবে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। পারসোনা এই কাজটি করে অনেক মেয়েদের ছোট করেছে।
তবে দুঃখজনক হলেও কথা সত্যি আপু। কারন আমাদের সমাজে মেয়েদের বাহ্যিক সৌন্দর্য কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। একটা কালো কিংবা দেখতে একটু অসুন্দর মেয়ে তার আচার ব্যাবহারে যতই সুন্দর হোকনা কেন তার চেয়ে দেখতে সুন্দর কিন্তু গুনে নয় এমন মেয়েকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর আমরা যে বড় বড় কথা বলি এই ধরনের কথা শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে। এইযে আমি আপনি খুব বড় বড় কথা বলছি, আমরাই যখন নিজের ভাই এর জন্য মেয়ে দেখতে যাব তখন আগেই দেখব মেয়ের গায়ের রঙ। এমন টা হয়ে আসছে এবং হবে কিছু করার নাই।
আর @কাউসার চৌধুরী ভাই কে বলব, একজন পুরুষ হিসেবে আপনার মন্তব্য ঠিক আছে। কিন্তু ভাইয়া, একটা পুরুষ সবসময় তার পাশে একটা সুন্দরী মেয়েকে দেখতে চায়, গুণবতী নয়।
বিয়ের পর যখন একটা মেয়ে সংসার আর সন্তান সামলাতে সামলাতে নিজের খেয়াল রাখতে পারেনা তখন সেই স্বামী ই তার বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কিছু কটু কথা বলে বসবে, তাই প্রেমিক বলেন আর স্বামী বলেন এদের নজরে থাকার জন্য, ধরে রাখার জন্য মেয়েদের পার্লারে দৌড়াতে হয়। আমরা মেয়েরা যতখানি না নিজের ইচ্ছায় পার্লারে যাই তার চেয়ে বেশী আমাদের পার্লারে যেতে বাধ্য করা হয় মানসিক ভাবে আঘাত করে। তবে হা, কিছু ব্যতিক্রম ও আছে তবে তার সংখ্যা খুব নগণ্য।

১৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

আমিনা মুন্নী বলেছেন: বললে কতটা বিশ্বাস করবেন জানি না, জন্মসূত্রে আমার ২ বড় ভাই ই অনেক ফর্সা। কিন্তু আমার ২ ভাবীই কালো, এমনকি শ্যামলাও নয়। কিন্তু তারা মানুষ হিসাবে,ভাবী হিসাবে ছেলের বউ হিসাবে শ্রেষ্ঠ। তাদের গুণগান গেয়ে শেষ করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ মানসিকতার ব্যাপার। আমার পরিবারে গায়ের রঙ নিয়ে কোন আদিখ্যেতা নেই কারো। কিন্তু অধিকাংশ পরিবারেই এই সমস্যা আছে। আর কানিজ আলমাস খানের মতো ব্যক্তিত্বরাই এই মনোভাব পাল্টাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু উনারাই যখন উল্টো কাজ করতে থাকেন এবং এসব বিষয়ে আরো উৎসাহ দেন, তখন সব আশা নিরাশা হয়ে যায়।

১৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

শামচুল হক বলেছেন: রুপের কারণে আকর্ষণ বাড়ে বটে কিন্তু গুণ যদি না থাকে তাহলে সে আকর্ষণ এক সময় স্তিমিত হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় সুন্দরীর ঘর টেকে না আবার কালো মেয়ে ঠিকই সুখের সংসার করছে।

১৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: "বললে কতটা বিশ্বাস করবেন জানি না, জন্মসূত্রে আমার ২ বড় ভাই ই অনেক ফর্সা। কিন্তু আমার ২ ভাবীই কালো, এমনকি শ্যামলাও নয়। কিন্তু তারা মানুষ হিসাবে,ভাবী হিসাবে ছেলের বউ হিসাবে শ্রেষ্ঠ। তাদের গুণগান গেয়ে শেষ করা যাবে না"
আপনার পরিবারের কথা জেনে অনেক ভালো লাগল আপু। আপনার পরিবারের মত যদি আমাদের সমাজের সবগুলো পরিবার এমন হতো তাহলে মেয়েদের গায়ের রঙ ও রুপ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা পাল্টে যেত।

"কানিজ আলমাস খানের মতো ব্যক্তিত্বরাই এই মনোভাব পাল্টাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারেন" এই কথা টা একদম সত্যি আপু। কিন্তু তাদের তো আগে তাদের বিজনেস বাড়াতে হবে, পার্লার সচল রাখতে হবে তাই এসব নোংরা কাজ কর্ম করে, সাথে আরও সমাজ কে উস্কিয়ে দেয়।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

আমিনা মুন্নী বলেছেন: আসলে কানিজ আলমাসদের আশায় বসে থেকে আর লাভ নেই। নিজেদেরই এবার বদলাতে হবে! :)

১৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কথাতেই তো আছে আগে দর্শনদারী, পরে গুণবিচারী ! গুণবিচারের জন্য প্রজ্ঞা লাগে, যাহা অধিকাংশ মানুষেরই অপরিণত বয়সে থাকে না ! আগেকার দিনে তাই অভিভাবকরাই পাত্রী দেখিতে গুন্ বিচার করিতেন ! এখন যেহেতু জীবন সঙ্গিনী/সঙ্গী আমরাই খুঁজি তাই আগে দর্শনের বিচারই হইয়া থাকে। যৌবনে গুনের চেয়ে দর্শন বিচারই বেশি হ হইয়া থাকে। চারিদিকে সৌন্দর্যের এত বিজ্ঞাপনে মানুষের মননেও ইহা প্রবেশ করিয়াছে ! তাহা ছাড়া, গুন্ বিচারের শিক্ষারও অভাব আছে ! তাই ইহাই অবশ্যম্ভাবী ! এক্ষেত্রে মানুষ ঠেকেই শেখে !

১৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

আমিনা মুন্নী বলেছেন: কথা সত্য
:)

২০| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

লিংকন১১৫ বলেছেন: মেয়েরাই কি তাহলে মেয়েদের সব থেকে বেশি অপমান করে থাকে !
আর সৌন্দর্য কি নারীর এসেট কিভাবে হয় ! :-*

২১| ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যক্তির সৌন্দর্য নারী পুরুষ নির্বিশেষে তার ব্যক্তিত্বে, অবয়বে নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.