নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃষ্ণ বেলায় লীলা খেলা - পাপ লেখা হয় শুধু আমাদের বেলা..?

৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

গত শনিবার যারা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের লেখা পড়েছেন তারা দেখেছেন এই যাবত সবচেয়ে মারাত্মক অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেছে আমাদের নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)কে নিয়ে যা ভাষায় প্রকাশের সাহস নাই আমার। তবুও তার উস্কানীকে ধরে নেওয়া হবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর আমি যদি এর প্রতিবাদ করি তাহরে কথিত আজকের বুদ্ধিজীবী সমাজ আমার উপর মৌলবাদের মোহর লাগাবে তাতে সন্ধেহ নেই। কিন্তু গত শনিবার নবীজিকে গালাগাল দেওয়া ব্লগার আসিফ যা লিখেছে তা ধৈর্যের সব বাধ ভেঙ্গে যায়। নবীজির স্ত্রীদেরকে নিয়ে রচনা করেছে বানোয়াট মিথ্যা কাহিনী। কুরআনকে বলেছে নবীজির নাকি হাতের লেখা একটি পদ্য কাহিনী যাতে দুর্বল দুর্বল পদ্য সুরা নাস ইত্যাদি আছে।(নাউজুবিল্লাহ) নবীজিকে এমন ভাষায় গালি দিয়েছে যে সেটা লেখার সাহস পায়নি।
তবে হ্যা তারা আজ যা লিখছে তাদের লেখার জন্য যে তারা মোটা অংকের ভাতা পায় তাতে সন্ধেহ নেয়। কারন সে সুদুর জার্মানিতে আছে যতটুকু যানি, তাহলে বলুনতো সে ওখানে কিসের জোব করে.? বিনা কাজে সুদুর জার্মানিতে বিলাশ বহুল জীবন যাবন কিভাবে সম্ভব তা এতক্ষন সবাই বুঝতেছেন। আরো লক্ষনীয় যে এরা নাস্তিকতার দোহায় দিয়ে লেখে কিন্তু আমার বুঝে এটা আসে না যে নাস্তিক মানে অবিশ্বাসী তাহলে সে শুধু ইসলামের সমালোচনা করে কেন, হিন্দু ধর্ম আছে, আছে খিষ্টান সহ অন্যান্য ধর্ম তাহলে সমালোচনা শুধুমাত্র ইসলামকে নিয়ে কেন.? তাই সবাই মহিউদ্দিনকে নাস্তিক বললেও আমি তাকে নাস্তিক বলতে নারাজ সে নাস্তিক না সে একজন ইসলাম বিদ্বেষী এবং ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী রচনা করার জন্য যে মোটা অংকের ভাতা পাচ্ছে তাতে এখন সন্ধেহ নেয়।
মহিউদ্দিন নামক অপদার্থটা নবীজির বিবাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং লক্ষনীয় যে তাতে বাহবাহ দিয়েছেন সেন,গুপ্ত,রায়রা। আমি তাদের বলতে চায় নবীজির বিবাহতে যাদের আপত্তি তাদের যানা দরকার যে নবীজি বৈধ পন্থায় বিবাহ করেছিলেন কিন্তু শ্রী কৃষ্ণ যে ১৬হাজার নারীর সত্বিত্ব নষ্ট করলো তা একবার সেন, গুপ্ত, রায় ভাইদের যানা দরকার ছিল নবীজির বিবাহ নিয়ে আপত্তিকর লেখায় বাহবাহ দেওয়ার আগে।
আমি তাদের কাছে প্রকাশ্যে প্রশ্ন রাখছি “কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা – তাহলে পাপ কেন শুদু আমাদের বেলা...?
আর মহিউদ্দিনের মত ব্লগাররা যারা নিজেদের লেখায় নিজের মা-বোনের সাথে যৌন সম্পর্ককে স্বাভাবিক ভাবে নেয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যারা সমাজে নিজের মা-বোনের সাথে শারিরিক সম্পর্ককে বৈধতা দিতে চাই তারা কিভাবে অন্যের বৈধ বিবাহতে আপত্তি করে.?
আমি সেন, গুপ্ত, রায় দের পরে বলছি আগে নবীজির ব্যাপারে বলি।
আমাদের দয়াল নবীজি বিবাহ করেছেন উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে এবং সকল স্ত্রীকে সমান অধীকার দিয়েছেন কোন স্ত্রীর অধীকার হরন করেছেন তা কোন কালেই কোন অপদার্থরা প্রমান করতে পারবে না। নবীজির বিবাহ নিয়ে আপত্তি তোলা অপদার্থদের যানা দরকার যে হযরত খাদিজা (রাদ্বিয়াল্লাহ আনহা) নবীজির উত্তম চরিত্র মাধুরী দেখেই তার চাচা আবূ তালিব-এর নিকট নবীজিকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব পাঠালে আবূ তালিবের নির্দেশেই নবীজি হযরত খাদিজা রা. কে বিবাহ করেন। নিজের ইচ্ছায় নয়।
খাদিজা(রাদ্বিয়াল্লাহ আনহা)কে নিয়েই তিনি সিংহভাগ সময় কাটান অন্য কোন নারীকে বিবাহ করা ছাড়া। নবীজির ৫৩ বা ৫৫ বৎসর বয়সে হযরত খাদিজা (রাদ্বিয়াল্লাহ আনহা) এর ইন্তেকালের পর বাকিদের বিবাহ করেন এবং মাত্র ১০ বৎসরের জীবন কাটান তাদের সাথে। খাদিজাকে স্ত্রী রাখা কালেও আবার ৪০ দিন সময় কাটান জাবালে নূরের হেরা গুহায় আল্লাহর ধ্যানে। এ থেকে পরিষ্কার হয় যে তিনি আদৌ যৌবনের চাহিদা মেটাতে বহু বিবাহ করেন নি। তাছাড়া তৎকালীন সময়ে কাফেররা নবীজির বিরুদ্ধে হীন কোন ষড়যন্ত্র এমন নেই যা তারা করেনি। তারা তাকে পাগল, জাদুকর, নানা রকম অপবাদ দিয়েছে। কিন্তু নবীজির বিরুদ্ধে কেউ যৌন উন্মাদ বা নারী লোভী বলেনি; বরং তাকে আল্-আমীন বলেছে।

আসিফ এর মত যারা আজ নবীজির সমালোচনা করছে তারাও এটা যানে শুধু না দেখার ভান করে যেমন মক্কার কুরাইশরা যখন তাঁকে বলেছিল যে, হে মুহাম্মদ, আপনি ইসলামের দাওয়াতী কাজ থেকে ফিরে আসেন, বিনিময়ে আপনি যদি মক্কার সবচেয়ে সুন্দরী রমণীকে বিবাহ করতে চান, তাহলে তাই দিব। আর যদি আপনি বড় নেতা হতে চান, তাহলে আমরা আপনাকে আমাদের নেতা বলে মেনে নিব।
নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেন, যদি তোমরা আমার ডান হাতে সূর্য আর বাম হাতে চন্দ্রকেও এনে দাও তবুও আমি আল্লাহর একত্ববাদের দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেওয়া থেকে ফিরে আসব না।
তাহলে বলুন যদি নবীজির কারো প্রতি লোভ করতেন তাহরে এতগুলো অফার তিনি গ্রহন করেন নি কেন...? পারবেন আসিফ এর মত অপদার্থরা এর উত্তর দিতে.?

খ্রিস্টান বিজ্ঞানী মাইকেল এইচ হার্ট সারা বিশ্বের এ যাবৎকালের যত মহা মানব আছে তাদের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেটা বর্তমান জাতিসংঘেও সংরক্ষণ করা আছে। সেই নামের তালিকায় নবীজির পবিত্র নামকে তিনি এক নম্বরে রেখেছন। সেখানে গৌতম বুদ্ধের নাম বা শ্রীকৃষ্ণের নাম এক নম্বরে রাখেন নাই অথবা তিনি নিজে খ্রিষ্টান হয়েও যিশুখৃষ্টকে প্রধান্য দেন নাই। কারন তিনি গভেষনায় সত্য উপলব্ধি করেছেন বলে তার কলম থেকে সত্যই প্রকাশ পেয়েছে।আর আজকালের টেংরা পুটিরা চলেছে নবীজির ভুল ধরতে।

নবীজির প্রত্যেকটি বিবাহই হয়েছিল ইসলামী রাষ্ট্রের স্বার্থে অথবা জাতীয় স্বার্থে। তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে একটি বিবাহও করেননি। তারপরও যারা নবীজীর শানে চরিত্রহীনতার কটূক্তি করবে তাদের জন্য আল্লাহর গজব অবশ্যম্ভাবী হউক সেই কামনা করি । সুতরাং নবীজীর চরিত্রের উপর অশালীন কথা বলার অধিকার কারো নেই। কোন বিবেকবান মানুষ নবীর চরিত্র নিয়ে এমন কুমন্তব্য করতে পারে না। নবীজি ছিলেন সকলের জন্য রাহমাতুল্লিল আলামিন।
কিন্তু যারা আজ নবীজির নামে কুৎসা রটাচ্ছে এবং তাতে যারা বাহবাহ দিচ্ছেন দিচ্ছেন তারা আদৌ মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে কি না সন্ধেহ হয়। তাই অন্যের ঘরে উকি মারা আগে নিজের ঘরে একবার উকি মেরে দেখা দরকার যে, নিজের ভগবানই যে বিয়ে না করেই ১৬ হাজার নারীর সত্বিত্ব নষ্ট করলো অথচ তারা আজ চলেছে অন্যের ধর্মের সমালোচনা করতে, আর যেসব অপদার্থ ব্লগাররা লিখছেন তারা যেন আগে নিজের ঘরে একবার ঘরে আসেন, কারন যে মত প্রকাশের দোহায় দিয়ে যারা নিজ মা-বোন এর উপর শারিরিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক দেখতে পারে তারা কিভাবে বৈধ উপায়ে বিবাহতে আঙ্গুল তুলে..?

নওশাদ আনসারী – http://www.facebook.com/nawshad.ansari1

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.