নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য
লক্ষনীয় এবার মানুষের রক্তচোষা মোবাইল কোম্পানীদের আরো বেশি করে পাবলিকের রক্ত চুষতে তাদের সীম প্রতি ৩০০ টাকা কর এখন থেকে ১০০ টাকা কমিয়ে ২০০ টাকা করেছেন আমাদের আব্দুল মাল মুহিত সাহেব বিপরীতে জনগন যেখানে সরকারকে ১৫% ভ্যাট দিত সেটা ৫% বাড়িয়ে এবার করা হল ২০%। সাথে আলাদা থেকে কথা বলার উপর নতুন করে করারোপ তো আছেই। বাহ বাহ কি নমুনা ডিজিটাল বাংলাদেশের।
*
ডিজিটাল বাংলাদেশ কাকে বলে, কিভাবে গড়া যায় তার একটা নমুনা দেখলাম এবারের বাজেটে।বড় লোককে বড় করো আর গরীবকে পারলে আরো চুষে খাও। ঠিক এমনি বাজেট এবার পাশ হয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। দুঃখের বিষয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং উনার সুযোগ্য শাহজাদা সজীব ওয়াজেদ জয় যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর স্লোগান সারা দেশে বলে বেড়াচ্ছেন তা কতটুকু মানানসই সেটা যদি ব্যাখ্যা দিতে পারতেন তাহলে দেশের মানুষের অনেক উপকার হত।
*
আমারা অনেকে ডিজিটাল বলতে মোবাইল,কম্পিউটার,ল্যাপটপ, ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বুঝে থাকি। আর যেহেতু আমাদের সরকার বারবার এসব বিষয়ে আরো সহজ্যলভ্য করার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘরে ঘরে উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করে আসছে সেই শুরু থেকে। আর অবশ্যই ইন্টারনেট, মোবাইল কথোপকথন ইত্যাদি যাতে আরো সহজ হয়, সহজে জনসাধারনের নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য ইন্টারনেট এর দাম, মোবাইল কলরেট ইত্যাদি আরো কমানোর জন্য দেশের মানুষ অনেক দিন থেকে জোর দাবী জানিয়ে আসছে এবং জনগনের কথা বিবেচনায় আমাদের সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং উনার সুযোগ্য শাহজাদা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব এর দাম কমানো হবে বা কমিয়ে সকলের নাগালের মধ্যে আনা হবে বলে আসছেন এই কথা আমি না দেশের মানুষ শুনেছে। তাহরে দেশের জনসাধারনের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সজীব ওয়াজেদ জয় এর কাছে প্রশ্ন রাখছি দয়া করে ডিজিটাল বাংলাদেশের সংগা কি.?.... জনগনের নাগালের মধ্যে রাখা, নাকি জনগনের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া???
*
এর আগে আমরা জনসাধারন যেখানে একটি ইন্টারনেট প্যাকেজ নিতে গেলে ৩০০ টাকার জন্য ৪৫ টাকা ভ্যাট দিতাম অর্থাত ৩৪৫ টাকা এখন দিতে হবে ৩৬০ টাকা, এটা কোন ধরনের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আর এতদিন যারা জনসাধারনে রক্তচুষে খেয়েছে সেই মোবাইল কোম্পানীগুলোর উপর দরকার ছিল জনগনের দাবী বাস্তবায়ন’র স্বার্থে কলরেট, ইন্টারনেট প্যাকেজ মূল্যা হ্রাস করার জন্য চাপ দেওয়া অথচ আমরা কি দেখলাম সেই রক্তচোষা কোম্পানীর স্বার্থে তাদেরই কর কমিয়ে দেওয়া হলো যেখানে সীম প্রতি তারা দিত ৩০০ টাকা এখন তারা দিবে ২০০ টাকা। মানে চুষ কত চুষতে পারবি জনগনের রক্ত। ঠিক এরুপ সুযোগ দিয়েছে এবারের বাজেট।
*
আর এরুপকে যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে তাহলে আপনাদের মত মিথ্যাবাদী আর কে হতে পারে বলেন? অন্তত একবার ক্লিয়ার করে যান যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে কাকে বলে এর সংজ্ঞা বা কি..? সত্যি যদি এরুপকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে তাহলে এরুপ ডিজিটাল বাংলাদেশকে দুররররররর থেকে সালাম জানায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
ভোরের সূর্য বলেছেন: আমার খুব আশ্চর্য লেগেছে যে এত বড় একটা ডিসিশন নেয়া হল কিন্তু মিডিয়া শুধু খবরটা দিয়েই খালাস এছাড়া আমরা সাধারণ মানুষও এটা নিয়ে কোন মিনিমাম প্রতিবাদ পর্যন্ত করিনি!!!!!!! অথচ এটা একটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। কারন ১% বা ২% নয় একবারে ৫% সম্পুরক কর বেড়েছে এবং এটা রিক্সাওয়ালা,ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে আপামর সাধারণ মানুষ কে দিতে হবে। আর টোটাল ট্যাক্স ২০% নয় বরং ২১% কারন কিছুদিন আগেই ১% আলাদা সার চার্জ বসানো হয়ছিল। আর যেহেতু প্রায় ১০কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাই এখানে ১% কর ধার্য করলেও সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অথচ একবারে ৬% কর বাড়িয়ে দেয়ার পরেও আমাদের কোন ভাবান্তর নাই।
আর ভ্যাট কিংবা ট্যাক্স দিতেও সমস্যা নাই কিন্তু যখন দেখি এই ট্যাক্সের টাকায় কোন প্রকল্পে আওয়মীলীগ,যুবলীগ কিংবা ছাত্রলীগ অথবা বিএনপির সময়ে তারাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা এই টাকা মেরে খায়। যেখানে ইন্টারনেট, ফোন সবার কাছে সহজলোভ্য করার কাজ চলছে সেখানে উল্টা বেশী করে ট্যাক্স বসানো হল। এখন যদি ইন্টারনেটের চার্জ কমানো হয় তাতে কি লাভ হবে? উল্টা ট্যাক্স বেশী দেবার ফলে যেই লাউ সেই কদু।
আর সিম রিপ্লেসমেন্টের টাকা ৩০০ থেকে কমিয়ে ২০০করায় আমার হাসি পাচ্ছে। মনে হচ্ছে সাধারন মানুষ বোধ হয় প্রতিদিন সিম রিপ্লেসমেন্ট করে যাবে যার জন্য সরকার সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে ১০০টাকা কমিয়েছে রপ্লেসমেন্ট ফী!!!!!!!!!!!!!!!