নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষের প্রকৃত অর্থে যাহা গুণ থাকা দরকার সেরুপ গুন নিজের মধ্যে না থাকলেও চেষ্টায় আছি প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচার।

এন.এ.আনসারী

একজন মানুষ হিসাবে আমিও সত্যক ভালবাসি। তাই আমারো চেষ্টা থাকে সত্য প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যের মত সহনশীলতার সাথে শুনা এটাই মনুষ্যত্য

এন.এ.আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখার যদি সীমা নির্ধারন করা না যায়, তবে মানুষের আক্রোষেরও সীমা সম্ভব নয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩২



লেখার যদি সীমা নির্ধারন করা না যায়, তবে মানুষের আক্রোষেরও সীমা সম্ভব নয়। মুক্তবুদ্ধি আর মুক্ত হতিয়ার হয়তো উভয়ই মানুষের “মৌলিক অধিকার”
প্রথমে বলি মত বিরোধের জের ধরে কাউকে হত্যা করা মোটেই কোন ধর্মই সমর্থন করে না। তাই সুস্থ মস্তিক্যে বলছি নিলয় এর হত্যাকারীরা যে আদৌ ইসলামকে অনুসরন করছে না। অবশ্যই এর সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের ধরা হউক। কারন এদের দারা শান্তির ধর্ম ইসলাম বদনাম হচ্ছে তাতে সন্ধেহ নেই।

কিন্তু যা বলার মূল উদ্দেশ্য, আপনার আমার নিলয় বা ব্লগারদের হত্যাকারীদের বিচারের ব্যাপারে জনমর্থন আদায় হচ্ছে না কেন.? যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। কেন কোন ব্লগার মরলে বিভিন্ন কমেন্টে অধিকাংশ মানুষ বাহবাহ বলে এই কান্ডকে সমর্থন জানায়.? যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন তারা এর উত্তর দিবেন কি..? কেন সাধারন মানুষ আজ আপনাদের পাশে দাড়াচ্ছে না? কেন শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চ আজ ১৮/২০ জনে সীমাবদ্ধ হয়ে গেল..?? কেন কেন?
আপনারা স্বীকার করেন বা নাই করেন উত্তর কিন্তু ঘুরে ফিরে একটাই আসবে সেটা হলো আপনাদের লেখালেখিতে সীমাবদ্ধতা নাই। কেন আপনি ধর্মের সমালোচনা করবেন। আপনারা নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক ভাবেন তাহলে বিজ্ঞান নিয়ে লিখুন না যাতে সকলের উপকার হয়। কেন ধর্মের সমালোচনাকে বিজ্ঞানমনস্ক বলে প্রচার করবেন..।

একবার জনমর্থন আদায় করুন দেখবেন সব ব্লগার হত্যার বিচার করতে বাধ্য হবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জনমর্থন না নিয়ে যতই বিচার চাই বিচার চাই আমরা বলি না কেন, কেউ কর্ণপাত করবে না। তাই জরুরী জনমর্থন আদায় আগে। কিন্তু আমাদের মুক্তমনাদের মনে হয় জনসমর্থন আদায় জরুরী নয় তাদের জন্য বলে লেখার সীমা আদৌ তারা মানছেন না।

যদি এই কঠিন সত্যকে আমাদের মুক্তমনারা স্বীকার নাই করে তাহলে নিশ্চিত এটাও বাস্তব সত্য যে, যদি আপনারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয়গান করে ধর্ম অবমাননা মূলক লেখা প্রকাশ করেন তাহলে নিঃসন্ধেহে হাত প্রকাশের স্বাধীনতা বলেন বা চাপাতী প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে জনসমর্থন বাড়বেই। আর এটা উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে হাত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না কেন- ঠিক এরুপ ভাবনা আজ কমবেশি অনেকের হয়েছে একমাত্র আপনাদের মত প্রকাশের অপব্যবহারের ফলে।

এটুকু বলতে চাই হয়েছে, অনেক হয়েছে এবার থামুন, একবার থেমে দেখুন, আপনার মত প্রকাশ করুন তবে সীমার মধ্যে কাউকে চোট করে নয়, দেখুন তখন আপনাদের প্রতি জনসমর্থন বাড়ে কি না। আর যদি মত প্রকাশের অপব্যবহার করেই যান তাহরে ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের পক্ষে সেই হাত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে জনসমর্থন বাড়বেই বাড়ছে- আর এর জন্য একমাত্র আপনারা মুক্তমনারাই দায়ী।

পরিশেষে বলবো নিলয় সহ সব ব্লগার হত্যার জন্য যতটা নাই হত্যাকারীরা দায়ী তারচেয়ে দায়ী একমাত্র আপনারাই মুক্তমনারা। তাই লেখার যদি সীমা নির্ধারন করা না যায়, তবে মানুষের আক্রোষেরও সীমা সম্ভব নয়। মুক্তবুদ্ধি আর মুক্ত হতিয়ার হয়তো উভয়ই মানুষের “মৌলিক অধিকার”

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

আর.কে ইসলাম বলেছেন: ভালো বলেছেন

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সহমত ! ++

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

Lingkon বলেছেন: সহমত ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.