নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য অন্বেষক

আরব বেদুঈন

আমি তো শুধু প্রাচারক মাত্র

আরব বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিয়াদের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৬

শিয়াদের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা
ইতিহাস, ইসলাম লিখেছেন ফাতমী
ভূমিকাঃ ইমাম হোসাইন রাঃ উপর লেখাগুলি প্রকাশিত হবার পর, অবধারিত ভাবেই আমার কিছু পাঠক শিয়া-এবং-সুন্নি বিভাজনের কথা তুলে এনেছেন। এ ব্যাপার গুলিতে অনেকেরই পরিষ্কার ধারনা নেই। সেজন্য, আমি ইতিহাসের প্রক্ষাপটে শিয়াদের অবস্থান এবং বর্তমান কালের শিয়াদের ধর্মিয় অবস্থান ব্যাক্ষা করার চেষ্টা করেছি।
প্রাথমিক যুগের শিয়াঃ রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর মদীনার কিছু লোক "সাকিফাহ" নামক ঘরে সমাবেত হয় রাজনিতিক শূন্যতা পূরনের লক্ষ্যে। এই খবর আবু বকর সিদ্দীকী রাঃ কাছে পৌছালে তিনি, হযরত উমর রাঃ, এবং হযরত আবু উবায়দাহ রাঃ সেখানে পৌছান যেন মানুষ কোন ভুল সিদ্ধান্তে উপনিত না হয়। তখন হযরত আলী রাঃ রাসূল সাঃ এর দাফন কার্যের দায়িত্বে ছিলেন। "সাকিফাহ"-য় সমেবেত জনতা হযরত আবু বকর সিদ্দিকী রাঃ কে খলিফা হিসাবে বায়াত করে। কিন্তু কিছু লোক হযরত আলী রাঃ কে খলিফা হিসাবে দেখতে চাইতো। কারণ গুলি ক্রমান্নয়েঃ
কেউ কেউ আব্দুল মোত্তালিব কে মক্কার শাষক তথা আরবের শাষক মনে করত। কারণ মক্কা ছিল আরবের কেন্দ্রভূমি। সেই কারণে রাসূল সাঃ আব্দুল মোত্তালিবের বংশ হিসাবে নিজেই শাষকে পরিনত হন এবং এই ধারায় হযরত আলী রাঃ রাসূল সাঃ এর স্থলাভিষিক্ত হওয়া উচিত।
কেউ কেউ হযরত আলী রাঃ কে রাসূল সাঃ এর ছেলের মত মনে করতেন। কারণ, তিনি রাসূল সাঃ এর পালিত ছিলেন, রাসূল সাঃ এর মেয়ের জামাতা ছিলেন এবং রাসূল সাঃ এর সরাসরি বংশ হাসান এবং হোসেনে রাঃ এর পিতা ছিলেন। আবার কোন কোন সময় বড় ভাই এবং ছোট ভাইয়ের (যদিও হযরত আলী রাঃ রাসূল সাঃ এর চাচাতো ভাই) বয়স বেশী পার্থক্য হল, ঐ সম্পর্ককেও পিতা-ছেলের সম্পর্কের মত ধরা হয়।
কেউ কেউ হয়ত ছিলেন এ রকম, তারা জাস্ট মনে করতেন আলী রাঃ শাষক হিসাবে ভাল হবেন।
হযরত আলী রাঃ কে খলিফা দেখতে চান এমন লোকদের বর্নিত প্রথম দুই ধারার ব্যাক্তিদের চিন্তা ধারা এক প্রকার রাজতন্ত্রীক। এবং হযরত আবু বকর রাঃ এবং উমর রাঃ কে রাজতন্ত্রীয় চিন্তা ধারার মোকাবেলা করতে হয়েছিল। যাইহোক, তারা সকলেই হযরত আবু বকর রাঃ এবং পরবর্তিতে হযরত উমর রাঃ কে মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে ছিলেন। তারা কখনই আলাদা ধর্মিয় দল নন, এটা শুধু সমর্থন ও মতামতের ব্যাপার।
প্রথম যুগের শিয়াদের সম্পর্কে হযরত ইবনে তাইমিয়া রঃ বর্ননা করেন, "প্রাথমিক যুগের শিয়ারা যারা আলী রাঃ কে সমর্থন করেছিল বা ঐযুগে ছিল তারা হযরত আবু বকর রাঃ এবং উমর রাঃ এর উচ্চ মর্যাদা নিয়ে কোন মতবিরোধে ছিলেন না, তবে তাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল আলী রাঃ নাকি উসমান রাঃ বেশী মর্যাদা সম্পন্ন"(মিনহাজ আস-সুন্নাহ,১/১৩; Cited by Dr Sallabi, Ali bin abu talib, v=2)
পরবর্তীতে হযরত আলী রাঃ এর খেলাফত কালে, মুসলিমদের বিশাল অংশ আলী রাঃ এর সমর্থনে ছিল। এর মধ্যে অনেক বদরী সাহাবা, আনসার ছিলেন। এই লিস্ট বিশাল। কিন্তু তারা কখনই আলাদা আকিদাহ বিশিষ্ট দল নন। তারা শধু মাত্র হযরত আলী রাঃ এর জীবিত কালেই ছিলেন। তারা আর বর্তমান সুন্নি একই দল, কারণ বর্তমান সুন্নিরা খেলাফতে রাশিদিন বলতে বুঝায়, হযরত আবু বকর রাঃ, উমর রাঃ, উসমান রাঃ, আলী রাঃ এবং হাসান রাঃ এর শাষনকাল।
বর্তমান যুগের শিয়াঃ বর্তমান যুগের শিয়াদের শিয়া নাম করনের মধ্যেই ভুল আছে। কারণ বর্তমান যুগের শিয়াদের শিয়া ডাকলে প্রথমিক যুগের শিয়ারাও এই নামে পরে যান। মূলত বর্তমান যুগের শিয়া দাবীকৃত দলগুলির সাহিত আদি কালের শিয়ার কোন সম্পর্ক নেই। বর্তমান যুগের শিয়াদের তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
উগ্র-পন্থী শিয়াঃ শিয়াদের মধ্যে মাইনরিটি। ভয়ংকর সব আকিদাহ সম্পন্ন। তাদের অনেকেই আলী রাঃ কে নবী বা ডিভাইন কেউ বলার চেষ্টা করে।
যায়েদিয়া শিয়াঃ তারা অন্যান্য শিয়াদের থেকে অনেকটা আলাদা। তারা জায়েদ বিন আলী বিন হুসাইন আল জয়নাল আবেদীনের অনুসারী। তারা মনে করেন, অত্যাচারী বাদশার বিপক্ষে যুদ্ধ করা ইমামদের দায়িত্ব। তারা আবু বকর রাঃ এবং উমর রাঃকেও ভালবাসে। শুধু মাত্র হযরত আলী রাঃ কে অন্যান্য সাহাবীদের থেকে উপরে স্থান দেয়।
ইমামী শিয়াঃ এরা সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত। (তাদের কেউ কাউকে অনেকে রাফিদি নামে ডাকেন। বলা হয়ে থাকে রাফিদিরাই হযরত আবু বকর রাঃ এবং উমর রাঃ এর প্রতি বিদ্দেষ ছড়ায়। রাফিদিদের নাম রাফিদি (রাফাদা-বাতিল) হয়েছে, যখন ১২১ হিজরীতে হিসামের বিপক্ষে যুদ্ধে, তারা যায়েদ বিন আলীর সৈন্যবাহিনীর অংশ হয়েও তাকে ফেলে চলে যায় (Dr Sallabi, Ali bin abu talib, v=2, p 316)। সকল ইমামী শিয়ারাই রাফিদি না, অর্থ্যাত সকল ইমমীরা আবু বকর সিদ্দিকী রাঃ এবং উমর রাঃ এর প্রতি বিদ্দেষ ছড়ায় না।)
১২ ইমামি শিয়াঃ এরা শিয়াদের সর্ব-বৃহত দল। এরা ইরান, ইরাক এবং আজারবাইজানে সংখ্যা গরিষ্ট। ভারত ও পাকিস্থানে এদের সংখ্যা অনেক।
ইসমাঈলি শিয়াঃ এরাও শিয়াদের মধ্যে একটী পড়িচিত দল। এই দলের দুটি নেতৃত্ব আছে। একটি দাওদিয়া বাহরা এবং অন্যটি আগা খান।
সতর্কতাঃ অনেক সুন্নি আলেমের মতে রাফিদিরা আবদুল্লাহ ইবনে সাবাহ এর দ্বারা প্রাতারিত হওয়া দল এবং তারা ফেতনায় আরষ্ট এবং মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্টকারী। তবে শিয়াদের একটি গ্রুপ আবদুল্লাহ ইবনে সাবাহ এর অস্থিত্ব অস্বীকার করে এবং শিয়াদের বাকিরা আবদুল্লাহ ইবনে সাবাহ এর সাথে যেকোন প্রকার সম্পর্কহীন বলে দাবী করে।
ইমামী শিয়াদের আকিদাহ গত সমস্যাঃ এখানে যায়েদিইয়াহ শিয়া এর অন্তরভুক্ত নয়। এই সমস্যা ইমামী শিয়াদের। দুইটি সমস্যা রয়েছেঃ
তারা বিশ্বাস করেন, ইমামরা ভুলত্রুটির উর্ধ্বে। এটাকে ইসমাহ শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন এটা শুধু মাত্র আল্লাহ পাকের বৈশিষ্ট। অতএব, শিয়ারা শিরক কারী। কিন্তু সুন্নিদের কেউ কেউ নবীদের এই যোগ্যতা দান করেন এইভাবে যে, মহান আল্লাহ পাক বিশেষ অনুগ্রহহের দ্বারা নবীদের ভুল থেকে মুক্ত রাখেন। শিয়ারাও একইভাবে যদি এই বিশ্বাস রাখে যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক বিশেষ অনুগ্রহ করে ইমামদের ভুল থেকে মুক্ত রাখেন। তাহলে তারা (ইমামী শিয়ারা) শিরককারী হয়ে যান না।
তারা আরো বিশ্বাস করেন, ইমামত নবুয়তের চেয়ে উপরে, কিন্তু রাসুল সাঃ একই সাথে নবী এবং ইমাম, এবং তিনি সকলের থেকে সম্মানিত। । "ইমামতের স্ট্যাটাস নবুয়তের উপরে" একটা বিপদজনক বিশ্বাস। কিন্তু এই বিশ্বাস রাসূল সাঃ এর কাছে আশা মেসেইজ কে অস্বীকার করেনা কারণ ইমামদের দায়িত্ব হল নবুয়তের মাধ্যমে পাওয়া অহীর ব্যাক্ষা করা। তাই এতোদসত্তেও তাদেরকে অমুসলিম বলা যায় না। কিন্তু সংদ্দেহজনক। মহান আল্লাহ পাক সর্ব বিষয়ে সব থেকে ভাল জানেন। (লিংকে ক্লিক করলে জানতে পারবেন তারা কোন যুক্তিতে এটা বিশ্বাস করেন)
ইসলামে পার্সিয়ানদের অবস্থানঃ ইবনে খালেদুন বর্ননা করেন,
"Most of the hadith scholars who preserved traditions for the Muslims also were ajams (Persians), or Persian in language and upbringing, because the discipline was widely cultivated in the ‘Iraq and the regions beyond. (Furthermore,) all the scholars who worked in the science of the principles of jurisprudence were ajams (Persians), as is well known. The same applies to speculative theologians and to most Qur’an commentators. Only the ajams (Persians) engaged in the task of preserving knowledge and writing systematic scholarly works. Thus, the truth of the following statement by the Prophet [in Sahih Muslim] becomes apparent: “If scholarship hung suspended at the highest parts of heaven, the Persians would (reach it and) take it.”
সাফাবীদ তুর্কি মিক্স রাজ বংশ যারা উসমানীয়ান তুর্কিদের প্রতিপক্ষ ছিল, তারা রাজনিতিক কারণে অনেকটা জোরপূর্বক ইরান(পার্সিয়ানদের মধ্যমনী) কে ১২ ইমামী শিয়াতে রূপান্তর করে। উল্লেখ্য, পার্সিয়ানরা ছিল ইসলামের চ্যাম্পিয়ন। তারা অন্যান্য মুসলিমদের লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট, এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের কারুকাজে সহযোগিতা করত। কিন্তু ইরানীরা শিয়া হয়ে যাওয়ার ফলে, বৃহত্তর পার্সিয়ান জাতি (তাজিক, কিছুটা আফগান, কুর্দি) একে উপর থেকে আলাদা হয়ে যায়। অন্যদিকে তুরান (তুর্কমেনিস্থান, কাজাকিস্থান, উজবেকিস্থান, কিরগিজস্থান ইত্যাদি) দুর্বল ও বন্ধুহীন হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে রাশিয়ার কাছে স্বাধীনতা হারায়। এবং ভারতের মুসলিমরাও আরব এবং তুর্কি মুসলিমদের সাথে সংযোগ হারায় এবং আস্তে আস্তে স্বাধীনতা হারায়। ইরানের শিয়া হয়ে উঠা ছিল, মুসলিম ইউনিটির জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর।
সাধারণ শিয়াঃ "শিয়া আয়াতুল্লাহদের বাহিরে রেখে, সাধারণ জনসাধারণের কথা বলছি, যারা মুসলিমদের দুঃখে দুঃখ পায়, মুসলিমদের কষ্টে কষ্ট পায়। এবং তাত্ত্বিক বিষয় এত গভীর ভাবে জানে না, কিন্তু যা জানে তা কোরানের সহিত সাংঘর্ষিক না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের মধ্যেও সঠিক দলীয় ব্যক্তি থাকা অসম্ভব নয়। সকল সাহাবীই সর্ব প্রকার হাদিস জানতেন না, তাই কিছু মানুষ যদি স্বল্প জানা হয়, কিন্তু যা জানে তা সহি ইসলামের বিপক্ষে নয়, ঐ সব নির্দোষ সহজ সরল ব্যক্তিগণ অবশ্যই ইব্রাহীম রাঃ এর ধর্মের উপর থাকা অসম্ভব নয়, আমি ব্যক্তিগত ভাবে সুন্নি ইমামের পিছনে শিয়া ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করতে দেখেছি। কিন্তু যারা শিয়া পরিচয়টাকে মুখ্য ঘোষণা করে এর উপর অন্য মুসলিমদের দুঃখের কারণ হয়, তাহলে তারা সুস্পষ্ট রূপে দলাদলিতে লিপ্ত।"-[মুসলিমদের মধ্যে কোন দল সঠিক ?]
‘If loving the Wasi of the Prophet, Ali Murtadha a Rafidi,
then verily amongst all the people I am the greatest Rafidi
From the plain of Mina I will shout to all those standing or sitting,
if loving the family of the Prophet makes you a Rafidi,
then I testify before the mankind and Djinns I am a Rafidi”-Imam Shafi
(Sawaiq al Muhriqah, page 449 & 450 শাফেয়ী মাহযাবের ইমাম শাফি'য় রঃ এর কবিতাটি আগে থেকেই জানা কিন্তু মুখস্থ নেই বলে দুর্বল রেফারেন্স থেকে কপি করা হয়েছে)
সতর্কতাঃ ইমাম শাফেয়ী রাঃ এখানে নবী পরিবারের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি অন্য বর্ননায়, রাফিদিদের থেকে রেওয়াত গ্রহন করতে না বলেছেন। অর্থ্যাত রাফিদিরা গ্রহনযোগ্য নয়। তিনি নিজেও রাফিদি নন, কিন্তু নবী পরিবার ও আলী রাঃ কে ভালবাসেন সেটাই তিনি বুঝিয়েছেন। কালেক্টেড

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম এখন বড় ৫ শাখায় বিভক্ত।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

আরব বেদুঈন বলেছেন: সব ঐ ইহুদি খ্রীস্টানদের পরিশ্রমের ফসল।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরেছেন।
এই বিষয়গুলোতে আমরা যতদ্রোত একমত হয়ে ঐক্যে ফিরব ততই মাসুলিমদের বিজয় নিটকতর হবে। এবং মুসলিমদের ঐক্যোই সাম্রাজ্যবাদীদের ভয় দেখে তারা শতশত বছর দরে ফেতনা বিভাজন সৃষ্টির জন্য সর্বশক্তি দিয়ে বিনিয়োগ করছে। এবং এক প্রকার লৌভী, অল্পজ্ঞানী উলামায়ে ছু বুঝৈ না বুঝৈ তাদের ফাদে পা দিয়ে সেই বিভাজনকে ক্রমশ করে চলছে!

অবশ্য বিশ্লেষনী দৃষ্টিতে একেবারে গোড়ায গেলৈ অনেকেরই কাপড় থাকবে না। এটা সাধারন বোধৈই । কোন বিশৈষজ্ঞ হওয়া লাগে না। আবার ঐ বিষয়গুলো সামনে এলে মুসলমানদের বিশ্বাসে ধাক্কা লাগে বলে অনেক আলেম এটাকে লুকোছাপা করে রাখতেই পছন্দ করেন। কিন্তু সত্যতো প্রকাশিত হবারই। তাতে কারো দিকে মূক চেয়ে কাজ করার অবসর নেই।

আর জানার আসলেই বিকল্প নেই। যে জণ্য কোরআনও বলেছে- যে জানে আর যে জানেনা দুজনকি সমান? আবার জ্ঞানের জোর দিয়ে হাদীসে বলা হয়েছে - আলেমের ঘুম মূর্খের রাতজাগা ইবাদতেরচেয়ে শ্রেষ্ঠ। এখন এই হাদীসের নেগেটিভ ইন্টাপ্রিটেশন কি হয়েছে- দু অক্ষর পড়তে জানা আলেমরা ঘুমে তলিয়ে গেছে ! জ্ঞানের মূল ধারায় প্রবেশ না করেই। ফলে অন্ধকার আরও ঘন হয়েছে। আর মূল ধারায় প্রবেশ করলেতো ঘুমই থাকেনা।
কুম কুম ইয়া হাবিবি কাম তানামু
আল আলিমু আল হাকিমু লা ইয়া নামু!
= তুমি কিভঅবে ঘূমাও বন্ধু
জ্ঞানী বিদ্বানরাতো ঘুমায় না।

জানতে হবে, জানাতে হবে। জানায় কোন বাছ বিছার পক্ষাবলম্বন ব্যাতিতই জানতে হবে। তারপর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তত্য যাচাই বাছাই করতে হবে। সবচে উপরে সন্দেহ যোগ্য বিষয়ে ইস্তেখারা বারবরা করে নিশ্চিত হতে হবে। ক্রস বাহাসের মাধ্যমে সত্যকে যাচাই করতে হবে দলান্ধতায় নয় জ্ঞানের প্রয়োজনে।

+++++++++++

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আরব বেদুঈন বলেছেন: "জানতে হবে, জানাতে হবে। জানায় কোন বাছ বিছার পক্ষাবলম্বন ব্যাতিতই জানতে হবে। তারপর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তত্য যাচাই বাছাই করতে হবে। সবচে উপরে সন্দেহ যোগ্য বিষয়ে ইস্তেখারা বারবরা করে নিশ্চিত হতে হবে। ক্রস বাহাসের মাধ্যমে সত্যকে যাচাই করতে হবে দলান্ধতায় নয় জ্ঞানের প্রয়োজনে"

একমত ভাই।সমস্যা হচ্ছে আমরা শত বছর আগের ইহুদি সম্প্রদায়ের মত হয়ে গেছি।ওরা কোন সমস্যাই পড়লে ওরা রাব্বিদের কাছে যেত নিজেরা তাওরাত পড়ত ন্স ফলে রাব্বিগন ইচ্ছে মত এই পবিত্র গ্রন্থ গুলো চেইঞ্জ করত।আমাদের আলেম সমাজও এই সুযোগের স্বদ ব্যবহার করছেন তবে সবাই ন।বিশেষ করে আমাদের মাজহাবের ক্ষত্রে এই গুলো চরম ভাবে পরিলক্ষিত।আজ যদি আমরা কুরান হাদিস পড়তাম তাহলে।আজ আর আমরা কনফিউজড হতাম না দলে দলে বিভক্ত হতাম ন আজ আমাদের সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন ভাই কত দল কারো সাথে কারো মিল নেই সবাই সবার ধংস চাই।সব আলেম রা নিজ নিজ মাজহাব আর স্বার্থ অনুসারে ফতোয়া দেই।জিহাদের ক্ষত্রেও একই আবস্থা জেরুজালেমের দিকে তাকান।একা একা ধুকে ধুকে মরছে আর নামধারি মুসলিম দেশ গুলো তাকি তাকিয়ে ওদের ধংশের অপেক্ষা করছে একবারও ভাবছে নয়া মধ্য প্রাচ্য ধংশ হলে ওদের কে রক্ষা করবে?

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম এক, ইসলাম।
কিন্তু এত সসস্ত্র ভাবে বিভক্তি কেন?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আরব বেদুঈন বলেছেন: ""এত সসস্ত্র ভাবে বিভক্তি কেন?""
আপনার উত্তরের ক্ষত্রেও একই কথা ।সমস্যা হচ্ছে আমরা শত বছর আগের ইহুদি সম্প্রদায়ের মত হয়ে গেছি।ওরা কোন সমস্যাই পড়লে ওরা রাব্বিদের কাছে যেত নিজেরা তাওরাত পড়ত ন্স ফলে রাব্বিগন ইচ্ছে মত এই পবিত্র গ্রন্থ গুলো চেইঞ্জ করত।আমাদের আলেম সমাজও এই সুযোগের স্বদ ব্যবহার করছেন তবে সবাই ন।বিশেষ করে আমাদের মাজহাবের ক্ষত্রে এই গুলো চরম ভাবে পরিলক্ষিত।আজ যদি আমরা কুরান হাদিস পড়তাম তাহলে।আজ আর আমরা কনফিউজড হতাম না দলে দলে বিভক্ত হতাম ন আজ আমাদের সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন ভাই কত দল কারো সাথে কারো মিল নেই সবাই সবার ধংস চাই।সব আলেম রা নিজ নিজ মাজহাব আর স্বার্থ অনুসারে ফতোয়া দেই।জিহাদের ক্ষত্রেও একই আবস্থা জেরুজালেমের দিকে তাকান।একা একা ধুকে ধুকে মরছে আর নামধারি মুসলিম দেশ গুলো তাকি তাকিয়ে ওদের ধংশের অপেক্ষা করছে একবারও ভাবছে নয়া মধ্য প্রাচ্য ধংশ হলে ওদের কে রক্ষা করবে?

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১০

মেহেদী হাসান শীষ বলেছেন: শিয়ারা আল্লাহর সাথে শিরক করে তারা কখনো ইসলামের ভিতরে থাকতে পারে না এবং মুসলমান দাবী করতে পারেনা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আরব বেদুঈন বলেছেন: এই সহজ বাংলা কথাটাই তো মানুষ বোঝে না।ইরানের নাম সুনলে আমরা সম্মস্বরে তাকবীর দিয়ে উঠি।একবার ভাবিও নয়া যে ওরা মুসলিম নয়া মুসলিমের খোলসধারী কাল সাপ।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: কেউ কেউ হযরত আলী রাঃ কে রাসূল সাঃ এর ছেলের মত মনে করতেন। কারণ, তিনি রাসূল সাঃ এর পালিত ছিলেন,-

হযরত আলী যে রাসুল (সাঃ) এর পালিত ছিলেন তা আপনার কল্যাণে আজকে জানতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার বর্ণিত ইতিহাস কম বেশী সবাই জানে। সময় এসেছে এই সব ইতিহাস কে প্রশ্ন করার।

আমাকে বলেন আপনার বর্ণিত ইতিহাস অনুযায়ী, প্রথম তিন খলিফার সময় হযরত আলী (রাঃ) এর ভুমিকা কি ছিল ? এবং আপনি কি তা বিশ্বাস করেন?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আরব বেদুঈন বলেছেন: অবু বকর যখন খলিফা হই তখন আলি সেখানে ছিলন না
কারন মা ফাতেমা অসুস্থ ছিলেন তিনি তাঁর কাছে ছিলেন।তো যখন তিনি খলিফা হন তজন কুরাঈশ বংসের একজন প্রভাবশালি নেতা মনে হই অবু সুফিয়ান (আমার নয়া টা সঠিক মনে নেই।মাফ করবেন)আলি কে গিয়ে বলল রাসুলের পর তো খলিফা হবার যগ্য তুমি।তুমি সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল!!! অবু বকর কেন খলিফা হল??? তখন আলী বলে আল্লাহর কসম তুমি আমাদের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছ।তখন তিনি গিয়ে আবু বকরের হাতে বায়াত দেন।
আর একটু সামনে আসি।যখন রাসুল সঃ মৃত্যু সয্যাই শয্যিত ছিলেন তখন ওমর মসজিদে আসে।তো হযরত বেলাল কাওকে নয়া পেয়ে ওমর কে ইমামতি করতে বলেন।তখন ওমর ইমামতি করে কিন্তু রাসূল সঃ যখন দেখলেন যে ইমাম ওমর তখন তিনি বললেন " লা লা" নানানা ওমর নাআ।
যখন হহযরত উসমান হলেন খলিফা আর কিছু লোক আলী কে খলিফা মনে করছিল।এরা কোন সাহাবী ছিল নয়া এরা হাসান ইবনে সাবাহ এর লোক ছিল।(এই শেই শয়তান যে শিয়া মতবাদ চালু করে অনেক লম্বা ইতিহাস আছে কিন্তু আমি সেদিকে যাচ্ছি না)।উসমান যখন শুনলেন তখন আলী কে বললেন তখন আলি বলল "আল্লাহর কসম ঐ সমস্ত লোকের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নে(মানে যার আলি কে খলিফা মানে)।আরো ইতিহাস আছে কিন্তু সব তো এখানে দিতে পারছি না। তবে অপেক্ষাই থাকুন বিস্তারিত আসছে।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। কিন্তু আপনি যে হাদিস আর ইতিহাস বিশ্বাস করেন সেখানে কিন্তু উল্টা কথা লেখা আছে- যদিও আমি সেই ইতিহাস বিশ্বাস করি না।

"অবু বকর কেন খলিফা হল??? তখন আলী বলে আল্লাহর কসম তুমি আমাদের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছ।তখন তিনি গিয়ে আবু বকরের হাতে বায়াত দেন।"- অর্থাৎ আলী আবু বকর খলিফা হবার প্রায় (কিছু সময়ের মধ্যে যেমন ২/১ ঘণ্টা অথবা ২/১ দিন ) সাথে সাথে বায়াত গ্রহণ করেন।

কিন্তু ইতিহাসে কিন্তু ভিন্ন কথা লেখা আছে। একটু চেক করেন।

সুতরাং এই বিষয়ে আলাপ করতে হলে আপনাকে সেই সব জিনিশ নিরপেক্ষ ভাবে বলতে হবে
ধন্যবাদ।


১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

আরব বেদুঈন বলেছেন: হতে পারে

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফলো করছি

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩

সজিব্90 বলেছেন: আরবের সুন্নি লোকজন শিয়াদের নামই শুনতে চায় না, এক কথায় কাফের, তারা ইসরায়েলের চেয়ে ইরান কে বেশি ভয় করে ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

আরব বেদুঈন বলেছেন: ঈমান না থাকলে যা হই আর কি।ঈমান না থাকলে মানুষ পথের কুকুর কেউ ভয় করে।ওদের উচিত ছিল ফিলিস্তিনিকে হেল্প করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.