নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য অন্বেষক

আরব বেদুঈন

আমি তো শুধু প্রাচারক মাত্র

আরব বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন ওদের চোখ মধ্য প্রাচ্যের দিকে?-পার্ট ২

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

গত পর্বে আমি মধ্য প্রাচ্যের ধংস প্রাপ্ত কয়েকটি দেশের আলোচনা করেছিলাম।আপনার বুঝতে পারছেন ওরা এক এক করে এই দেশ গুলো কেন ধংস করছে খ্রিস্টানগণ?
বুঝতে পারছেন না তাইতো?বুঝিয়ে বলছি...
যদি প্রশ্ন করা হই বৃক্ষ জীবিত থাকে কার মাধ্যমে?আপনি বলবেন শেকড় দ্বারা।এখন যদি আপনি মধ্য প্রাচ্য কে ইসলামের মূল বা শেকড় হিসেবে কল্পনা করেনন আর বাদবাকি মুসলিম দেশ গুলো কে যদি আপনি গাছের শাখা প্রশাখা হিসেবে কল্পনা করেন তাহলেই কিন্তু ব্যপার টা একদম জলের মত পরিস্কার হয়ে যাই।
জাতি সংঘ নামক খ্রিস্টান সংঘ আমাদের মধ্য প্রাচ্যের সব দেশ গুলো কে একে একে খুব বুদ্ধি মত্তার সাথে ধংস করছে।ওরা তো ইসলামের শেকড় কাটছে। আপনি দেখুন ওরা খুব শান্ত ভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে আমাদের গাছের শেকড় মধ্য পাচ্যের শক্তিশালী দেশ গুলো কে ধংস করছে যাতে ভবিষ্যৎ এ ঐ কাফেরা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা করলেও এগিয়ে আসার মত কেউ না থাকে।কারন মধ্য প্রাচ্য যে ইসলামের শেকড়।শেকড় কেটে দিলে গাছ তো এমনিতেই দূর্বল হয়ে মারা যাবে।আরো যদি প্রশ্ন করা হই সুন্নি দেশ গুলোর মধ্য কোন দেশ সবচেয়ে শক্তিশালী? আপনি বলবেন আরব।না না না শুধু আরব না তুরুস্কও সাথে আছে।আর সবাই আরব কে মুসলিম বিশ্বের নেতা মানে সেই সাথে তুরুস্ককেও।তাই আমেরিকা যদি এদের যে কোন ওজরে আক্রমণ করে বসে (যেমন সম্প্রতি সৌদি ১৫০ জন কায়েদির ফাসি কার্যকর করা নিয়েই ধরুন এটা তো আমারিকার মতে মানবতা বিরোধী আপরাধ তাই এই ওজর নিয়েও তো সৌদিকে আক্রমন করে বসতে পারে কিন্তু করবে না) কিন্তু করবে না কেন জানেন ঐ যে মুসলিম বিশ্বের নেতাজি হল সৌদি।আবার তুরুস্ক কে রাসিয়া আক্রমন করতে পারত ! করবে না।কারণ একই।এদের যদি আক্রমণ করে তাহলে পুরো মুসলিম বিস্ব আমেরিকার বারটা বাজাবে।তাই সুকৌশলে আগে এর আশে পাসের দেশ গুলো ধংশ করছে আর সৌদি আর তুরুস্কের সাথে খ্রিষ্টান দেশ গুলোর গলাই গলাই পিরিত! অথচ কুরানে আল্লাহ বলছেন "তোমরা মুমিনদের বাদ দিয়ে কাফের দের পৃষ্ঠপোষক কর না তাদের কে বন্ধু বানিয়ে নিয় না"এরা দুই শয়তান(তুরুস্ক ও আরব) প্রকাশ্যে কুরানের আয়াতের লংঘন করে যাচ্ছে।আর মুসলিম বিস্ব তবুও এদের নেতাজি বলেই মানলছে।মানবেই তো কুরানের জ্ঞান থাকলে না প্রতিবাদ করবে???আজ হইত অনেকেই উপরে দেওয়া আয়াতটা প্রথম দেখল। তাহলে বাদবাকি লোকদের অবস্থা ভাবুন।
সে যাই হোক খ্রিষ্টান বিস্ব এই দুই দেশ অর্থ্যাত বেড়ালের মথায় হাত বুলাচ্ছে আর আর তাদের পাসের শেকড় কাটছে।আর বলছে আমরা তো তোমাদের দোস্ত,খ্রিস্টান মুসলিম ভাই ভাই(মুসলিম মুসলিম নয়,,,যদি ভাই হত তাহলে এত গুলো দেশের ধংশ চোখের সামনে হত না,ভায়ের মৃত্যুতে কেউ নির্বাক থাকতে পারে??? একটি বারের জন্যও এরা ভাবছে না যখন সব শেকড় কাটা শেষ হবে সেদিন এরা এই দুই দেশের মূল কেটে ইসলাম কে নিশ্বেষ করবে।খানেয়ে কাবার জায়গায় গীর্জা মন্দির স্থাপন করবে (নাউজুবিল্লা)।
আমাদের এরা সুকৌশলে এবং অত্যন্ত গোপনীয়ততার সাথে ধংস করার কারন হল ওরা যদি প্রকাশ্য আমাদের ধংস করে তাহলে যে আমাদের মুসলিম সিংহ জাতির ঘুম ভেঙ্গে যাবে।হুংকার দিয়ে উঠবে পুরো জাতি।ওরা জানে আমরা যদি সংঘ বদ্ধ ভাবে থাকি তাহলে ওরা কেন ওদের মত দুই পৃথিবীরর ক্রুসেড শৈন্য এসেও আমাদের পরাজিত করবে না।এর প্রমান আমরা দিয়েছি...৩১৩ জন নিয়ে কুরাঈশ কাফেরদের পরাজিত করে।৭০০০ সেনা নিয়ে স্পেন জয় করেছি তারেক বিন জিয়াদের নেতৃত্বে,১০০০০ সেনা নিয়ে সিন্ধু জয় করে...এক সালাউদ্দিন কে নিয়ে পুরো ক্রুসেড ব্যর্থ করে!!!!কোথা থেকে আসে এত ক্ষমতা এত হুংকার!!! এই সাহায্য আসে আল্লাহর কাছ থেকে।কিন্তু যখন আমাদের কে ওরা বিচ্ছিন্ন, দলে দলে বিভক্ত করবে তখনই আমরা হয়ে যাব হীন কায় দূর্বল।ঠিক এখন কার মত।কোন মুসলিম দেশে মিল নেই।তাই আল্লাহ আমাদের কুরানে নির্দেশ দিয়েছেন "তোমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ো না আল্লাহর রুজ্জু কে শক্ত ভাবে ধর" আমরা এই আয়াতের অর্থ বুঝি নাই কিন্তু ঐ খ্রিষ্টান ও ইহুদীরা এর অর্থ বুঝেছে।তারা বুঝেছে আগে এদের ভেড়ার পাল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে তারপর ওদের একে একে শেষ করতে হবে।যেমন করে ভেড়ার পাল থেকে একটা ভেড়া কে আলাদা করে শেয়াল খেয়ে ফেলে।
আফসোস আমার এই কথার অর্থ যদি আমার মুসলিম ভায়েরা বুঝত!
আমার যুক্ত যদি অগ্রহন যগ্য মনে হই তাহলে আপনিইই বলুন কেন ১ম বিশ্ব যুদ্ধে মুসলিমদের খিলাফত পতন হবার পর শুধু মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতেই যুদ্ধ বাধছে? ফিলিস্তিন শেষ,তারপর আফগান,ইরাক,সুদান,মিসর, সিরিয়া ইত্যাদি।আপনি একটা খ্রিষ্টান দেশ দেখান যেখানে জংগীবাদ বাদ বা সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোন কারনে যুদ্ধ বেধে গিয়েছে এবং এই যুদ্ধে পুরো দেশটাই শেষ হয়ে গেছে?
পারবেন? পারবেন না....
আপনি পৃথিবীর একটা দেশ দেখান যেখানে মুসলিম ব্যতীত অন্য কোন জাতি অসহায়? নির্যাতিত হচ্ছে? পারবেন না।কেন কেন এত মুসলিম দের দুর্ভোগ, এত অত্যাচার? এর পিছনে দায়ি কারা? আল্লাহ? না আমার ভায়েরা আল্লাহ দায়ি না।এর পেছনে দায়ি মুসলিমরা নিজেই এবং ঐ ক্রুসেড খ্রিষ্টানরা।
যা বলছিলাম...আমার এই কথা আপনি বুঝবেন একটা উদাহরণ দিলে।ধরুন ইন্ডিয়া আমাদের পুরো বাংলাদেশের মুসলিমদের হত্যা করবে।(কেন হত্যা করবে এর ব্যাখ্য আমি পরে দিচ্ছি)।এবার আমাদের সাহায্য কিন্তু অবশ্যই মুসলিম দেশ গুলো এগিয়ে আসবে।যাতে কেউ আমাদের সাহায্য এগিয়ে না আসতে পারে তার জন্যই এই ধংস এই হত্যা(এর ব্যাখ্যাও আমি দিচ্ছি ওরা কেন আমাদের হত্যা করবে)।আর সবার আগে আসার কথা মধ্য প্রাচের।আর সেই জন্যেই ওরা বেছে নিয়েছে মধ্য প্রাচ্য কে।আর ইতিহাস সাক্ষী অতীতে বহুবার ক্রুসেডের যুদ্ধে কিংবা অন্য যে কোন ক্ষেত্রে ওরা মধ্য প্রাচ্য কে দখল করতে চাইত।কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছে।কিন্তু চেষ্টা থেমে থাকে নি।চলছে আর চলবে।
আর মিডিয়া কে বানিয়ে দিয়েছে আমাদের চোখ কান।মিডার কথা যেন আমাদের কাছে কোরানের বানী!!!যা বলবে মিডিয়া আমরা তা চোখ কান বন্ধ করে বিশ্বাস করে নেই!একবার ভাবিও না আসলেই কি এটা ঠিক?
এই কৌশলেরও কারণ আছে।আগে ওরা আমাদের কে আমাদের মিডিয়া নির্ভর করেছে।তারপর ইচ্ছেমত ভুল নিউজ দিচ্ছে।ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন...সম্প্রতি সিরিয়াতে রাশিয়ার বিমান হামলাই কইজন সাধারণ মানুষ মারা গেছে? কেউ বলবে দশ কেউ পনেরো! আসলেই কি তাই সিরিয়াতে বিমান হামলাই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।কিন্তু প্রশ্ন হল কেন ওরা এত অল্প সংখ্যক মানুষ মারা যাবার কথা বলছে?
ওরা এই কারনে বলছে যাতে খবর টা গ্রহন যগ্য হই।মিডিয়া যদি বলে "রাসিয়ার বিমণ হামলাই কোন মানুষ মারা যাই নি" তাহলে এই নিউজ কেউ বিশ্বাস করত না কিন্তু যদি বলে ১৫ জন মনুষ মারা গেছে তাহলে কিন্তু সবাই বিশ্বাস করব।কারণ বোমা হামলাই সাধারণ মানুষ মারা যাবেই এটাই স্বাভাবিক কিন্তু কেউ যদি বলে রাশিয়া দক্ষ বোমাবাজ তারা মানুষ মারতে পারে না তাহলে কিন্তু কেউ বিশ্বাস করবে না।এটা জাস্ট সাইক্লজিকাল ব্যপার। মোবাইল ফোনের দামের মত। ফোনের দাম ৯৯৯৯ টাকা।এই প্রাইস দেখে আপনার মন গ্রহন করবে ফোনের দাম ৯০০০ টাকা এবং চাপ কম নেবে।মনে হবে দাম তো কম। যখন ফোনের দাম ১০০০০ বলবে তখন আপনার মস্তিষ্ক মনে করবে ১০০০০!!! এত দাম।থাক আর ফোন নেব না।
আপনি কি মনে করেন এগুলো জাস্ট স্টাইল করার জন্য ফোন সিম কম্পানি গুলো দেই? না কখনওই না এর মধ্য সাইক্লোজিকাল ব্যপার আছে যা আপনার মন বুঝতে পারে না।এবং সব কিছু সহজ ভাবে নেই।
মিডিয়া গুলো জাস্ট এই থিওরি এপ্লাই করেছে।একটু বুদ্ধি খাটান বুঝতে পারবেন।
আরো কিছু ব্যপার আপনারা যে মিডিয়া কে কুরানের আয়াত হিসেবে নিয়েছেন সেই মিডিয়াই যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে আওয়ামীলীগ এর গুনগান বিরোধী দলের নিন্দা।আবার বিএনপি যখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকে তখন ঠিক এর উলটো টা!!!! তাহলে আপনিই বলুন যেখানে দেশের ব্যপারে এরা এত চিটিংবাজ সেখানে অন্তর্জাতিক ব্যাপারে কি করবে?
আর এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি মিডিয়া ইহুদি নিয়ন্ত্রিত।অথচ কুরানে এদের কে আমাদের শক্রু হিসেবে অবিহিত করা হয়েছে।আমরা এদেরকে শক্রুও বলি তাহলে কেন এদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার কথা সব বিশ্বাস করি?
এটা ঠিক ইবলিসের মত।আমরা ইবলিশ কে প্রকাস্যে গালি দেই তার বিরোধিতা করি।কিন্তু বাস্তবে সেই ইবলিশের পদাঙ্কই অনুসরণ অনুকরণ করি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ভাল লিখেছেন, তবে আরো পরিস্কার করে লিখতে পারতেন, আপনাকে ধন্যবাদ, এই সুন্দুর লেখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.