নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য অন্বেষক

আরব বেদুঈন

আমি তো শুধু প্রাচারক মাত্র

আরব বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দালাল সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস - ১

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০

[১. মিশরের মুরসি সরকারের পতনের পর সৌদি সরকারের ভূমিকায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই দালাল রাজপরিবারের ইতিহাস তাই মুসলিম উম্মাহর জেনে রাখা প্রয়োজন।

২. সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনাকে ওয়াহাবী মতবাদের সমালোচনা হিসেবে ভেবে যারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তারা লক্ষ করুন - এই নোটে কোথাও ওয়াহাবী মতবাদের প্রশংসা/সমালোচনা করা হয়নি - এটা এখানে প্রাসঙ্গিকও নয়। এখানে স্রেফ বলা হয়েছে - সৌদ পরিবার মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক উসমানিয়া খিলাফত ভাঙতে ওয়াহাবী মতবাদকে ব্যবহার করেছিল। আর সৌদ পরিবার জেনে-বুঝে দালালি করেছে তত্কালীন বিশ্বমোড়ল ও খিলাফতের শত্রু ব্রিটেনের।

৩. মাজারকেন্দ্রিক শিরকের চর্চা আর কবর জিয়ারত এক কথা নয়। মাজারকেন্দ্রিক শিরক পরিত্যাজ্য, কিন্তু কবর জিয়ারত একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ।

৪. এই নোটে বহু বই থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে - তবে তথ্যগুলো এতই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, কম-বেশি সব তথ্যই Wikipedia-য় আছে। এমন কি, সৌদি দূতাবাসের ওয়েব সাইটেও আছে [অবশ্যই ব্রিটিশদের দালালির বিষয়টি বাদ দিয়ে]:
http://www.saudiembassy.net/about/country-information/history.aspx

৫. যারা সৌদি আরবের ইতিহাস সামগ্রিকভাবে এই বই থেকেই জানতে চান, তারা Cambridge University Press থেকে ২০০২ সালে প্রকাশিত Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia বইটি পড়তে পারেন। আমি এই বই থেকে সাহায্য নিয়েছি।]



সৌদি আরব হলো কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ। অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

রিয়াদের নিকটস্থ দিরিয়া নামের একটি কৃষিবসতির প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ বিন সৌদ। এই উচ্চাভিলাষী মরুযোদ্ধা ১৭৪৪ সালে আরবের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ বিন ওয়াহাব [ওয়াহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা]-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি করে "দিরিয়া আমিরাত" গঠন করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে শিরক-বিদাত পালনের অভিযোগে এই দুজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। ওই "দিরিয়া আমিরাত"-ই বিশ্বের প্রথম সৌদি রাজ্য/আমিরাত। মুহাম্মদ বিন সৌদ তার পুত্র আবদুল আজিজের সাথে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মেয়ের বিয়ে দেন। এভাবেই সৌদ পরিবার ও ওয়াহাবী মতবাদের মিলনযাত্রা শুরু হয়।

১৭৬৫ সালে মুহাম্মদ বিন সৌদ-এর মৃত্যু হলে তার ছেলে আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়। এই আবদুল আজিজ তত্কালীন বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী মোড়ল ব্রিটেনের সাথে হাত মিলিয়ে তুরস্কের খলিফাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে থাকে। শ্বশুর ইবনে ওয়াহাবের ধর্মীয় মতবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে ব্রিটিশদের সাথে তুর্কি খিলাফত ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয় আবদুল আজিজ।

১৭৯২ সালে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মৃত্যু হয়। ১৮০১/২ সালে আবদুল আজিজ তুর্কি খিলাফতের কাছ থেকে ইরাক দখল করে হজরত আলী (রা.) ও হজরত হুসেন (রা.)-এর মাজার শরিফ ভেঙে ফেলে। এর প্রেক্ষিতে ১৮০৩ সালে একজন শিয়া মুসলিম আজিজকে দিরিয়ায় আসরের নামাজরত অবস্থায় হত্যা করে।

এর পর আবদুল আজিজের ছেলে সৌদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে তুর্কিদের পরাজিত করে ১৮০৩ সালে মক্কা ও ১৮০৪ সালে মদিনা দখল করে নেয়। দুই পবিত্র নগরী দখল করে তারা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। তারা মক্কা-মদিনার বহু মুসলিমকে হত্যা করে। সবই করা হয় সেই শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে! ওয়াহাবী মতবাদের ধর্মীয় শুদ্ধি অভিযানের অজুহাতে তারা বহু সাহাবীর কবরস্থান ধ্বংস করে। এমনকি খোদ মহানবী (সা.)-এর পবিত্র কবরে ছায়াদানকারী মিম্বরগুলোও এরা ভেঙে ফেলে! মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজাকে তুর্কি খলিফারা যেসব মণি-মুক্তায় সাজিয়েছিলেন, শুদ্ধি অভিযানের নামে সেসবও তুলে ফেলে সৌদ-এর বাহিনী। এসবই চলে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে।

ইরাক-মক্কা-মদিনায় সৌদিদের এই ধ্বংসযজ্ঞে তত্কালীন তুর্কি খলিফাগণ ভীষণ রুষ্ট হন। ১৮০৮ সালে খলিফা ২য় মাহমুদ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদিদের দমনে শক্তিশালী সেনাদল পাঠান। ব্রিটিশ বাবারা এবার আর সৌদিদের বাঁচাতে পারেনি। ১৮১৮ সালে সৌদের ছেলে, তত্কালীন সৌদি শাসক আবদুল্লাহ বিন সৌদ তুর্কিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তাকে বন্দী করে ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই পবিত্র নগরী ও বহু মসজিদ ধ্বংসের শাস্তি হিসেবে খলিফা ২য় মাহমুদ-এর নির্দেশে আবদুল্লাহ বিন সৌদ ও তার দুই ছেলেকে ইস্তাম্বুলে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হয়।

এভাবেই প্রথম সৌদি আমিরাত (১৭৪৪-১৮১৮)-এর পতন হয় ও পবিত্র মক্কা-মদিনাসহ আরবে উসমানিয়া খিলাফতের শাসনকর্তৃত্ব ফিরে আসে।

সৌদ পরিবারের দিরিয়ার আখড়া ১৮১৮ সালে ধ্বংস হয়ে গেলে প্রথম সৌদি আমিরাতের শেষ আমীর আবদুল্লাহর তুর্কি নামের এক পুত্র মরুভূমিতে পালিয়ে যায়। এই তুর্কি বিন আবদুল্লাহ পালিয়ে বনু তামিম গোত্রে আশ্রয় নেয়। পরে ১৮২১ সালে সে আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।

১৮২৪ সালে তুর্কি বিন আবদুল্লাহ উসমানিয়াদের নিয়োজিত মিশরীয়দের হটিয়ে দিরিয়া ও রিয়াদ দখল করে নেয়। রিয়াদকে রাজধানী করে গঠিত এই "নজদ আমিরাত" ইতিহাসে দ্বিতীয় সৌদি রাজ্য নামে পরিচিত। দ্বিতীয় সৌদি রাজ্যটি অবশ্য খুব কম এলাকাই দখলে নিতে পেরেছিল। এটি বেশিদিন টিকেওনি। এই নজদ আমিরাতের প্রধানকে "ইমাম" বলা হত এবং ওয়াহাবী মতাবলম্বীরাই ধর্মীয় বিষয়ে কর্তৃত্বশীল ছিল।

তবে এবার সৌদ পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কথিত ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহকে তাঁর এক জ্ঞাতি ভাই মুশারি বিন আবদুর রহমান বিদ্রোহ করে ১৮৩৪ সালে হত্যা করে। তবে ক্ষমতা পায়নি মুশারি। তুর্কির ছেলে ফয়সাল এরপর নজদ আমিরাতের ইমাম হয়।

সৌদ পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। অবশেষে ১৮৯১ সালে মুলায়দার যুদ্ধে উসমানিয়াদের অনুগত রাশিদী বাহিনীর হাতে দ্বিতীয় সৌদি আমিরাতের পতন ঘটে। সৌদিদের শেষ ইমাম আবদুর রহমান বিন ফয়সাল তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ পালিয়ে যায়।

বিশাল বালুকাময় রুব আল খালি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে আবদুর রহমান তার পুত্র আবদুল আজিজকে [একে মনে রাখুন - পরবর্তী গাদ্দার] নিয়ে দক্ষিণপূর্বে মুররা বেদুইন গোত্রে গিয়ে পালায়। সেখান থেকে তারা বাহরাইনের রাজপরিবারের কাছে গিয়ে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। তার পর ১৮৯৩ সালে আবদুর রহমান ও তার পুত্র শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ দালাল কুয়েতি আল-সাবাহ রাজপরিবারের আশ্রয় পায়।

কুয়েতি রাজপরিবারের সহায়তায় সৌদিরা উসমানিয়া খিলাফতের কর্তৃত্বাধীন নজদে একের পর এক চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। ওয়াহাবী মতবাদের আলোকে পরিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে এসব হামলা চলতে থাকে। কিন্তু এসব হামলায় সৌদিরা তেমন কোনো বড় সাফল্য পায়নি। ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আবদুর রহমান তার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধারের সব উদ্যম হারায়।

[চলবে]

মুসলিম উম্মাহের ঘুম ভাঙানোর লক্ষে সংগৃহিত

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০

arman babu বলেছেন: গরিব হওয়াটা কি দোষ বন্ধুরা?আমি এমন এক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি যে সেখানে ছোট থেকেই শুধু অভাব অনোটন লেগেই আছে। এমন ও দিন গেছে টানা দুই তিন দিন খেয়ে কেটে গেছে। আমাদের এলাকার সবাই একটু ভালো প্রজিশনে তাই তাদের ছেলে মেয়েরা আমাদের সাথে মিশতো না। কষ্ট পেতাম যখন এ গুলো বুঝতাম এখনও কষ্ট পাই। আমরাতো গরিব তাই আমাদের খেলায়ও নেয় না। যারা আমাদের মত ঐ রকম কয়জনের সাথে বসে থাকতাম কারন আমাদের তো আর বল কিনার টাকা নাই। পড়ালেখা করতাম এখনও করি। এখন দুইটা প্রাইভেট পড়াই আর কাজ টাজ করে পড়ালেখার খরচ টা কোনো রকম চলে, কিন্তু আমার যে আরো দুটি ভাই বোন পড়ে তাদের খরচ কে চালাবে কারন তারাও উপরের ক্লাসের বোন inter 1st year final exam দিছে আর ভাই নবম শ্রেনিতে।আমরা ভাত খেতেই কষ্ট গয় তার উপর তিনজনের পড়া। তাই আজ ১৯ এপ্রিল সিন্ধান্ত নিলাম পড়ালেখা ছেড়ে দিবো,,, কাজ করবো ভাই বোনের পড়াটা চালাবো,,,কারন আমাদের মত গরিব কে সাহায্যে করবে????আমরা গরিব এটা আমাদের দোষ না তাই আমাদের ঘৃনা করার আগে একটু ভেবো আমরাও মানুষ। পরে অন্যে পোষ্ট করবো কিন্তু প্রথমেই আমার অবস্থান বুঝালাম।তবে আমার একটা ভালো বন্ধু আছে সে যতটুকু পেরেছে সাহায্যে করেছে,,, এই মোবাইল টা ও তার দেওয়া, ওরা এখন ঢাকাতে। আল্লাহ ওর ভালো করুক

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২

মামুন-খান বলেছেন: আপনার লেখার ভাবে মনে হচ্ছে শিয়া বা কবর পুজারিদের অনুসারী, সৌদ রাজপরিবারের যতটুকু সমালোচনা করেছেন তারথেকে বেশি করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে ওহাবের বা আপনার ভাষায় ওহাবী মতবাদের যদিও আপনি প্রথমে বলেছেন "এই নোটে কোথাও ওয়াহাবী মতবাদের প্রশংসা/সমালোচনা করা হয়নি"। জাতির কাছে এটা স্পষ্টযে যারা আব্দুল্লাহ ইবনে ওহাবের শিরক, বিদআত উতখাতের সমালোচনা করে তারা হয় শিয়া তা নাহলে অন্তত বেরলভী কবর পুজারী।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৭

আরব বেদুঈন বলেছেন: ভুল করে হইত এখানে কমেন্ট করে ফেলেছেন।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যেই তুর্কী একসময় উসমানিয়া সাম্রাজ্যে ছিল, সেই তুর্কীতে আরবীতে আজান নিষিদ্ধ হয়েছিল পরবর্তীতে। এখনও প্র্যাকটিসিং মুসলমান অনেক কম। চলাফেরা ওয়েস্টার্ন স্টাইলের। আর আপনি যে দালাল সৌদি রাজ পরিবারের কথা বলছেন, তারা এখন কার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে তা বলেন? আপনার মূল পয়েন্ট টা কি? লম্বা ইতিহাসের কী দরকার?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

আরব বেদুঈন বলেছেন: আজান নিষিদ্ধ করেছিল মোস্তফা কামাল নামক কুলাঙ্গার আর এই ওয়েস্টার্ন স্টাইলে চলাফেরা করে না করে তাতে আমাদের কি ?এই কথাতে অপনার পয়েন্ট কি?
লম্বা ইতিহাস টানার দরকার আছে কি না তা পোস্ট উল্লেখ করেছি আমি কারোর মুখাপেক্ষি না আল্লাহ ছাড়া।সারা বিশ্বের মুসলিম যেখানে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সেখানে সৌদি ছিড়েছে?ওদের কি উচিত না মুসলিমুম্মাহের সাহায্যে এগিয়ে আসা?
আর আমার পয়েন্ট হচ্ছে আমরা যারা এই খিলাফত ধংসকারি মুরতাদ গুলোকে মুসলিম জাহানের আশার আলো বলি তাদের চোখ খুলে দেওয়া।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৯

মামুন-খান বলেছেন: ভুলে কমেন্ট করিনি ভাই আপনি কি আপনার এই পোষ্টটা নিজে পড়েছেন?

"এর পর আবদুল আজিজের ছেলে সৌদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে তুর্কিদের পরাজিত করে ১৮০৩ সালে মক্কা ও ১৮০৪ সালে মদিনা দখল করে নেয়। দুই পবিত্র নগরী দখল করে তারা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। তারা মক্কা-মদিনার বহু মুসলিমকে হত্যা করে। সবই করা হয় সেই শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে! ওয়াহাবী মতবাদের ধর্মীয় শুদ্ধি অভিযানের অজুহাতে তারা বহু সাহাবীর কবরস্থান ধ্বংস করে। এমনকি খোদ মহানবী (সা.)-এর পবিত্র কবরে ছায়াদানকারী মিম্বরগুলোও এরা ভেঙে ফেলে! মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজাকে তুর্কি খলিফারা যেসব মণি-মুক্তায় সাজিয়েছিলেন, শুদ্ধি অভিযানের নামে সেসবও তুলে ফেলে সৌদ-এর বাহিনী। এসবই চলে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে।"

আপনার পোষ্টের শুধু এই পেরার মধ্যেই আছে অনেক বিদ্বেষ মুলক কথা, আছে ভুল তথ্য আর আছে আপনার পুরো মনভাব। যদি পারেন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরুন এক চোখ অন্ধ করে নয়।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

আরব বেদুঈন বলেছেন: : ামি সত্য তুলে ধরেছি,
আর সবচেয়ে বড় কথা সৌদি পরিবার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে এটা শরিয়াহ অনুযায়ি হারাম!কারন প্রত্যেক মুসলিম দেশ কে খিলাফতের ছায়ায় থাকতে হবে,সেখেত্রে সৌদি তো কোন খিলাফতের আওতায় নেইই উপরন্ত নিজেও খিলাফত কায়েমে কোন ভূমকা রাখছে না আর ইসলামের চরম শক্রু খিলাফত বিদ্বেষী আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করছে যা কুরান অনুযায়ি হারাম,কারণ কুরানে মুমিম দের বাদ দিয়ে কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন হারাম। আর রাসূল সাঃ বলেছেন " যে খিলাফতের বায়াত ছাড়া মৃত্যু বরণ করল সে জাহেলি মৃত্যু বরণ করল" তাহলে সৌদি পরিবার কিসের মধ্যে আছে বুঝতে আসুবিধ হচ্ছেনা হইত।
ভাই আপনার উচিত হবে আমার সাথে তর্ক না করে বই পড়া আবেগ দিয়ে বিচার করবেন না সবকিছু।

আর আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি সৌদি পরিবারের একনিষ্ঠ ভক্ত,তো আমার কথা যদি ভুলই হয় তাহলে আপনার কথার পক্ষে দলিল দিন।অপেক্ষায় আছি।

আর হ্যা সৌদি পরিবার কিভাবে ক্ষমতায় আসল তা আর উসমানি খিলাফতে সৌদি পরিবারের ভূমিকা উল্লেখ করবেন।আর যদি না পারেন তাহলে আগামি পোস্ট গুলোতে সৌদি পরিবারের পুরো ইতিহাসই তুলে ধরব ইনশাল্লাহ ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

আরব বেদুঈন বলেছেন: ভাই আপনি আমাকে সৌদি বিদ্বেষি বললেন আমার তো তাদের সাথে বা আপনার সাথে কোন রাগারাগি নাই তাইলে কেন তাদের নামে মিথ্যাচার করব?্মিথ্যাচার করা একটা মারাত্নক গুনাহের কাজ! আমি তো সত্য তুলে ধরতে জাতির কাছে।ভাই আপনি একটু উইকিপি্ডিয়া পড়ে নেন ওখানেও আছে খলিফাদের সাথে সৌদি পরিবারের ক্ষমতার জন্য লড়াই,মুসলিম দলের সাথে লোড়াই! যারা ড়াইস্বার্থে খলিফাদের সাথে যুদ্ধ করে তারা কাফের সেটা আপনিও জানেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/House_of_Saud

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.