নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজ থেকে নৈতিকতাবোধ কেন হারিয়ে যাচ্ছে ???

২৭ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৫


নৈতিকতা অথবা মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি; যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। নীতি ভালো-মন্দের মধ্যে একটা স্পষ্ট পার্থক্য গড়ে দেয়। সুতরাং ভিত্তি যদি নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে সে সমাজ বা রাষ্ট্রের অনেক কিছুতেই ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে অথবা আরেকটু বাড়িয়ে বললে সাম্প্রতিক বেশ কিছু বছর ধরেই আমাদের দেশে নৈতিকতার স্খলন প্রকট আকারে ধরা পড়ছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়া এই টিউমার এখন ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। প্রতিনিয়তই আমরা মূল্যবোধ অবক্ষয় জনিত ঘটনা গুলো প্রত্যক্ষ করছি। অবস্থা এখন এমন যে , একটি ঘটনার নির্মমতা ও বীভৎসতা আরেকটি ঘটনাকে হার মানাচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরে চরমভাবে বিরাজ করছে অসহিষ্ণুতা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ও আলোচিত ঘটনাগুলোর দিকে আমরা একবার দৃষ্টিপাত করি। সেই কুমিল্লায় সংঘঠিত ভয়াবহ তনু হত্যাকান্ড , বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে যৌন নির্যাতন , ফেনীতে নুসরাতকে তারই মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক পুড়িয়ে হত্যা , অথবা এর আগে ঘটে যাওয়া ত্বকী হত্যাকান্ড এবং বেশ কিছু শিশু হত্যা, গত বছরের শেষভাগে ভয়াবহ পাশবিক নির্যাতনের মাধ্যমে কলাবাগানে স্কুলশিক্ষার্থী আনুশকাকে হত্যা কৈশোর বয়সে চারিত্রিক অধঃপতনের অন্যতম বড় নজির। কোনো ঘটনার কুলকিনারা কোনোদিন হয়নি। এই গতমাসেই ঘটে যাওয়া গুলশানে কলেজ শিক্ষার্থী মুনিয়া হত্যাকান্ড ও এর সাথে দেশের অত্যন্ত ক্ষমতাবান একজন শিল্পপতির সম্পৃক্ততা আমাদের সমাজের মূল্যবোধজনিত অবক্ষয়ের চরম নজির। সর্বশেষ , গেলো সপ্তাহে ঘটে যাওয়া দক্ষিণখানের এক মসজিদের ইমাম কতৃক পরকীয়া জনিত কারণে এক গার্মেন্টসকর্মীকে ছয় টুকরা করে হত্যা ও পরবর্তীতে সেপটিক ট্যাংকে সেই লাশের টুকরা গুম করে ফেলা যেন বীভৎসতা ও পাশবিকতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে।

কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন হচ্ছে ??? কেন আমরা বর্বরতা আর পৈশাচিকতার এই নির্মম দৃশ্যগুলো অবলোকন করছি ?? বাঙালি জাতিসত্তার যে হাজার বছরের বিবর্তন , আমাদের পূর্ব ঐতিহ্য , আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ কোনো কিছুই তো এসব অনৈতিক কার্যকলাপ প্রশ্রয় দেয়না।তাহলে কেন আমাদের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন যেখানে পাশবিকতা একটা শিল্পে পরিণত হতে যাচ্ছে ??? সবকিছুরই কারণ আছে। আমাদের ভেতরের বীভৎস বীরের ছায়াটা যে বেরিয়ে আসছে বেশি করে, কারণ আইন-শাসন-নজরদারি-জবাবদিহি মারাত্মক শিথিল। অনেক ক্ষেত্রে রক্ষকেরাই ভক্ষণের পৈশাচিকতা চালায়। এই সমাজে একটার পর একটা অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে , কিন্তু কোনোকিছুরই বিচার আমরা দেখতে পাচ্ছি না। একটা ঘটনার জের শেষ হতে না হতেই আরেকটা ঘটনা ঘটে , প্রত্যেকটি নতুন ঘটনার তীব্রতা আর বীভৎসতা তার পূর্বেরটা থেকে বেশি। মানুষ অমৃতের সন্তান নয়। আব্রাহামিক ধর্মগুলোর দিকে আমরা যদি তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই যে , সেসকল ধর্মে বর্ণিত আছে , ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের খুনই আদিতম হত্যাকাণ্ড। হিংস্রতা, জিঘাংসা, অসূয়া আমাদের সহজাত। তা সামলাতে আমরা আইন বানিয়েছি, রাষ্ট্র বানিয়েছি, সংস্কৃতির সাধনা করে আসছি, ধর্ম দিয়ে অধর্ম ঠেকাতে গিয়েছি। ভেবেছি, এগুলোই আমাদের ভেতরের সহজাত হিংস্রতাকে নীতি ও শাসনের শিকলে আটকে রাখবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি আমাদের ভেতরকার অসুরকে শুভবোধ দিয়ে বধ করতে পেরেছি নাকি ক্রমাগতই আমাদের অভ্যন্তরীণ অসুরই আমাদের গিলে খাচ্ছে ??

এই সমাজে মানুষ দেখে হত্যা করেও হত্যার কোনো বিচার হয়না , জুলুম নির্যাতন করেও মানুষ সমাজে বুক ফুলিয়ে হেটে বেড়ায় , ধর্ষণের চরম পাশবিকতার সীমা লংঘনের পরেও ধর্ষকের কোনো শাস্তি হয়না , টাকার কাছে সমস্ত আইন -কানুন পরাজিত ও পরিবর্তিত হয়ে যায় , নিয়ম ভঙ্গকারীকে সমাজে বাহবা দেয়া হয় , যেকোনো নিয়মভঙ্গ করে অনৈতিক সুবিধা আদায়কে মানুষ বীরোচিত কাজ বলে মনে করে , সমাজে যে সৎ ভাবে বাঁচতে চায় , সরল ও সাদাসিধা জীবনযাপন করে তাকে বোকা , ভীতু প্রভৃতি বিশেষণে বিশেষায়িত হতে হয়। তাহলে , এই সমাজের মানুষ কি করবে !!! কি চিন্তা ও কি ধারণা নিয়ে এই সমাজের মানুষ বেড়ে উঠবে !!!
অনৈতিকতা , অসততা , বীভৎসতা যখন একটি সমাজের মূল্যায়নের মাপকাঠি হয় তখন মানুষ সেই পথেই অগ্রসর হয়। গ্লোবালাইজেশনের যুগে মানুষে মানুষে প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে , এই প্রতিযোগিতা অর্থ সম্পদ অর্জনের , এই প্রতিযোগিতা অফিসে কে কার চেয়ে কত আগে উঁচু পোস্টে যেতে পারে তার , এই প্রতিযোগিতা সুন্দরী তরুণীর জন্য একাধিক তরুনের যেখানে কাঙ্খিত প্রেমিকাকে পেতে তরুণটি খুন করতেও পিছপা হয়না , এই প্রতিযোগিতা আরেকজনের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তাকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া এজন্য স্বামী বেচারাকে শেষ পর্যন্ত জীবনও দিতে হয়। ভালোবাসা এখন শুধুই শরীর নির্ভর যেখানে প্রেমিকাকে চরম পাশবিকতায় জীবন পর্যন্ত দিতে হয় , বিবাহিত পুরুষের আর এক নারীতে মন ভরে না , তার চাই আরো সুন্দরী কমনীয় রক্ষিতা বা উপ-পত্নী।

সমাজের চারদিকেই শুধু চাই চাই আর চাই। আরো টাকা চাই , বাড়ি চাই , সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড চাই , আরো উপরের পদবি চাই এজন্য কাউকে ল্যাং মারার দরকার হলেও আপত্তি নেই। বাজার অর্থনীতির তুমুল হাওয়ায় পাতলা মেঘের মতো ছিঁড়ে-ফুড়ে উড়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজের নৈতীক মূল্যবোধ । আমাদের অনিঃশেষ চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে আমরা ভুলে গেছি নীতি নৈতিকতার সীমা , আমরা ভালো মন্দে আর বাছ-বিচার করছি না। ফলশ্রুতিতে , এক ঘোর অমানিশায় আমাদের সমাজ তলিয়ে যাচ্ছে। একদিন সমাজের সামনে যে আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব ছিল, আজ সেগুলো সুবিধাবাদ ও স্বার্থপরতায় ভূলুণ্ঠিত অথবা অকেজো। ভালো মানুষ সব ক্ষেত্রে পরাজিত ও ভীত। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীরা রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। এহেন অবস্থায় সমাজে বীভৎসতা আর পাশবিকতারই জয়জয়কার থাকে।

এর থেকে কিভাবে আর কতদিনে আমরা মুক্তি পাবো ?? আমাদের সমাজের এই পশ্চাৎ যাত্রা কি অব্যাহত থাকবে ??? উত্তর হচ্ছে, আমাদের সমাজে শুধু আইনের নয় আমাদের সমাজে নীতির শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে । এবং সেই নীতিটি হচ্ছে সুনীতি আর সুবোধ চিন্তা। সমাজে অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীর প্রাপ্য বিচার নিশ্চিত করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আমাদের বিদ্যালয়গুলোকে কি আমরা সঠিক শিক্ষালয় হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি ??? নীতির শিক্ষা শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয় , শিক্ষকদের মাঝেও দিতে হবে। একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই শুরু হয় , আমাদের ছোটবেলায় আমরা আদর্শলিপি আর আদি বাল্যশিক্ষা পাঠ করে আমাদের বিদ্যার্জন শুরু করেছিলাম। সেসব বইতে খুব ভালো ভালো বেশ কিছু নীতিকথা ছিল , যেমন , দুর্জনের সঙ্গ পরিত্যাগ করো , শঠতা পরিহার করো , হিংসা ধ্বংসের মূল। মনে হচ্ছে যেন , সেই বইগুলিকে আবার আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের দেশে তো সিংহভাগ মানুষই ধর্মপ্রাণ , নিয়মিত প্রার্থনা ও ইবাদতে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যাও তো কম না। কিন্তু , তারপরেও আমরা উগ্রতা , পৈশাচিকতা পরিহার করতে পারছি না কেন ??? এর মূল কারণ হচ্ছে , আমরা আমাদের ধর্মকে শুধু দৈনন্দিন আচার পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি কিন্তু ধর্মের মূল বিষয় , মূল শিক্ষা , রিলিজিয়াস প্রিন্সিপাল আমরা আমাদের জীবনে কাজে লাগাই নাই , ধর্মীয় মূল্যবোধ কে আমাদের জীবনঘনিষ্ঠ করি নাই , এবং ধর্মীয় নির্দেশনা আমরা শুধু শুনেছি কিন্তু বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ করি নাই। ধর্মের সঠিক শিক্ষার অভাবে যেমন দেশে বক ধার্মিক লোকের সংখ্যা বেড়েছে , ঠিক তেমনি ধর্মের লেবাসে এমনকি ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বের সংশ্লিষ্টতায় অপরাধ ও সংগঠিত হচ্ছে। দক্ষিণখানের ইমাম সংক্রান্ত ঘটনা তারই একটি উদাহরণ।

পরিশেষে , হাজার বছরের লালিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পারিবারিক আবহে গড়ে ওঠা বাঙালি সমাজ নৈতিক অবক্ষয় জনিত যে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে , নতুন আদর্শ , নীতিবোধ, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে না পারলে, গোটা সমাজকে অসুরবিনাশী করতে না পারলে আমাদের আশা নেই।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার নৈতিক উপলব্ধিকে আমি সন্মান জানাই।
সমাজের এমন ভয়ঙ্কর অবক্ষয়ের জন্য নিদারুণ কষ্টবোধ আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। জানিনা এর প্রতিকার কি???
শুধু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নয়- পুরো সিস্টেমটাকেই পরিবর্তন করতে হবে।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে , আপনার সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য। আপনার কোথায় ঠিক। পুরো সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে না পারলে আমরা এই সমস্যার উত্তরণ ঘটাতে পারবো না।

২| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজের নৈতিকতার ভিক্তি ধর্মবিশ্বাস থেকে এসেছে।

নেকি, গুনাহ, বেহেস্ত, দোজগ।

আধুনিক সময়ে ধর্মের উপরে মানুষের বিশ্বাস কমে যাচ্ছে তাই দোজগের ভয় কমে যাচ্ছে। মানুষ অলৌকিক সাজার উপরে ভয় নেই।

মানবিকতার ভিক্তিকে যদি নৈতিকতা গড়ে উঠতো তবে মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ করতো না।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমাদের সমাজের নৈতিকতাবোধ মানবিকতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি তাই এতো সমস্যা।

৩| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে।

এই সমাজ পচে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে। এই সমাজে সুন্দর করে বেঁচে থাকা সম্ভব না।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই মন্তব্যের জন্য। তারপরেও আমাদের যেহেতু এই সমাজেই বাস করতে হবে তাই এই সমাজকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের গতি নেই।

৪| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের প্রতীকি ছবিটা চমৎকার হয়েছে, এর আবেদন অবজ্ঞা করা যায় না।

শেষের তিনটে লাইনে যেমন নিরাশার অশনি সংকেত দেয়া হয়েছে, তেমনি নিরাশা কাটিয়ে ওঠার পথও দেখানো হয়েছে।

বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা অনৈতিকতা, অবাধ যৌনতা এবং এতদসংশ্লিষ্ট পাশবিকতার বিশ্বায়নের কুফল ভোগ করছি। এটা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন নৈতিক সমাজ গঠন, নীতি-নৈতিকতা প্রমোট করা এবং অনৈতিকতাকে সামষ্টিকভাবে ঘৃণা ও বর্জন করা। এ কাজগুলো করার কথা বলাটা খুব সহজ, কিন্তু করাটা বেশ কঠিন। এর জন্য প্রয়োজন নৈতিক সমাজ গঠনের জন্য আন্দোলন শুরু করা। একবার শুরু করতে পারলে হয়তো এ আন্দোলন বেগবান হতেও পারে। এ কথাটা আমি বলছি এ বিশ্বাস থেকে যে, না আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি, না আমাদের মূল ধারার ধর্মগুলোর অনুশাসন ও সংস্কৃতি- কোনটাই অনৈতিকতা, পাশবিকতা এবং অবাধ যৌনতা সমর্থন করে না।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর আর সুচিন্তিত মতামতের জন্য। আপনার মন্তব্যগুলো বিশেষভাবে প্রণিধান যোগ্য যা চিন্তার খোরাক যোগায়।

৫| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম দুটো পোস্টে আমি অনেক আগে দুটো মন্তব্য করেছিলাম, হতো দুটোই অদ্যাবধি আনসীন (যদিও এর আগেও স্মরণ করে দিয়েছিলাম), এবং সে কারণে অদ্যাবধি আনএকনলেজড।

আশাকরি, সময় করে একবার দেখে আসবেন।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি এখনই প্রতিউত্তর করে দিচ্ছি।

৬| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমদের আগের নৈতিক ভিত্তি ছিল সুফিবাদী ইসলাম,বতর্মানে ওহাবী সালাফি মতবাদ সমাজকে অস্থির করে তোলছে।ওয়াজ করার জন্য পুলিশ ধরে নিয়ে যায়,বিচারক আবার রিমান্ড মনজুর করে ভাবতে পারেন সমাজ কোথায় গেছে।আমি বলছি মুফতি আমির হামজার কথা।ইউটিউবে তার দুই একটা ওয়াজ শুনবেন যেন শয়তানে ওয়াজ করছে।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই আপনার সময়োপযোগী মন্তব্যের জন্য। বাংলাদেশে এখন যে সমস্যা গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো পূর্বে কখনো আমরা দেখি নাই। যেকোনো প্রকার সাম্প্রদায়িক উস্কানি সবসময় নিন্দনীয়।

৭| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টাকা পয়সা আয়ের অসুস্থ প্রতিযোগিতা সামাজিক অবক্ষয়ের একটা কারণ। অর্থ ও সম্পদ প্রদর্শনের সুযোগ এই যুগে হয়েছে যেটার সুযোগ আগে ছিল না। কারণ আগে বেশীরভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ছিল। এখন সম্পদ দেখানোর লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফেইসবুক দেখলে এটা বোঝা যায়। নীতির তোয়াক্কা না করে অতি দ্রুত আয় বৃদ্ধি বৈষম্য সৃষ্টি করছে। অনেক ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা হীন মানুষ প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। আগে এতো ছিল না। দেশের শিল্প, সংস্কৃতির ধারক বাহকরাও পুঁজিবাদী সমাজের অনেক খারাপ উপাদানকে সাদরে গ্রহণ করছে। ফলে শিল্প, সংস্কৃতি মানুষের নৈতিকতাকে রক্ষা করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে অপসংস্কৃতিকে মানুষ সংস্কৃতি ভাবছে।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার যুগোপযোগী মন্তব্যের জন্য। আপনি একদম সঠিক ভাবে সমস্যার মূল চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে , এই অবস্থা কি প্রলম্বিত হতে হতে একটা ম্যাসিভ ডেস্ট্রাকশনের দিকে যাবে??? নাকি আমরা কোনো সমাধান খুঁজে পাবো ???

৮| ২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই অধঃপতিত জাতিকে সঠীকপথে চালিত করার জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় নেতৃত্বের অভাব বড়োই প্রকট।নৈতিকতাবোধ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.