নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির !

নাভেদ

প্রোফাইল এ _ই -ডি -টি- ং কাজ চলিতেসে ।

নাভেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পলিসি অফ আইসোলেসন ! _ একশোটা বছর শান্তিতে থাকতে দে ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

১।





উনিশ শতকের গোঁড়া থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত আমেরিকার পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি আবর্তিত হয়েছে ' মনরো ডকট্রিন ' কে কেন্দ্র করে । ' মনরো ডকট্রিন ' হল ১৮২৩ সালে আমেরিকার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট জেমস মনরোর কংগ্রেসে দেয়া একটি লিখিত ভাষণ । এর মূল কথা হল _ মার্কিনীরা ইউরোপে কোন হস্তক্ষেপ করবেনা এবং একই ভাবে ইউরোপিয়ানরাও মার্কিনীদের বিষয়ে নাক গলাবেনা ! বলাই বাহুল্য যে , সে সময় বিশ্বসাম্রাজ্যবাদের হর্তা - কর্তা ছিল মূলত ব্রিটিশরা । মার্কিন উপনিবেশ হারানোর ক্ষয় - ক্ষতি ইতিমধ্যে তারা কাঁটিয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ায় ঘাটি গেড়ে । ফলে মার্কিনীদের ঘাঁটানোর আর কেউ থাকলনা । তারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল গোটা একশো বছর । এই সময়ে মার্কিনীরা নিজেদের মতো করে এগুতে লাগলো , শিল্পায়ন , নগরায়ন , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে বিংশ শতাব্দীতে তারা আত্মপ্রকাশ করল বিশ্ব সভ্যতার নিয়ন্ত্রক হিসেবে !



আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ শান্তিকামি । আমরা যুদ্ধে বিশ্বাস করিনা ! আমরা সম্প্রিতি ও সংহতির মাঝে বাঁচতে চাই । আমরা বাইরের কোন রাষ্ট্রের উপর হস্তক্ষেপে আগ্রহী নই , এবং তার সাথে সাথে ভিনদেশী সাম্রাজ্যবাদ ও নয়া - উপনিবেশবাদের অধীনে ও থাকতে রাজি নই । বিশ্বায়নের যুগে একেবারে বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব কিনা সেটা হুট করে বলা শক্ত । ফলে একশো বছর শান্তিতে থাকা আমাদের জন্য মরীচিকা ! অন্তত তিনটা কাজ করা যেতে পারে _



১। বিশ্বব্যাংক , আইএমেফ , বিদেশী এনজিও , খ্রিষ্টান মিশন , সহ সমস্ত অর্থলগ্নিকারি ও ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে ।



২। ভারি শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে । অন্তত প্রাথমিক স্তরে এই তিনধরনের কারাখানা তৈরি প্রয়োজন , ক _বৃহৎ বিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্প ( কুইক রেন্টাল না )। খ _ ইস্পাত শিল্প কারখানা । গ_ ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা ।



৩। বাংলাদেশ ও বঙ্গপসাগর অর্থনৈতিক ও সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভোগোলিক স্থান । এই বিষয়টি মাথায় রেখে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে জিওপলিটিক্স টা বুঝে এবং সেই মতো কাজ করতে পারলেই ভারতীয় সম্প্রসারনবাদ বন্ধ করা যাবে ।





২ ।



বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যা কোনটি ? কোরাপসন নাকি অপ্রতুল জ্বালানী শক্তি ?ট্রাফিক জ্যাম নাকি কীটনাশক বা সার ? উহু ! আমাদের সবচে বড় সমস্যাটা হল আমরা স্বপ্ন দেখতে পারিনা । আমরা একটা ডিপরেসড জাতি । বাসে ঝুলতে ঝুলতে , চায়ের দোকানের খুপচিতে , বা ডাইনিঙে ঢেকুর তুলতে তুলতে আমরা রাষ্ট্রীয় হতাশার গল্প করি ।হতাশা আমাদের ডিএনএ প্রতিলিপিতে পার্মানেন্ট স্থান করে নিয়েছে ।



জাতিকে মাথা তুলে দাড়াতে হলে রাষ্ট্রীয় হতাশা কে অবশ্যই ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে । এর জন্য প্রয়োজন সংস্কার ;মনস্তাত্ত্বিক সংস্কার ! এই সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিপ্লব !আমরা একটা শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি যা গোটা বিশ্বব্যবস্থাকে কাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে ।



বিপ্লবের কি আদৌ কোন প্রয়োজনীয়তা আছে ? বিপ্লবের জন্য আমরা কি প্রস্তুত ? বিপ্লবের ধরন কি হবে ? আদর্শ কি হবে ?- এই প্রশ্ন গুলো গুরুত্বপূর্ণ ।সমগ্র রাষ্ট্র তার সাথে সাথে বিশ্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা না থাকলে এই বিষয়ে সঠিক উত্তর দেয়া মুস্কিল !তবে আমি শুধু এই টুকু বলতে চাই _ বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা ছিল , আছে এবং থাকবে !



এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন _ সঠিক পরিকল্পনা আটা । নিজেদের সামর্থ্য , সম্ভবনা এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে পুঙ্খানু পুঙ্খানু পরিসংখ্যান তৈরি করা ।



আমাদের একটা পঞ্চাশ বছর মেয়াদি দীর্ঘ পরিকল্পনা নিতে হবে । পঞ্চাশ বছর পর আমারা নিজেদের কোথায় দেখতে চাই সেটা পরিস্কার হওয়া জরুরি । মজার বিষয় হল , পাঁচসালা বা পঞ্চবার্ষিক যে পরিকল্পনা করা হয় , এককালে সেটা ও করা হতো প্যারিসে বসে , হার্ভার্ডের পিনিকগ্রস্থ অধ্যাপকদের দ্বারা । পশ্চিমা অর্থনীতি হল ' অর্থ , মরনাস্র আর ঋণের ' অর্থনীতি । আমাদের অর্থনীতি হল - ভাত , মাছ , আর পাঁটের অর্থনীতি । আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্প হার্ভার্ড পিএসডি রা ঠিক করলে বুঝ কি অবস্থা হবে ? কথাটা এই কারনেই বললাম , যে পঞ্চাশ বছরি পরিকল্পনা করার জন্য আমাদের সেই মেধা আছে কিনা ? উহ , এ কাজটা অসম্ভব শক্ত । একইসাথে রাজনীতি , অর্থনীতি , সমাজ , ধর্ম , বিজ্ঞান ,অসংখ্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা সুপারকম্পিউটার টাইপ থিঙ্কট্যাংকার দরকার । কিভাবে পাব ?



পৃথিবীর সবচে মূল্যবান সম্পদ হল _ বিশ্ববিদ্যালয় । উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দেখ_ কতখানি এগিয়ে আছে । আমরা এগুতে পারছিনা । যে কোন বিষয়ে উচ্চ ডিগ্রি পর্যন্ত ফ্যাসিলিটি তথা গবেষণাগারের অভাবে সম্ভব হয়না । সরকার কে চোখ বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে , বাজেটের পরিমান বাড়াতে হবে সর্বোপরি সমগ্র শিক্ষা বেবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে ।রিলিজিয়ন এবং সেকুলারিজম নিয়ে যে কুতকুত খেলা চলছে , এটা বন্ধ করতে হবে । একটা দেশের উন্নতি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কোয়ালিটির সাথে সমানুপাতিক ।



টাকা তো নাই ! তাহলে কি ঋণ নিতেই থাকব ?



আমাদের সেই আর্থিক সঙ্গতি এবং কারিগরি দক্ষতা নেই । কিন্তু এই ঋণ ঋণ খেলার মধ্যে থাকলে যে সম্ভবনা টুকু আছে সেটিও শেষ হয়ে যাবে । এখন আমরা কি করব ? এটা অল্প কথায় বলা কঠিন ! বিকল্প কি করা যায় তা বলার আগে কেন ঋণের সাথে জড়াতে অনিচ্ছুক সেটা ব্যাখ্যা করা যাক । ১। অর্থনীতি নির্ভরশীল হয়ে যায় , ২। গণতান্ত্রিক বেবস্থা ব্যাহত হয় ,৩। নয়া -উপনবেশবাদ ঘাটি গাড়ে ৪। বাজার দখল হয় বিদেশী পণ্যে ৫। নিজস্ব ভারী শিল্পকারখানা গড়ে উঠেনা । খেয়াল করলে দেখবে , বড় ঋণ দানকারী সংগঠন গুলো পৃথিবীর কোথাও ভারীশিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেনা , করলেও এতোরকমের শর্ত থাকে যে রাষ্ট্র বেহাল অবস্থায় পড়ে ! একবার কোন রাষ্ট্র যদি পশ্চিমা ঋণের খাতায় নাম লেখায় তবেই শেষ ! এবার বিকল্প কাজের কথা বলা যাক _ ১। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন কে শক্তিশালী করা ২।চীন - জাপান বছর খানেক আগে নিজেদেরমুদ্রায় কেনা কাটা করেছে , সেই ভাবে চীন , জাপান , বা রাশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক চুক্তি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা, বিশেষ করে বিনিময় বাণিজ্য করা যেতে পারে । ৩। অভ্যন্তরীণ কৃষি বিপ্লব ঘটানো ৪। সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলুর মধ্যে বিনিময় চুক্তি করা যায় কিনা তা ও খতিয়ে দেখা উচিৎ ।



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

ডি মুন বলেছেন:
পোস্টটিতে একই লেখা দুইবার এসেছে। এডিট করে ঠিক করে নিতে পারেন।

আমাদের সবচে বড় সমস্যাটা হল আমরা স্বপ্ন দেখতে পারিনা ।


পশ্চিমা অর্থনীতি হল ' অর্থ , মরনাস্র আর ঋণের ' অর্থনীতি । আমাদের অর্থনীতি হল - ভাত , মাছ , আর পাঁটের অর্থনীতি ।

সরকার কে চোখ বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে , বাজেটের পরিমান বাড়াতে হবে সর্বোপরি সমগ্র শিক্ষা বেবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে ।রিলিজিয়ন এবং সেকুলারিজম নিয়ে যে কুতকুত খেলা চলছে , এটা বন্ধ করতে হবে ।


চমৎকার কিছু বিষয় বলেছেন। অনেক বিষয়ে দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই। আর আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে শিখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

তাই সরকারের উচিত শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে চোখ রাখা। যাতে করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বপ্নের কারখানা হিসেবে তৈরি হয়। কিন্তু বর্তমানে যা দেখছি, তাতে করে মনে হয় - এসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই, যতটা না সাধরণ জনগণের আছে। তারা যেকোনো উপায়ে হোক খাতাকলমে শতভাগ শিক্ষা দেখতে চায়।

হতাশ হতে না চাইলেও হতাশার উপকরণের কোনো অভাব নেই।

পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকা হোক

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

নাভেদ বলেছেন: দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো রাজনৈতিক অনৈক্য । এদেশে গণতন্ত্র একটা রাজনৈতিক সিস্টেম হিসেবে না এসে দ্বি - দলীয় সামন্তবাদ এবং নয়া উপনিবেশবাদের লেজ হিসেবে এসেছে । কাজেই এই লেজ না ছাঁটতে পারলে বড় পরিকল্পনা আটা সম্ভব না ।

এই সমস্যার সমাধান আমি খুজতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের মধ্যে দিয়ে ।। একটা রেনেসাঁ বাদে একটা শিল্প বিপ্লব সম্ভব হবেনা ।

হতাশ হতে কার ভালো লাগে বলুন ! কিন্তু _

আপনার জন্য ও _ ভালো থাকা হোক

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

ওয়্যারউলফ বলেছেন: আমরা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নে আমরা হাসিনা - খালেদাকে দেখি। হাসিনা -খালেদা যদি আমাদেরকে স্বপ্নে দেখতো তা হলে আমাদের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

নাভেদ বলেছেন: ভাই ! ভালো বলেছেন । তবে ওনাদের আবার বয়স হয়েছে কিনা আমাদের আর কতো দেখবে বলেন !

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

আলাপচারী বলেছেন: +++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫০

নাভেদ বলেছেন: প্লাস এর জন্য নয় কষ্ট করে ' প্লাস ' তিনবার ক্লিক করার জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন ।

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২০

নাইট রাইটার বলেছেন: আমাদের সবচে বড় সমস্যাটা হল আমরা স্বপ্ন দেখতে পারিনা। এখন মানুষের হাতে-পায়ে ধরে বলতে হবে ভাই, একটু সপ্ন দেখেন :) :) :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

নাভেদ বলেছেন: হা হা । অথবা স্বপ্ন বিক্রির ব্যবসা খোলা যেতে পারে । চেতনা ব্যবসার মতো ।

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই সবই ঠিক আছে। খুব চমৎকার পোস্ট। কিন্তু কথা কি জানেন ভাই; দেশের নীতিনির্ধারকদের নীতি দেখলে খুব হতাশ হই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

নাভেদ বলেছেন: ভাই , যারা নীতিনির্ধারক তারা কিন্তু আমাদের সমাজ থেকে উঠে যাওয়া মানুষই । রাজনীতিবিদদের আমি দোষ দেই না । যেমন সমাজ তেমন সে সমাজের নীতিনির্ধারক !

একটা সামাজিক বিপ্লব বাদে ঘুনে ধরা এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন আসবেনা ।
আমরা অপেক্ষায় আছি _ গোপনে গোপনে ।

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

মাহবু১৫৪ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

+++++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

নাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ভালো থাকবেন ।।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যা কোনটি ? কোরাপসন নাকি অপ্রতুল জ্বালানী শক্তি ?ট্রাফিক জ্যাম নাকি কীটনাশক বা সার ? উহু ! আমাদের সবচে বড় সমস্যাটা হল আমরা স্বপ্ন দেখতে পারিনা । আমরা একটা ডিপরেসড জাতি । বাসে ঝুলতে ঝুলতে , চায়ের দোকানের খুপচিতে , বা ডাইনিঙে ঢেকুর তুলতে তুলতে আমরা রাষ্ট্রীয় হতাশার গল্প করি ।হতাশা আমাদের ডিএনএ প্রতিলিপিতে পার্মানেন্ট স্থান করে নিয়েছে ।

খুব কাজের কিছু দিক নির্দশনা দিয়েছেন ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

নাভেদ বলেছেন: ;)

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমেরিকা একশো বছর বিচ্ছিন্ন থাকতে পেড়েছিল কারণ তারা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল এবং এখনো আছে। কিন্তু আমাদের দেশ কী আদৌ আছে? কাগজে কলমে থাকা আর বাস্তবে থাকা কিন্তু এক কথা নয়।

বিশ্বায়নের যুগে এখন বিশ্ব থেকে আলাদা থাকার কোন উপায় নাই। আমেরিকা যখন পেড়েছিল, তখন বিশ্বায়ন শুরু হয় নাই। আমেরিকা স্বনির্ভরশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখন তারা চাইলেও মন হয় বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে না। বাংলাদেশের জন্য এর প্রশ্নই উঠতে পারে না।
বিচ্ছিন্ন না হয়েও তিনটা কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার একটা উপায় আপনি উল্লেখ করেছেন। এক নম্বর উপায়ে বলেছেন,
//১। বিশ্বব্যাংক , আইএমেফ , বিদেশী এনজিও , খ্রিষ্টান মিশন , সহ সমস্ত অর্থলগ্নিকারি ও ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে । //
এটা করতে হলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ চাইলেই আপনি হুট করে বন্ধ করে দিতে পারবেন। কারণ দেশের অর্থনীতি উপরের সবগুলোর সাথে অনেক ভাবেই জড়িয়ে আছে। তাছাড়া এগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে সেটার ধাক্কা সামলানোর মতো অবস্থার সৃষ্টিও করতে হবে। এখানেই কিন্তু অনেক সময় চলে যাবে।

স্বপ্ন যে দেখে না তা কিন্তু নয়। স্বপ্ন না দেখলে বাজেট আসে কোত্থেকে। এখানেও দেখবেন কত কাহিনী। প্রতি বছরই সম্পূরক বাজেট পাস করাতে হয়।
তবে হ্যাঁ, পরে যেটা বলেছেন সেটা ঠিক আছে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে আগাতে হবে। এখানেও কিন্তু আমাদের দেশ পিছিয়ে নেই। পরিকল্পনা আছে কিন্তু ক্ষমতার রদবদলের সাথে সাথে পূর্বের সরকারে রেখে যাওয়া পরিকল্পনারও মৃত্যু ঘটে।
তাই সবার আগে আমাদের দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন দরকার। রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধিত হলে অর্থনৈতিক পরিবর্তনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাধিত হবে। কারণ আমার ধারণা রাজনীতি এবং অর্থনীতি অনেকটা পরিপূরক।
রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রেও অভূত পরিবর্তন সাধিত হবে নিশ্চিত।
আপনার পোস্টের বক্তব্য যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ। কিন্তু আফসোস হল এভাবে কোন রাজনৈতিক দল এবং সরকার ভেবে দেখে না। ভালো লিখেছেন নাভেদ। আপনার লেখার কারণেই আমি কিছুটা বলার সাহস দেখালাম যদিও অনেক কিছুই বলার বাকী রয়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ।


০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৮

নাভেদ বলেছেন: আসলে বিশ্বায়নের যুগে বিচ্ছিন্ন থাকা সম্ভব নয় , কোনভাবেই । বাইরের সংস্থাগুলোর সহযোগিতাও বন্ধ করা যাবেনা , এটাও সত্যি ।
এসব অতিসত্যি । আমাদের যা দরকার তা হল একটা সামাজিক বিপ্লব । এই বিপ্লবকে কি করে ত্বরান্বিত করা যায় সেটাই চিন্তার বিষয় । এই বিপ্লব বাদে সামগ্রিক চিন্তার মুক্তি সম্ভব নয় । তা আমরা ব্লগে ফেসবুকে যতই বাত চিত করিনা কেন !

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

তৃণ বলেছেন: ১। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন কে শক্তিশালী করা ২।চীন - জাপান বছর খানেক আগে নিজেদেরমুদ্রায় কেনা কাটা করেছে , সেই ভাবে চীন , জাপান , বা রাশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক চুক্তি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা, বিশেষ করে বিনিময় বাণিজ্য করা যেতে পারে । -- এ পয়েন্টটা বেশ চমৎকার মনে হলো!

কথা হলো এই ৫০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা করবে কারা? যেখানে সরকারগুলো নিজেদের ক্রেডিট নিতে ব্যস্ত! সর্বদলীয়ভাবে এই উদ্যোগ নেয়া কি সম্ভব এই দেশে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩১

নাভেদ বলেছেন: না ভাই এই রাজনৈতিক পটভুমিতে সম্ভব নয় । কারন আমাদের সমাজ এখনো ফিউডাল যুগে আঁটকে আছে । আগের এক রাজার জায়গায় এখন দুই রানী মাত্র ।

এই ব্যবস্থাকে সমূলে উৎখাত করাই প্রথম কাজ । এর জন্য আমাদের হয়তো ' ফরাসি বিপ্লবের ' মতো একটা জাগরণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।

শাহবাগ আন্দোলন তেমনই একটা সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে মারা গেলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.