নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সড়কের পাশে ওখানটায় ছোটো একটি খেলার মাঠ ছিলো। টেনিস কোর্ট আকৃতির বা আরেকটু বৃহদায়তন। ইতিউতি ছড়ানো মলিন হলদেটে ঘাশ। লাল ইটের পলেস্তারা খসা খর্বাকার দেয়াল এক প্রান্তে। ওতে ক্রিকেট খেলতো স্থানীয় শিশুকিশোররা। বর্ষা মৌসুমে এঁদো কাদায় ভরে যেতো। তখন ক্রিকেটের পরিবর্তে ফুটবল। কাদায় মাখামাখি টিশার্ট হাফপ্যান্ট গা’য়ে সে কী হুলস্থূল! হ্যা, পরিষ্কার মনে করতে পারছি, ওখানেই ছিলো। (ইত্যবসরে এক যুগ কেটে গেছে যদিও।) আজ বহুতল আবাসিক ভবন দাঁড়িয়ে। অনেকদিন পর এলাম। মাঝেও দুয়েকবার এসেছিলাম সম্ভবত। কিন্তু ইতিপূর্বে সেভাবে লক্ষ্য করিনি। আদতেই কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এভাবেই মানুষের নগর বন্দর গড়ে ওঠে; উঠে আসছে। কিন্তু কেন জানি না, ঠিক এ মুহূর্তটায়, আমার বড্ড অনুতাপ হচ্ছে মাঠটির জন্য। মনে হচ্ছে, মাঠটিকে যেন জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছে, ইট কাঠ পাথরের ওই বিশালকার দালানের নিচে। আহা, সত্যিই আমি ভীষণভাবে চাই যে, আবার বহুদিন পর এলে দেখবো, সেই মাঠটিই আছে। সেদিনের মতোই ক্রিকেট খেলছে, ঘেমেনেয়ে একাকার প্রাণোচ্ছল একদল শিশু। আর যদি বর্ষায় আসি, তবে এঁদো কাদায় ধুন্ধুমার ফুটবল। আবার, আরও এক যুগ পর!
০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৩
অর্ক বলেছেন: সম্মান নূরু ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আফসোস করলে আফসোস বাড়বেই
আমাদের কোন আফসোস-ই কারো লোভ লালসায় লাগাম টেনে ধরতে পারবে না।
তবুও এভাবে ভাবার জন্য ধন্যবাদ
০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৫
অর্ক বলেছেন: মানুষের পৃথিবীতে মানুষের কিছু করার নেই!
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একটি পাহাড়েরও মৃত্যু হয়েছিল। যেটা আশংকা করেছিলাম অনেক বড় একটি ল্যান্ডস্লাইড হবে ইসলামপুর বান্দরবান এ। এক বছরের মাথায় দেখি পাহাড় কাটা শেষ । এমন অনেক মাঠের নির্মম মৃত্যু এখন স্বাভাবিক ঘটনা। অপরিকল্পিত নগরায়ন সব গ্রাস করে ফেলে ।
০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৭
অর্ক বলেছেন: আস্ত পাহাড়! ওহ্! আর কি বলি!
ধন্যবাদ সেলিম ভাই।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
আমার কাছেও আছে ছবি। বান্দরবান এলাকায় পাহাড়ি বাড়ি ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুন্দর চাওয়া !!
তবে বাস্তব ভিন্ন।
সভ্যতা মানুষকে যেমন অনেক কিছু দিয়েছে,
তেমনি কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু।
কবির ভাষায় বলতে হয়
" দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর হে নবসভ্যতা!
হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী, দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি,"