নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:০৪



(আগের লেখার সম্প্রসারিত অংশ)

“ভারতের মানুষকে অভুক্ত রেখে, বাংলাদেশে চাল রপ্তানি সম্ভব নয়।” সে সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সরকারের চাল রপ্তানির অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে বলেছিলেন। এটা নিয়ে তখন মিডিয়ায় বেশ সমালোচনা হয়েছিলো। একটি রাষ্ট্রের অসহায়ত্ব যে আসলে কী, কেমন ও কতোটা নাজুক হতে পারে, জীবনে প্রথমবার আমি উপলব্ধি করলাম। ইতিপূর্বে আফ্রিকার নাইজারে একবার দেখেছিলাম, সেখানকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মামাদৌ তানাজা জাতিসংঘের কাছে, তাঁর দেশে ফসলহীনতার দরুন আসন্ন দুর্ভিক্ষের শঙ্কা জানিয়ে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলো। জাতিসংঘ তাঁর আহ্বানে যে কোনও কারণেই হোক তখন সারা দেয়নি (খুব সম্ভবত দূর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিলো কারণ)। ফলাফল নাইজারে ভয়াবহ খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ, অনাহারে মৃত্যু বহু দরিদ্র মানুষের। রাষ্ট্র অসহায়। জনগণ অসহায়। ২০০৭ সালে সিডর পরবর্তী খাদ্য সংকট, চালের সংকট আমাদেরকেও অনেকটা কাছাকাছি পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিলো। ভারত ছাড়া সে যাত্রায় উদ্ধারের কোনও উপায় ছিলো না। এটা ষোলো কোটি মানুষের খাদ্য সংকট। ধনী ও সামর্থ্যবানদের কিছু হতো না নিঃসন্দেহে। কিন্তু বহু সংখ্যক দরিদ্র মানুষকে নিশ্চিতভাবেই অনাহারে, অর্ধাহারে থাকতে হতো। ভাত না খেয়ে থাকতে হতো। ভারতের দিকে ভীষণ তৃষ্ণা নিয়ে চাতকের চোখে তাকিয়ে সবাই। রাষ্ট্র, জনগণ সবাই। সর্বত্র শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা। বন্ধু ভারত নিরাশ করেনি আমাদের। তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর শুরুর ওই নাবোধক তীর্যক মন্তব্য (এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাঁকে, বাংলাদেশকে ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবার নসিহত করতে দেখেছি। যে কারণে তিনি সমালোচিতও হয়েছিলেন।) উৎকণ্ঠা বাড়ালেও, শেষমেশ ভারত সেখানকার বাজারদরেই বিরাট পরিমাণের চাল রপ্তানি করে বাংলাদেশে। চাইলে, চালের দাম আরও বেশি দাবি করতে পারতো ভারত, তাহলেও বাংলাদেশকে কিনতে হতো। চাল ক্রয়ের কোনও বিকল্প ছিলো না আমাদের সামনে। এই চাল ফিলিপাইন বা থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করতে গেলে চালের দাম, পরিবহন খরচ সবমিলিয়ে সার্বিক খরচ দুতিন গুন বেড়ে যেতো। তাতেও ঘাটতি সম্পূর্ণরূপে পূরণ হতো না। ভারত বাংলাদেশের অনুরোধ রেখেছিলো। তাদের বাজারদরেই চাল রপ্তানি করেছিলো। ভারতের সেই চাল আসার পরই চালের মূল্য আবার ৪০/৫০ টাকা থেকে কমে ১৫ টাকায় এসেছিলো।

(আগের লেখাটি)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৩

অর্ক বলেছেন: এই চাল রপ্তানিকে আগের লেখায় এক ব্লগার "সামান্য চাল রপ্তানি" বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলো! আরও দুয়েকজনের সমালোচনামূলক তীর্যক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিস্তারিত লেখা হলো। এই দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি চাই যে, আমাদের দেশের মানুষ তার প্রকৃত বন্ধুকে চিনুক, জানুক। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত যে ভারতবিরোধী মনোভাব আমাদের দেশের নাগরিকদের মাঝে দেখতে পাই, তা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে তো পারলে, পাকিস্তানের এটম বোম নিয়ে এখনই যুদ্ধ করতে যায়।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নাই

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩০

অর্ক বলেছেন: আরেকবার লেখাটি পড়ার জন্য বলবো আপনাকে। এটা সাধারণ ব্যাবসা বাণিজ্যের নিয়মিত রপ্তানি ছিলো না। কোনওরকমের অন্যায় কোনও সুযোগ ভারত নেয়নি। ভারতের বাজারমূল্যে চাল রপ্তানি করেছিলো বলেই, সেই দুর্যোগ পরবর্তী সময় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পনেরো ষোলো টাকায় চাল কিনে খেতে পেরেছিলো। পিনাক রঞ্জণ চক্রবর্তী শুরুতে একটু ঝাঁকি দিয়েছিলো বৈকি! বাংলাদেশ সরকার ফ্রী চাল চায়নি। বাজারমূল্যেই চেয়েছিলো। ভারত সম্পূর্ণরূপে পাশে দাঁড়িয়েছিলো। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি অনুরোধ বিনাবাক্য ব্যয়ে রক্ষা করেছিলো। দয়া করে পুরো ব্যাপারটাকে ব্যাবসা বাণিজ্য বলে এভাবে খেলো বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। উপকারীর উপকার স্বীকার করতে হয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারত ও সোভিয়েট ইউনিয়নের মত বন্ধুপ্রতিম দেশ ছিল বলেই বাংলাদেশ অসভ্য বর্বর পাকিস্তানিদের কাছ থেকে দ্রুত আলাদা হয়ে স্বাধীন সফল রাষ্ট্র হতে পেরেছে।

পাসে ভারতের মত একটি সভ্য দেশ ছিল বলেই বাংলাদেশ আজ একটি সফল উন্নত রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের পাসে পাকিস্তান বা আরবের মত একটি দেশ থাকলে বাংলাদেশ সোমালিয়া বা ইয়ামেনের মত ধ্বংশস্তুপ দরিদ্র ভিক্কুক দেশ হিসেবে থাকতো। দ্রব্যমুল্য হত আকাশ্চুম্বি।
কিন্তু বাংলাদেশ দখলদার পাকিদের চেয়ে ৩ গুন গতিতে এগিয়েছে, ৩ গুন গতিতে আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছে।
উপকার না করুক ভারতের মত সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিবেশি হিসেবে ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
পাকিস্তান বা আরব থাকলে হত অসভ্য জঙ্গিদের আস্তানা।

আলবদরের ছানাপোনারা এসব বুঝবে না।
কারন পাকিস্তানি আমল থেকে পরিবার থেকে বোঝানো হচ্ছিল ভারত খারাপ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৮

অর্ক বলেছেন: আপনি শতভাগ সত্য বলেছেন। আফগানিস্তানের অবস্থা যেমন।

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দীর্ঘস্থায়ী হোক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.