নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেশ পুরনো একটি লেখা। দুঃখ যে আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলো!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:০৭



আপনার সাথে আমি সবিনয়ে দ্বিমত করছি। এ দেশের সংখ্যালঘু (শব্দে কোনও দোষ নেই। বহু ধর্ম আছে সমাজে, কোনও এক ধর্মের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে, বাকিগুলো স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যলঘু হবে। আমাদের কষ্ট হচ্ছে, কেন শব্দটি বারবার ব্যবহার করতে হয়।) সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু থেকেই হয়ে আসছে। এ অঞ্চলে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারা ধর্মহীন ছিলো না। তারা মূলত হিন্দু, বৌদ্ধ থেকেই ইসলাম গ্রহণ করেছে। মোঘল আমলে উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এর মধ্যে এ অঞ্চলে অনেক নিম্ন বর্ণের হিন্দু বর্ণবাদ প্রথার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ইসলামে আসে, অনেকে বিশেষ লোভে পড়ে, অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলাম ভালবেসেও গ্রহণ করে, ভয়ভীতিও ছিলো ইত্যাদি। এ তো ইতিহাস। মূলত বর্ণ বৈষম্যটাই প্রধান ভূমিকা রাখে। শুনতে আজ বিস্ময়কর শোনালেও সত্য যে, আমাদের পূর্ব পুরুষদের মাঝে এরকম বর্ণ বৈষম্য ছিলো, নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের বিশেষ বিশেষ রাস্তায় চলাচলের অনুমতি পর্যন্ত ছিলো না! তাদের বিকল্প ঘোরা পথে চলাচল করতে হতো। কারণ ওই রাস্তাগুলোতে বাবু লোকেরা হাঁটা চলা করে! যাই হোক বিস্তারিত লিখতে গেলে মন্তব্য বিরাট হয়ে যাবে। অল্প কথায় বলছি, ইসলাম এসেছেই এখানে আরেক ধর্মের পরিবর্তে, নিজে শ্রেষ্ঠ এরকম একটি ধারণা নিয়ে। যারা হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছিলো, তাদের মধ্যে অতোটা না হলেও, পরবর্তীতে ধর্মের চর্চা বাড়ার সাথে সাথে, এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে কম বেশি হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাব গড়ে ওঠে এবং তা আজও চলে আসছে। তাছাড়া এটাও তো অস্বীকার করা যাবে না যে, ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজা ও পূজারীদের ঘৃণিত, নীচভাবে তুলে ধরা হয়েছে। একেবারে প্রাইমারি স্কুলের পাঠ্যবই থেকে এগুলো পড়ানো হয়। এসব পড়ে স্বাভাবিকভাবেই মূর্তি পূজারী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অবুঝ শিশু মনেই এক ধরণের ঘৃণা, অবজ্ঞার সৃষ্টি হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরিণত বয়সেও থেকে যায়। আমি নিজেও ছেলেবেলায় হিন্দু বন্ধুদের কটাক্ষ করে আরও অনেকের সাথে ছড়া কাটতাম ‘হিন্দু হিন্দু গরুর মাথা...’। যাই হোক হিন্দু বিদ্বেষী বা হিন্দু বিরোধী মনোভাব আমাদের দেশে শুরু থেকেই চলে আসছে। আমাদের সমাজের বাতাবরণটাই এরকম যে, হিন্দুরা নীচ হীন, ওরা মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না, নানান দোষে দুষ্ট, পাপী, ওদের ধর্ম সংস্কার বলে কিচ্ছু নেই, ওদের থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যাপারটা আমরা যেমন বুঝতে পারি, তেমনি হিন্দুরাও পারে। এ কারণেই ধারাবাহিকভাবে হিন্দুরা সুযোগ পেলেই প্রতিবেশী হিন্দু প্রধান রাষ্ট্র ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। তারা সবসময়ই বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ হিন্দুদের সাথে একাত্ম হয়ে মিলেমিশে বসবাস করার মতো উদার নয়, অদূর ভবিষ্যতেও হবে না।

আপনি নিজেকে বা আপনার পরিচিত দশজন দিয়ে সারাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক এই অত্যাচার, লাঞ্ছনা বঞ্চণার সত্যতা অস্বীকার করলে তা সর্বাংশে ভুল হবে। এ দেশের আপামরসাধারণ কোনওদিন অসাম্প্রদায়িক ছিলো না, এখনও নেই, অদূর ভবিষ্যতেও হবে না। এটাই সত্য। এই তো গেল বছরই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের একের পর এক হত্যা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছিলো। ২০১৬'র কোনও এক সময়, বোধহয় এপ্রিল মে'র দিকে চট্টগ্রামে একজন ষাটোর্ধ মন্দিরের পুরোহিত বা সেবককে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হলো। তারপরের দিন নারায়ণগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন সাধারণ দর্জিকে একইভাবে হত্যা করা হলো। তারও এক দুদিন পর পাবনায় আরেকজন মন্দিরের পুরোহিত বা পূজারীকে নৃশংসভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হলো। প্রত্যেকটি হত্যাই ছিলো হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য। যাতে তারা দেশ ছেড়ে চলে যায়। গেল বছরের কথা বলছি। সারা বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের একের পর এক এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে খবর প্রচারিত হয়েছিলো। প্রত্যেকটা হত্যাই মোটিভলেস। পুরোহিত, মন্দিরের কর্মচারী, সাধারণ খেটে খাওয়া দর্জি কারোই তেমন কোনও শত্রু ছিলো না যে, এভাবে গলা কেটে হত্যা করবে। এই তিনটিই শুধু নয়, আরও হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছিলো। ভারতের মুম্বাইয়ে যেয়ে সে সময় আমার নিজেকেই দুয়েকজনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিলো এগুলো নিয়ে। ওরা আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে এসব খবর পায়। এইতো, গেল বছরের (২০১৬) কথা। আমি সামান্যই মনে করতে পারছি। ইন্টারনেটে সার্চ করলে সে সময়ের পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আরো ভয়াবহভাবে ধরা দিবে ঘটনাগুলো।

এদেশ থেকে যে হিন্দুরা ভারতে গেছে, তারা শখ করে, মনের খুশিতে বাপ দাদা চোদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে দেশান্তরী হয়নি। আপনার বোঝা উচিৎ যে, এটা উন্নত জীবনের আশায় উন্নত দেশে পাড়ি জমানো নয়। যারা গেছে তারা নিশ্চিতভাবেই কোনও না কোনওভাবে সমাজের দ্বারা নানাবিধ লাঞ্ছনা বঞ্চনা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েই গেছে। বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে বহু দরিদ্র হিন্দু ভারতে যেয়ে উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছিলো। এদের অনেকেই পরবর্তীতে নিজেদের অবস্থা ফিরিয়েছে। কিন্তু আজও ওপার বাংলার ছিন্নমূল দরিদ্র ভাসমান মানুষদের জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন, তাদের সিংহভাগই আসলে বাংলাদেশি উদ্বাস্তু। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোটের ক্ষমতায় আসার পর শুরুর দুতিন বছর, একের পর এক ধারাবাহিক অত্যাচার নির্যাতনের কারণে লক্ষাধীক হিন্দু বাংলাদেশ ছাড়ে। চট্রগ্রাম, বাগেরহাট, বরিশাল, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম অল্পবিস্তর সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের ওপর ছোটোবড়ো নানারকম আক্রমণ নির্যাতনের ঘটনাগুলো আমরা ভুলে যেতে পারি না। প্রতিদিন খবরের কাগজ ভরে থাকতো, সংখ্যালঘুদের ওপর এসব অত্যাচার নির্যাতনের খবর দিয়ে। মায়ের সামনে কন্যা পুত্রবধূকে ধর্ষণ, যুবকদের হাত পা কেটে দেয়া, ঘরবাড়ি দোকানপাটে আগুন, লুটপাট, খুনজখম, মন্দির প্যাগোডা ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি। একটি দুটো নয়, ছোটোবড়ো বহু অপরাধ সংঘটিত হয়েছিলো সে সময়, হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। মনে পড়ছে, "মা তুমি ফিরে যাও। এ দেশ আর তোমার নয়।" দূর্গা পূজার সময় রাস্তায় রাস্তায় প্লেকার্ড, ফেস্টুন, লিফলেট হাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের শ্লোগান মূখর মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন। এমনকি এইসব অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড়ো একটি অংশ সে বছর দূর্গা পূজা না করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পদস্থ মহলের অনুরোধে তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

আমি যা বললাম, তা আসলে একেবারেই চুম্বক অংশ। নিতান্তই সাধরণ একজন পাঠক, দর্শকের স্মৃতিচারণ। বাস্তবতা এর থেকেও ব্যাপক ও ভীষণ। আপনি যেভাবে এক বাক্যে এ দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের ব্যাপারটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন। বাস্তবতা তার ধারেকাছেও নেই। আপনি আমি বা আমাদের পরিচিত দশজনই বাংলাদেশের শেষ কথা নয়। এখন কোথায় কোলকাতার কোন বাবু এসে, কিছুদিন তার হিন্দু আত্মীয়ের সুরম্য অট্টালিকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে থেকে, ঘুমিয়ে, বাড়ি ফিরে যেয়ে, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে বসলো যে, "বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালো আছে।" সেটাকেই হাইলাইট করে বলছেন, এদেশে হিন্দুরা ভালো আছে। এই তার প্রমাণ। বাংলাদেশে কোনওরকম সাম্প্রদায়িক অশান্তি নেই। সবাই মিলেমিশে সুখেশান্তিতে বসবাস করছে। সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য সম্প্রীতিতে স্বর্গ বাংলাদেশ। হা হা হা!

যাই হোক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। নিশ্চয়ই আপনি একজন অসাম্প্রদায়িক উদার মানুষ। কিন্তু সবাই আপনার মতো নয়। ঢাকার দুয়েকটা অভিজাত এলাকার হিন্দুদের দিয়ে আপনি সারাদেশের হিন্দুদের অবস্থার মূল্যায়ন করতে পারেন না। করলে তা আপনার ভুল হবে।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

(প্রথমবার ২০১৭ সালে একজনের পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম। সংশোধিত রূপে সংক্ষিপ্ত আকারে ফের পোস্ট করলাম। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না। তাই রিপোস্টের ইচ্ছে হলো। আরও লেখা যুক্ত করার ইচ্ছে আছে। যা সত্য, তাকে গ্রহণ করতেই হয়। এতেই সকলের মঙ্গল। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রত্যাশায়।)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: সমস্যা আসলে দুই ধর্মের মানুষের মাঝে নয় , মুল সমস্যা আমাদের রাজনীতিতে। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু শব্দগুলোই আসলে রাজনৈতিক। উন্নত দেশে এই শব্দগুলোর অস্তিত্ব নাই। দুই ধর্মের মানুষের মাঝে যে দুরত্ব, যে ভেদাভেদ , যে পারষ্পরিক ঘৃনাবোধ তা এই উপমহাদেশের কুৎসিত রাজনীতির তৈরী।

উপমহাদেশ থেকে বেরিয়ে যখন একজন ভারতীয় বা বাংলাদেশী প্রবাসে পারি জমান তখন সেই দুরত্ব ঘুচে যায়।দূরে বসে একজন বাংলাদেশী ও ইন্ডিয়ান তখন নিজ নিজ দেশের কুৎসিত রাজনীতির সমালোচনায় মেতে উঠে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

অর্ক বলেছেন: ভূমির ওপর দাঁড়িয়ে পৃথিবী। মানুষ সভ্য হলে এসব দেশ জায়গা স্থান একেবারেই গৌণ। আমেরিকা পৃথিবীর উন্নত দেশ। ওখানে সাদা কালো ও বর্ণবাদী দ্বন্দ্ব বহু আগে থেকে চলে আসছে। যে সমস্যা নিয়ে কথা হলো, তাতে রাজনীতি খুব সামান্যই অংশ নিয়েছে। হিন্দুরা এখানে অত্যাচারিত হয়েছে হিন্দু বলেই। মুসলমান হলে এসবের কিছুই হতো না। রাজনীতি থাকলেও ঘুরেফিরে কারণ ওই ধর্মই।

আপেল লেবুর হাস্যকর তুলনা করলেন! প্রবাসের ব্যাপার আলাদা। ওখানে আরেক দেশের শর্ত পূরণ করে, তাদের শর্ত অনুযায়ী থাকতে হয়। যারা যায় তারা মানসিকভাবে তৈরি হয়েই যায়। এগুলো আসলে ব্যাখ্যা করে বলা যায় না। খানিক সময় নিয়ে ভাবলে নিজেই বুঝতে পারবেন আশা করি। প্রবাসের তুলনা এক্ষেত্রে ঠিক নয়। তাছাড়া প্রবাসে গেলেই সমস্যাগুলো সমূলে শেষ হয়ে যায়, তাও তো নয়।

অনেক ধন্যবাদ। পরষ্পরের এই যে ভাবনার আদানপ্রদান, এটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুভকামনা।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৫

আমার চিরকুট বলেছেন: সংখ্যালগু এবং নিম্ম শ্রেণীর লোকজন সবজায়গাতেই অবহেলিত ছিল আছে। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালগুরা সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা, নিম্মবিত্তরা উচ্চবিত্তদের দ্বারা (এটা সম ধর্মের লোকরাই বেশি, এখানে টাকা এবং ক্ষমতাই সব), কৃষ্নাঙ্গরা শেতাঙ্গদের দ্বারা, প্যালেসটাইনা্নরা ইসরায়েলিদের দ্বারা ইত্যাদি।
সুস্থ রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিপ্লবই এর সমাধান করতে ভূমিকা রাখতে পারে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

অর্ক বলেছেন: বাংলাদেশে একবার প্যালেস্টাইন ফুটবল খেলতে এসেছিলো। টিভিতে ইসরায়েলের খেলাও দেখেছিলাম। আমার জন্য সেটাও কম নয়, সমস্যা বুঝতে। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। লম্বা মানুষ মাত্রই খর্বাকৃতির মানুষকে করুণার চোখে দেখে। কিন্তু তারা তা প্রকাশ করে না!
"সুস্থ রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিপ্লবই এর সমাধান করতে ভূমিকা রাখতে পারে।" উঁহু, কিছুতেই কিছু হবে না। এভাবেই মানবসভ্যতা এগিয়েছে। এগিয়ে যাবেও। নিজেকে বদলান। দেখার জানার বোঝার দৃষ্টি আরও আরও অনেক প্রসারিত করুন। আপনার মঙ্গলের জন্য আমার প্রার্থনা রইলো।

অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২২

আমার চিরকুট বলেছেন: ক্রিকেটার সামিকে যারা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে চাচ্ছে তারাও সংখ্যাগরিষ্ট।
আহা বেচারা সামি সংখ্যালগু মুসলিম।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

অর্ক বলেছেন: এসব আবোলতাবোল নিয়ে থাকবেন না। অনেকে দেখলাম বলছে, বিরাট কোহলি নাকি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পাকিস্তানিদের সাথে হাত মিলিয়েছে। আমার কাছে প্রিয় নেতা নরেন্দ্র ভাই মোদি কি বললেন, কি লিখলেন, কি করলেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। তিনিই প্রকৃত কর্মবীর। তাকে অনুসরণ করুন। মুসলমান বাচ্চাদের স্কুল থেকে ড্রপ আউট ষাট শতাংশ থেকে কমিয়ে ত্রিশে নিয়ে এসেছেন। বহু দরিদ্র মুসলিমকে পাকা ঘর দিয়েছেন, শৌচাগার দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়েছেন। প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন, পিছিয়ে পরা মুসলমানদের সমাজের মূখ্য ধারায় নিয়ে আসার। যাদের কুৎসিত বিকৃত রাজনীতি করার, তারা করবেই। আসল কর্মবীর নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে অনুসরণ করুন। ওখানকার মুসলমানদের মাঝেও সচেতনতা গড়ে উঠছে।

আবোলতাবোল নিয়ে থাকবেন না! এই মন্তব্য এখানে করারও দরকার ছিলো না! নিজের দেশে একটা সম্প্রদায়ের মানুষ কমতে কমতে শূন্যে এসে ঠেকেছে। তারপরও এরকম হামলা অত্যাচার, নির্যাতন! এটা আমাকে দারুণ বিষণ্ণ করে। আগে যা বললাম, আপনার দেখার দুনিয়াকে আরও প্রসারিত করুন।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খুব সুন্দর সুগারকোড দিয়ে লিখেছেন।ইসলাম ধর্মেই আছে ,একমাত্র ইসলাম ধর্মই হলো সত্য ধর্ম বাকী সব অধর্ম।

সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।
কুরআন ৮ঃ৫৫
নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত।
কুরআন ২ঃ১৬১
বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না।
কুরআন ২ঃ২৫৭
কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে-সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান।
কুরআন ৩ঃ১২
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।
কুরআন ৩ঃ৩২
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।
কুরআন ৭ঃ১৭৯
অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
কুরআন ৩ঃ৫৬

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

অর্ক বলেছেন: যা লিখেছেন, এগুলোতে আমার কোনওরকমের কোনও ধারণা নেই। তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ভালো হয়, আপনি একটি পোস্ট দিন। এখানে বেশ ক'জন ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, আলোচক আছেন। তারা আলোচনায় অংশ নিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩০

উদারত১২৪ বলেছেন: বাঙালি সম্পর্কে বাবরের মূল্যায়ন কতটুকু ছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.