নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলমগিরের বেজি

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৮



কুকুরটিকে হত্যা করলো ওরা। পৈশাচিক উন্মত্ততায় কামড়ে আচড়েহাচড়ে ফালাফালা করলো। ভীষণ কদাকার তিনজন লোক। অপরাধ: বাড়াবাড়ি রকম মুত্র ত্যাগ করতো। শহর নোংরা, রোগব্যাধি। বলতে চেয়েছিলাম, বহুমূত্রে আক্রান্ত হবে। পসু চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা আছে। কিন্তু আক্রমণাত্মক ভাবভঙ্গি দেখে সাহস হয়নি। পাছে আমাকেও না... উফ! আর বাল্যবন্ধু আলমগিরকে মনে পড়লো। ওর একটা পোষা বেজি ছিলো। বেজিকে ঠিক পোষ মানানো যায় না। সুযোগ পেলেই ছুটতো এদিকসেদিক। প্রায়শ দেখতাম, অনুসরণ ক’রে পিছন পিছন ছুটছে। খুব হাসতাম। বেজি দৌড়ায়, পিছনে আলমগির। হা হা হা। এভাবে দীর্ঘদিন একসাথে ছিলো। ভাবছি, এরপর বাড়ি গেলে, সেই বেজির শেষ পরণতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০০

গরল বলেছেন: মানুষের কাছে সবই পোষ মানে যদি মানুষ মানুষ হয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৪

অর্ক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

নীল বরফ বলেছেন: ঢাকার বাসাতে তখন আমার জার্মান শেপার্ড কুকুরটা মাঝবয়সী। এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় হটাত করে আকাশ কালো করে নেমে আসা কালবৈশাখী ঝড়ে আমি আর কুকুরটা মিলে বাড়ির বড় বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছি। বাড়ির উঠানের বামেই নানীর যত্নে পুতে দেয়া আঁটি থেকে সে এক বিশাল আমগাছ রয়েছে বহুকাল ধরেই। সেই আম গাছের আম নিতে গেটের কাছে এক লোক এসেছে এতো ঝড়-বৃষ্টির মাঝেও, হাতে বেশ লম্বা করে লাঠি নিয়ে। কুকুর হটাত করে অনাংখিত আগুন্তক দেখে ছুটে চলে যায় গেটের কাছে। লোকটা গেটের নিচের রেলিং নিচ দিয়ে আমার কুকুরটা সেই লাঠি নিয়ে বেশ কয়েকটা প্রচন্ড জোরে আঘাত করে।

মাথায় আমার খুন চেপে যায় এক সেকেন্ডের লক্ষ ভগ্নাংশে। নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে ফেলে দেয়া দেড় হাত সমান রড নিয়ে আমি সেই প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝে গেট খুলে সেই লোকটিকে পাগলের মত বেশ কয়েকটা বাড়ি দেই বাহু-পিঠের দিকে। সাথে সাথে মাটিতে পরে গিয়ে আমার কাছে মাফ চাইতে থাকে "শুভ ভাই আমার ভুল হইছে,আমি মনে করছি গেট খোলা,কুত্তা আমারে কামড় দিতে আইছে"। আমি মাথা নিচু করে হিসহিসিয়ে বলি" নেক্সট টাইম যদি আমি তোরে এই গেটের সামনে আসতে দেখি; তোকে ধরে শেষ করে ফেলবো। আমি লোকটাকে কিন্ত চিনতে পারিনি;কিন্ত আমাকে ঠিকিই চিনেছিলো,এলাকায় আমার কুকুরপ্রীতির সবাই জানতো।
পরে আমি কিছুদিন নজর রেখেছিলাম বাবার কাছে কেউ বিচার নিয়ে আসে কিনা। কেউ আসেনি;কিন্ত এক লোক দেখেছিলাম আড়চোখে আমাকে খেয়ার করছে বারবার,নড়াচড়া একটু কম সাধারন এক মানুষের চলাফেরা থেকে।
দেশ ছাড়বার দুইদিন আগ থেকে কুকুরটা খাবারদাবার ছেড়ে দিয়ে আমার কোলে মাথা রেখে চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছিলো। সেই PTSD থেকে আমি আজো বের হতে পারিনি,আমি চাইও না বের হতে; থাকুক না কিছু Unbearable grief একান্ত নিজের মাঝে। ঢাকার বাসাতে তখন আমার জার্মান শেপার্ড কুকুরটা মাঝবয়সী। এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় হটাত করে আকাশ কালো করে নেমে আসা কালবৈশাখী ঝড়ে আমি আর কুকুরটা মিলে বাড়ির বড় বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছি। বাড়ির উঠানের বামেই নানীর যত্নে পুতে দেয়া আঁটি থেকে সে এক বিশাল আমগাছ রয়েছে বহুকাল ধরেই। সেই আম গাছের আম নিতে গেটের কাছে এক লোক এসেছে এতো ঝড়-বৃষ্টির মাঝেও, হাতে বেশ লম্বা করে লাঠি নিয়ে। কুকুর হটাত করে অনাংখিত আগুন্তক দেখে ছুটে চলে যায় গেটের কাছে। লোকটা গেটের নিচের রেলিং নিচ দিয়ে আমার কুকুরটা সেই লাঠি নিয়ে বেশ কয়েকটা প্রচন্ড জোরে আঘাত করে।

মাথায় আমার খুন চেপে যায় এক সেকেন্ডের লক্ষ ভগ্নাংশে। নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে ফেলে দেয়া দেড় হাত সমান রড নিয়ে আমি সেই প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝে গেট খুলে সেই লোকটিকে পাগলের মত বেশ কয়েকটা বাড়ি দেই বাহু-পিঠের দিকে। সাথে সাথে মাটিতে পরে গিয়ে আমার কাছে মাফ চাইতে থাকে "শুভ ভাই আমার ভুল হইছে,আমি মনে করছি গেট খোলা,কুত্তা আমারে কামড় দিতে আইছে"। আমি মাথা নিচু করে হিসহিসিয়ে বলি" নেক্সট টাইম যদি আমি তোরে এই গেটের সামনে আসতে দেখি; তোকে ধরে শেষ করে ফেলবো। আমি লোকটাকে কিন্ত চিনতে পারিনি;কিন্ত আমাকে ঠিকিই চিনেছিলো,এলাকায় আমার কুকুরপ্রীতির সবাই জানতো।
পরে আমি কিছুদিন নজর রেখেছিলাম বাবার কাছে কেউ বিচার নিয়ে আসে কিনা। কেউ আসেনি;কিন্ত এক লোক দেখেছিলাম আড়চোখে আমাকে খেয়ার করছে বারবার,নড়াচড়া একটু কম সাধারন এক মানুষের চলাফেরা থেকে।
দেশ ছাড়বার দুইদিন আগ থেকে কুকুরটা খাবারদাবার ছেড়ে দিয়ে আমার কোলে মাথা রেখে চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছিলো। সেই PTSD থেকে আমি আজো বের হতে পারিনি,আমি চাইও না বের হতে; থাকুক না কিছু Unbearable grief একান্ত নিজের মাঝে।

১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

অর্ক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য। খুব ভালো লাগলো জেনে। স্নিগ্ধ হলাম। এখানে এভাবে পূর্বে আমার কোনও লেখায় কেউ মন্তব্য করেছে বলে মনে পড়ছে না। সত্যি, প্রাণ ভরে উঠলো। মনে পড়ছে, শৈশবে আমারও পোষা বিড়াল ছিলো। বিভিন্ন অম্লমধুর স্মৃতি।
যাই হোক, আমার পরিচিত একজনের লাসা অপসো জাতের একটি পোষা কুকুর ছিলো। সন্তানের মতো ভালবাসতো। জানি না, কুকুরটি আজ বেঁচে আছে কিনা। বেশ ক'বছর আগের কথা। তখন প্রবীণ। চোখে ছানি পড়েছে। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। বার্ধক্যজনিত কারণে হাঁটাচলাও শ্লথ হয়ে এসেছিলো। আপনার মন্তব্য পাঠে মনে পড়ে গেলো। অনেকটাই নিশ্চিত যে, কুকুরটি আজ আর বেঁচে নেই। কুকুরের আয়ুষ্কাল মাত্র ১৪-১৫ বছর! সে সময় ও ওই বয়সেরই হয়ে থাকবে। তাই ধরে নিতে পারি, আজ আর বেঁচে নেই।
সম্ভব হলে, ওরকম একটি লাসা অপসো জাতের কুকুর সংগ্রহ করে পুষবেন। হা হা হা। এদের মতো সুদর্শন প্রাণী মনে হয় না পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি আছে। এই জাতের কুকুরদের সিংহের মতো কেশর থাকে। এরা খর্বাকৃতির। কিন্তু ভীষণরকম প্রভুভক্ত। একটা লাসা অপসো কুকুর থাকলে, সুরক্ষার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারবেন। বাইরের লোকদের অনুমতি ছাড়া ঘরে আসতে অব্দি দেয় না। দরজায় পা ঠেকে দাঁড়িয়ে থাকে। বাড়াবাড়ি করলে কামড়ে আচড়ে বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। বিধাতার অপূর্ব এক সৃষ্টি, এই লাসা অপসো জাতের কুকুরগুলো। যেমন সুন্দর দেখতে, তেমনই কাজের। ভয় ব্যাপারটা এদের মাঝে নেই। বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। ওখানে পেতে পারেন। এদের হাজার বছরের প্রভুভক্তির ইতিহাস আছে। আপনার চমৎকার এ দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে ইচ্ছে করলো সময় নিয়ে আমিও কিছু শেয়ার করি। তাই এ লাসা অপসো কীর্তন। এতো কথা! বিরক্তির উদ্রেক করলে ক্ষমাপ্রার্থী।

অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.