নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান শুনতে ভালবাসি কিন্তু গান গাইলে সবাই পালায়। প্রেম করি কিন্তু প্রেমিকা নাই। লেখালেখি করি কিন্তু পাঠক নাই। আমি আছি কিন্তু কেউ নাই...

আসিফ বিন হোসেন

পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!

আসিফ বিন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি কখন আসবে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১০

"তুমি কখন আসবে?"-ম্যাসেজটা বিকালে দিয়েছিল পরি। অফিসের মিটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। একটা প্রেজেন্টেশন ছিল আমার। করেছি, তাও ইনকমপ্লিট। কোনও মতে ম্যানেজ করে নিয়েছি। তাই আর ফোন বের করে পরির ম্যাসেজ দেখার আর রিপ্লে দেয়ার সময় ছিল না।

আমার ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। আমি তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে রিকশা নিয়ে নিলাম। জিগাতলা থেকে আজিমপুর। বেশিক্ষণ লাগবে না। আমার চিন্তার কারণ অসংখ্য! এক, পরি প্রেগনেন্ট। দুই, ডেলিভারির শেষ সপ্তাহ। ডাক্তার আমাকে বলে দিয়েছিল শেষ সপ্তাহে যেকোনো সময় ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। তিন, পরি জানে, আমার অফিস আছে তাও বিকেলে কেন এমন ম্যাসেজ দিল? মুহূর্তে আমাকে হাজারো প্রশ্ন ঘিরে ধরল।

মা বাসায় আছে। ভীষণ আদর করেন পরিকে। এই নিয়ে চিন্তা নেই। যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে ভাইয়াকে নিশ্চিত ভাবে ফোন দিবেন (ভাইয়া ডাক্তার)।
রিকশায় থাকতে আমি ভাইয়াকে ফোন দিয়ে ব্যাপারটা বললাম। ভাইয়া আমার উত্কন্ঠা বুঝতে পারল। তবুও আমাকে কয়েকটা ভিটামিনের ওষুধের নাম বলে দিল। আমিও রিকশা থামিয়ে কিনে নিলাম।
একটা মেয়ে যখন প্রথম মা হয়, তখন একটা ছেলেও তো প্রথমবারের মতো বাবা হয়! উত্কন্ঠায় থাকা স্বাভাবিক। আমি রীতিমতো চিন্তায় ডুবে আছি।
রিকশা থামার সাথে সাথে আমি কোনও মতে ভাড়াটা দিয়ে দৌড় দিলাম! চার তলায় অন্যদিন উঠতে আমার রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে, কিন্তু আজ মুহূর্তে উঠে পড়লাম!

আম্মা দরজা খুলে দিল। "আম্মু, পরি ঠিক আছে?"
মা হেসে দিল। "ঠিক আছে বাবা ঠিক আছে"
আমি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। ড্রয়িং রুমে এসে দেখি, পরি আপেল খাচ্ছে। মাও এসে বসল পরির পাশে। শাশুড়ি-বউ মিলে গল্প করছে!
আমি জিজ্ঞাসা করলাম,"তোমার ম্যাসেজ পেয়ে কি যে টেনশন হচ্ছিল জানো?"। পরি তখন ফিক করে হেসে দিয়ে বলল,"তোমাকে ভীষণ মিস করছিলাম। আর জানো, মা তোমার গল্প বলছিল! তোমার নাকি ভীষণ রকমের ডায়রিয়া হয়েছিল জন্মের পর!"। মাও হাসছে পরিও হাসছে। আমি কিছুক্ষণ রাগান্বিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থেকে দুইজনকেই ভেঙিয়ে দিলাম!

মা আমার জন্য আপেল আনতে গেলেন। আমি পরির পাশে বসলাম। পরি আমার হাত ওর পেটের উপর ধরে বলল,"তুমি আমাকে ছুঁতে পারছো না বলে অনেক রাগ হয় তোমার? আমি জানি, রাগ হয়। কিছুদিন পরে তো বাবু চলে আসবে। রাগ করিও না প্লিজ!"
মেয়েদের এই সময়টায় মেয়েরা একটু আদর চায়, ভরসা চায় কারও। স্বামী যদি একটু ভরসা দেয় যে আমি পাশে আছি, তাহলে মেয়েটা আরও দ্বিগুণ বেশি ভালোবেসে ফেলে তার স্বামীকে! আমি পরির হাতটা শক্ত করে ধরলাম। আমার ওই ধরাতে ভরসা ছিল, আদর ছিল, ভালোবাসা ছিল....❤

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

আপনার আপন বলেছেন: awsome feelings.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.