নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার \'ঘটাংঘট\' পাতায় প্রকাশিত গল্প

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

গলাফোলা কোলাব্যাঙ
বিএম বরকতউল্লাহ্
ডোবার ধারে কোলাব্যাঙেদের মেলা বসেছে। এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। অমনি শুরু হলো ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ। রাত হয় হয়। ব্যাঙেদের ডাক শুনে ঘর থেকে ছুটে গেল একটি বেড়ালছানা।
একটি কোলাব্যাঙ থপ্ থপ্ করে এগিয়ে গেল বেড়ালছানার কাছে। বেড়ালছানাটি বলল, আমি যদি তোমার মতো গলা ফুলিয়ে ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ করে ডাকতে পারতাম আর তুমি যদি আমার মতো ‘মিয়াঁও’ করে ডাকতে পারতে, ব্যাপারটা দারুন মজার হতো!
কোলাব্যাঙ বলে, কেমন মজার হতো, বলো তো শুনি।
বেড়ালছানা বলে, আমার মনিব পিন্টু ছাগল, বেড়াল, কুকুর, ব্যাঙ ও শেয়ালের মতো করে ডাকতে পারে। সে এ জন্য ইস্কুলের অনুষ্ঠান থেকে পুরস্কারও পায়; তার অনেক দাম!
এ কথা শুনে কোলাব্যাঙটি মনে মনে বলে, আমি যদি সকল ব্যাঙের মধ্যে গিয়ে বেড়ালের মতো ‘মিয়াঁও’ করে ডাক শুরু করে দিই-কেমন মজা হবে!
কিন্তু আমরা সেটা কী ভাবে করতে পারি?
খুব সোজা, বেড়ালছানা বলল, আমি আমার ‘মিয়াঁও’ ডাক তোমাকে দেব আর তুমি তোমার ‘গলাফোলা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ দিয়ে দিবে আমাকে। তাহলেই দেখবে আমরা একটা চমক দেখাতে পারব।
দু’জনেই রাজি। ব্যাঙ নিল ‘মিয়াঁও’ ডাক আর বেড়াল নিল ‘গলাফোলা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’।
কোলাব্যাঙ বলল, আমাকে তোমার লেজটিও দিয়ে দাও।
বেড়ালছানা তার লেজটি কোলাব্যাঙকে দিয়ে দিল।

দুই.
পিন্টুরা রাতের খাবার খেতে বসেছে। এমন সময় বেড়ালছানাটি ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডেকে উঠল। ওরা চমকে উঠে বলল, এ্যাঁ, এখানে ব্যাঙ ডাকে কেন? বেড়ালছানাটি আবারও গলা ফুলিযে ডাকল। সবাই ভাতের থালা হাতে নিয়ে পিঠ বাঁকা করে দাঁড়িয়ে গেল। একজন বলল, এটা একটা ভূতের ছাও। ধুমছে পেটাও। বেড়ালছানাটি আচ্ছা রকম বাড়ি খেয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে সোজা চলে গেলো ডোবার ধারে।

সেখানে গিয়ে দেখে কয়েকটা ব্যাঙ একটি ব্যাঙের উপর লাফিয়ে পড়ছে আর কামড়াকামড়ি করছে। মাঝে মাঝে মিয়াঁও শব্দ শুনা যাচ্ছে। কেউ বলছে, এটা একটা বজ্জাত বেড়ালছানা। ওকে কাদায় পুঁতে ফেলো। ব্যাঙটি কোনো মতে বের হয়ে চলে গেলো সেই গাছের তলে-যেখানে বেড়ালছানাটি শুয়ে জিহ্ববা দিয়ে চেটে তার শরীর মেরামত করছে।

আহত ব্যাঙটি হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, আমার জিনিস আমাকে ফিরিয়ে দাও আর এই লও তোমার লেজ আর মিয়াঁও। বেড়ালছানা বলল, ভারী বিপদ! চমক দেখাতে গিয়ে নিজেই চমকে গেলাম!
সত্যি আমরা নির্বোধ। নিজের গুণের প্রকাশ না করে অন্যের গুণ নিজের বলে চালাতে গেলে এমন বিপদে পড়তে হয়-বলেই কোলাব্যাঙটি ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করতে করতে ডোবার দিকে চলে গেল।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, লিখুন

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

আহা রুবন বলেছেন: লিখেছেন শিশুদের জন্য, বড়দেরও ভাল লাগবে। শুভেচ্ছা জানবেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কারণ সব বড়রাদের মাঝে একটা শিশুমন আছে।

ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ভালো ল । আরো একটু বড় হতে পারত গল্পটা ।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আসলে ছোটরাও এখন এত ব্যস্ত থাকে যে বড় গল্প পড়ার সময় খুব একটা পায় না।
সে দিকে খেয়াল রেখেই গল্পের আকার ছোট রাখি। তবে মাঝে মাঝে বড়গল্পও লিখি।
ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

মারিয়া ফেরদৌসী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

জুন বলেছেন: নিজের গুণের প্রকাশ না করে অন্যের গুণ নিজের বলে চালাতে গেলে এমন বিপদে পড়তে হয়। গল্পের সারমর্মটি সবার জন্যই শিক্ষণীয়।
ভালোলাগলো ক্ষুদে পাঠকদের জন্য লেখা ক্ষুদে গল্পটি।
+

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: প্রতিটা মানুষের ভেতরই অসীম সম্ভাবনা আছে।
আমরা সেটার সন্ধান না করে অন্যেরটা নিয়ে বড়াই করতে চাই।
ধন্যবাদ নিন।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

মেহেদী রবিন বলেছেন: ঈশপের ফেবলের মত। সুন্দর

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.