নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গলাফোলা কোলাব্যাঙ (ছোটোদের ছোটোগল্প)

২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

ডোবার ধারে কোলা ব্যাঙের মেলা বসেছে। এরা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে ডাকাডাকি করছে। তাদের গলা বেলুনের মতো ফুলে উঠছে। ব্যাঙের ডাক শুনে এক বিড়ালছানা ছুটে গেল ডোবার ধারে। ছানাটি ব্যাঙের মতো করে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডাকতে চাইল। আওয়াজ হয় ‘মিঁয়াও’। নাহ্ ‘মিঁয়াও’ ডাক আমার মোটেও ভালো লাগে না। আমি ডাকব কোলাব্যাঙের মতো, বলে বিড়ালছানা।
একটি কোলাব্যাঙ থপ্ থপ্ করে এগিয়ে এল বিড়ালছানার কাছে।
বিড়ালছানাটি বলল, আমি যদি গলা ফুলিয়ে ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ করে ডাকতে পারতাম আর তুমি যদি আমার মতো ‘মিয়াঁও’ করে ডাকতে পারতে, ব্যাপারটা দারুন মজার হতো!

কোলাব্যাঙটি বলল, আমরা সেটা কীভাবে করতে পারি?
খুব সোজা, বলল বিড়ালছানা। আমি আমার ‘মিয়াঁও’ ডাক তোমাকে দেব আর তুমি তোমার ‘গলাফোলা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ দিয়ে দিবে আমাকে। তাহলেই দেখবে আমরা একটা চমক দেখাতে পারব।

দু’জনেই রাজি। ব্যাঙ নিল ‘মিয়াঁও’ ডাক ও বিড়ালের লেজ আর বিড়ালছানা নিল ‘গলাফোলা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’।
তারপর বিড়ালছানা গলা ফুলিয়ে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে ডাকল আর কোলাব্যাঙ লেজ নেড়ে ডাকল মিয়াঁও।
টিপলুরা রাতের খাবার খেতে বসেছে। এমন সময় বিড়ালছানাটি ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ ডেকে উঠল। ওরা চমকে উঠে বলল, আরে! এখানে ব্যাঙ ডাকে কেন? সবাই ভাতের থালা হাতে নিয়ে পিঠ বাঁকা করে দাঁড়িয়ে গেল। টিপলু বলল, আজব ব্যাপার! ওটা ব্যাঙ না বিড়াল? তারা হাতের কাছে যা পেল তাই নিয়ে তেড়ে গেল। বিড়ালছানাটি ঘ্যাঙর ঘ্যাং করে এক দেৌড়ে চলে গেল ডোবার ধারে।

সেখানে গিয়ে দেখে কয়েকটা ব্যাঙ একটি ব্যাঙের উপর লাফিয়ে পড়ছে। একটি ব্যাঙ মিয়াঁও মিঁয়াও করছে। এক ব্যাঙ বলছে, এটা বিড়ালছানা ছাড়া আর কিছুই না। ও এখানে কেন? ধরো ধরো। ব্যাঙটি কোনো মতে মিঁয়াও করে চলে গেল সেই গাছের তলে, যেখানে বিড়ালছানাটি বসে জিহ্বা দিয়ে নিজের শরীর চাটছে।
ব্যাঙটি হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, তাড়াতাড়ি আমার জিনিস আমাকে ফিরিয়ে দাও আর এই নাও তোমার লেজ আর মিয়াঁও ডাক।
বিড়ালছানা বলল, ভারি বিপদ! অন্যকে চমক দেখাতে গিয়ে নিজেই চমকে গেলাম!

আসলে আরেক জনের জিনিস নিজের বলে চালাতে হয় না। এতে বিপদ হয়। একথা বলে তারা যার যার ঘরে চলে গেল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছোটদের ছোট গল্প পড়ে বড়রাও কিন্তু আনন্দ পায় যেমনটি আমি পেয়েছি+

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগতম।
সকল বড়র ভেতরেই শিশু আছে। তাই আনন্দ পায়।
অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: পিচ্চিরা এই গল্প পড়ে ভীষণ মজা পাবে নিশ্চয় যেমনটা আমি বড় হয়েও পেলাম।

আপনার কবিতা গল্পের থিমগুলো বেশ ভাবনার কবি।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগতম।
ঠিকই বলেছেন। গল্প শুধু ছোটোদের জন্যই নয়। বড়রাও পড়ে এবং অনুধাবন করে।
আমার শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.