নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইঁদুর দেখলেই সে ধড়ফড়িয়ে ওঠে। কান খাড়া করে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকে, মনে হবে ইঁদুরের আর রক্ষে নেই। ইঁদুরেরা দৌড়ে কোথায় যায় কী করে মাথা কাৎ করে সবই দেখবে সে। দেখতে দেখতে সে ঘুমিয়ে পড়বে। নাকডাকা ঘুম।
অলসের হদ্দ। খাওয়া আর ঘুম। শরীরের ওজন বেশি, নড়ে-চড়ে কম। সে যখন ঘুমায় দেখে মনে হয় একটি বালিশ পড়ে আছে। এই শরীর নিয়ে ইঁদুর ধরা? অসম্ভব।
দিনে দিনে ইঁদুরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঘরে-বাইরে ইঁদুরের উৎপাতে আমরা অস্থির। অথচ ঘরে দিব্যি একটি বিড়াল আছে! খায়-দায়-ঘুমায়।
মাঝে মধ্যে দেখি, সে ইঁদুরের পিছে ছোটে। ইঁদুর গর্তে ঢুকে গেলে বিড়ালটি অলস ভাবে বসে থাকে গর্তের কিনারে।
আজব কারবার! বিড়ালের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ইঁদুর কাঁদছে। বিড়ালটি একটু নড়াচড়া করলে ইঁদুরের কান্নার জোর বেড়ে যায়। কতক্ষণ কান্নাকাটি শোনার পর বিড়াল মন খারাপ করে ফিরে এসে সোফায় শুযে পড়ে। দেখা যায়, বিড়ালের চোখেও পানি টলমল করছে। ছিঁচকাদুনে ইঁদুরের কান্নায় ভেঙে পড়ে বিড়ালটি। তার আবার ইঁদুর ধরা!
যে বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারে না তাকে দিয়ে আর কাজ নেই।
ঘরে বিড়াল থাকবে আবার সারারাত ইঁদুরের উৎপাৎ সহ্য করব, এ হয় না। অতএব ওকে তাড়াও।
দুই.
যেই কথা সেই কাজ।
একটি চটের ব্যাগে বিড়ালটিকে রাখলাম। বিড়ালের মধ্যে কোনো ভয় বা চিন্তার লেশমাত্র নেই। আমি যেভাব ওকে ব্যাগের ভেতরে রাখলাম ঠিক সেভাবেই চুপ করে শুয়ে রইল সে। কিছু দূর যাওয়ার পর ব্যাগের মুখ খুলে দেখি, নাক ডেকে ঘুমুচ্ছে।
বাহ কি চমৎকার বিড়াল। মনে হচ্ছে তিনি শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছেন। এবার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে আরামে শুয়ে বসে খাও গে, বিড় বিড় করে বললাম আমি।
আমি বনের ভেতরে ঢুকে একটি নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে বসলাম। ঘণ ঘাসের উপর ব্যাগটা কাৎ করে রাখলাম।
বিড়ালটি ব্যাগ থেকে বের হয়ে পিঠ বাঁকা করে বুক ডন দিয়ে হাই তুলল। আমি আঙুল খাঁড়া করে বললাম, খালি ঘুম আর খাওয়া। এবার বনের ভেতরে ফড়িং ধরে খাও, দেখি কেমন পারো তুমি! সে আমার দিকে তাকিয়ে একবার মিঁউ করল। মনে হলো সে আমাকে বিদায় জানালো। আমি হন হন করে চলে এলাম।
তিন.
এক অলস বিকেলে উঠোনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আমার মেয়ে সুমু হঠাৎ চিৎকার করে লাফিয়ে উঠল। আব্বু দেখো, দেখো, আমাদের বিড়াল চলে এসেছে, বলে সে আনন্দে ছটফট করতে লাগল।
আচানক কারবার! বিড়ালটি ছুটে আসছে আমাদের দিকে। তার মুখে একটা ইঁদুর।
সুমা আনন্দে দুহাত বাড়িয়ে বিড়ালটিকে কোলে নিতে চাইল কিন্তু বিড়ালটি মুখের ইঁদুরটি উঠোনে ছেড়ে দিয়ে খেলায় মেতে উঠল। বিড়ালের কাণ্ড দেখে খুশিতে সকলের মুখ চিকচিক করে উঠলো।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এ দুনিয়াতে যে যাই কিছু করুক না কেন , তা সে মানুষ বা প্রাণী প্রয়োজনে বা ঠেকায় পড়েই করে।
বসে বসে খাবার খেতে পারলে বিড়াল কেন ইদুর ধরার মত কষ্টকর কাজ করবে?