নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন বছরে আমার ফ্ল্যাট ভাড়া কমল!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:০৮



ইউকেতে বেশীর ভাগ বাড়ীর ভাড়া ও কাজের বেতন সপ্তাহান্তেই দেয়! এই নতুন বছর ২০১৯র দ্বিতীয় সপ্তাহে হাউজিং অথরিটি হতে চিঠি পেলাম! ভেবেছিলাম যে হয়ত নতুন বছর ২০১৯র যথারীতি শুভেচ্ছা সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের পঞ্জিকা! কিন্তু পত্রটা খুলেই মনটা খুশী হল যে কাউন্সিলের অধীন এই কতৃপক্ষ তাদের বিভিন্ন ভাড়াটিয়াদের বাড়ীভাড়া কমিয়েছে। যদিও সামান্য তবে সেটা অবশ্যই ভাল। কাউন্সিলের অধীনে ভাড়াটা হয় এক মূল ভাড়া + সার্ভিস চার্জ! এতে মাসে একবার জানালা (বাইরের অংশে), করিডোর-সিড়ি পরিস্কার সহ বিদ্যুৎ খরচ গুলি সার্ভিস চার্জ হিসেবে গণ্য হয়। তো এখানে আমাদের সবার ভাড়াই ৫% কমানো হইছে। তাতে ঐ সার্ভিস চার্জ ঠিক থাকলেও মূল ভাড়া কিছুটা কমে গেল। সাধারণত আমরা বেশীর ভাগ ভাড়াটিয়ারা ৪ সপ্তাহ পর পুরো চার সপ্তাহেরই ভাড়া একসাথে ব্যাংক একাউন্ট(Dircet Debit), টেলিফোন, হাউজিং অথরিটির ওয়েবপেইজে গিয়ে অথবা পোষ্ট অফিসের মাধ্যমেও তা শোধ করা হয়। কাজেই আগামী ফেব্রূয়ারী মাসে যে জানুয়ারীর ভাড়াটা দিব তাতে সেটা ৫% কমে যাবে।

এছাড়া কাউন্সিলের বাইরেও বেসরকারী তথা প্রাইভেট হাউজওনারাও বাড়ী ভাড়া এভাবে না কমালেও তারা বছর বছর ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারে না। এই বিষয়ে বৃটিশ আইন খুব কড়াকরি! তাই বৃটেনে কি কাউন্সিল কি বেসরকারী ভাড়াটিয়াদের কাউকেই বছরের শেষে কিংবা বছরের শুরুতে বাড়ীওয়ালাদের থেকে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ভয় করতে হয় না। এখানে বাসস্থান সব নাগিরিকদের মৌলিক অধিকার। কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সবাই কোন না কোন আবাসনে থাকে সেটা কোন সরকারী হোষ্টেল হলেও। আর বিশেষ করে কোন নারী ও তার সন্তানদের(১৮র নীচে) কখনও খোলা আকাশের নীচে থাকতে হয় না। বিষয়টাকে খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে গণ্য করে বৃটিশরা!

গত বছর ২০১৮র ডিসেম্বেরের শুরুতেই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন আত্নীয়, বন্ধুরা জানায় যে তাদের বাড়ীওয়ালারা ৫-১০% ভাড়া বৃদ্ধির নোটিশ দিছে। অর্থাৎ এই জানুয়ারী ২০১৯ থেকেই তা কার্যকর হয়ে গেছে! পরিস্থিতি যা বুঝছি সেটা ভয়াবহ;

লাগামহীন বাড়ি ভাড়ায় বিপর্যস্ত রাজধানীর ভাড়াটিয়ারা

https://www.odhikar.news/national/39162/

পশ্চিমা উন্নত দেশগুলিতে যারা বাড়ী ভাড়া করে থাকে তাদের বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে আনন্দ করে থাকলেও বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকাতে ভাড়াটিয়াদের থাকতে হয় ভাড়া বৃদ্ধির আতংকে। অধিকারের ওয়েবসাইটে দেখলাম যে ১৯৯১ সালে বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা আইন হইছে। কিন্তু বিগত ২৮ বছরে এই আইনের প্রয়োগ হইছে সেই বিষয়ে আমার জানা নাই। এখন ভবিষ্যতে আদৌ এই আইনের প্রয়োগ ঠিকমত হবে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে কোনো কিছুই কমে না না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :(

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

বাংলার মেলা বলেছেন: সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয় চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে। আমি মিরপুরের যে এলাকায় থাকি, সে এলাকায় বলতে গেলে এমন কোন বাসা নেই, যেখানে টু লেট সাইন লাগানো নেই। ভাড়াও তেমন বেশি নয়। তারপরেও তো মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছেনা। কিন্তু সবাই যদি গুলশান-বাড্ডা-উত্তরা এলাকায় থাকতে চায় - স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকার ভাড়া বেশি পড়বে এবং সময়ের সাথে সাথে বাড়বে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

আল ইফরান বলেছেন: বাংলার মেলার কথায় যুক্তি আছে। আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফিক এন্ড রিসোর্স ডিস্ট্রিবিউশান এর আনুপাতিক হার ভারসাম্যপূর্ণ নয়।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.