নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারও গোলামী করব না বলেই দেশ স্বাধীন করা হয়েছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৭


দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা নেই তা আমরা সবাই জানি। জার্মান বংশদ্ভুদ আমেরিকান কবি ও লেখক চার্লস বুকওয়স্কি বলেছেন যে, "গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হল গণতন্ত্রের জন্য আগে ভোট দিতে হয় তারপর শোষিত হতে হয় আর স্বৈরতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না"। কিন্তু আমরা কোন সরকার ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হচ্ছি? আমাদের জনগণকে ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয়নি তবে শত শত কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে নির্বাচন নামে রঙ্গ নাটকের জন্য যা এদেশের জনগণের রক্ত ঘাম করা উপার্জিত অর্থ। বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু ঋন এর পরিমাণ ১৩,১৬০ টাকা। গত বছরের জুনে অর্থমন্ত্রী ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের হিসাব দিয়ে সংসদে বলেছিলেন, বাংলাদেশের জনগণে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৭০০ টাকা। এই হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬০ টাকা। সরকার ব্যবস্থা যায় হোক এই ঋণ জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা আইআরআই সম্প্রতি তাদের এক জরিপের ফল প্রকাশ করেছে আর তাই নিয়ে বাংলাদেশে সরকার দল ও বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। কারণ জরিপের বিষয়বস্তু বাংলাদেশের রাজনীতি। জরিপে দেখা গেছে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে! পক্ষান্তরে বেশির ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে। তাহলে ব্যাপারটা কি হল? ভারী মুশকিল আসলে কাদের মাথা খারাপ আমাদের রাজনীতিবিদদের, আইআরআই নাকি আমরা জনগণের যারা জরিপে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমরা বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে রাজনীতিবিদরা বিদেশী সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যম গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয় কোন সত্যতা বা যথার্থতা ছাড়ায়। কারণ আমরা পরের গোলামী করতেই বেশি ভালবাসি। আর যদি সেই বিদেশী সংস্থা কাহারও পক্ষে বলে তাহলে তো কোন কথায় নেই।
৭ই মার্চ ২০১৫ সাল, আমি বাংলাদেশের জন্য উত্তাল মার্চ কেমন গুরুত্বপূর্ণ এই নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া নামকরা প্রতিষ্ঠান বিবিসি’র নিউজ ওয়েব সাইটে কিঞ্চিৎ চোখ বুলিয়ে আমি রীতিমত হতবাক। যে মহান মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্ব, গৌরব অন্তরে ধারণ করে বেড়ে উঠেছি সেই মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য বছরের পর বছর প্রচার করে যাচ্ছে এই বিশ্ব মিডিয়া মাদবর বিবিসি। প্রথমে দেখে ক্ষিপ্ত হলেও ভাবলাম হয়ত অনাকাঙ্ক্ষিত ভূল করেছে তারা, তাই বেশ নমনীয় ভাবে একটি ইমেইল করি বিবিসি কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু স্টুয়ার্ড ওয়েব নামে একজন আমাকে যে উত্তর দিয়েছিলেন তাতে আমি ক্ষিপ্ত না হয়ে আর থাকতে পারলাম না, তাই এবার কড়া ভাষায় তার প্রতিবাদ করি এবং ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এর কারণ জানতে চাই আর সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কিছু দলিল দেয়। তখন আমার মনে হয়েছিল তারা আসলে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভূল তথ্য প্রকাশ করেছে। পরে তারা উচ্চতর উপদেষ্টা কমিটিতে গবেষণা ও পর্যালোচনা করে শ্যেন মস নামে বিবিসি অভিযোগ বিভাগের উপদেষ্টা তাঁদের ভূলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি সংশোধনী ফেরত ইমেইল পাঠায় আমাকে ঠিক ২৭ই মার্চ তারিখে দীর্ঘ বিশ দিন পর। সেদিন যে কত উল্লাসিত হয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে মনে হয়েছিল যেন নতুন ভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন করলাম। যায় বলি না কেন, আমরা সবাই যে এই বিশ্ব মিডিয়া কে খুব গুরুত্ব দেয় কারণ তাঁদের প্রতিবেদন বা জরিপ যদি আমাদের সরকার অথবা বিরোধীদের পক্ষে যায়। তারা যা প্রচার বা প্রকাশ করে তা মানুষ সত্য বলেই ধরে নেয়। বিবিসি ভূল তথ্য প্রকাশ করেছিল যে ‘১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের জন্ম হয়’। তাহলে বলুন তো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ত্রিশ লাখ শহীদ, গণহত্যা, দুই লাখ মা-বোনের সম্রম্ভ হরণ কোথায় গেল?
এখন বিবিসি সাইটে বাংলাদেশ এর জন্ম ইতিহাস হল ‘১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন দেশের জন্ম হয়।
তাই শুধু বিদেশী সংস্থা, মিডিয়া বা কোন মাধ্যম কি প্রচার করল তা ভাল করে যাচায় করি তারপর তা মূল্যায়ন করি। এখন সময় নিজেদের সমস্যা নিজেদের সমাধান করার। কারও গোলামী করব না বলেই দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছেন আমাদের প্রাণ প্রিয় মহা মানুষ বীরযোদ্ধারা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মারুফ তারেক বলেছেন: ভালো লিখেছেন এবং ভালো করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ মারুফ তারেক আপনাকে।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

"জার্মান বংশদ্ভুদ আমেরিকান কবি ও লেখক চার্লস বুকওয়স্কি বলেছেন যে, "গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য হল গণতন্ত্রের জন্য আগে ভোট দিতে হয় তারপর শোষিত হতে হয় আর স্বৈরতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না"।


-হাউকাউ কবি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩১

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। গণতন্ত্রের ফর্মুলার মাধ্যমে নেতারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশ শাসন করে, তারা ভুলে যায় যে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে দেশ পরিচালনার জন্য দেশ শাসন করার জন্য নয়। তাই এই বিখ্যাত কবি উক্তিটি করেছিলেন। তাই তাঁকে হাউকাউ কবি বলা মনে হয় মার্জনীয় হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.