নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহে বেটা তুমি পুরুষ নহে

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮


আচ্ছা আমরা এত খারাপ কেন? নিজের খারাপ বিষয় নিয়ে কোন মাথা ঘামায় না অথচ অন্যের খারাপ সমালোচনা করে বেড়াই সারাক্ষণ। আমরা নিজে যা করি তা সব ঠিক মনে করি কিন্তু সেই সমান কাজ যদি অন্য কেউ করে তা নিয়ে ঘোর আপত্তি করি আমরা। আমরা বাঙ্গালীদের আবেগ যেমন খুব বেশি ঠিক আমাদের সম্মান তেমনি কম। শুধু কম তাই নয় এ যেন কচুর পাতায় সামান্য এক ফোঁটা টলমল পানি। যে কোন সময় গড়িয়ে পড়ে যাবে। এই সামান্য সম্মান ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিল মেয়েদের বিয়ের বয়স সীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হবে। সরকারের যুক্তি আমাদের মেয়েছেলেরা একে অপরের হাত ধরে ঘর ছাড়া হয় এতে পিতামাতার সম্মানহানী হয়। তাই বয়স কমালে সবাই আগে আগে বিয়ে দিতে পারবে তাতে পিতামাতার সম্মান রক্ষা হবে। কিন্তু সচেতন জনগণ এর সম্মিলিত প্রতিবাদের কারণে সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। এত সচেতনতার পরেও একটি ছেলে মাত্র ১৫ বছর বয়সের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাও আবার পারিবারিক ভাবে। ছেলেটি বিদেশে এসেছিল অনেক বড় হওয়ার বাসনা নিয়ে। দেশে মাদ্রাসা লাইনে আলেম অর্থাৎ ইন্টার পাশ। বেশ ইসলামিক মাইন্ডের ছেলে। বিয়ে করে এক মাসের মাথায় সে বিদেশে চলে আসে। কিসের কি সে খুশি হবে বিয়ে করে কিন্তু না তার মন ভীষণ খারাপ। বিয়ের দুই দিন পর তার স্ত্রী পুরোপুরি অস্বাভাবিক হয়ে যায়। মোদ্দাকথা মেয়েটি পাগল হয়ে যায়। বিয়ের পরে যে একমাস ছিল ছেলেটি প্রথম দুই দিন পর আর কখনও তার স্ত্রীর কাছে যেতে পারেনি। তাকে দেখলে মেয়েটি পুরো অস্বাভাবিক হয়ে যায়। ছেলে মেয়ের উভয় পরিবার একটু ইসলামিক মাইন্ডের তাই চিকিৎসা বলতে মৌলোবী মুন্সিদের তাবিজ আর পানি পড়া। কোন উন্নতি না দেখে শেষে বদ জিন ছাড়ানোর জন্য ওঝা বাবার শরণাপন্ন আর তাতে মেয়েটির কপালে কিছু ঝাঁটার বারী। কয়েক মাস পর মেয়েটি মোটামুটি স্বাভাবিক। এখন শুধু ছেলেটি আর মেয়েটির মধ্যে মোবাইলে কথা হয়। দূর দেশে থাকে তাই ইচ্ছা থাকলেও আর দেশে যেতে পারেনা ছেলেটি। মাঝে মাঝে ছেলেটি তার স্ত্রীর সাথে হরেক রকমের কথাবর্তা বলে হাসি তামাশা করে তাতে যতটুকু বিনোদিত হওয়া যায় তাই। যখন মেয়েটির কারও হাতের নরম স্পর্শ বা হৃদয়জ্ঞম দরকার ছিলনা তখন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। হ্যাঁ ধর্ষণই করা হয়েছে কারণ আমাদের আইনেও আছে কোন মহিলার অনিচ্ছাকৃত ভাবে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা হলে সেটিও কিন্তু ধর্ষণ। সেই হিসেবে তাকে ধর্ষণই করা হয়েছে বলতে হবে। কিন্তু এখন তার অন্য কারও হাতের নরম স্পর্শ বা হৃদয়জ্ঞম দরকার কিন্তু তার কাছে সেই স্বামী নামে বন্ধনটি নেই।
যে কথা বলতেছিলাম যে, স্বামী-স্ত্রী দুইজন দুই দেশে থাকলেও তাঁদের মধ্যে ফোনালাপ হয় অনেক। একদিন ছেলেটি সকাল বেলা ফোন করে তার স্ত্রীকে বলছে, আমি তো গত রাতে স্বপ্নে আরও একটি বিয়ে করেছি, সেখানে স্বপ্নে বাসর ঘর হয়েছে। সে কত না আনন্দ করেছে এই ভাবে তার স্ত্রীকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করছে। স্ত্রীও মজা করার জন্য তার স্বামীকে বলেছে, আমিও তো গত রাতে স্বপ্নে আরও একটি বিয়ে করেছি। আমারও অনেক সুন্দর একটি বাসর রাত হয়েছে। খুব আনন্দ লাগছে আমি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
যেই না ছেলেটি এই কথা শুনছে হঠাত তার মাথায় আগুন ধরে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রীর উপর রাগ এর মত ভয়ংকর আনুবিক এসিড ঢেলে দিল, এত দিন তার মনে যা সন্দেহ জমা ছিল তারই মহা বিস্ফোরণ ঘটল। মেয়েটিকে ইচ্ছামত বকাবকি করল। সে বলল তুমি অন্য ছেলেকে ভালবাস বলেই তো বিয়ের দুই দিন পর থেকে তুমি পাগলের ভান ধরেছিলে, তাই তো বলি ফোন দিলে সব সময় তোমাকে ফোনে পাওয়া যায় না কেন? আমি বিদেশ থেকে কষ্ট করে টাকা পাঠায় আর তুমি অন্য ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ তাও আবার স্বপ্নে বাসর ঘর হয়! ইত্যাদি ইত্যাদি...
এদিকে মেয়েটি বিনোদন পাওয়ার বদলে কান্নাকাটি করে একাকার। ইতিমধ্যে পরিবারের সবাই বিষয়টি জেনে যায়। ছেলেকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করা হয় কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে চায় না। মেয়ের ভাবীসকল ছেলেকে বুঝানোর সময় ছেলেকে জিজ্ঞেস করল যে, তুমিও তো স্বপ্ন দেখেছ একই রকম, তোমারও তো দোষ আছে। ছেলের দাবী আমি ওকে এমনি পরীক্ষা করার জন্য বলেছি, আর আমি তো ছেলে মানুষ তাই স্বপ্নে এরকম কিছু দেখা আমার জন্য জরুরী। পুরুষ মানুষের স্বপ্নদোষ না হলে বুঝতে হবে সে যৌনগত সমস্যায় আছে। আমার তো এই সমস্যা নেই তাই আমি এরকম স্বপ্ন দেখতেই পারি। মেয়েদের এরকম বদ স্বপ্ন দেখা যাবে না।
দেখুন আমরা পুরুষেরা কেমন নিজে স্বপ্নে অথবা বাস্তবে যা ইচ্ছা তাই করতে পারব অথচ মেয়েরা বাস্তবে তো দূরের কথা স্বপ্নেও নাকি দেখতে পারবেনা। পুরুষ তুমি বিয়ে করে দেশে রেখে এসেছ, এসেছ তার যৌবনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কিন্তু একবারও কি ভেবেছ তার আগুন নিভাবে কে?
শোকর আদায় কর তোমার স্ত্রী এখনও স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বাস্তবে যৌনাচার করলেও তার চেয়ে বরং তুমি বেশি গোনাহগার হবে। কারণ তুমি পুরুষ নহে বা তুমি কাপুরুষ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২১

তার আর পর নেই… বলেছেন: পুরুষ নহে! এই পুরুষ নহে বলার সাথেও একটা দাম্ভিকতা প্রকাশ পাইছে।

পুরুষের জন্য সবকিছু ঠিক আছে, মেয়েদের জন্য নয়। তারা হবে অসূর্যম্পশ্যা।
তবে না হবে সত্যিকারের স্ত্রী।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ""পুরুষের জন্য সবকিছু ঠিক আছে, মেয়েদের জন্য নয়। তারা হবে অসূর্যম্পশ্যা।
তবে না হবে সত্যিকারের স্ত্রী। ""
সত্যিকারের স্বামীর জন্য সত্যিকারের স্ত্রী হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিকারের স্বামী না হয়ে সত্যিকারের স্ত্রী আশা করা কি অন্যায় নয়?
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.