নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমারা স্বাধীনও নই পাকি’র অধীনও নই - নির্বোধ পরাধীন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

আমার গত পোস্টটি ছিল স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে। এত এত তথ্য বিভ্রাট হচ্ছে যে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা কিছুই ঠাহর করতে পারছিনা। তাই ব্লগার বন্ধুদের সাহায্য চেয়েছিলাম। অনেকেই চেষ্টা করেছেন সাহায্য করতে হয়ত কিন্তু তা মোটেও পর্যাপ্ত ছিল না। আমি কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাই তাঁদের।
অনেক তথ্য আছে কিন্তু নির্ভরযোগ্য পাওয়া খুব মুশকিল। তাই শুধু অথেনটিক বা বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে জানার চেষ্টা করছি। কিন্তু সেখানেও মহা বিপদ। তথ্য সংশ্লিষ্ট যৌক্তিকতা খুবই দুর্বল, অনেক ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী বা স্ববিরোধী। তার কিছু নমুনা দেখি আমরা...
১.
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর দলীয় সাইটে বলা আছে ১৯৭১ সালে ২৬শে মার্চ গ্রেফতার হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
২.
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাইটে বলা আছে আরও একধাপ এগিয়ে। একেবারে দিনক্ষণ সময় উল্লেখ করে। বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেবার অপরাধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১-১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২নং বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে।

*** এখানে কিছু স্ববিরোধী তথ্যও আছে। যেমন প্রথমতঃ আওয়ামীলীগ বলছে ২৬শে মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তাহলে তাঁরা কেন বলেন যে ২৫শে মার্চ সেই কালো রাতে অপারেশন সার্চলাইট নামে ঘুমান্ত মানুষের উপর পাকবাহিনী নারকীয় হামলা করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। এখানে গ্রেফতার দেখানোর সময় আপনারা বললেন ২৫শে মার্চ রাত আবার স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য বললেন ২৬শে মার্চ।
তাহলে তো বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পরে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন?

*** এখানে ছাত্রলীগ বলছে, বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেবার অপরাধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১-১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২নং বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। এখানেও তথ্য বিভ্রাট যেমন রাত ১২টা ২০মিনিটে মানেও তো ২৬ তারিখ হওয়ার কথা নিশ্চয়। আবার গ্রেফতার হলেন ১-১০ মানে তো ২৬ তারিখ, কিন্তু সব সময় এবং সব রেকর্ড পত্রে এমনকি আপনারও তো বলছেন বঙ্গবন্ধু ১৯৭১সালে ২৫শে মার্চ গ্রেফতার হয়েছিলেন। অবশ্য বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী হাজী মোরশেদ বলেছেন ১.১৫মি! বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়েছিলেন সাথে তিনিও।

৩.
২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু কোন প্রকৌশলীর সহায়তায় খুলনা থেকে আনা একটি ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেছিলেন আর ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। (প্রথম আলো ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫)

*** এখানেও তথ্যের গরমিল, ২৫ মার্চ যদি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করে থাকেন এবং ২৭ মার্চ যদি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে থাকেন তাহলে...
কেন ২৬ মার্চ আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকি?
আবার সেই রাতেই সবার প্রিয় নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ একটি চিরকুট লিখে এবং টেপ রেকডার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা চেয়েছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু করেননি।

৪.
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী গান্ধী শেখ মুজিবের জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে পৃথিবীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন রাজধানী সফরকালে ৬ নভেম্বর ১৯৭১ তারিখে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় পরিস্কার বলেন, ‘The cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He himself, so far as I know, has not asks for independence even now.’ (Ref: Bangladesh Documents Vol-II, Page-275, Ministry of External Affairs, Government of India-1972).

*** এই তথ্য হয়ত অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে আবার কারও কাছে হবে না। তবে এই তথ্য বঙ্গবন্ধু কে কিন্তু ছোট করেছে তা আমি মানিনা। যিনি সরকার প্রধান, দল প্রধান এবং তাঁর দলের অধীনে দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে কিন্তু সব কাজ ই যে একজন নেতাকেই করতে হবে তা আমি বিশ্বাস করি না।

৫.
১৯৭২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমীতে মুক্তিযুদ্ধের ১১ জন সেক্টর কমান্ডার বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেক্টর কমান্ডারদের উপস্থিতিতে যখন জিয়াউর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়, “২৫ মার্চ পাক বাহিনীর বর্বর হামলার পর চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনাকারী ও তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলার কৃতিত্বের অধিকারী কর্নেল জিয়াউর রহমান”(সূত্রঃ দৈনিক বাংলা ২০/২/১৯৭২)।

আপনারা নিশ্চয় বাবু ভাই কে চিনেন, হ্যাঁ মোজাম্মেল (বাবু) ভাই এর কথায় বলছি, যিনি ৭১ টিভি’র মালিক, একজন নামকরা অনুসন্ধানী সাংবাদিক তাঁর কথাই বলছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছের লোক। কেমন কাছের লোক জানতে চান? জনাব প্রায়াত সাংবাদিক ও আওয়ামীলীগ এর সাবেক সাংসদ এ বি এম মুসা, তাঁকে টেলিভিশনের লাইসেন্স দেননি অথচ এই বাবু ভাইকে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই ৭১ টেলিভিশন এখন আওয়ামীলীগ সরকারের মিডিয়া মুখ্যপাত্র হিসেবে কাজ করে। সেই ৭১ টেলিভিশনে গত বছর সারা মার্চ মাস ধরে শত শত বার প্রচার করা হচ্ছে যে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।(যদিও বি এন পি সমর্থকরা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মানতে নারাজ। তাদের অনেকের দাবী বঙ্গবন্ধু নাকি স্বাধীনতা চাননি তো ঘোষণা দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা)। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, মুজিব নগর সরকারের প্রধান। তাই যুদ্ধকালীন দেশের জন্য যে যাই করেছে তা ছিল বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে। আর স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের একটি মাত্র অংশ, তবে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যিনি বাংলাদেশের স্থপতি তাঁকে যারা টেনে একটি মাত্র অংশের দাবীদার করতে চাই ওরাও মূর্খ, ওরা আওয়ামীলীগের শত্রু, ওরা তোষামোদকারী, ওরাই বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করেছে।
আমি বরাবরই বিশ্বাস করি যে ডাক দেয় আর যে বা যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় এই দুই কখনো এক হতে পারে না। যারা এক করে দেখতে চায় তাঁরা নির্বোধ পশু, হউক সে আওয়ামীলীগ সমর্থক, বি এন পি সমর্থক বা অন্যকোন দল।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৩

াহো বলেছেন:
বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
http://www.amadershomoys.com/content/2014/04/28/middle0174.htm





=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------================================

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।

[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ: শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/341656/===================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973
বাংলাদেশ পরপর তিন বছর প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ভোগ করে, এবং 1970 বিপন্ন ঘূর্ণিঝড় ,1971 স্বাধীনতা ,1972 একটি ফসল-অসমর্থকরণ খরা হয়েছে. জানুয়ারী 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971



একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link




আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।




শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে

পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।

নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।





বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা
আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।
[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/21163





বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে–

১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইমস সংবাদপত্র, ইউকে (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইম Magazine, USA (৫ এপ্রিল, ১৯৭১), আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট– history.state.gov ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ – ৩.৩২ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’এর প্রতিনিধি মি. রিচার্ড হেলমস জানান–

“শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।’’






ঝেড়ে কাশুন
১)কোন হত্যার বিচার চাইতে হলে সে কি আমার আত্তীয় হতে হবে ?

২)শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে
পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।

নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।

৩)জামাল-কামাল- দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। শেখ কামাল ওসমানীর এডিসি ছিলেন। শেখ মণি মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন

৪)১৯৭১ সেনাবাহীনীর প্রধান আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
প্রধান সেনাপতি ও আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
আতাউল গনি ওসমানি ও মো. আব্দুর রব ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
১৯৭১ সালে সেনাবাহীনীর প্রধান (মো: আবদুর রব ) আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ থেকে এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি বা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সদস্য) নির্বাচিত হন।
৫) ১৯৭১ এ ২৫ মাচ‌‌' পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টার্গেট শেখ মুজিব গ্রেপ্তার করা , অনা কোন নেতা নয়.

৬) বর্তমান সংসদে একজন সেক্টর কমান্ডার আছে , বিএমপি কি বর্তমান সংসদ সমর্থন করে?







৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার গবেষণামূলক মন্তব্য আমি খুব গুরুত্ব সহকারে পড়েছি। আপনি অনেক তথ্য প্রমাণ দিয়েছেন যা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন তা নিয়ে আমি বিতর্কে যাব না বরঞ্চ আমি বেশি খুশি হব। কিন্তু সেই তথ্যটা হতে হবে যৌক্তিক ও বিশ্বাসযোগ্য। এমন তথ্য চায় না যে তথ্য বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করে।

১* আপনি বললেন যে, শারমিন আহমদ: শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা তিনি তাঁর বইয়ে লিখেছেন যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। আমি মানি এবং এটাই সত্য হোক তা আমি কামনা করি। কিন্তু তিনি তো একথাও লিখেছেন যে, তাঁর বাবা জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ লিখিত চিরকুট আর টেপ রেকর্ডার নিয়ে ২৫শে মার্চ রাত ৯-৩০মি থেকে ১০ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করেছেন স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য কিন্তু বঙ্গবন্ধু করেন নাই তাঁর বিরুদ্ধ রেকর্ড থাকবে বলে, সেই জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ রাগ করে চলে যায় ৩২নং বাড়ি থেকে। আবার কিভাবে মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে খুলনা বেতার থেকে কোন এক প্রকৌশলীর মাধ্যমে বেতার ট্রেন্সমিটার এনে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন?

২* আপনি অনেক ব্রিটিশ এবং আমেরিকান মিডিয়া, ব্যাক্তি এবং সংস্থার কথা বলেছেন। তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বলেছিলেন এটা কোন স্বাধীনতার যুদ্ধ নয় দেশের অভ্যান্তরিন দাঙ্গা, বাংলাদেশকে সাহায্যের নামে ভারতীয় সৈন্য প্রবেশ অন্তর্জাতিক প্রবেশাধিকার লঙ্ঘন যার কারণে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে ছিল। ব্রিটিশ আমেরিকা মিডিয়া এখনও লিখে যে ১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। এসবই তো তখন তাদের মিডিয়াতে ফলাও করে ছাপা হয়েছিল। আপনি কি এই রেফারেন্স গুলো মানবেন? যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি আপনি কি করে এই রেফারেন্স গুলো বিশ্বাস করেন? তাঁরা তো প্রোপ্যাগান্ডা করেছিল শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেশদ্রোহী হয়েছে। তাঁর বিচার মৃত্যু দণ্ড সেটা ছিল তাদের কুমতলব।

৩* সাম্প্রতিক কালে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। অনেকের মত আমিও এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে তুলোধোনা করে লেখা লেখি করেছি। কিন্তু তাঁরা যদি আপনার মত এই রকম রেফারেন্স দেয় যে বিবিসি তথ্য প্রকাশ করে যে একটি স্বাধীন কমিশন শহীদদের সংখ্যা হিসেব করেছিল যা ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ বলেছে। শুধু তাই নয় তাঁরা বলেছে যে কোন অবস্থায় ৩০ লক্ষ হবে না। ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আমি নিজে বিবিসি'র সেই তথ্য দেখেছি। তাহলে কি আপনি বিবিসি'র রেফারেন্স মানবেন?

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৩

াহো বলেছেন:

শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে
পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।


নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

বিদ্যুৎ বলেছেন: আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, যে ডাক দেয় আর যে বা যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় এই দুই কখনো এক হতে পারে না। যারা এক করে দেখতে চায় তাঁরা নির্বোধ পশু, হউক সে আওয়ামীলীগ সমর্থক, বি এন পি সমর্থক বা অন্যকোন দল।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৯

াহো বলেছেন:





ইতিহাস কুইজ!!
পেপার কাটিং এ দেয়া বক্তব্যটি
১. কার?
২. কবে দিয়েছেন?
৩. এ থেকে আপনি কি জানতে পারলেন?
বলতে পারেন?


https://www.facebook.com/Muktijuddhergolpo/photos/a.131064856975006.33531.129242633823895/949536005127883/?type=3&theater

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.