নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃস্টির সকল কিছুই জানার ইচ্ছা করে স্রস্টা যেটুকু জানার অধিকার দিয়েছেন।

চক্‌চাপড়ী

চক্‌চাপড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘন বর্ষায় দার্জিলিং ভ্রমন ও কিছু পথের পাঁচালী

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৫

ঘন বর্ষায় দার্জিলিং ভ্রমন ও কিছু পথের পাঁচালী ভিসা পর্ব-১



ভিসা পর্ব-২



ভিসার আবেদন ফর্মে Appoinment এর সময় লেখা ছিল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট। Date পেতেই যেখানে এত কেচ্ছা কাহিনী সেখানে আবেদন ফর্মের সময়ের উপর খুব একটা বিশ্বাস ছিল না। তবুও কিসের তাড়ায় যেন ৩০ জুলাইয়ের সকাল ৮টার মধ্যেই গুলশান-১ এর ইন্ডিয়ান ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের সামনে গিয়ে হাজির হলাম। গিয়ে দেখি এই সাত সকালেই ১৩৭ নং রোডের উপর দেয়া ব্যারিগেটের সামনে থেকে একখানা লম্বা লাইন প্রায় সুটিং ক্লাবের বাউন্ডারী ওয়াল পর্যন্ত চলে গেছে।সিএনজি প্রাইভেটকার থেকে নেমে লোকজন একে একে লাইনের পিছে জোড়া লাগছে। আমিও তাদের মত সে লেজে নিজেকে গেঁথে দিলাম।



ফর্মখানা হাতে নিতেই ছবিটি পিন থেকে আলগা আলগা মনে হ’ল। সামনে মিলিয়ে দেখি সবার ছবিই আঠা দিয়ে লাগানো। উল্টিয়ে দেখি ফর্মেও তাই লেখা-“Paste your unsigned recent color photograph.” খুঁজতে হলো না।পাশেই দেখি একজন মধ্য বয়সী মহিলা আঠার কৌটা হাতে হা-ভোলা মানুষগুলির সেবা করে যাচ্ছে। একটা ছবি লাগানোর বিনিময়ে ১০ টাকা দিতে হ’ল।হাসপাতালের গেটে রোগীর জরুরী ওষুধের দামটা যেমন গলাকাটা হয়ে যায় তেমনি। মহিলা আরেকটি সেবাও দিচ্ছেন। এক ভদ্রলোকের সময় আমার আগে অর্থাৎ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। এত বড় লাইন ফাঁকি দিয়ে আগে ঢুকিয়ে দিবেন এমন প্রলোভনে মহিলা ভদ্রলোকটির কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন। প্রস্তাবটি আমিও পেলাম।



সামনে একটা হট্রগোল দেখে লাইন ছেড়ে এগিয়ে গেলাম।আগ পিছের দু’ তিনজনকে বলেও গেলাম।যেন ফিরে এসে আগের জায়গায় ঢুকতে পারি। কিন্তু সামনে গিয়ে যা দেখলাম তাতে আর সে দরকার হ’ল না। যারা ৮টার সময় পেয়েছিল তারা আগেই ঢুকে গেছেন। এখন ৮টা ১৫মিনিটের লোকগুলি ঢুকছে।আর উচ্চ স্বরে ৮টা ৩০মিনিটের লোকগুলিকে আলাদা লাইন নিতে বলা হচ্ছে। এর পর আসবে ৮টা ৪৫মিনিটের ডাক।ঢোকানোর আগে ফর্মে থাকা সময়টি অত্যন্ত ভালভাবে যাচাই করা হচ্ছে যেন পেছনের লোক আগে ঢুকতে না পারে।টাকা দেয়া লোকটিও নতুন লাইনে দাঁড়িয়ে গেছেন।আর পাশে দাঁড়িয়ে মহিলা তখনও এটা ওটা বলে নিজের কৃতিত্ব জাহির করে যাচ্ছেন।না জানা সহজ সরল মানুষগুলোকে প্রলোভনে আটকিয়ে ওরা এভাবেই সংসার ধর্মের জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছে।ঢাকা শহরের বাড়ী ভাড়া,ছেলে-মেয়ের স্কুলের বেতন। সবই চলে এ থেকে। নূইয়ে থাকা মানুষগুলিও পেলেই খুশি।কিন্তু কোন্থেকে এল তা ভাবার প্রয়োজন মনে করে না।



(৩) আমার ট্রিপসঃ-আগে সিরিয়াল পেতে এভাবে কাউকে টাকা দেবার দরকার নেই।আমার দেখা অভিজ্ঞতায় এখানে কারও কেরামতি নেই।



৮টা ৪৫মিনিটের লাইন ধরে ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে ঢুকেই ফর্মে থাকা সময় দেখিয়ে একখানা waiting token(স্লিপ) পেলাম। নীচতলার দেখানো রুমে ঢুকে দেখলাম এমন token হাতে অনেকেই বসে আছেন।কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কাইন্টার হাতের waiting token টি রেখে একটি service token দিয়ে ২য় তলায় যেতে বললেন।



(৪) আমার ট্রিপসঃ-১ম স্লিপ (waiting token) জমা দিয়ে ২য় স্লিপটি (service token) মনে করে নিতে ভূল করবেন না।কারণ service স্লিপ ছাড়া ২য় তলার কাউন্টার আপনার সাথে কোন কথাই বলবে না।



২য় তলায় বেশ কয়েকটা কাইন্টার। প্রত্যেক কাউন্টারের সামনে দু’তিন জন করে লাইনে রেখে বাকী লোকগুলিকে ওয়াল ঘেঁষে রাখা চেয়ারগুলিতে বসতে বলা হচ্ছে। আর চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কাগজগুলি এভাবে সাজাতে বলা হচ্ছে-১) ভিসা এ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ২) জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি ৩) বিদ্যুৎ বিল বা টেলিফোন বিল ৪) Account Statement ৫) অফিস থেকে দেয় No Objection Certificate(NOC) 6) পাসপোর্টের প্রথম ৫ পেজের কপি।



দূতাবাসের কারও বাড়তি কথা বলার সময় নেই।কাগজপত্র নিতে পাসপোর্টের বইটিও নিয়ে নিচ্ছেন। প্রথমেই দেখলাম অফিসারটি এ্যাপ্লিকেশন ফর্মে থাকা WEB FILE NUMBER টি মিলিয়ে দেখলেন। এর পর পাসপোর্টের Address গুলোর সাথে এ্যাপ্লিকেশন ফর্মের Address গুলো মেলাচ্ছেন তা এপার থেকেই দেখলাম। তবে নিজের নাম ও পিতার নাম মুখ থেকে বলিয়ে নিতে ছাড়লেন না। কারও কোথাও ভূল থাকলে আবেদনপত্র সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাও দেখলাম।



কাগজপত্র সব দেখে অফিসারটি ৪০০ টাকা চাইলেন।অফিসের ভেতরে ওয়ালে সাঁটানো কাগজে লেখা আছে- ভিসা সম্পূর্ণ ফ্রি , কেবল প্রসেসিং ফি বাবদ ৪০০ টাকা দিতে হবে।১০০০ টাকার একটা নোট দিলে ৬০০ টাকা ফেরত পেলাম। সাথে ঘট ঘট করে ডট প্রিন্টার থেকে বেরুনো একটা Delivery Slip.অফিসারটি স্লিপে হলুদ রঙা একখানা গোল স্টিকারও সেঁটে দিলেন।অনুরুপ আরেকটা স্টিকার পাসপোর্ট বইয়ের পিছনে সেঁটে পাসপোর্টটি জমা দেয়া কাগজে মুড়িয়ে রাখলেন।পাসপোর্ট বইয়ের কথা বলতেই অফিসারটি Delivery Slipটি যত্নে রাখার পরামর্শ দিলেন।কুলুপ আঁটা মুখ থেকে কেবল একখানা কথাই জানার সুযোগ হ’ল। আরও জানলাম আজ আর কোন কাজ নেই। ঢুকলাম ৮টা ৫০ মিনিটে। কাজ শেষ হলো ৯টা ৫৭ মিনিটে। স্লিপের উপরে অত্যন্ত কৌশলে লেখা –“Delivery not before 03 August, 3.00-4.00 pm. ”





(৫) আমার ট্রিপসঃ-যেহেতু পাসপোর্ট বইটি রেখে দেয় সেহেতু Delivery Slip টি নিতে ভূলবেন না। কারণ এটাই আপনার সব কিছুর প্রমাণ।

বন্ধুগণ, এই ফাঁকে বাংলাদেশে ভারতের ভিসা এ্যাপ্লিকেশন সেন্টারগুলির ঠিকানা শেয়ার করি।



Address of Indian Visa Application Center in Bangladesh

উৎসঃ-http://www.ivacbd.com/online_visa.ph



সব জায়গাতেই আবেদন ফরম জমা দেয়া যায়। তবে শুনলান গুলশাল ছাড়া অন্যসব জায়গায় Delivery Date টা আরও পরে দেয়। আগে Date পাওয়া যায় বলে গুলশানে চাপটা বেশী।



Address of Indian High Commission

House No. 2, Road No.142, Gulshan-1, Dhaka.

Working hours: 0900 to 1730 hrs

(Sunday to Thursday)

Telephone Numbers: 00880-2-9889339,

EPABX : 00880-2-9888789-91

Fax Number: 00880-2-989305

উৎসঃ-http://www.embassy-dhaka.yogsutra.net/Indian_Embassy_Dhaka.htm#.U-9QLMWSyk4



(চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৩৩

দাইমারু বলেছেন: Next please. :)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: Coming Soon.Thank’s.

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪১

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বলেছেন: ১২ তারিখে ডেট ছিল কিন্তু জমা নেয়নি বাবার নামের শেষে এইচ ছিলোনা বলে। আবার ২০ তারিখে ১০টা ১৫ তে জমা দেব।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: আপনার কাজটি ভালোয় ভালোয় হলেই ভাল। সফলতা কামনা করছি।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

লিখেছেন বলেছেন: oshadharon

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.