নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমার কোন বিশেষ প্রতিভা নেই।আমি শুধু মনেপ্রাণে কৌতূহলী”--আলবার্ট আইনস্টাইন “ভাষা একটি মাধ্যম মাত্র জ্ঞানই আসল”--ফেরদৌসি বিকন

চক্‌চাপড়ী

সৃস্টির সকল কিছুই জানার ইচ্ছা করে স্রস্টা যেটুকু জানার অধিকার দিয়েছেন।”

চক্‌চাপড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব সমাজে খুন, খুনি ও আমাদের মূল্যবোধ

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯



হত্যা,গুম,নৃশংসতা সমাজে নিত্যকার ঘটনা। অপরাধের কারণেই আদমের স্বর্গ থেকে বিতারন। দুনিয়ায় এসেও আদমের (মানুষের) যাত্রা অপরাধের মাধ্যমে। তাও আবার যেন তেন অপরাধ নয়। আপন ভাইকে খুন দিয়ে দুনিয়ায় মানুষের বংশ বিস্তার শুরু।(‘অতঃপর তার মন তাকে ভ্রাতৃহত্যায় প্ররোচিত করল এবং সে তাকে হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হ’ল’ - সুরা মায়েদাহ্, আয়াত ৩০)।

খোদার দুনিয়ায় যত অপরাধ আছে তার মধ্যে খুন বা মানব হত্যা হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। আমরা সবাই জানি মানব (খলিফা)সৃষ্টিতে স্বয়ং ইশ্বরের ছিল প্রবল ইচ্ছা।আল্লাহ একদা ফেরেশতাদের ডেকে বললেন, আমি পৃথিবীতে ‘খলীফা’ অর্থাৎ প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই। বল, এ বিষয়ে তোমাদের বক্তব্য কি? তারা (সম্ভবতঃ ইতিপূর্বে সৃষ্ট জিন জাতির তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে) বলল, হে আল্লাহ! আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে আবাদ করতে চান, যারা গিয়ে সেখানে ফাসাদ সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা সর্বদা আপনার হুকুম পালনে এবং আপনার গুণগান ও পবিত্রতা বর্ণনায় রত আছি। এখানে ফেরেশতাদের উক্ত বক্তব্য আপত্তির জন্য ছিল না, বরং জানার জন্য ছিল। আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না (বাক্বারাহ ২/৩০)।

এরপর জিবরাঈল (আঃ)-এর প্রতি নির্দেশ হল-জমিনের উপরিভাগ থেকে একমুষ্টি মাটি আন।নির্দেশ পেয়ে জিবরাঈল (আঃ) তৎক্ষণাৎ জমিনে এসে এক মুষ্টি মাটি নিতে চাইলেন।তখন জমিন জিবরাঈল (আঃ)-কে আল্লাহর কসম দিয়ে বলল-হে জিবরাঈল আমা হতে মাটি নিও না।এ মাটি থেকে খলিফা (মানুষ)সৃষ্টি হবে। সে খলিফার সন্তান-সন্ততি অত্যন্ত গোনাহগার এবং শাস্তিযোগ্য হবে।আমি নিঃসহায় মাটি-আল্লাহর আযাব ভোগ করার শক্তি আমার মাঝে নাই।এ কথা শুনে হযরত জিবরাঈল (আঃ) মাটি লওয়া হতে বিরত থেকে ফিরে যান।এভাবে মীকাঈল এবং ইসরাফীল (আঃ) দ্বারাও মাটি নেওয়ার আদেশ পূর্ণ হয় নাই।তাই আযরাঈল (আঃ)-কে প্রেরণ করা হয়।আযরাঈল (আঃ)-এর কাছেও জমিন পূর্ববৎ আল্লাহর কসম দেয়।কিন্তু আযরাঈল ঐ কসম শুনে জমিনকে বললেন, তুমি যার কসম দিচ্ছ আমি তার হুকুমেই এসেছি। আমি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করব না, তোমাকে নিয়েই যাব।

আযরাঈল (আঃ)জমিন থেকে মাটি নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হলে, আল্লাহ তায়ালা বললেন, হে আযরাঈল! এ মাটি থেকেই খলিফা (মানুষ)সৃষ্টি করব এবং তার জীবন হরণ করতে তোমাকেই নিয়োগ করব।আযরাঈল (আঃ) অক্ষমতা প্রকাশ করে বললেন-ইয়া আল্লাহ!এ দায়িত্ব প্রাপ্ত হলে তোমার বান্দারা আমাকে দুশমন ভাববে এবং গালি দেবে। আল্লাহ পাক বললেন-হে আযরাঈল!আমি প্রত্যেকেরই মৃত্যুর একেকটি কারণ সৃষ্টি করব।ফলে প্রত্যেকে আমার সৃষ্ট কারণের অধীনেই মৃত্যু বরণ করবে; সুতরাং তখন আর তোমাকে দুশমন ভাবনে না।আমি কাউকে ব্যথাজনিত রোগে জড়াব,কাউকে অগ্নিতাপে এবং কাউকে পানিতে নিমজ্জিত করব।(কাসাসুল আম্বিয়া, সোলেমানিয়া বুক হাইজ, প্রথম খন্ড, পৃষ্টা-১৭)

উপরোক্ত আলোচনায় আল্লাহ আযরাঈলকে মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে দিয়ে তার অনুমোদন (Approval)দিয়ে দিয়েছেন।কিন্তু একজন মানুষরুপী পশু যখন আরেকজন মানুষকে মেরে ফেলে, এই মৃত্যুর অনুমোদন (Approval) আল্লাহ দেন নাই।(নির্দোষ হাবীলকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে ক্বাবীল তার আক্রোশ মিটিয়ে সাময়িকভাবে তৃপ্তিবোধ করলেও চূড়ান্ত বিচারে সে অনন্ত ক্ষতির মধ্যে পতিত হয়েছে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন, فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ- ‘অতঃপর সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হ’ল’ (সুরা মায়েদাহ ৫/৩০)।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ، رواه البخاريُّ- ‘অন্যায়ভাবে কোন মানুষ নিহত হ’লে তাকে খুন করার পাপের একটা অংশ আদমের প্রথম পুত্রের আমলনামায় যুক্ত হয়। কেননা সেই-ই প্রথম হত্যাকান্ডের সূচনা করে’।

যে আজরাঈলের নাম শুনলে মানব হৃদয় আচমকা আতকে উঠে। সেই আজরাঈলও মানুষের জীবন হরণ করতে স্বয়ং আল্লাহর নির্দেশ সত্বেও নিজেকে দোষমুক্ত রাখেতে একটা Approval নিয়ে নিয়েছেন।জ্ঞান বিজ্ঞানের এই বিষ্ময়কর যুগে মানুষ সব করতে পারে কিন্তু মাটির পুতুলের জান দিতে পারে না।অথচ খোদার সৃষ্ট ‘আশরাফুল মাখলূক্বাত’এর জীবন হরণ করতে মানুষ মহুর্তে পশু হয়ে যায়।(মানব মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন- বিশ্বের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল সৃষ্টিকে মানুষের অনুগত করে দেওয়া হয়েছে -সুরা লোকমান ৩১/২০)।(আল্লাহ বলেন, هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন’-সুরা বাক্বারাহ ২/২৯)।

শুনতে লোক কথার মত মনে হলেও সত্য-এই বিশ্ব সংসারে এক সময় আপন ভাইয়ের সাথে আপন বোনের বিবাহ বন্ধন বৈধ ছিল।সমাজ সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে।আরব ভূখণ্ডে কন্যা সন্তানের জন্মগ্রহণকে তার জনকের জন্য অপমান হিসেবে দেখা হতো।মান বাঁচাতে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। পবিত্র কোরআনের ভাষায়, 'সে সমাজের কাউকে তার কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হলে সারা দিন তার মুখ কালো হয়ে থাকত। সে ক্ষুব্ধ হতো এবং মনে মনে দুঃখ অনুভব করত। এ সুসংবাদের লজ্জার দরুন সে অন্য লোকদের থেকে মুখ লুকিয়ে চলত। সে চিন্তা করত, অপমান সহ্য করে মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখবে, না তাকে মাটির তলায় প্রোথিত করে ফেলবে! কতই না খারাপ সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করত!' (সুরা আন-নাহল : ৫৮-৫৯)।

পণ্য দ্রব্য বা গরু ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের মত এক সময় মানব সমাজে মানুষ ক্রয়-বিক্রয় (দাস-প্রথা)হ’ত।স্বামীর চিতার সঙ্গে (সহমরণ/সতীদাহ ) জ্বালিয়ে দেওয়া হ’ত সদ্য বিধবা স্ত্রীর জীবন্ত দেহটাকেও।সমাজের বিবর্তনের ধারায় কিছু রীতিনীতি ও আচরণ সমাজের সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়।

যে বোধ দিয়ে আমরা অন্য যে কোন জিনিস মূল্যায়ন করি সেটাই মূল্যবোধ।এটি প্রতিষ্ঠা করা যায় না, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। তবে মূল্যবোধের সাথে নৈতিকতা শব্দটি জড়িত। তাহলে কি ফেলে আসা সমাজে নৈতিকতা ছিল না?

যদি ধরে নিই বর্তমান সমাজে নৈতিকতা বেশি তাহলে মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ শক্ত। কেননা আমাদের মাঝে আর দাস প্রথা,সহমরণ বা আইয়ামে জাহেলিয়াত নেই।কিন্তু আসলেই কি তাই!

আমাদের মাঝে আর দাস প্রথা,সহমরণ বা আইয়ামে জাহেলিয়াত নেই।কিন্তু আমরা সুন্দরী মেয়ের দলবেঁধে সম্ভ্রমহানী করে তার ভিডিও দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিই।বৃদ্ধ বাবা মায়ের শেষ বয়সের আশ্রয়স্থল সন্তানের ফ্লাট নয় আশ্রয়স্থল হয় বৃদ্ধাশ্রম।শত শত মানুষের মাঝে কোন সন্ত্রসী কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেললে আমরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে না এসে তার ভিডিও তুলতে থাকি।পাশের ফ্লাটে সন্ত্রাসীর দুষ্কর্মে বাঁধা না দিয়ে আমরা দরজা বন্ধ করে নিজের বাসায় বসে থাকি,যাতে সাক্ষী হতে না হয়।সমাজের বিবর্তনের ধারায় আমাদের মূল্যবোধেরও এভাবে বিকৃতভাবে বিবর্তন হয়েছে।

‘যদি কেউ কাউকে হত্যা করে সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষকেই হত্যা করল। আর যদি কেউ একটি প্রাণ রক্ষা করে সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করলো।’ (সূরা মায়েদা : আয়াত ৩২)।وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا – তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদের সাথে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।-সূরা বনী ইসরাঈল,আয়াত ২৩।

কোরআনের ভাষায় (সূরা মায়েদা : আয়াত ৩২) কাউকে হত্যা করা দুনিয়ার সকল মানুষকে হত্যা করার শামিল।অতএব, মানুষ হত্যা কেবল পাপই নয়, মহাপাপ।আর হত্যাকান্ডের সময় নিশ্চুপ থাকা ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ সমান পাপী।Everyone has the right to life, liberty and security of person.- জাতিসংঘ সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ : Article-3. অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষ তার নিজের জীবনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভের অধিকারী। অন্যায়ভাবে কেউ কারো ব্যক্তিগত জীবনে হস্তেক্ষেপ করবে না ও হত্যা-নিপীড়ন করবে না। মানুষকে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য এ অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজন, যা মানবাধিকার সনদে স্বীকৃত।-http://at-tahreek.com/november2012/2-4.html

মানুষ হত্যা ও তার পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে হুশিয়ার করে দিয়েছেন।অপরাপর বিশ্ব এটাকে কেবলই মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ মনে করে সর্বজনীন সনদ করে নিয়েছে।এর পরেও এই মহাপাপ ঘটে চলেছে আপন গতিতে। কেননা মানুষ হত্যা মানুষের কাছে মামুলি ব্যাপার। হত্যাকান্ডে আমরা বাঁধা দিই না।হত্যাকান্ড শেষে আমরা মিছিল করি, সমাবেশ করি।যেন স্লোগানসর্বস্ব হয়ে পড়েছে গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র।যে বোধ দিয়ে আমরা অন্য যে কোন জিনিস মূল্যায়ন করি সেই বোধটা ভোঁতা হয়ে গেছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৭

আবু আফিয়া বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ

২| ১১ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১১

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: পরম করুণাময় আপনার মঙ্গল করুক।

৩| ১১ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখা। কিন্তু যাদের বলছেন তাদের কি এ নিয়ে মাথা ব্যাথার কোন কারন আছে? যে যত নৃশংস সে ততবেশী পাওয়াফুল, তাই না...........

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। নৃশংস তো বটেই নইলে এর আশ্রয় কেন! কিন্তু এরা কারা? যদি কারও দিকে আঙুল তুলি। তবে আমি নই কেন?কেননা আপনি যদি আমাকে ভাল মানুষ মনে করেন কালকে আমার হাতে কারও রক্ত ঝরবে না তার নিশ্চয়তা কি? আপনার সন্তান বা আমার ভাই, আপনার আমার মা-বাবা, আত্বীয়-স্বজন কেউ-ই তো ঐ সর্বনাশা নেশা বয়ে বেড়াচেছ না? যে খুনি তার রক্ত প্রবাহ তো আমার আপনার মতই।শেকড় খুঁজলে বেড়িয়ে আসে আত্বীয়তার বন্ধন। কে কার কাছ থেকে নিরাপদ? হ্যাঁ, নিরাপদ তখন যখন আমরা আমাদের বিবেক বোধটাকে জাগ্রত করতে পারব। তাহলে আপনী নিরাপদ, আমিও নিরাপদ। আর যাকে নির্দেশ করছি সেও নিরাপদ।কেননা সেও মানুষ,আমাদের এই সমাজেরই কেউ।সেও কোন মায়ের সন্তান, কারও ভাই, কারও বাবা, কারও স্বামী।অতএব , পাওয়াফুল বলে আমরা নিজেদেরকে সমাজের বাইরের অংশীদার কেন করব?

পরম করুণাময় আপনার মঙ্গল করুক। আমিন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.