নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমার কোন বিশেষ প্রতিভা নেই।আমি শুধু মনেপ্রাণে কৌতূহলী”--আলবার্ট আইনস্টাইন “ভাষা একটি মাধ্যম মাত্র জ্ঞানই আসল”--ফেরদৌসি বিকন

চক্‌চাপড়ী

সৃস্টির সকল কিছুই জানার ইচ্ছা করে স্রস্টা যেটুকু জানার অধিকার দিয়েছেন।”

চক্‌চাপড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে মানবদেহে রুহ ও আত্মার ইতিকথা(প্রথম পর্ব)

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৪

বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে
মানবদেহে রুহ ও আত্মার ইতিকথা
In the light of the Bible Quran and Science
The story of Spirit and Soul in human body

(প্রথম পর্ব)

”Man is mortal-মানুষ মাত্রই মরনশীল” জগতের এ এক ধ্রুব সত্য।পৃথিবীর কোন রাজা-বাদশা,জ্ঞানী-বিজ্ঞানী এ সত্যকে উপেক্ষা করতে পারেনি।দেশ,সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, মতে প্রতি ক্ষণে প্রতি মহূর্তে শব যাত্রার এ মিছিল ছুটে চলেছে কবরস্থান-শ্বশ্মানঘাটে।মায়ের কোল খালি করে আদরের সন্তান, স্বামীকে রেখে প্রিয়তমা স্ত্রী, সবচাইতে আপন বাবা-মা সবাই ঐ মৃত্যুর মিছিল বেয়ে ছুটে চলেছে।

দু’দিন আগে বা পরে দুনিয়ার সহজ কঠিন সকল রোগেরই ওষুধ তৈরী হয়। লুই পাস্তুর জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে, এডওয়ার্ড জেনার গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কার করে বিখ্যাত হয়ে রইলেন। কিন্তু দুনিয়ার প্রথম রোগ মৃত্যুর প্রতিষেধক আবিষ্কার করে কেউ একটা নোবেলও জিততে পারল না।

হ্যাঁ, মানুষ কেবল সমগ্র সৃস্টি এবং জীবজগতের অসংখ্য উদ্ভিদ এবং প্রাণীকূলের একাংশ এবং জগতের আর দশটা প্রাণীর মতই প্রাণীকূলের আরেকটি প্রজাতি মাত্র। তবুও আলাদা করে বলা প্রয়োজন হচ্ছে মানুষের কথা। কারণ এই যে আমি লিখছি, আপনি পড়ছেন বা শুনছেন। ঠিক এইভাবে আর কোন প্রাণী পারছে না। আমি ভাবছি, আপনাকেও ভাবাচ্ছি।(১) ভাবনার এ সীমানা চন্দ্রালোক পেরিয়ে আজ মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছে।
“পৃথিবীর উপর যাহা কিছু আছে আমি সেইগুলিকে উহার শোভা করিয়াছি,মানুষকে এই পরীক্ষা করিবার জন্য যে উহাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ।”
That which is on earth we have made but as a glittering show for the earth, in order that We may test them-as which of them are best in conduct.
(সূরা কাহাফঃ ১৮/৭)
“আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত।”
Or do you think that most of them hear or understand? They are only like cattle; nay,— they are even farther astray from the Path. (i.e. even worst than cattle).
(সূরা আল ফুরকানঃ ২৫/ ৪৪)
এ আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা হ’ল “চতুষ্পদ জন্তুর বিবেক নেই, তাই ভালো-মন্দ এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য উপলব্ধি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু যারা পথভ্রষ্ট তারা হয় নিজেদের বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না অথবা সত্যকে উপলব্ধি করার পরও তা মেনে নেয় না।”
ভূ-পৃষ্টের দৃশ্যমান সবকিছুই মানুষের নখ দর্পণে।মানব দেহের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, নাড়ী নক্ষত্রের কার্যপ্রবাহও মানুষের কাছে জলের মত পরিস্কার।মানুষের মাঝেই কেউ চর্ম বিশারদ, কেউবা হৃৎপিন্ড-মস্তিস্ক বিশারদ। অখচ আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেও কোন দেহ বিশারদই রোগীর প্রাণ বায়ু আটকানো তো দূরের কথা, কোন পথে সে ছুটে পালালো বা তার আকৃতিটাই বা কেমন তার টিকটিকিটাও উদ্ধার করতে পারল না।

আচ্ছা, মৃত্যু কি?মৃত্যুকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত কয়েছেন। তবে সংজ্ঞা যাই হোক মৃত্যুর সহজ সমীকরণ জীবনের অনিবার্য বাস্তবতা।চিকিৎসা শাস্ত্রে বলে –“মৃত হতে হলে প্রথমে হৃদয়ের কম্পন বন্ধ হতে হবে, ফুসফুস তার ক্রিয়া বন্ধ করবে, যার ফলে মস্তিষ্ক তার সব কাজ বন্ধ করে দেবে। ডাক্তার চোখের মণিতে আলো ফেললে যদি স্নায়ুর ওপর কোনো উদ্দীপনা সৃষ্টি না করে(চোখের তারা বা পিউপিলের আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা না দেখানো)তবে তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়া হয়।(২)"Death is defined as the cessation(বিরতি) of all vital functions of the body including the heartbeat, brain activity (including the brain stem), and breathing."(৩)

মানুষ মরে গেলে যেহেতু আর ইহ জগতে ফিরে আসে না সেহেতু মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী সময়ে কি ঘটে তা পাঠোদ্ধার করা যায় না।যেটুকু জানা যায় তা কেবল ধর্মগ্রন্থের কল্যাণেই।
“যখন আমি উহাকে সুঠাম করিব এবং উহাতে আমার পক্ষ হইতে রুহ সঞ্চার করিব তখন তোমরা উহার প্রতি সিজদাবনত হইও।”
“When I have fashioned him (in due proportion) and breathed into him(Adam) of My spirit, fall you down in obeisance to him.”
-[সূরা আল হিজর ১৫ /২৯];[সূরা আল সাদ ৩৮/৭২]।
“পরে তিনি উহাকে করিয়াছেন সুঠাম এবং উহাতে ফুঁকিয়া দিয়াছেন তাহার রুহ হইতে এবং তোমাদেরকে দিয়াছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। তোমরা অতি সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।”
Then He fashioned him in due proportion, and breathed into him something of His spirit. And He gave you (the faculties of) hearing (ears), sight (eyes) and hearts(feeling and understanding):Little thanks do you give.
--[সুরা সাজদা ৩২/৯]।
“ আমিই তোমাদেরকে সৃস্টি করি, অতঃপর তোমাদেরকে আকৃতি দান করি এবং তৎপর ফিরিশতাদের আদমকে সিজদা করিতে বলি। ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করিল।সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হইল না।”
It is We created you (your father Adam) and gave you shape; then We told the angels, “Prostrate yourselves to Adam”, and they prostrated themselves, except Iblîs (Satan), he refused to be of those who prostrated themselves.
--[সুরা আরাফ ৭/১১]।

তিনি বলিলেন, ‘হে ইবলীস আমি যাহাকে নিজ হাতে সৃস্টি করিয়াছি, তাহার প্রতি সিজদাবনত হইতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি কি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিলে, না তুমি তার চেয়ে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন?
(Allâh) said: “O Iblîs! What prevents you from prostrating yourself to one whom I have created with Both My Hands. Are you haughty? Or are you one of the high(and mighty) ones?”
[ সুরা সাদ, ৩৮:/৭৫ ]।

6 পৃথিবী থেকে জলউঠে চারপাশের জমিতে ছড়িয়ে পড়ল| 7 তখন প্রভু ঈশ্বর মাটি থেকে ধুলো তুলে নিয়ে একজন মানুষ তৈরী করলেন এবং সেই মানুষের নাকে ফুঁ দিয়ে প্রাণবাযু প্রবেশ করালেন এবং মানুষটি জীবন্ত হয়ে উঠল।
--বাইবেল দ্বিতীয় অধ্যায়, বাণী ৬ থেকে ৭
6 but streams[b] came up from the earth and watered the whole surface of the ground. 7 Then the Lord God formed a man[c] from the dust of the ground and breathed into his nostrils the breath of life, and the man became a living being.

Footnotes:
b. Genesis 2:6 Or mist
c. Genesis 2:7 The Hebrew for man (adam) sounds like and may be related to the Hebrew for ground (adamah); it is also the name Adam (see verse 20).

উপরের কোরানের আয়াত ও বাইবেল থেকে গৃহীত বাণী থেকে বোঝা যায়,আল্লাহ পাক আদম (আলাইহিস সালাম)-কে নিজ দু’হাত দ্বারা সরাসরি সৃষ্টি করেন(সুরা সাদ ৩৮:৭৫)। পৃথিবীর প্রথম মানব আদমের দেহে যে রূহ ফুৎকারিত হয়েছিল (যা পরম করুণাময় আল্লাহর রুহেরই কিছু অংশ-breathed into him something of His spirit-[সুরা সাজদা- ৩২:৯] তা এক সুক্ষ্ম আলোকচিত্র ও রহস্যময় শক্তি যা আদমের দেহের সংগে সংযোজিত হওয়ার সাথে সাথেই সে সজীব ও সক্রিয় হয়ে উঠে।

“হে মানবমন্ডলী! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর,যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকেই সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতিবন্ধন সম্পর্কে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাথেন।“
O mankind! Reverence your Guardian- Lord, Who created you from a single person (Adam), and from him (Adam) He created his wife [Hawwa (Eve)], and from them both He created many men and women; and reverence Allâh through Whom you demand (your mutual rights), and (do not cut the relations of) the wombs (kinship). Surely, Allâh is Ever an All¬Watcher over you.
-[সূরা নিসা ৪/১]।
“হে মানবমন্ডলী! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও।“
O mankind! We have created you from a single(pair) of a male and a female, and made you into nations and tribes, that you may know one another.
[সূরা হুজরাত ৪৯/১৩]।
“ আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে বহু নিদর্শন রয়েছে।”
And among His Signs in this,that He created for you mates from among yourselves,that you may dwell in tranquillity with them, and He has put love and mercy between your(hearts);verily in that are Signs for those who reflect.
--[সূরা রুম ৩০/২১]

18 তারপরে প্রভু ঈশ্বর বললেন, “মানুষের নিঃসঙ্গ থাকা ভালো নয়| আমি ওকে সাহায্য করার জন্যে ওর মত আর একটি মানুষ তৈরী করব|” 19 প্রভু ঈশ্বর পৃথিবীর ওপরে সমস্ত পশু আর আকাশের সমস্ত পাখী তৈরী করবার জন্য মৃত্তিকার ধূলি ব্যবহার করেছিলেন| প্রভু ঈশ্বর ঐ সমস্ত পশুপাখীকে মানুষটির কাছে নিয়ে এলেন আর মানুষটি তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নাম দিল| 20 মানুষটি সমস্ত গৃহপালিত পশু, আকাশের সমস্ত পাখীর এবং অরণ্যের সমস্ত বন্য প্রাণীর নামকরণ করল| মানুষটি অসংখ্য পশু পাখী দেখল কিন্তু সে তার য়োগ্য সাহায্যকারী কাউকে দেখতে পেল না| 21 তখন প্রভু ঈশ্বর সেই মানুষঢিকে খুব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করলেন| মানুষটি যখন ঘুমোচ্ছিল তখন প্রভু ঈশ্বর তার পাঁজরের একটা হাড় বের করে নিলেন| তারপর প্রভু ঈশ্বর য়েখান থেকে হাড়টি বের করেছিলেন সেখানটা চামড়া দিয়ে ঢেকে দিলেন| 22 প্রভু ঈশ্বর মানুষটির পাঁজরের সেই হাড় দিয়ে তৈরি করলেন একজন স্ত্রী| তখন সেই স্ত্রীকে প্রভু ঈশ্বর মানুষটির সামনে নিয়ে এলেন| 23 এবং সেই মানুষটি বলল,“অবশেষে আমার সদৃশ একজন হল| আমার পাঁজরা থেকে তার হাড়, আর আমার শরীর থেকে তার দেহ তৈরী হয়েছে| য়েহেতু নর থেকে তার সৃষ্টি হয়েছে, সেহেতু ‘নারী’ বলে এর পরিচয় হবে|
--বাইবেল দ্বিতীয় অধ্যায়, বাণী ১৮ থেকে ২৩।

18 Then the Lord God said, “It is not good that the man should be alone; I will make him a helper fit for[e] him.” 19 Now out of the ground the Lord God had formed[f] every beast of the field and every bird of the heavens and brought them to the man to see what he would call them. And whatever the man called every living creature, that was its name. 20 The man gave names to all livestock and to the birds of the heavens and to every beast of the field. But for Adam[g] there was not found a helper fit for him. 21 So the Lord God caused a deep sleep to fall upon the man, and while he slept took one of his ribs and closed up its place with flesh. 22 And the rib that the Lord God had taken from the man he made[h] into a woman and brought her to the man. 23 Then the man said,
“This at last is bone of my bones
and flesh of my flesh;
she shall be called Woman,
because she was taken out of Man.”[i]


“তোমরা নারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সে ভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদের ওসীয়ত করা হলো নারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার।”
[সহীহ বুখারি, হাদিস নং –৪৮০৭]
(বুখারি শরীফঃ ৮ম খন্ডঃ বিয়ে-শাদী অধ্যায়,ইসলামিক ফাউন্ডেশন,দ্বিতীয় সংস্করণ পৃষ্টাঃ৪৫৮-৪৫৯)

“পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদ, মানুষ উহারা যাহাদেরকে জানে না, তাহাদের প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করিয়াছেন।”
Glory to Allah,Who created in pairs all things that the earth produces,as well as their own(human)kind and(other)things of which they have no knowledge.
সূরা ইয়াসিন –৩৬ / ৩৬
“আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি,”
And We have created you in pairs
--সূরা নাবা ৭৮/৮

“১৬আর তিনি তোমাদের আর একজন সাহায্যকারী দেবেন, য়েন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন।
১৭ তিনি সত্যের রুহ,যাঁকে এই জগত সংসার মেনে নিতে পারে না, কারণ জগত তাঁকে দেখে না বা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, কারণ তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, আর তিনি তোমাদের মধ্যেই থাকবেন।”
16 And He will give you another Helper, that He may abide with you forever— 17 the Spirit of truth, whom the world cannot receive, because it neither sees Him nor knows Him; but you know Him, for He dwells with you and will be in you. 18 I will not leave you orphans; I will come to you.
[যোহন-১৪ : ১৬, ১৭]

উপরের কোরানের আয়াত, বাইবেলের বাণী ও হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, আদম থেকেই মানবযাত্রা শুরু। মানুষের শরীরে কোটি কোটি কোষ রয়েছে। রূহ কি তাহলে সকল কোষের ওপরই জালের মতো বিস্তার করে আছে? নাকি দেহের নির্দিষ্ট কোন অংশে অবস্থান করছে?কোথাও বলা হচ্ছে “রুহ তিন ধরনের হয়। (১) রুহে হায়াতি : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান হৃৎপিন্ডে-এর সাথে মানুষের জীবন এবং তার স্বস্তি ও সুস্থতা সম্পর্কিত। (২) রুহে তবয়ী : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান রক্ত, এ আত্মা মানুষের শক্তি, সামর্থ্য এবং কর্মক্ষমতা সংশ্লিষ্ট। (৩) রুহে নাফসানি : এ রুহ বা আত্মার অবস্থান মাথা। এই রুহ হলো অনুভূতি এবং চেতনার মূল।”(৪)

“জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।”
Every Soul shall be taste of death, and We shall make a trial of you with evil and with good, and to Us you will be returned.
-[সূরা আম্বিয়া ২১/৩৫]
“তিনিই স্বীয় বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী। তিনি প্রেরণ করেন তোমাদের কাছে রক্ষণাবেক্ষণকারী।অবশেষে যখন তোমাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন আমার প্রেরিত ফেরেশতারা তার মৃত্যু ঘটায় এবং তারা কোন ত্রুটি করে না।”
He is the Irresistible, Supreme over His slaves, and He sends guardians (angels guarding and writing all of one’s good and bad deeds) over you, until when death approaches one of you, Our Messengers (angel of death and his assistants) take his soul, and they never neglect their duty.
-[সুরা আনআম ৬/৬১]।
নাফস ও রুহ দু’টোই আরবি শব্দ।ইংরেজিতে রুহকে বলা হয় Spirit.আর নাফস বা আত্মাকে বলা হয় Soul.। নাফস ও রুহ ছাড়াও মানবদেহের আরেকটা জিনিস থাকে।সেটা হ’ল মন।ইংরেজিতে মনের প্রতিশব্দ হলো Mind.। নাফস ও মন নিয়ে আমরা পরে আলোচনায় আসছি।
মানবদেহে রুহটাই হলো আল্লাহর প্রতিনিধি যা মানবদেহের মহারাজা।নাফস(Soul) মরে যায়। কিন্তু মানুষের রুহ (Spirit) মরে না।আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেন- তিনি তাতে (মানবের মাঝে) ফুঁকিয়া দিয়াছেন তাহার রুহ হইতে(breathed into him something of His spirit)-[সুরা সাজদা- ৩২:৯] আল্লাহ পাক, যার নিজের কোন মৃত্যু নেই।অতএব তার ফুঁৎকারিত রুহেরও কোন মৃত্যু নেই।হতে পারে না।

হৃদপিন্ড, ফুসফুস ও মস্তিস্কের কার্যহীনতা মানব মৃত্যুর কারণ এ কথা আমরা পূর্বেই জেনেছি। আমেরিকান কলেজ অফ অবসটেট্রিশিয়ান এন্ড গাইনেকোলজিস্ট (ACOG) এর মতে, গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে বাচ্চার হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের গঠন হওয়া শুরু হয়। এই সময়েই বেবির হাত, পা, মস্তিষ্ক, স্নায়ুরজ্জু এবং স্নায়ুর গঠন ও শুরু হয়ে যায়।(৫) মানব শরীরে যে তিনটা অঙ্গের প্রথম গঠন শুরু হয় এবং সেই তিনটা অঙ্গের কার্যহীনতাই মানব মৃত্যুর কারণ।আবার উপরোক্ত আলোচনায় রুহের প্রকারভেদেও আসে এই তিনটি অঙ্গের নাম। তাহলে হৃদপিন্ড, ফুসফুস ও মস্তিস্কের কার্যক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে দেখি মানবদেহে এদের কোন অংশের কোথায় রুহ বা আত্মার অবস্হান।

(চলবে)

তথ্য সূত্রঃ
(১) মস্তিষ্কে, অনুরণন সংগোপনে – লিখেছেন জওশন আরা শাতিল|অক্টোবর ৭, ২০১০।মস্তিষ্কে, অনুরণন সংগোপনে
(২)মৃত্যুঃ চিকিৎসা বিজ্ঞান , বিভিন্ন ধর্ম , গুণীজনদের উক্তি এবং সাহিত্যের আলোকে মৃত্যুক্ষণের বর্ণনা -সর্বশেষ এডিটঃ-৪ঠা জুলাই,২০১৫।দুপুর ১২:০৩।মৃত্যুঃ চিকিৎসা বিজ্ঞান , বিভিন্ন ধর্ম , গুণীজনদের উক্তি এবং সাহিত্যের আলোকে মৃত্যুক্ষণের বর্ণনা
(৩) definition of death by Medical dictionarydefinition of death by Medical dictionary
(৪) রুহ ও মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-শাহিদ হাতিমী,দৈনিক ইনকিলাব,প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম রুহ ও মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
(৫) গর্ভাবস্থায় প্রতি তিন মাসে কি ঘটে- গর্ভাবস্থায় প্রতি তিন মাসে কি ঘটে

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলুক সিরিজ :)

ভাবনার সমুদ্রে চলুক মন্থন উঠে আসুত সত্য জ্ঞান :)

+++

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৮

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: কঠিন একটা অধ্যায়।অনুপ্রাণিত হচ্ছি।সেই সাথে আশা করছি যে যেভাবে পারেন সংশ্লিস্ট বিষয়ে যার কাছে যতটুকুন লিংক আছে দিয়ে সাহায্য করবেন।পরম করুণাময় আপনার মঙ্গল করুক।

২| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১২

নতুন বলেছেন: ভালো বিষয়... লিখুন... +

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩০

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: কঠিন বিষয়ও বটে।আশা করছি যে যেভাবে পারেন সংশ্লিস্ট বিষয়ে যার কাছে যতটুকুন লিংক আছে দিয়ে সাহায্য করবেন।পরম করুণাময় আপনার মঙ্গল করুক।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

নতুন বলেছেন: দুনিয়ার মানুষের গড় আয়ু কিন্তু বাড়ছে.... এখন মানুষ বেশি দিন বাচে... !!!

তার মানে হইলো দেহ কে বেশি দিন ঠিক রাখা যায়....

ক্লনিং করলে আপনার শরীর থেকে কোষ নিয়ে একটা নতুন মানুষ হইলে.... সেই শরীর কোথা থাকে রুহ পাইলো? সেটা কি আপনার রুহুর কপি?

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৩

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: এক সময় মানুষ দেড়শ,দু’শ বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত এই দুনিয়াতেই বেঁচেছিলেন।অতএব গড় আয়ু বাড়া নতুন কোন বিষয় কি?

আর কোষের কথা বলছেন? চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরুষের শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া বীর্য কি কোষ নয়? কেবল কোষ কেন বলছি বহুরুপী কোষের সমাহার।

এই পর্ব লেখার কেবল শুরু। পরবর্তী পর্বগুলোতে আশা করছি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।তবে একপেশে নয়।বিজ্ঞানকে সাথে নিয়ে বাইবেল ও কোরানের আলোকে আমরা আলোচনা করব।তবে অনুরোধ থাকবে আমরা যে যাই বলি না কেন তার সপক্ষে প্রয়োজনীয় লিংক দিব।

পরম করুণাময় আপনার মঙ্গল করুক।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: মানুষের শরীর থেকে কোষ নিয়ে একটা নতুন মানুষ করা যায় তা খোদাতায়ালা দেখিয়েছেন আদম থেকে হাওয়াকে সৃস্টি করে। এখন বলুন তো হাওয়া কোথা থেকে রুহ পেল?কেননা কোন গ্রন্থেই বিষয়টি পরিস্কার নয়।অথচ আদমের দেহে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রুহ ফুৎকার করেছিলেন (যা পরম করুণাময় আল্লাহর রুহেরই কিছু অংশ-breathed into him something of His spirit-[সুরা সাজদা- ৩২:৯]।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন:

লিখতে থাকুন, সাথেই আছি। ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: পরম করুণাময় আপনার দীর্ঘায়ু দান করুক।সেই সাথে আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

হাসনাত সিদ্দিকী মুরাদ বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই। চালিয়ে যান... :) :) :)

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৫

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: পরম করুণাময় আপনার মঙ্গল করুক।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: রুহ নামে একটা বই পড়েছি।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: বইটির লেখক বা প্রকাশনার নাম বললে সংগ্রহ করতাম ভাই।

৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৯

প্রামানিক বলেছেন: চলুক সিরিজ সাথে আছি।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৮

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: আপনী সাথে আছেন,আনন্দিত হলাম। ভূল ক্রুটি হ’লে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.