নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নীল ভবিষ্যতের পানে চেয়ে...

দার্শনিক

কোন এক জ্যোৎস্না রাতে, কাঙ্ক্ষীত সেই স্বপ্নের আবেশে মাছটি উড়ে চলে, আলোকিত শুভ্র নীল দিগন্তের পানে....তাঁরই সন্নিধানে। মাছটি স্বপ্নে উড়ে যায়, স্বপ্ন সত্যির অপেক্ষায়....

দার্শনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দ মুজতবা আলীর "চতুরঙ্গ" বইয়ের একটি পাদটীকা এবং ভুলে যাওয়া একটি ইসলামী শিক্ষা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯



কিছুদিন আগে সৈয়দ মুজতবা আলীর "চতুরঙ্গ" নামক একটি প্রবন্ধের বই পড়ছিলাম। এই বইতে তার ২১ টি প্রবন্ধ আছে। দ্বিতীয় প্রবন্ধটির নাম "শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব"। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (১৮৩৬-১৮৮৬) ছিলেন হিন্দু ধর্মের একজন ধর্মগুরু। তার সম্পর্কেই আলোচ্য প্রবন্ধটি লেখা। আমার এই প্রবন্ধ সম্পর্কে লিখতে বসার কারণ অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। হিন্দু ধর্মের ধর্মগুরু নিয়ে আমার তেমন আগ্রহ থাকার কথা নয়, কারণ আমি মুসলমান। আগ্রহ দেখাচ্ছি কারণ ঐ প্রবন্ধের ৫ নং পাদটীকায় লেখক যে তথ্যটি দিয়েছেন আমার মতে বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মুসলিমের সেই তথ্যটি অজানা।

লেখক লিখেছেন: বস্তুত, সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম পৃথিবীতে কোন মহাপুরুষ কখনোই আরম্ভ করেননি। বুদ্ধদেব বলতেন, তাঁর পূর্বে বহু বুদ্ধ জন্ম নিয়েছেন, মহাবীর জৈনদের সর্বশেষ তীর্থঙ্কর বা জিন। খ্রিষ্ট বলেন, তিনি বিধির বিধান ভাঙ্গতে আসেননি - তিনি এসেছেন তাকে পূর্ণরূপ দান করতে। হজরত মুহম্মদ বলতেন, তাঁর পূর্বে সহস্র পয়গম্বর আবির্ভূত হয়েছেন। বস্তুত এঁদের কেউ বলেননি, আমি প্রথম। প্রায় সকলেই বলেছেন, আমিই শেষ

এখানে দুটি বিশেষ তথ্য আছে। প্রথম তথ্য "সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম পৃথিবীতে কোন মহাপুরুষ কখনোই আরম্ভ করেননি"। যেহেতু নবী-রসূলগণ এক আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত। তাই প্রকৃতপক্ষে ধর্মও একটি। একারণে কোরআনে আছে, নূহ (আ.) তার জাতিকে বলেছেন, "আমার প্রতিদান একমাত্র আল্লাহরই কাছে এবং আমাকে মুসলিমদের/আত্মসমর্পনকারীদের অন্তর্ভূক্ত হবার আদেশ দেয়া হয়েছে।" (সূরা ইউনুস ১০:৭৩)

আরেক স্থানে লুত (আ.) এর জাতি সম্পর্কে লেখা আছে, "আর মুসলিমদের/আত্মসমর্পনকারীদের মাত্র একটি ঘরই আমরা সেখানে পেলাম।" (সূরা যারিয়াত ৫১:৩৭)

এ দুটি আয়াত থেকে লেখকের টীকার প্রথম তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত হয়। এবার দ্বিতীয় তথ্যের দিকে দৃষ্টি দেই যা হচ্ছে - বস্তুত এঁদের কেউ বলেননি, আমি প্রথম। প্রায় সকলেই বলেছেন, আমিই শেষ

বোল্ডকৃত এই শেষ লাইনটিইতেই আমার সব আগ্রহ। কারণ আমি আল্লাহর প্রেরিত সকল নবী-রসূলদের সত্যবাদী বলে মনে করি। আমি যতটুকু জানতাম, পবিত্র কোরআনের সূরা আহযাবে মহান আল্লাহ তা'লা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে খাতামান্নাবীঈন বলেছেন। বর্তমানে ইসলমের ৭৩ ফিরকার মধ্যে ১ টি ফিরকা ব্যতীত সকলেই মনে করে "খাতামান্নাবীঈন" অর্থ নবীদের শেষ এবং একারণে তাঁর (সা.) এর পরে কোন নবী নেই। কিন্তু সৈয়দ মুজতবা আলীর উল্লেখিত তথ্য যদি সত্য হয়, তবে আমাদের বলতে হবে, আরও অনেক পয়গম্বরেরও দাবী ছিল যে তারা প্রত্যেকেই শেষ পয়গম্বর। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই তথ্য ভুল, নাকি পয়গম্বররা ভুল। আপনারা হয়তো বলবেন, তথ্যই ভুল। কিন্তু যদি তথ্যও সঠিক হয়, পয়গম্বররাও সত্যবাদী সাব্যস্ত হন, তাহলে কি বলবেন?

আল্লাহর রহমতে আমি সেই ১ ফিরকার সদস্য যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে খাতামান্নাবীঈন বলে বিশ্বাস করে এবং এটাও বিশ্বাস করে আল্লাহ তা'লা তাঁর (সা.) এর ওফাতের পরেও তাঁর (সা.) এর উম্মতদের মধ্যে নব্যুয়তের পুরষ্কার জারি রাখবেন। এই বিশ্বাসের কারণ সূরা নিসার ৭০ নং আয়াত, যাতে আল্লাহ তা'লা তাকে ও তার প্রিয় রসূল (সা.) এর আনুগত্যকারীদের জন্য ইহকালেই চারটি পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন:

"আর যে (সব ব্যক্তি) আল্লাহ্ ও এ রসূলের আনুগত্য করবে এরাই তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে, যাদের আল্লাহ্ পুরস্কার দান করবেন (অর্থাৎ এরা) নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সালেহদের (অন্তর্ভূক্ত হবে)। আর এরাই সঙ্গী হিসেবে উত্তম।"

রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পরেও যে তাঁর (সা.) এর পবিত্র সাহাবীদের আল্লাহ তা'লা শাহাদাতের পুরষ্কার দিয়েছেন এটা কারো অজানা নয়। সিদ্দীক ও সালেহ এর নেয়ামতের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অন্যান্য মুসলমান ফিরকার সাথে এই বিষয়ে আমাদের বিতর্ক খুব কমই হয়। তবে যখনই বাদবাকি ১টি পুরস্কারের প্রসঙ্গ উঠে তখনই বিতর্ক শুরু হয়। কারণ, সূরা আহযাবের ৪১ নং আয়াত:

"মুহাম্মদ তোমাদের পুরুষদের মাঝে কারো পিতা নয়। কিন্তু (সে) আল্লাহর রসূল ও খাতামান্নাবীঈন। আর আল্লাহ্ প্রত্যেক বিষয়ে পুরোপুরি অবগত।"

একটু আগে একটি প্রশ্ন জাগিয়েছিলাম, সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রদত্ত তথ্যটি ভুল, নাকি পয়গম্বররা ভুল। ঐ প্রশ্নের উত্তর দেয়া একটু সহজ ছিল। কারণ একপাশে ছিলেন ত্রুটিবিচ্যুতির অধীন একজন সাহিত্যিক, অন্যপাশে আল্লাহর প্রেরিত পয়গম্বর। কিন্তু এবার একই ধরণের আরেকটি প্রশ্ন জাগাতে চাচ্ছি। সূরা নিসার ৭০ আয়াতে বর্ণিত আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ভুল, নাকি সূরা আহযাবের ৪১ নং আয়াতে বর্ণিত খাতামান্নাবীঈনের উপাধির প্রচলিত অর্থটি ভুল। এবার উত্তর দেয়া এত সহজ হবে না কারণ আল্লাহ তা'লা স্বয়ং তাঁর কিতাবকে বলেছেন, "এ সেই পূর্ণাঙ্গ কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই। (সূরা বাকারা)

সন্দেহ যদি নাই থাকে, তাহলে মানতেই হবে দুটি আয়াতই সঠিক। রাসূল (সা.) খাতামান্নাবীঈন সত্য, তাঁর (সা.) এর পরে আল্লাহ ও তাঁকে (সা.) যারা মান্য করবেন তাদের কাউকে কাউকে আল্লাহ তা'লা নব্যুয়তের পুরস্কার দিলে তাতেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু খাতামান্নাবীঈন মানে যে "শেষ নবী"। তাহলে পরে কিভাবে নবী আসতে পারে? পারে এভাবে যে, খাতামান্নাবীঈন অর্থ শুধুই শেষ নবী না বরং শরীয়তের শেষ নবী। অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত শরীয়তবাহী (আমাদের শরীয়ত কুরআন শরীফ) নবীগণের শেষ নবী। প্রত্যেক পয়গম্বরই এ রকম বিভিন্ন স্থান, কাল, পাত্রের প্রেক্ষাপটে শেষ নবী ছিলেন। যে কারণে খাতামান্নাবীঈন রাসূল (সা.) এর জন্য বিশেষ সম্মান তা হচ্ছে খাতামান্নাবীঈন শব্দটির অর্থের গভীরতা। মহানবী(স.) বলেছেন, আমি তখনও আল্লাহর বান্দা ও খাতামান্নবীঈন ছিলাম যখন আদমের জন্মও সম্পূর্ণ হয় নি। অর্থাৎ সৃষ্টির সূচনাতেই যে সম্পূর্ণ নবী সৃষ্টি করার পরিকণ্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছিল তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)। আর সর্বাঙ্গীন পরিপূর্ণ নবীকেই খাতামান নবীঈন বলা হয়। খাতামান্নাবীঈন এর আরও অনেকগুলো অর্থ আছে। যেমন: নবীদের মোহর, নবীগণের আংটি, নবীগণের সত্যায়নকারী ইত্যাদি। এরকম খাতামান্নাবীঈনের যতগুলো অর্থ হয় সবগুলো অর্থেই আমরা রাসূল (সা.) কে খাতামান্নাবীঈন বলে মান্য করি।

তবে এটাও ঠিক তার পরে শরীয়তবিহীন নবীর আগমনের পথ খোলা আছে। এবং তাঁর (সা.) এর পরে নবী আসলেই যে পরবর্তী নবী শ্রেষ্ঠ নবী হবেন এরূপ ভাবা ভুল। যিনি শেষে আসেন তিনিই শ্রেষ্ঠ এই তত্ত্বের যৌক্তিকতা আমার কাছে অস্পষ্ট (কেউ স্পষ্ট করতে পারলে তাকে স্বাগতম জানাচ্ছি)। আর মজার বিষয় হল, এই তত্ত্বে বিশ্বাসীগণ আবার ঈসা (আ.) নবীউল্লাহর আকাশ থেকে পুনরাগমনে বিশ্বাসী। তাদের তফসীরে তারা স্পষ্ট লিখেছেন, আগমনকারী ঈসা(আ.) অবশ্যই নবী হবেন। তাকে না মানলে কাফের হয়ে যেতে হবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেও তারা খাতামান্নাবীঈনের (সা.) এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে অক্ষম।

তবে রাসূল (সা.) এর উম্মাতের মধ্যে পুরস্কারস্বরূপ কাউকে আল্লাহ নবী মনোনীত করলে এই সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণ সূরা নিসার আয়াতে ঐরূপ নবীর জন্য আল্লাহ ও তার রসূল (সা.) এর আনুগত্য করা বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ পদমর্যাদায় রাসূল (সা.) এর পরে কোন নবী নেই। এটাও খাতামান্নাবীঈনের আরও একটি অর্থ এবং এ কারণেই রাসূল (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। বিষয়গুলো অনেকেরই অজানা, তাই সবার জন্য শেয়ার করলাম। কেমন লাগলো জানাবেন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: এমন গোঁজামিল করে লিখলেন যে পুরো বিষয়টি মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল। যাহোক সূরা নিসায় নবীদের অন্তর্ভুক্ত হবে বলতে আখিরাতে তাদের সাথে থাকবে বুঝিয়েছে। আর আপনি আয়াতটিকে টুইস্ট করে ফেললেন।

খাতামান্নাবীঈন এর আরও অনেকগুলো অর্থ আছে। যেমন: নবীদের মোহর, নবীগণের আংটি, নবীগণের সত্যায়নকারী ইত্যাদি। এরকম খাতামান্নাবীঈনের যতগুলো অর্থ হয় সবগুলো অর্থেই আমরা রাসূল (সা.) কে খাতামান্নাবীঈন বলে মান্য করি।

আপনি কি আরবী ভাষা জানেন? কোন কিছু লেখার আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া দরকার।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

দার্শনিক বলেছেন: আখিরাতে তাদের সাথে থাকবে বলতে আপনি আসলে কি বোঝাচ্ছেন একটু বিস্তারিত বলবেন কি? আমার প্রশ্ন ইহকালে তারা কি আদৌ নবী, সিদ্দীক, শহীদ, সালেহ হবেন? নাকি ইহকালে কিছুই হবেন না, শুধু পরকালে নবী, সিদ্দীক, শহীদ, সালেহদের সঙ্গে থাকবেন?

আর খাতামান্নাবীঈনের যেসব অর্থ আমি লিখেছি সবগুলো জেনেই লিখেছি।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

প্রামানিক বলেছেন: ইসলাম নিয়ে কথা বলা যে কত জ্ঞানের দরকার তা কিছু কিছু পোষ্ট না পড়লে কোঝা যায় না।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফালতু ক্যাচাল| সৈয়দ আলী ক্যাচাল করার জন্য কিছু লিখেননি| আমি পড়েছি প্রবন্ধটা| এতে ক্যাচাল করার মত কিছু তো নেইই, বরং মজাদার| এসব বাদ দিয়ে বরং বাকি ২০টা প্রবন্ধ শুরু করুন|

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

দার্শনিক বলেছেন: তার বক্তব্যের সপক্ষেই প্রবন্ধটি লিখেছি। ভালো করে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: মাথার উপ্রে দিয়া গেলো যে- পেজগি লাইগা গেছে, মুজতবা আলী কে ভুল বানাতে চাইলেন নাকি কোরানের আয়াত কনফ্লিক্টিং এটা বলতে চাইলেন বুঝলাম না।

"আর যে (সব ব্যক্তি) আল্লাহ্ ও এ রসূলের আনুগত্য করবে এরাই তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে, যাদের আল্লাহ্ পুরস্কার দান করবেন (অর্থাৎ এরা) নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সালেহদের (অন্তর্ভূক্ত হবে)। আর এরাই সঙ্গী হিসেবে উত্তম।"

এইখানে "তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে" নাকি তাদের সাথে থাকবে। অনেক সাহাবীই তো প্রশ্ন করেছিলেন রাসুল (সঃ)," জান্নাতে আপনি থাকবেন সবার উপরে আপনার সাথে কি আমরা থাকতে পারবো না?? "- এই আয়াতও তো তারই উত্তর। তাহলে সকল সাহাবীই কি আপনার কথা মত নবী হয়ে গেলেন!!!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

দার্শনিক বলেছেন: আমি সৈয়দ মুজতবা আলীর উক্তিটিকে সত্য মনে করেই লিখেছি প্রবন্ধটি। এবং এটাও প্রমাণ করেছি কোরআনের আয়াতের মধ্যে কোন দ্বার্থবোধকতা নেই। অর্থাৎ একটি আয়াত অন্যটির বিপরীত নয়। যেখানে ভুল ধরেছি তা হচ্ছে খাতামান্নাবীঈনের প্রচলিত অর্থে। সাধারণ মুসলমান মনে করে খাতামান্নাবীঈন মানে রাসূল (সা.) এর পর নব্যুয়তের দরজা বন্ধ। কিন্তু আল্লাহ তা'লা কিন্তু কোরআনের কোথাও একথা বলেননি একবারও। হ্যা আল্লাহ তা'লা সূরা আহযাবে রাসূল (সা.) কে খাতামান্নাবীঈনের খেতাব দান করেছেন। কিন্তু এর অর্থ কি শুধুই শেষ নবী? একজনকে শেষ আখ্যাদানে বিশেষত্ব কি যদি তিনি শ্রেষ্ঠ হতে না পারেন? আমি এটাও লিখেছি যে শেষ দিয়ে যদি আপনারা রাসূল (সা.) কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে চান তবে অবশ্যই ঈসা (আ.) আর আসবেন না এটা মানতে হবে। কারণ ঈসা(আ.) আখেরি যামানায় আকাশ থেকে নেমে আসলে তিনিই শেষ নবী হবেন। তাই কোন ভাবেই এটা মেনে নেয়া যায় না।

তবে যদি আমাদের ব্যাখ্যা মেনে নেন, তাহলে সব কিছু সহজ হয়ে যায়। আমি লিখেছি, রাসূল (সা.) এর পরে নবীর আগমন সম্ভব, তবে পরবর্তী নবীকে অবশ্যই রাসূল (সা.) এর অনুগত হতে হবে। (কেউ কারও অনুগত্য বজায় রেখে তাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে কি? অবশ্যই পারে না।) সূরা নিসার আয়াতে সেটাই বলা হয়েছে।

আপনি যদি এই আয়াতকে কেয়ামত দিবসের প্রতি আরোপ করেন তাহলে আপনি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করছেন, রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর উম্মাতে মুহাম্মাদীয়ায় কোন সত্যসাধক ছিলেন না, কেউ শহীদ হয়নি, কোন সৎকর্মশীল ছিলেন না। পৃথিবীতে তারা শহীদ ছিলেন না, সত্যসাধক ছিলেন না, সৎকর্মশীল ছিলেন না, তবে আল্লাহর অনুগ্রহে কেয়ামত দিবসে এই পুরস্কার তারা পেয়ে যাবেন। বিষয়টিকি আদৌ এরূপ?

আমাদের অর্থ মেনে নিলে এই সমস্যায় পড়তে হয় না এবং কোরআনের আয়াত যে দ্বার্থহীন সেটাও প্রমাণিত হয়।
আপনাকে কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি হতাশ অনেক বার পড়েও কিছুই বুঝতে পারলাম না, ভাই আমার মত অল্পশিক্ষিত মানুষ দের জন্য একটু বুঝিয়ে বলেন, মাথা চুলকানো ছারা আর কিছুই বলতে পারছি না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

দার্শনিক বলেছেন: আপনি অনেকবার পড়েছেন শুনে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। এবং আপনাকে বিষয়টি একটু সহজ করে দেয়ার চেষ্টা করছি।
রানা ভাই, আমি কোরআনের দুটি আয়াত এখানে উল্লেখ করেছি। সূরা আহযাবের আয়াতে আল্লাহ তা'লা রাসূল(সা.) কে "খাতামান্নাবীঈন" বলে ঘোষণা করছেন। আর সূরা নিসার আয়াতে আল্লাহ তা'লা বলছেন, আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর যারা আনুগত্য করবে তাদের কে যেমন তিনি এই পৃথিবীতে সিদ্দীকের পুরস্কার দিবেন, শহীদের পুরস্কার দিবেন এবং সালেহের পুরস্কার দিবেন, ঠিক তেমনি আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর আনুগত্যের শর্তে নব্যুওয়তের পুরস্কারও আল্লাহ দিবেন।

খাতামান্নাবীঈন বলতে সাধারন মুসলমান বিশ্বাস করে, রাসূল (সা.) এর পর নব্যুয়তের দরজায় আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন। তাই তাঁর(সা.) পরে নবীর আগমনের পথ রুদ্ধ। কিন্তু আসলেই কি তাই? খাতামান্নাবীঈন তো সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর (সা.) জন্য আল্লাহর ঘোষিত উপাধি। শেষ বলার মাধ্যমে আমরা কি এই উপাধিকে সংকুচিত করে ফেলি না? আমি প্রশ্ন করেছি, যিনি শেষে আসেন তিনিই কি সবসময় শ্রেষ্ঠ হন? যদি শেষের মাঝেই শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত হয় তবেএটাও দেখিয়েছি, মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে শেষ যুগে ঈসা (আ.) নবী হিসেবে আকাশ থেকে নেমে আসবেন। তাহলে রাসূল (সা.) শেষ নবী-ই বা হলেন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে?

আমরা কোরআনের ঐ দুটি আয়াতের যে ব্যাখ্যা করেছি তাতে প্রমাণিত হয়, রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর উম্মাতে নবীর আগমন সম্ভব। এরকম কোন নবী (আ.) আসলে, তাকে অবশ্যই আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর অনুগত হতে হবে। এটা বলা যাবে না, আমি রাসূল(সা.) কে মানি না, শুধু আল্লাহ তা'লা কে মানি। এখন এরকম কোন নবী আসলে এবং যদি বলেন আমি আল্লাহর যেমন গোলাম, তেমনি তার নবী (সা.) এরও হুকুমের দাস, তাহলে এরূপ নবীর আগমনে রাসূল (সা.) এর মর্যাদায় কোন হানী হয়না। বরং তাঁর (সা.) এর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। এভাবেই রাসূল (সা.) যে খাতামান্নাবীঈন তা প্রমাণিত হয়।

সৈয়দ মুজতবা আলীর টীকা অনুযায়ী প্রায় সকল নবী (আ.) এর দাবী নাকি এরূপ ছিল তারাই শেষ। তারা শেষ হতেই পারেন তবে স্থান,কাল, পাত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে। রাসূল (সা.) ও শেষ নবী, শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে। কারণ পূর্ণাঙ্গ শরীয়ত কোরআন তাঁর (সা.) এর উপর নাযিল হয়েছে। এবং এইজন্য তিনি (সা.) শরীয়তের শেষ নবী। তবে শরীয়ত বিহীন উম্মাতি নবীর আগমন সম্ভব।

তাই কোরআনও সত্য এবং মুজতবা আলীর দেয়া তথ্যটিও সত্য। সমস্যা হচ্ছে খাতামান্নাবীঈনের প্রচলিত ব্যাখ্যায়, যেটা আমাদের শুধরানো উচিত।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাই এইগুলা কি সব হাবিজাবি লিখছেন !!!

আপনি তো মুজতবা আলীর "প্রায় সকলেই বলেছেন, আমিই শেষ।" এই কথাটাকেই ভুল অর্থে ব্যাবহার করেছেন ।

"আমি শেষ" বলতে মুজতবা আলী "আমার পরে আর কেউ আসবে না" এটা বোঝান নি, এর অর্থ "সেই সময় পর্যন্ত আমি সবার পরে" মানে, "আমি জুনিয়র" "আমার আগে আরও অনেক ওস্তাদেরা আসছেন" ।

ভবিষ্যদ্বানী করা বা সেটা যাচাই করা প্রবন্ধটার লক্ষ নয়, যেটা আপনি আপনার এই পোস্টে গোঁজামিল দিয়ে করার চেষ্টা করেছেন ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

দার্শনিক বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত, ""আমি শেষ" বলতে মুজতবা আলী "আমার পরে আর কেউ আসবে না" এটা বোঝান নি, এর অর্থ "সেই সময় পর্যন্ত আমি সবার পরে"।

সৈয়দ মুজতবা আলীর "প্রায় সকলেই বলেছেন, আমিই শেষ।" কথাটি অর্থ আমি ভুল অর্থে ব্যবহার করিনি। এবং এই প্রবন্ধে কোনভাবেই কথাটি ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করিনি। বরং বলতে পারেন, আমি এই উক্তির সপক্ষে যে শেষ বলতে নবীরা যা বুঝিয়েছেন সেটা স্থান, কাল, পাত্রের প্রেক্ষাপটে বুঝতে হবে। অর্থাৎ "সেই সময় পর্যন্ত তারা ছিলেন শেষ"।

কাকতালীয় বিষয় হচ্ছে "খাতামান্নাবীঈন" সম্পর্কে উম্মুল মু'মেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) ঠিক এরূপ একটি কথাই বলেছেন। তিনি (রা.) বলেছেন,
"তোমরা (মহানবী (স)কে খাতামান্ নবীঈন বলো, কিন্তু তাঁর পরে নবী নাই একথা বলো না"(দূররে মানসূত ফিত তাফসীরুল মাসূর, খন্ড:৫,পৃষ্ঠা :৩৮৩)

আপনার সাথে আমার দ্বিমত শুধু এই কথায় "আমি জুনিয়র" "আমার আগে আরও অনেক ওস্তাদেরা আসছেন" এটা অন্য নবীদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, তবে যেহেতু আল্লাহ হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে খাতামান্নাবীঈনের মর্যাদায় ভূষিত করেছেন যেটা সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর মর্যাদা, তাই নবীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সিনিয়র এবং সর্বশ্রেষ্ঠ।

রাসূল (সা.) ও এরকমই বলেছেন, "আমি নিশ্চয়ই তখনও আল্লাহর বান্দা ও খাতামান্নাবীঈন ছিলাম যখন আদম (আ.) কর্দমাক্ত অবস্থায় তাঁর সৃষ্টির সূচনায় ছিলেন।" (মুসনাদ আহমদ, হাদীস: ১৭২৮০)

আমি সৈয়দ মুজতবা আলীর উক্তিটি ভুল বুঝিনি, এবং কোরআনকেও কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই প্রবন্ধ লিখিনি। "খাতামান্নাবীঈন" এর অর্থ সম্পর্কে সাধারন মুসলমানদের যে ভুল ধারনা সেটাই শুধু দূর করার চেষ্টা করেছি এই প্রবন্ধে এবং দেখিয়েছি, পূর্বের প্রজন্ম ( উদাহরণস্বরূপ, সৈয়দ মুজতবা আলীদের) "শেষ" বলতে যা বুঝতেন, বর্তমান প্রজন্ম তা বুঝে না। তারা মনে করে, শেষ মানে, এর পরে কেউ নেই। তারা প্রত্যেক বছর আখেরি মোনাজাত করে, কিন্তু আমরা যদি বলি, রাসূল (সা.) এর পর নবীর আগমনের পথ খোলা আছে তখন তারা "রাসূল (সা.) আখেরি নবী" এই বিতর্ক শুরু করে।

আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, রাসূল (সা.) খাতামান্নাবীঈন (শরীয়তের শেষ নবী), শুধু এটা বলি না তাঁর(সা.) এর পরে কোন নবী নেই।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

মধুমিতা বলেছেন: না বুঝেই বহুত বড় গবেষণা করে ফেললেন ! উক্ত আয়াতে কখনোই নতুন করে নবী আসার নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সাধারণ বাংলা জানলেও যে কেউ এটা বুঝতে পারবে। প্রসঙ্গতঃ ঈসা (আঃ) হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হিসাবে পূনরায় পৃথিবীতে আসবেন এবং তখনকার সময়ের মানুষদের নেতৃত্ব দিবেন। না বুঝেই বহুত বড় গবেষণা করে ফেললেন ! উক্ত আয়াতে কখনোই নতুন করে নবী আসার নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সাধারণ বাংলা জানলেও যে কেউ এটা বুঝতে পারবে। প্রসঙ্গতঃ ঈসা (আঃ) হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হিসাবে পূনরায় পৃথিবীতে আসবেন এবং তখনকার সময়ের মানুষদের নেতৃত্ব দিবেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

দার্শনিক বলেছেন: আপনি কেবল বলেন, রাসূল (সা.) এর পর উম্মাতে মুহাম্মদীয়ায় কেউ শহীদ হয়েছে কিন? সিদ্দিক হয়েছে কিনা? সালেহ/সৎকর্মশীল হয়েছে কিনা? যদি এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর হয় পজিটিভ। তাহলে এটাও মানতে হবে, রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর তার উম্মাতে নব্যুয়তের দরজাও খোলা আছে।

আপনার উত্তর যদি নেগেটিভ হয়, তাহলে এর অর্থ, রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর এই উম্মাতে সত্য সাধক ছিলেন না, শহীদও কেউ হননাই, সৎকর্মশীলও হয়নি। তবে হ্যা, পৃথিবীতে সৎকর্মশীল না-ই হলেন, কিন্তু কিয়ামতের দিন সৎকর্মশীলদের সঙ্গী তারা ঠিকই হয়ে যাবেন।

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

নিমগ্ন বলেছেন: লেখক কি ডাইল খাইছে? একবার কয় খাতামুন্নাবি মানে শেষ নবী, আরেকবার কয় আরো আইবেক। ক্যামনে কি রে ভাই??

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২ ০
লেখক বলেছেন: আপনি কেবল বলেন, রাসূল (সা.) এর পর উম্মাতে মুহাম্মদীয়ায় কেউ শহীদ হয়েছে কিন? সিদ্দিক হয়েছে কিনা? সালেহ/সৎকর্মশীল হয়েছে কিনা? যদি এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর হয় পজিটিভ। তাহলে এটাও মানতে হবে, রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর তার উম্মাতে নব্যুয়তের দরজাও খোলা আছে।


মিয়া! আমনের থিউরি দিয়া তো সাপরে ব্যাং বানান কোনু ব্যপার না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

দার্শনিক বলেছেন: আমি যাই লিখেছি কোরআনের যুক্তিসহ লিখেছি। আপনার এরূপ কোন যুক্তি থাকলে সেটা উপস্থাপন করলে ভালো হয়।

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

আহলান বলেছেন: আসলেই বড়ই জটিল লাগলো। তবে আমিন দুনিয়ায়, তারা সবাই হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে ইমামুল মুরসালিন হিসাবে স্বিকার করেই এসেছেন। যে কোন সময়ই তার আবির্ভাব হতে পারে, এবং যখনই তাঁর আবির্ভাব হবে, তখন একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করতে হবে এবং তিনি হবেন ইমামুল আম্বিয়া ...এই জ্ঞ্যান দিয়েই আর সবাইকে নবী হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছিলো। সুতরাং সবাই নিজেকে সর্বশেষ হিসাবে দাবী করেছেন এটা ভুল বলেই মনে হয়

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

দার্শনিক বলেছেন: প্রত্যেকেই তার প্রেক্ষাপটে শেষ নবী। এবং ঐ মুহুর্তে স্ব-স্ব নবীই শেষ নবী ছিলেন। যখন আপনি স্থান, কাল পাত্রকে দৃষ্টপটে রাখবেন তখন সৈয়দ মুজতবা আলীর বর্ণিত নবীদের সেই দাবীকে ভুল মনে হবে না।

আমি উপরে সংক্ষেপে লিখেছি, এখানে আবার লিখছি। যখন তবলীগি জামাত প্রতি বছর আখেরি মোনাযাত করে। তখন কেউ কি বলে তবলীগি জামাতের এই দাবী মিথ্যা/ভুল? আমরাও বলি না। প্রত্যেকটি আখেরি মোনাযাত সালের/সময়ের দৃষ্টিকোণ থেকে আখেরি। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আখেরি মোনাজাত অর্থ এই বছরের আখেরি। এখন অবশ্য দুই বার করে হয় এক বছরে। তাই এখন এর অর্থ হবে ২০১৫ সালের প্রথম জমায়াতের জন্য আখেরি, দ্বিতীয় জমায়াতের জন্য আখেরি। আখেরি বলতে সমস্যা নেই, যেটা বলা উচিত নয়, এর পর কোন মোনাযাত নেই।

উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) এই বিষয়টিই আমাদের শিখিয়েছেন,
"তোমরা (মহানবী (স))কে খাতামান্ নবীঈন বলো, কিন্তু তাঁর পরে নবী নাই একথা বলো না" (দূররে মানসূত ফিত তাফসীরুল মাসূর, খন্ড:৫,পৃষ্ঠা :৩৮৩)

এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা রাসূল (সা.) কে খাতামান্নাবীঈন বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। এবং এটাও বিশ্বাস করি তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। কিন্তু তার পর কোন নবী আসবেন না এরূপ কথা কোরআনের কোথাও নেই। খাতামান্নাবীঈনের সঠিক অর্থ উপলব্ধি করতে পারলেই বিষয়টি আমাদের নিকট পরিস্কার করয়ে যায়। আমি আমার প্রবন্ধে এই বিষয়টিই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সৈয়দ আলীর এই বিষয়টি জানতেন বলে মনে হয়, তাই প্রসঙ্গত তার টীকাটিও উল্লেখ করেছি।

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

দরবেশমুসাফির বলেছেন: লেখার আগে বিস্তারিত পড়াশোনা করে তারপর লেখা উচিত। ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লিখতে হলে আপনার ব্যপক পড়াশোনা করতে হবে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

দার্শনিক বলেছেন: আমার মনে হয়, যথেষ্ট পড়াশোনা করেই লিখেছি। আপনার ঠিক কোন বিষয়ে সন্দেহ হচ্ছে, নির্দিষ্ট করে বলবেন কি?

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

মধুমিতা বলেছেন:

ভাইরে .... এখন দেখা যাচ্ছে বাংলার তালিম দিতে হবে।

এখানে কাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে? -- ঐসব ব্যক্তি যারা আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) কে মানে- যাদের তাকওয়া প্রশ্নাতীত। তো এইসব তাকওয়াওয়ালা ব্যক্তিদের পুরস্কার কি? -- তারা পরকালে নবী, শহীদ, সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের সাথে অবস্থান করার মর্যাদা লাভ করবে। আর এই মর্যাদা তাকওয়ার উপর নির্ভর করবে। যাদের তাকওয়া সর্বোচ্চ তারা নাবীদের সাথে থাকবেন।। ..........

এটা না বুঝবার তো কোন কারন দেখি না। ঘুরিয়ে পেচিয়ে অর্থ বের করবার দরকারটা কি? আল্লাহ কি বলেননি কোরআন বুঝার জন্য সহজবোধ্য করা হয়েছে?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

দার্শনিক বলেছেন: আপনি বাংলার তালীম দিলেন, আমি একটু আরবীর তালীম দিতে চেষ্টা করছি। সূরা নিসার আয়াতটি উচ্চারণ ও অর্থ লিখছি:

ওয়া মাইয়ুতিয়িল্লাহা ওয়া রাসূলা (আর যারা আল্লাহ ও এই রাসূলের আনুগত্য করবে)
ফায়ুলাইকা 'মায়াল্লাযি' আনয়ামাল্লাহু আলাইহিম (এরা তাদের 'সঙ্গী' হবেন যাদের আল্লাহ পুরস্কার দান করেছেন)
মিনান্নাবীঈনা ওয়া সিদ্দিকীনা ওয়াশশুহাদায়ি ওয়াসসোয়ালিহীন (অর্থাৎ নবীদের, সিদ্দীকদের, শহীদদের ও সালেহদের)
ওয়া হাসুনা উলাইকা রাফিইকা (আর এরাই সঙ্গী হিসেবে উত্তম)

'মায়াল্লাযি' শব্দটিকে ইচ্ছা করেই ইনভারটেট কমার মধ্যে লিখলাম। কারণ আপনি "মায়া" এর অর্থ করেছেন "সঙ্গী করা"। আমার প্রবন্ধে আমি অর্থ লিখার সময় এই শব্দের অর্থ লিখেছি "অন্তর্ভূক্ত করা"।

এবার একই রকম আরেকটি আয়াত দেখাচ্ছি যাতে আপনি এই শব্দ এর ব্যবহার পাবেন।
সূরা আলে ইমরানের ১৯৪ আয়াতের শেষাংশ:
"রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আলনা সাইয়্যেয়াতিনা ওয়াতাওয়াফফানা 'মায়া'ল আবরার"
অর্থ: হে আমাদের রব, তুমি আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা কর, আমাদের দোষত্রুটি আমাদের কাছ থেকে দূর করে দাও এবং পূণ্যবানদের সঙ্গী করে আমাদের মৃত্যু দাও।

শেষ অংশে 'মায়াল আবরার' এর অর্থ যদি "পূণ্যবানদের অন্তর্ভূক্ত করে" না লিখে এভাবে লিখা হয় তার অর্থ আমরা এই আয়াতে এই দোয়া করছি যে, যখন কোন পূণ্যবান মারা যান, আমরাও যেন তার সাথে মারা যাই।

বিষয়টাকি তাই?

উক্ত আয়াতের একটাই অর্থ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাদের তুমি এই পৃথিবীতেই পূণ্যবানদের অন্তর্ভূক্ত করে মৃত্যু দিও অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন আমরা পূণ্যবান থাকি এবং মারা যাওয়ার সময়ও পূণ্যবান থেকেই মারা যাই।

এবার যদি সূরা নিসার আয়াতে ফিরে আসি সূরা নিসার আয়াতের সহজ অর্থ এটাই হবে, যারা আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর আনুগত্য করবেন, তাদেরকে আল্লাহ ইহকালেই চারটি পুরস্কারের একটি দিবেন অর্থাৎ তারা নবীদের একজন হবেন অথবা সিদ্দীকদের একজন হবেন, অথবা শহীদদের একজন হবেন অথবা সালেহদের অন্তর্ভূক্ত হবেন।

এত থিউরীটিক্যাল চিন্তা না করে এটা সহজভাবেও বোঝা যায়, যে ব্যক্তি ইহকালে পূণ্যবান ছিলেন না, এটা কি মেনে নেয়া যায়, আল্লাহ পরকালে তাকে পূণ্যবানদের অন্তর্ভূক্ত করবেন? পরকালে পূণ্যবানদের সঙ্গী হতে হলেও তাকে ইহকালেই পূণ্যবানদের একজন হতে হবে। ঠিক তেমনি, যে ব্যক্তি ইহকালে সিদ্দীক না, তাকে আল্লাহ তা'লা পরকালে সিদ্দীকের পুরস্কার দিবেন এটা চিন্তা করাও ঠিক নয়। নব্যুয়তের পুরস্কারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

আশা করি বিষয়টি এখন আপনার জন্য বোঝা সহজ হয়েছে। আরও বুঝতে চাইলে কমেন্ট করুন।

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট-শুভকামনা সতত ...

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

দার্শনিক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

জেকলেট বলেছেন: চতুরের চতুরতা ধরা পড়ছে। লেজ কিন্ত বের হয়ে গেছে। আপনার পুরা পোষ্ট ই হচ্ছে মিথ্যা, গোজামিল, চতুরিতায় পরিপূর্ন। হায়রে ধুর্ততা: মুজতবা আলীর লেখার রেফারেন্স টেনে মুহাম্মদ সাঃ এর পর যে আরো নবী আসবেন তা উনাদের প্রমান করতে হয়??? ত ভাই মুজতবা আলী কোন আমলের ওহী প্রপ্ত যেন??? আর "চতুরঙ্গ" যেন কোন সময়কার ধর্ম গ্রন্ত??? উনার লিখিত আর কি কি ধর্ম গ্রন্ত লেখা আছে একটু কি লিষ্ট দিবেন??? যেহেতু মুজতবা আলী বলেছেন সবা ধর্ম প্রচারক ই বলেছেন আমিই শেষ তাই উনার এই লেখার রেফারেন্স টেনে উনি প্রমান করতে আসছেন মুহাম্মদ সাঃ এর পর আরো প্রফেট আসবেন। মুজতবা আলী একজন লেখক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় নিঃসন্দেহে। কিন্ত উনি ধর্ম বিশারদ এইটা এই প্রথম জানলাম!!!!

আপনি যে কাদিয়ানী আর গোলাম সাহেবের সমর্থক এইটা বলতে এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন?? নিজের বিশ্বাসের কথা বলতে ও এত সংকোচ??? আরেকটি কথা মুসলমানদের ভিতর ৭৩ কেন হাজার ফেরকা থাকতে পারে কিন্তু আপনারা এই ফেরকার অন্তর্ভুক্ত নন। কারন মুসলমান হতে হলে ইমানে যে শর্ত আছে তা আপনারা ফুল-ফিল করেন না। গায়ের জোরে মুসলমান হওয়ার এত ইচ্ছে কেন??
এইবার আসেন আপনার গোজামিল মার্কা লেখার জবাব:
১) সূরা নিসার ৭০ নং আয়াত: ভাই দুনিয়ায় জীবিত অবস্তায় কেউ কেমনে শহীদের মর্যাদা পাবেন বলতে পারেন??? আপানার অনুবাদের রেফারেন্স ধরেই বলছি আল্লাহ বলছেন "পুরস্কার দান করবেন" তা দুনিয়ায় জীবিত অবস্তায় নাকি মৃত্যুর পর??? আপনি ত দেখি পরীক্ষা দেয়ার আগেই পুরষ্কারের আশা করেন। একজন নবীকে তার কাজের পুরষ্কার স্বরুপ নবী হিসেবে সিলেক্ট করা হয়??? নাকি উনি আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত হন??? মনেরাখবেন সকল নবী যারা এই দুনিয়ায় আমাদের হেদায়াতের জন্য এসেছেন এদের সবাইকে আল্লাহ নবী হিসেবে সিলেক্ট করে রেখেছিলেন আগেই। তাই আল্লার রাসূল বলেছেন যখন আদম দুনিয়ায় আসার আগেও আমি নবী ছিলাম (আপনি এই বানী নিয়া ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন)।। আপনি যে আয়াতের রেফারেন্স দিলেন তার শানে নযুল বানযিল হওয়ার কারন বা ইতিহাস পড়েছেন?? বস্তুত যারা এই আয়াত পড়লে যেকেউ এই কথাই বোঝবে যে কেউ যদি আল্লাহ এবং উনার রাসূলের কথা মোতাবেক চলে তাহলে আখেরাতে সেই ব্যাক্তিকে আল্লাহ তার মর্যাদা অনুসারে নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সালেহদের সঙ্গী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এমনকি এই আয়াতের পরবর্তী অংশে আল্লাহ তা সুস্পষ্ট ঘোষনাও দিয়েছেন (যা আপনার অনুবাদে অন্তর্ভুক্ত)। তা ভাই আল্লাহ যদি কাউকে নবী হিসেবেই পাঠাবেন তাহলে উনি "সঙ্গী" শব্দটা কেন সিলেক্ট করলেন?? আল্লার ভাষা জ্ঞান কি কম??? আপনি আপনার লেখার পরিবর্তি অংশে বলেছেন যে বাকী তিনটা ব্যাপারে কোন সমস্যা নাই খালি একটা ব্যাপারে মুসলমানদের দ্বিমত আছে। আসলে মুসলমানদের মাঝে এই চারটার কোনটার ব্যাপারেই কোন দ্বিমত নাই। এখনে আপনার আমলের কথা বলা হচ্ছে। যেখানে আপনি আপনার আমল দ্বারা আপনি নবী বা শহীদ না হয়েও কেয়ামতের মাঠে নবীদের, শহীদদের, কাতারে আপনি থাকবেন। আবার দুনিয়ায় আপনাকে শহীদ হওয়াটাও একটা পুরষ্কার এইটা ও ঠিক।
২) আপনি বলেছেন আমরা বিশ্বাস করি ইসা আঃ নবী হিসেবে দুনিয়ায় আগমন করি। বস্তুত ঈসা আঃ নবী হিসেবে না বরং মুহাম্মদী উম্মত হিসেবে দুনিয়ায় আসবেন এমনকি উনি ইমাম মাহদীর পিছনে নামায আদায় করবেন এবং উনার নেতৃত্বে যুদ্বে অংশগ্রহন করবেন। এই ব্যাপরাটা নিয়া অনকের অনেক মত আছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও আমি পাই নাই ঈসা আঃ নবী হিসেবেই আবার আসবেন। বস্তুত হাদীস আছে যে উনার নাম হবে আহমদ। তাই আপনার এই দাবী বিভ্রন্তি মূলক।
৩) খাতামান্নাবীঈন: আপনার এই শরীয়তি নবী কি আপনার ব্রেইন প্রসূত নাকি গোলাম সাহেবের তা জানিনা কিন্ত এদ্বারা কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার এই শরিয়তী নবীর দাবিটা যদি সত্যি হয় তাহলে আল্লার রাসূল, সত্যবাদী মুহাম্মদ সাঃ বিদায় হজ্ঝের ঐতিহাসিক ভাষনে তাহলে মিথ্যা বলেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। আল্লার রাসূল সুস্পস্ট ভাষায় লক্ষাধিক সাহাবীর সামনে বলেছেন " আমার পর আর কোন নবী বা সতর্ককারী আসবেনা আমিই শেষ, আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে জাচ্ছি একটি হচ্ছে কোরআন আরেকটি হচ্ছে আমরা সুন্নাহ/আমল"। ভাই যে নবী উনার মৃত্যুর পর উনার উম্মত কিভাবে চলবে তার এত ডিটেইলস বল্লেন উনি এই কথাটা বল্লেন না যে উনার পর আরো অনকে শরীয়তি নবী আসবেন আমাদেরকে হেদায়েতের জন্য!!!! আশ্চর্য নয় কি???
৪) একজন শরিয়তী নবীর দরকারটা কি??? আগের নবী বা রাসূল পাঠানো হত যখন মানুষ আল্লার একত্ববাদকে অস্বীকার করে অনেক দেব দেবীর পুজা শুরু করত বা আল্লার অহীকে নিজেদের ইচ্ছামত বিকৃত করত অথবা অন্য কোন নবী বা রাসূলের সাহায্যার্থে যেমন মূসা আঃ এর সাথে ছিলে হারুন আঃ। যেখানে আল্লার প্রেরিত গ্রন্হ কোরআন এখন অক্ষত, অসংখ্য মুসলামন বুঝে হউক বা না বুঝে হউক উনার প্রেরিত কোরআনের মূল মর্মবানী উনার পাঠানো রাসূলের মূল মর্মবানীকে অনুসরন করছে সেখানে শরিয়তি নবীর দরকারের ঠিক কোন লজিক আমি খুজে পাইনা। আপনার জানার জন্য বলছি প্রতি যুগেই অসংখ্য সংষ্কারক, আলেম এই দুনিয়া এসেছেন এবং এখন অনেকেই আছেন যারা যুগের প্রয়োজনে এবং উম্মতকে ইসলামে সঠিক পথের দিকে আহবান করেছেন। ইসলামের মূল চিন্তা চেতনা উম্মতের কাছে পৌছে দিয়েছেন। নিজেদেরকে নবী দাবি করে নয় বরং ইসলামের সেবক হিসেবে এবং আল্লার দাস হিসেবে এরা এই কজে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। গোলাম সাহেবের মত উনাদের ভ্রান্ত নবী হবার খায়েশ হয় নাই।
৫) আচ্ছা পরবর্তী নবীদের মর্যাদা কি আল্লার রাসূলের সাহাবীদের থেকে বেশি না কম??? যদি বেশি হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে?? আর যদি কম হয় তাহলে তাও বা কেমনে হয়?? একজন নবীর মর্যাদা সাহাবীর থেকে কম??
৬ ) মুসায়লামার নাম শুনেছেন??? ইতিহাসে এই ব্যাক্তি মুসায়লামাতুল কাজ্জাব নামে পরিচিত। এই মিথ্যাবাদী ও আপনাদের গোলাম সাহেবের মত সেই একি যুক্তিতে নিজেকে নবী দাবী করেছিলো। ইতিহাসটা একটু পইড়েন। দেখুন এর বিপক্ষে সাহাবীরা কেমনে যুদ্ব করেছেন এবং অকাতরে শহীদ হয়েছেন।
আপনার আরো কিছু ভ্রান্তির জবাব এখানে অনেক ব্লগার দিছেন তাই এইগুলো নিয়া আর লিখলামনা।

এখন আপনি বলবেন আপনি কাদিয়ানী না, আপনি রাসূলকে শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করেন ইত্যাদি ইত্যাদি.. মনে রাখবেন আমাদের সাথে মিথ্যা বলেন, চালাকি করেন, কিন্তু নিজেকে নিজে ফাকি দেবেন না। যে বিশ্বাস আপনাকে নিজের পরিচয়ে দাড়াতে বাধা দেয় সেই বিশ্বাস বহন করার মানে কি??? একজন মুসলমান যদি হয়ে থাকেন তাহলে মনে রাখবেন কাল কেয়ামতের মাঠে আপনাকেই আপনার বিশ্বাস এবং কর্মের হিসাব দিতে হবে। আরেকটা কথা এত ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে কথা বলার কোন দরকার নাই। এখনকার মানুষ পড়ালেখা করে অনেক সচেতন মানুষ বুঝে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত দিন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

দার্শনিক বলেছেন: আপনি পুরস্কার বলতে কি বুঝেন সেটা আপনিই ভালো জানেন। তবে আমার মনে হল, পুরস্কার বলতে আপনি জাগতিক কোন আরাম আয়েশ কে বুঝাচ্ছেন। কিন্তু ইসলামের জন্য জীবন দিতে পারাটাই আল্লাহ তা'লার পক্ষ থেকে একটি পুরস্কার। কেউ চাইলেই ইসলামের জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারে না। আল্লাহ তা'লা যার কোরবানী কবুল করেন কেবল সে-ই জিহাদের ময়দানে শাহাদাতের পুরস্কার লাভ করেন। অবশ্যই শাহাদাতের জন্য পরকালে পুরস্কার থাকবে, কিন্তু নিসার উক্ত আয়াতে বোঝানো হয়েছে শাহাদাত বিষয়টিই একটি পুরস্কার। তেমনি, নব্যুয়তও একটি পুরস্কার, সিদ্দীকিয়তও একটি পুরস্কার, সালেহিয়্যতও একটি পুরস্কার।

মধুমিতার কমেন্টের উত্তরে "সঙ্গী করা" আর "অন্তর্ভূক্ত করা"র বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি পড়লে আশা করি আয়াতের তাৎপর্যটি বুঝতে পারবেন।

আমি শুধু পরবর্তী নবীর মর্যাদা সাহাবা (রা.) এর চাইতে কম না বেশি আমি এই বিষয়ে বিতর্ক করতে চাই না। আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি, পরবর্তী নবীর মর্যাদা কোন ভাবেই রাসূল (সা.) এর চাইতে অধিক নয়।

খাতামান্নাবীয়িন সম্পর্কে আপনার কমেন্ট পড়ে যেটা বুঝলাম আপনি আমার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েননি। আমি আমার পোস্টের কোথাও "শরিয়তী" শব্দটি লিখিনি। আমি লিখেছি, রাসূল (সা.)ই সর্বশেষ শরীয়তবাহী রসূল। এবং শরীয়তের দৃষ্টকোণ থেকে তিনিই (সা.) শেষ নবী। কিন্তু শরীয়ত-বিহীন (মানে শরীয়ত ছাড়া) নবীর আগমনের পথ খোলা আছে।

মুসলিম শরীফের হাদীসে পুনরাগমনকারী ঈসার জন্য "ঈসা নবীউল্লাহ" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এর অর্থ আপনি কি বুঝেন জানাবেন।

মুসায়ালামা কাজ্জাবের যখন নবী দাবী করেছিল তখন ইসলামের প্রাথমিক যুগ ছিল। এবং তখন ইসলামে ৭৩ ফিরকা ছিল না। তাই ঐ সময় নবীর কোন দরকারই ছিল না। রাসূল (সা.) এর পর নবীর আগমনের পথ খোলা আছে এটা সত্যি কিন্তু নবীর আগমনের জন্য কোরআনে আল্লাহর একটি সুন্নতও বলবৎ রয়েছে যা হচ্ছে যখন অধিকাংশ লোক পথভ্রষ্ট হয় আল্লাহ তখন নবী পাঠান। তাই মুসালামার দাবী ছিল জ্বলজ্যান্ত মিথ্যা দাবী। কিন্তু আখেরি যুগে ইসলাম যখন খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখন জানান দেয় পৃথিবীর মানুষ পাপে নিমগ্ন এবং অন্ধকারে আচ্ছন্ন। তখন আল্লাহর সুন্নত অনুযায়ী অন্ধকারের পরই আলোর আবির্ভাব হয়। আল্লাহ কাউকে নবী মনোনীত করেন এবং তার মাধ্যমে মানবজাতির সংশোধনের ব্যবস্থা করেন।

আখেরি যুগের ইমাম মাহদী সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইবনে মাজা শরীফের হাদীসে বলেছেন, নিশ্চয় তিনি আল্লাহর খলীফা আল-মাহদী।
এখন আপনিই বলেন আল্লাহর খলীফা অর্থ নবী কি না? তার আগে পবিত্র কোরআন থেকে আদম (আ.) সম্পর্কিত আয়াতগুলো পড়ুন। আল্লাহ আদম (আ.) কে তার খলীফা(প্রতিনিধি) বলেছিলেন। যদি আল্লাহর একজন খলীফা হযরত আদম (আ.) নবী হন, তাহলে রাসূল (সা.) এর বর্ণনানুযায়ী আল্লাহর আরেকজন খলীফা হযরত ইমাম মাহদী (আ.) কি হবেন? শুধুই একজন ওলী-আওলিয়া? যখন ৭২ ফিরকায় ৭২ রকমের ওলী-আউলিয়া আছেন, তখন শুধুই আরও একজন বাড়লে তাতে কার কি এসে যাবে? নবী ছাড়া কেউ এই ৭২ ফিরকাকে এক করতে পারবে না। তাই ইমাম মাহদী (আ.) অবশ্যই নবী হবেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

দার্শনিক বলেছেন: আপনি লিখেছেন, রাসূল (সা.) বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে বলেছেন, "আমার পর আর কোন নবী বা সতর্ককারী আসবেনা আমিই শেষ, আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে জাচ্ছি একটি হচ্ছে কোরআন আরেকটি হচ্ছে আমরা সুন্নাহ/আমল"।

"আমার পর কোন নবী বা সতর্ককারী আসবেনা আমিই শেষ।" এই কথাটা আছে কিনা একটু রেফারেন্স ঘেটে দেখার অনুরোধ রইল। কারণ এরূপ কিছু থাকার কথা নয়।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

নিমগ্ন বলেছেন: ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯ ০
লেখক বলেছেন: আমি যাই লিখেছি কোরআনের যুক্তিসহ লিখেছি। আপনার এরূপ কোন যুক্তি থাকলে সেটা উপস্থাপন করলে ভালো হয়।



ডাইলে চাউলে খিচুরী বানাইয়া পোলাউ কইয়া খাওয়াইতে চান মিয়া? কোথাকার কি, বলে কি চালাও পান্তা ভাতে ঘি!!

ফাউল সব কথা লিইখা মিয়া আবোল তাবোল বকতাসেন। ইঞ্জেকশনের টাইম শেষ হুলি পরে আইসেন। এখন তফাতেই থাকেন। নইলে দূরে গিয়া মরেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

দার্শনিক বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে আপনিই মাদকে নিমগ্ন!!

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

মধুমিতা বলেছেন: জেকলেট তার কমেন্টে বিস্তারিত বলেছেন। তাই একই কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলা সমীচিন মনে করলাম না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

দার্শনিক বলেছেন: জেকেলেটের কমেন্টের প্রতিউত্তরটিও সংগত কারণে দেখার অনুরোধ রইল।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: লেখকের কাছে আমার প্রশ্ন হল এ নবী যিনি রাসূল(সা) এর পরে আসবেন তিনি কি ওহী প্রাপ্ত হবেন না কি হবেন না ? তার জন্য কি নিজেকে নবী ঘোষনা দেওয়া জরূরী হবে না কি না ? তার উপর ইমান আনা আমাদের উপর জরূরী হবে না কি না ?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

দার্শনিক বলেছেন: আপনার প্রশ্নগুলোর জন্য ধন্যবাদ। দু:খিত, উত্তর দিতে দেড়ি হয়ে যাওয়ার জন্য। এই কয়েকদিন ব্যস্ততার কারণে ব্লগে আসতে পারিনি, তাই দেড়ি হয়ে গেছে।

আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর: ওহী হচ্ছে আল্লাহর বাণী। দুই ধরণের ওহী হয়ে থাকে। শরীয়তের বিধিবিধানসহ ওহী, শরীয়তের বিধিবিধান ছাড়া ওহী। যেহেতু পবিত্র কুরআন সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ শরীয়ত, তাই এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কোন ওহী হতে পারে না যা কুরআনের শরীয়তের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন করে অথবা বিয়োজন করে। যেমন: কুরআনে যেসব বিষয় হারাম করা হয়েছে, এমন কোন ওহী এখন হতে পারে না, যা ঐসকল বিষয়কে হালাল করতে পারে। তবে শরীয়তের বিধান ছাড়াও আল্লাহ ওহী করে থাকেন। এরকম ওহীর দরজা সবসময় খোলা আছে। যেহেতু নবী আল্লাহ তা'লাই মনোনীত করে থাকেন। তাই আল্লাহ তা'লা কাউকে ওহীর মাধ্যমে (তার বাণীর মাধ্যমে) না জানালে কেউ নবুয়্যতের দাবী করতে পারে না। এ কারণে রাসূল (সা.) এর পরে কোন নবী আসলে তিনি অবশ্যই ওহী প্রাপ্ত হবেন।

নবী ঘোষণা দেওয়া জরুরী হবে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই হ্যা। আল্লাহ যদি তাকে নবী মনোনীত করে থাকেন, তবে তার ঘোষণা করতে কেন বাঁধা থাকবে? সেই ঘোষণার জন্য দুনিয়া যদি তাকে কাফেরও বলে, এবং তার বিরুদ্ধে লেগে যায়, তবুও সেই নবী কে তার দাবীতে অটল থাকতে হবে। সত্য ও মিথ্যা দাবীকারকের মধ্যে আল্লাহ ব্যবধান স্পষ্ট করে দেন।

আপনার তৃতীয় প্রশ্নটা অদ্ভুত। আল্লাহ যদি সত্যি সত্যিই কাউকে নবী মনোনীত করে থাকেন, তবে তাকে মানা জরুরী হবে কিনা এই প্রশ্ন করার মাঝে একধরনের সুবিধাবাদী মনোভাব স্পষ্ট। উল্টো প্রশ্ন করা যায়, কেন তাকে মানা জরুরী হবে না? তিনি আসবেন, এরপর একসময় চলেও যাবেন, পৃথিবীর কেউ তাকে মানবে না, এই উদ্দেশ্যে কি তাকে আল্লাহ নবী মনোনীত করলেন?

আল্লাহ কখন নবী প্রেরণ করেন, সেটা জানাও এই পর্যায়ে আবশ্যক। কুরআনে সূরা সাফফাত এর ৭২-৭৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "আর তাদের আগে (তাদের) পূর্ববর্তীদের অধিকাংশ নিশ্চয় বিপথগামী হয়েছিল, অথচ আমরা অবশ্যই তাদের মাঝে সতর্ককারীদের পাঠিয়েছিলাম।"

এই আয়াত থেকে আল্লাহ তা'লার একটি সুন্নত/নীতির সাথে আমরা পরিচিত হই যা হচ্ছে, যখনই অধিকাংশ লোক পথভ্রষ্ট হয়, তখন আল্লাহ তাদের সতর্ক করার জন্য সতর্ককারী অবশ্যই পাঠান।

অসংখ্য হাদীস এ বিষয়ে স্পষ্ট সাক্ষী যে আখেরী জামানায় মুসলমানদের মধ্যেও পথভ্রষ্টতার এই প্রকোপ দেখা দিবে। হাদীসে আছে মুসলমানরা ৭৩ ফিরকায় বিভক্ত হবে এবং ৭২টাই পথভ্রষ্ট হবে। তাই ঐ সময় আল্লাহর সুন্নত অনুযায়ী সতর্ককারীর আগমন অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। এখন আপনিই চিন্তা করুণ, এরূপ সতর্ককারীকে না মানার ফল কিরূপ হতে পারে?

এছাড়াও ইবনে মাজাহ শরীফের হাদীসে রাসূল (সা.) বলেছেন, "যখন তোমরা তাঁর সন্ধান পাবে তখন তাঁর হাতে বয়াত গ্রহণ করবে যদি বরফের পাহাড় হামাগুড়ী দিয়েও ডিঙিয়ে যেতে হয়, কেননা তিনি আল্লাহর খলীফা আল্‌-মাহ্দী।"(ইবনে মাজাহ, বাব-খরূজুল মাহ্দী)

অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ.) ও আল্লাহর খলীফা অর্থাৎ নবী হবেন এবং তাকে মানা কতটুকু জরুরী সেই বিষয়ে এই হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তাই এরূপ কোন নবীকে অবশ্যই সকল মুসলমানদের মানতে হবে। না মেনে থাকলে তারা ভুল করছে।

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আমার আরেকটি প্রশ্ন কোন কোন নবী বলেছেন তিনিই শেষ নবী ?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

দার্শনিক বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর সৈয়দ মুজতবা আলীর কাছে আছে। আমি শুধু তার প্রদত্ত তথ্যের সপক্ষে কুরআনের যুক্তি উপস্থাপন করেছি।

১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কিরমানী লিটনের কমেন্ট পড়ে হাসছি| এটা চমৎকার হতেই পারে| কিন্তু মছিবত হলো, সব পোস্টেই তিনি এক কথা বলেন| আজব এই ব্লগ দুনিয়া, বস

১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

জেকলেট বলেছেন: আমার অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর আপনি দেননি। তাই এটাকে প্রতিউত্তর না বলে বলা উচিত আপনার ব্যাখ্যা বলা উচিত।
এবার আসা যাক আমার লেখার বিপরিতে আপনি যা বল্লেন তার প্রসঙ্গে:
১) ভাই আমি না আপনি জাগতিক আরাম আয়েশ বুজিয়েছেন। আমি বলেছি একজন শহীদ হলে তাকে আল্লাহ দুনিয়ায় কিভাবে পুরষ্কৃত করবেন?? আপনি লিখেছেন শহীদ হওয়াটা নাকি বড় পুরষ্কার!!! আপনার এই ব্যাখ্যা শুনে তো আমি তাজ্জব। আপনি কোথায় পেলেন এই ব্যাখ্যা??? সারা কোরআনে অসংখ্যবার বলা হয়েছে যে একজন মুমিনের জীবনে যাবতীয় কাজের উদ্দ্যেশ্য যেন হয় আল্লহকে রাজী এবং খুশি করার জন্য এবং এই জন্য আল্লাহ বিভিন্ন পুরষ্কারের কথা বলেছেন, বলেছেন বেহেশতের কথা, শহীদদের সম্পর্কে বলেছেন কেয়ামতের ময়দানে কঠিন সময়ে যখন কোথাও ছায়া থাকবেনা তখন আল্লার আরশের ছায়ার নিচে শহীদদের স্থান হবে। কোরআনের সূরা তাওবা, সূরা ইমরান(১৬৯-১৭২),সূরা বাকারা, সূরা নাবায় এবং অসংখ্য সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে শহীদের পুরষ্কার সম্পর্কে। আপনি তো পরীক্ষায় অংশগ্রহনকেই আসল পুরষ্কার হিসেবে দেখালেন। যদি শহীদ হওয়াটাই বড় পুরুষ্কার হয় তাহলে আমি শহীদ হব কেন একটু কি বলবেন?? হয়ত বলবেন আল্লহকে রাজী ও খুশি করার জন্য। ত ভাই আল্লাহকে রাজী ও খুশি করলে আমি কি পাব??? আখেরাতে মুক্তি এবং আল্লার যদি হুকুম হয় বেহেশত এই ত?? তাহলে কি দাড়ালো একজন মানুষ নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছে আল্লার রাস্তায় কারন হচ্ছে ও জানে তাতে ও কেয়ামতের কঠিন সময়ে পার পেয়ে যাবে। এই আখেরাতের শাস্তির ভিতি এবং পুরষ্কারের আশা হচ্ছে মুমিনের ইমানের অঙ্গ। যাই হউক এই ব্যাপারে আরেকদিন বলব। এবার মূল টপিকসে আসি। আপনার ব্যাখ্যা অনুসরন করলে ত এই আয়াতের কোন অর্থই থাকেনা!! ধরেন আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করলাম এখন আমি কি নবী হব?? না শহীদ হব? না সালেহীন হব? না কি সিদ্দীক হিসেবে আল্লার কাছে পুরষ্কৃত হব?? ত যে কেউ আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য করলেই নবী হিসেবে ঘোষনা দিতে পারবে??? আপনি যা বলেছেন তা কি সুষ্ত মস্তিষ্কে বলেছেন?? আপনি ত ফেতনার দরজার প্রহরী মনে হচ্ছে। আল্লাহ আমদেরকে বাচাইছেন আপনাদের এই ব্যাখ্যা কোন ইসলামি ষ্কলারই স্বীকার করেন নাই এবং মূল আরবীর এটা অনুবাদ ও না। নাহলে সব আগুনবাগি, কদুবাগি, লায়লনের রশি, পাটের রশি নামক পীরেরা নিজেদের নবী হিসেবে দাবী করত আর গোটা দুনিয়ার আলাদাভাবে আমাদের এই বাংলাদেশের যে কি অবস্থা হত!!!
২) আপনি নবী এবং সাহাবার মর্যাদার প্রশ্নে যাবেন না এইটা আমি জানি, কারন হচ্ছে আপনারা পরিষ্কার না। আপনাদের উদ্দেশ্য সৎ না। এখন আমি বলি আমাদের উম্মতের মধ্যে যত বড় আলেম বা ষ্কলার ই হউন না কেন কেউ ই সাহাবাদের মর্যাদার সমান কখনই হবেন না। খারন এদেরকে স্বয়ং আল্লাহ সম্মানীত করেছেন। ঠিক একি ভাবে কোন সাহাবি ই কোন নবীর সম মর্যাদার না। আল্লার রাসূল সকল নবীকে উনার ভাই হিসেবে ঘোসনা দিয়েছেন। এবং এরা সবাই স্বয়ং আ্ল্লাহ কতৃক বাছাইকৃত উনার প্রতিনিধি। এখন আপনাদের নবী গোলাম সাহেব ত আর প্রকৃত নবী না যে উনি সাহাবীদের থেকে নিজেকে সম্মনীয় বলবেন। যদি বলেন তাহলে উনার মিথ্যা জোরাজুরি ফাস হয়ে যাবে। কারন উনি তখন কাজ্জাব বা মিথ্যাবাদীরূপে প্রতিষ্ঠিত হবেন।
৩) দুঃখিত আমি শরিয়ত বিহীন নাবী লিখতে চেয়েছিলাম। টাইপ মিস্টেক। কিন্তু আমার প্রশ্নের উ্ত্তর ত পেলামনা??
৪) মুসলিম শরীফের আপনি কোন হাদীসের কথা বলছেন আমি জানিনা কিন্তু মুসলিমের ইংলিশ অনুবাদের কোথাও আমি ইসা আঃ আসার সময় উনাকে নবী বলা হয় নাই। এবং আমি যেভাবে বলেছি ইসা আঃ এর নাম তখন আহমদ হবে। এবং উনি হজ্ব বা উমরা বা উভয়টাই করবেন। মনে রাখবেন ইসা আঃ এর উপর হ্বজ্ব ফরজ না কিন্তু উম্মতে মুহাম্মদীর উপর হ্বজ্জ ফরজ। এখান থেকে যেটা বুযা যায় উনি নবী হিসেবে না মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মত হিসেবে আসবেন। রেফারেন্স শহীহ বুখারী: ২২২২ সহীহ মুসলিম: ১৫৫,১২৫২ এইরকম আরো অসংখ্য হাদীস এবং কোরাআনের আয়াত হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। তারপর ও যদি কোথাও লেখা থাকে তাহলে এইটা উনাকে বুজানোর জন্য বোযানো হয়ে থাকটে পারে। যেইটাকে নিয়া আপনি পানি ঘোলা করছেন। যেই রকম সূরা নিসার ৬৯ নাম্বার আয়াত নিয়া করছেন। আর আপনি যদি আরবীর কথা বলেন তাহলে বলব আপনার আরবী জ্ঞান আমার থেকে খুব ভালো বলে মনে হয়না (মধুমিতাকে আপনি যেমনে আড়বী শিক্ষা দিলেন তাতে মনে হল)।
মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের ব্যাপারে: মুসলমনরা অনেক ভাগে বিভক্ত এটা ঠিক কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসলামের মৌলিক ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোন বিভক্তি আসে নি। কোরআন অক্ষত আছে। রাসূলের বানী মানুষের কাছে মোটামুটি অবিকৃত অবস্থা্য আছে। মুসলমানরা ইসলামের মৌলিক নীতির উপর বিশ্বাস রেখেছে। সর্বপরি মুসলমানদের ফিউচার সম্পর্কে এত এত হাদীস এবং কোরআনের আয়াত আছে, এত এত সাহাবায়ে কেরামের ইতিহাস আছে কিন্তু কেউ ই কোন অর্থেই কোন নবী আসবেন এমনকি রুপক অর্থেও কোন নবীর ব্যাপারে কিছু বলেন নি। "আপনি আয়শা রাঃ রেওয়াত দিয়ে যে হাদীস বলেছেন তা মোটামোটি সর্ব সম্মতিক্রমে জাল হাদীস রুপে চিহ্নিত।" এখন মুসায়লামার মত ারেকজন মিথ্যাবদীই আবার নিজেকে নবী দাবী করতে পারে। ইমাম মাহদীর নবী দাবির ব্যাপারে: কোন রাসূল এমনকি উনি যদি মুহাম্মদ সাঃ ও হউন উনার কাউকে নবী বানানোর কোন ক্ষমতা আল্লাহ দেন নাই। আল্লাহ এই ব্যাপারে কোরআনে সুষ্পস্ট ভাষায় ধ্যার্তহীন ভাবে বলেছেন "উনিই আল্লাহ যাকে খুশি হেদায়াত দেন আর যাকে খুশি গোমরাহীতে নিমজ্জিত করেন।" যাকে খুশি পয়গাম্বর রুপে পাঠান (মূসা আঃ এবং কারুনের গঠনা)। এই হাদীসটার ব্যাপারেও আমি জানিনা। বরং এই ব্যাপারে অন্য সকল হাদীসে উৎস থেকে আমি বলতে পারি ইমাম মাহদি শুধুই আল্লার অনুগ্রহ প্রপ্ত একজন বিশেস সংস্কারক, মোজাহিদ। যাকে কখনই কোন নবী এমনকি সাহাবীর সমান মর্যাদা ও দেয়া হয় নাই
ভালো থাকবেন আর আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত দান করুন

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৬

দার্শনিক বলেছেন: একজন মুমিন শহীদ হন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। পরলোকে গিয়ে বেহেশত এবং অত:পর বেহেশতের নেয়ামত পাওয়ার আশায় না। বরং জান্নাতের তো এরূপ জিনিস যা কোন চোঁখ দেখেনিযা কোন কান শোনেনি, যার বর্ণণা কোন মানব মনে কল্পনা করা সম্ভব নয় এবং যা কোন ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কুরআনে জান্নাতের নেয়ামতসমূহ সম্পর্কে আল্লাহ যা যা বলেছেন তা রূপক অর্থে প্রযোজ্য। এবং হাদীসে আরও এসেছে, শহীদদের যখন প্রশ্ন করা হবে তুমি কি চাও, তারা বার বার বলবে যে দুনিয়ায় আবার ফিরতে চায় যেন আবার আল্লাহর পথে শহীদ হতে পারে। এসব থেকে প্রমাণিত হয়, শাহাদাত প্রাপ্তিটাই একটি পুরস্কার।

আমি সাহাবা আর নবীর মধ্যে কার সম্মান বেশি এই বিতর্কে যেতে চাইনি অন্য কারণে। প্রথমত কারণটি ছিল এটা আমার প্রবন্ধের বিষয়ের সাথে রিলেটেড না। আপনি ভুল বুঝেছেন তাই এখন বিষয়টি পরিষ্কার করছি। আগে নিচের হাদীসটি পড়ুন:

http://i.imgur.com/dW2BiqE.png

আল্লাহর কোন নবী কখনো পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন এমন উদাহরণ কোথাও নেই। তবে উপরের হাদীস প্রমাণ করে রাসূল (সা.) এর সাহাবীদের মধ্যে গুটি কয়েক সাহাবী পথভ্রষ্ট হয়েছিল। হাদীসটি বুখারী শরীফের তাই সন্দেহের উর্ধে। সাহাবীর সাথে নবীর তুলনা করাটাই একটা বোকামী। আপনি সেটাই করেছেন, আমি তাই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। এরপর দেখলাম আপনি বিষয়টা বুঝতে তো পারেননি নাই, বরং মনে করলেন এটা আমার জন্য একটা উইকপয়েন্ট। তাই যেহেতু এখন আর বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তাই ব্যাখ্যা করতে বাধ্য হলাম। আপনার প্রথম কমেন্টে এরূপ আরও অনেকগুলো বিষয়ই ছিল, যেগুলো ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেছি। তবে যেগুলোর উত্তর দিয়েছি সেগুলো ঠিক মত বুঝলে আর বাকিগুলো আপনার কাছে নিজে নিজেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আপনি মধুমিটার কমেন্টে আমার উত্তর পড়ে লিখেছেন, "আপনি যদি আরবীর কথা বলেন তাহলে বলব আপনার আরবী জ্ঞান আমার থেকে খুব ভালো বলে মনে হয়না" কিন্তু ভাই, আপনি যখন এতই আরবীর জ্ঞান রাখেন, তাহলে মধুমিতার ঐ পয়েন্টের উত্তরে আমি সূরা আলে ইমরানের যে আয়াত দিয়ে সূরা নিসার আয়াতের "মাআ" শব্দটির অর্থ ব্যাখ্যা করেছি, আপনি কেন ঐ ব্যাখ্যা এড়িয়ে গেলেন। এত ভাল আরবীর জ্ঞান থাকলে আপনি আলে ইমরানের আয়াতের অর্থ "সঙ্গী" করে ব্যাখ্যা করুন আমাকে। কোনভাবেই ঐ আয়াতে "মাআ"র অর্থ আপনি "সঙ্গী করা" বলতে পারবেন না, কারণ সেখানে আপনি চালাকী করে ব্যাপারটি কিয়ামত দিবসের প্রমাণ করতে পারবেন না।

ঈসা (আ.) নবী হিসেবে আসবেন কিনা এ সম্পর্কে মুসলিম শরীফের হাদীস পড়ুন। নিচের ভিডিও থেকে ১ ঘন্টা ৮ মিনিট এ যান:
https://www.youtube.com/watch?v=hXlJsCXivdI

এগুলো ছাড়াও পবিত্র কুরআনেরও আরও আয়াত আছে যা এই সব বিষয় প্রমাণ করে। আপনাকে এই বিষয়ে আরও গবেষণা ও দোয়া করার অনুরোধ রইল।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

জেকলেট বলেছেন: রাসূলের বিদায় হ্বজ্জের ব্যাপারে আপনার যে সন্দেহ তার রেফারেন্স হিসেবে: সহীহ বুখারী: ১৬২৩,১৬২৬,৬৩৬১: সহীহ মুসলিম: ৯৮, সহীহ তীরমিযি: ১৬২৮,২০৪৬,২০৮৫: ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আহমদ: ১৯৭৭৪ ( খুব সম্ভবত সবচেয়ে পরিপূর্ন রূপে মুসনাদে আহমদে ই এসেছে)। আশা করি খুজে পাবেন

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪২

দার্শনিক বলেছেন: লা নবীয়া বা'দি যদি হয়ে থাকে তবে ঐ কথার অর্থ হচ্ছে, আমার ঠিক পর পরই কোন নবী নেই। আমরা প্রায়শই বলে থাকি, বা'দ জুম্মা, বা'দ আসর। এর অর্থ জুম্মার ঠিক পর পর অথবা আসরের ঠিক পরপর। জুম্মার দুই ঘন্টা পর হলে সেটা সঠিক অর্থ করা হয় না। অর্থাৎ রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের ইমেডিয়েট পরেই কোন নবীর আগমন সম্ভব না। তবে আখেরি যুগে যে একজন নবী আসবেন রাসূল (সা.) এর অন্যান্য অনেক সহীহ হাদীস দ্বারা বিষয়টি স্পষ্ট। তাই বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের সাথে তা কোন ভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।

২১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নিমগ্ন বলেছেন: এইসব ছাগলদের রেফারেন্স দিয়া লাভ নাই। এরা ম্যা ম্যা করতেই থাকপো।

২২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। কমেন্ট ইন্টারেকশনও বোঝার চেষ্টা করলাম। জানিনা কতটুকু পেরেছি !শেয়ার করছি যা বোঝে এসেছে।

আসলে কোরআন নিয়ে আমাদের ভাবনা শ্রদ্ধা এবং প্রেম অনেক গভীর! আমরা প্রতিটা আয়াত শব্দকে আক্ষরিক ভাবেই মানতে চাই। আর সমস্যাটা এখানেই শুরু হয়। অনুবাদক যেমন জানেন আক্ষরিক অনুবাদ কখনো মূল ভাবকে ছুঁতে পারেনা- সেখানে ভাবানুবাদ প্রয়োজন হয়- কোরআনের ক্ষেত্রেতো তা আরো জটিল। কারণ তাতে প্রতিটা শব্দের মানে আগে পড়ের শব্দের সাথে বদলে যায়- পরিবেশ পরিস্থিতিতে তার অর্থ ভিন্নতা বহন করে। ভাষার ভ্যঞ্জনায় তা বহুমাত্রিক এবং উচ্চস্থরের তো বটেই।

এখন সেই ভাষার আক্ষরিক অনুবাদে আমরা এক স্তরের শূন্যতায় পতিত হই। কারণ আমরা যা বুঝি তাকেই ধারন করি। এখন আসেন গোড়াতে। রাসূল সা: ওফাতের পর কোরআন কোথায় কোথায় ছিল? কোরআন ষংরক্ষের ইতিহাস কমবেশি সকলেই জানেন। ২৩ বছর পরে তা সংকলিত হয়েছিল। যে জন্য অনেক স্কলার দাভী করেন আয়াত কম-বেশির- সে তর্কে যাব না।
এরপর মুসলিম জাতি পার করে দু:সহ বেদনা বিধূর কারবালা!
যেখানে সত্য আর মিথ্যা পৃথক হয়ে গিয়েছিল। এবং দু:খ জনক ভাবে মিথ্যা তথা ইয়াজিদ বিজয়ী হয়েছিল।
আর বিজয়ী নিশ্চয়ই তার শাসন ক্ষমতার বা ভোগের বা সুবিধা বিপক্ষে যায় এমন কিছূকে অটুট থাকতে দেবে না! তাই হয়েছে- রাসূল সা এর প্রিয়তম সাহাবী যাঁরা সেই ইয়াজিদের বাইয়াত গ্রহন করতে অস্বীকার করেছিলেন তাঁদের নির্বাসনে, কারাদন্ডে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছিল। সাথে হারিয়ে যাচ।ছিল অনেক মূল সত্যাধারা!
আমাদের চলমান সময় দিয়েই আমরা বুঝতে পারি ক্ষমতার প্রয়োজনে কিভাবে কাটছাট করা হয়, সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য বানানো হয়! তখনো সেই অপকর্মটি সাধিত হয়েছিল। ব্যাপক ভাবে। যে আহলে বায়াতের প্রতি আনুগত্য প্রেম কোরআনের দাবী তাকে হীন করে ব্যক্তি ইয়াজিদের প্রতি বাইযাতের মাঝে ইসলামকে আবদ্ধ করে ফেলা হয়- অথচ বাইয়াতে কোন যোগ্যতাই তার ছিল না। ইমাম হোসাইন আ: এর প্রতি মানুষের মুসলমানের প্রকৃত মুমিনদের ভালবাসা দমাতে নৃশংষ হত্যাকান্ডের পথ ধরেছিল ইয়াজিদ।

আর হাদীস গ্রন্থতো আরও বহু বহু পড়্র প্রায় ছয়শত বছর পরে লিখাই শুরু হয়েছিল! এইবার বাস্তবতায় বিচার করুন। আমাদের স্বাধীনতার পার হয়েছে মাত্র ৪০ বছর। অথচ দেখুন ইতিহাসের কি ছিরি! যে যার মতো করে বয়ান করতেছে। নিজের সুবিধামতো স্বাক্ষ্য দিতেছে। আবার একটু ভিন্নমত হলেই মুক্তিযোদ্ধাও হয়ে যাচ্ছে রাজাকার!!!! বোঝেন কি অবস্থা! তো ছয়শত বছর পরে নিয়ে আর কি বলব! অন্ধ বিশ্বাস আর প্রত্যক্ষ বিশ্বাসে অবশ্যই পার্থক্য আছে। অন্ধ বিশ্বাসীদের জণ্য এইটুকুই যথেষ্ট তারা শুধু বিশ্বাস করেই যাবে। পিতা-মাতার কাছ থেকে বা উস্তাদের কাছ থেকে যা শুনেছে তাই বেদ বাক্য বলে মেনে যাবে। আর প্রকৃত জ্ঞান হলো সেই প্রাপ্ত জ্ঞানকে আরো পরিশিলিত করতে নিজে জাহিরী বাতেনি ভাবে উদৌগী হবে। সত্যক অনুসন্ধান করে আবিস্কার করবে। এবং বিশ্বাস করবে। যদিও শেষ স্তরটা সবার জন্য নয়। তাদের জন্য যারা যোগ্য এবং আল্লাহর রহমত ও করুনা প্রাপ্ত।

যে জণ্য এর পর আমরা যা পেয়েছি তা অবশ্যই সেই মূল রুপে ছিল না। খন্ডিত। কর্তিত! বিচ্ছিন্ন। এর পর মূল ধারাটা চলে যায় সূফিবাদের মধ্যে। রাষ্ট্রক্ষমতার কোন্দল ছেড়ে তিনারা আল্লাহ এবং রাসূল প্রেমে নিমগ্ন থেকে ভোগ বিলাস থেকে দূরে থেকে, মূল ধারাটাকে গোপনে ধরে রাখেন। যা সিলসিলায় আজো প্রবহমান।
এইটকু বলার মানে হল- আমরা শুরুতেই যদি উত্তেজিত হয়ে যাই তখন তথ্য উপাত্ত মূল্যহীন হয়ে পড়ে। আর আগেই যদি ষ্ট্যান্ড ঠিক করে নিই তখন জ্ঞানের পথ রুদ্ধ হযে যায়।

এবার আসুন- তবে আল্লাহ এবং রাসূলের হারানো সত্য গুলো কোথায় পাবেন?

একজন বিজ্ঞানী যেমন নতুন কিছু আবিস্কার করে না আবার করেও - সেইখানেই এই সত্য লুকানো। বিজ্ঞানী যে সব তথ্য নিয়ে গবেষনা করে তা কিন্তু আগে থেকেই বিরাজিত। তিনি শুধু এর উপর ভিন্ন ভিন্ন ধর্মী এক্সপেরিমেন্ট চালান এবং একটা নব আবিস্কারে সক্ষম হন। তেমনি জ্ঞান জগতে আমাদের চলতি বিশ্বাসকে অনুসন্ধান, মোরাকাবা মোশাহেদার মাধ্যমে বারবার চেষ্টায় মূল জ্ঞান জগতে প্রবেশের চেষ্টা করতে হবে। এবং যার সদর দরজা মাওলা আলি ক: । সেই সেই জ্ঞানের শহর হলেন খোদ রাসুলে পাক নিজে।
এখন আমরা কি করছি- ৭২ ফিরকা নিজেদের সঠিক সঠিক বলে চিৎকার করে জান্নাত বাপ দাদার তালুকে পরিণত করে অন্ধের মতোই চলছি। না সেই জ্ঞানের দরজা পর্যন্ত যাচ।ছি না শহরে যাবার কোন মানসিক ইচ্ছা আছে। অথচ এই দুইটাই সেই সুন্নাহ যা বিদায় হজ্বে তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন। আমরা সেই সত্য বুঝতে পারিনা বলেই আজো বিশ্বে অবিশ্বাসীদের হাতের খেলার পুুতুল হয়ে আছি। সেই দরজা লাভ করার অন্যতম শর্ত বাইয়াত।
অথচ আমরা ধারনা করছি- ছোটকালে আমপাড়া পড়ছি , বড় হয়ে কোরআন খতম দিয়েছি- মসজিদে যাই। ইদের জামাত পড়ি.. ব্যাস! আর কিছু লাগবে না। বেহেস্তে তো যাবই!
অথচ যেই এডমিশন ফর্ম আমাকে সেই মুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাবে - তাই পূরণ করলাম না। আমি কেমন ছাত্র!!! আমার সারা জীবনের ষ্টাডি কি কোন কাজে আসবে? আসবে না। অথচ আমরা আহলে বাইয়াতকে অস্বীকার করছি। যেমন অস্বীকার করেছিল ইয়াজিদ! মুসলমানিত্বে দাখিল হবার পথ পদ্ধতিই হল আহলে বাইযাতের হাতে বাইযাত বা শপথ গ্রহন করা। যেমন আমাদের এমপি সাহেবরা নির্বাচিত হলেও কিন্তু সরকারী সুবিধা পতাকা পাননা যতক্ষনা শপথ গ্রহন করেন। নির্দিষ্ট বিচারপতি বা রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ গ্রহেনর পরই তারা রাষ্্রটীয় সম্মান পতাকা সুযোগ সুবিধা সব লাভ করতে থাকেন। আবার শপথ বিরোধী কিছূ করলে ক্ষমতা থেকে বিতারিত হন।

তাই প্রচলিত বোধকে বা বিশ্বাসকেই চূড়ান্ত না ধরে- জ্ঞানের দরজা উন্মুক্ত করুন। প্রকৃত জ্ঞানলাভ করুন। অবশ্যই পুরানো তত্ত্ব এবং তথ্যকে ভিত্তি করে সেই বিজ্ঞানীর মতোই। দেখবেন সত্যালোক উদ্ভাসীত হবে আপনার মনোলোক, জ্ঞানালোকে স্পষ্ট হয়ে যাবে সত্য আর মিথ্যা। আল্রাহ এবং রাসূল প্রেমে নিমগ্ন হবেন যেভাবে তিনারা চান, খুশি হন, রাজী হন সেভাবেই।

আর মূল পোষ্ট নিয়ে কি বলব। লেখককে ধরে মাইর দিতে ইচ্ছা করতাছে।!!!!!! কারণ সব জ্ঞান সবখানের জন্য নয়। নয় বলেই ৯০ হাজার কালামের ৩০ শরিয়াতে প্রকাশিত। বাকী ৩০ যারা অনুসন্ধান করে তাদের জন্য। শেষ ৩০ যারা বিশেষ স্তর অতিক্রম করে সেই লাদুন্নির জগতে যেতে পারেন তাদের জন্য। এখন আমি যদি মাঝের বা শেষের ৩০ এর ভেদ সাধার ৩০ এর অর্ধেক জানা লোকের সামনে প্রকাশ করি- কি হবে? আমাকে কাফির মুরতাদ নায় আইএস গ্রুপের মতো কতলের ফতোয়া দেবে! নয়কি?
যেমন প্রাথমিকের ছাত্রকে পিএইচডির থিসিস দিলে কিছূ বোঝে?????? তেমনি এইসব উচ্চমার্গীয় জিনিষ ভাই আমাদের মতো আমজনতার মাঝে দিয়া কি আউলা লাগাইতে চান??????? X( X((

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

দার্শনিক বলেছেন: আমি দু:খিত বিষয়টি সর্বসাধারণের বোধগম্য করে লিখতে না পাড়ার জন্য। অনেককেই এর সপক্ষে বলায় আমিও একমত লেখাটা কিছুটা জটিল হয়ে গেছে। তবুও চেষ্টা করছি কমেন্টে যদি কিছুটা সহজ করে লিখতে পারি।

ভাই একটা হাদীস আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, "আনা খাতামুল আম্বিয়ায়ে ওয়া আনতা ইয়া আলী খাতামুল আওলিয়া।" (তফছিরে সাফী)
অর্থ: আমি খাতামুল আম্বিয়া এবং হে আলী তুমি খাতামুল আওলিয়া।

এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় হযরত আলী (রা.) এর পর যেমন বিভিন্ন সময় ওলী-আওলিয়াগণ পৃথিবীতে এসেছেন, তেমনি খাতামুল আম্বিয়া নবী নেতা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পরেও নবীর আগমনের পথ খোলা আছে। এই দুটিই (খাতামান্নাবীঈন ও খাতামুল আওলিয়া) আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া বিশেষ সম্মানের প্রতীক অর্থাৎ মর্যাদায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পরে কোন নবী নেই, এবং মর্যাদায় হযরত আলী (রা.) এর পরে কোন ওলী নেই।

আমি এই বিষয়টিই আমার প্রবন্ধে এবং কমেন্টে কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি যদিও সবার জন্য বোঝা সহজ নয়, তবে যদি মূল মেসেজটি মাথায় থাকে যে, রাসূল (সা.) এর পর তাঁর (সা.) এর উম্মাতের মধ্যে নবীর আগমনের পথ উন্মুক্ত আছে যাতে খাতামান্নাবীনের মোহর ভঙ্গ হয় না, তবে ইনশাআল্লাহ নিরপেক্ষ মন নিয়ে কুরআন পাঠের সময় এই মেসেজটির সত্যতা বারবার প্রমাণিত হবে।

২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

জেকলেট বলেছেন: আমি চিন্তা করেছিলাম আপনার লেখার আর কোন জবাব দিবনা তার পরও দিতে বাধ্য হলাম।
প্রথমেই বিদায় হ্বজ্জের ভাষন সম্পর্কে। নবীরা পেটের ভিতরে কথা রেখে কথা বলেন না। উনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিছেন আর কোনো নবী আসবেনা এবং এই দ্বীন ই শেষ দ্বীন। আপনি উনার ভাষনের কোন যায়গায় পেলেন যে ইমিডিয়েট পরে আসবেন না কিন্ত অনেক পরে আসবেন??? উনি ইমাম মাহদীর ব্যাপারে ভবিষ্যতবানী করতে পারেন কিন্তু আরো নবী আসবেন এই রকম গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার এড়িয়ে যাবেন?? আমাদের নবী আমাদের দ্বীন সম্পর্কে এত উদাসীন নন। এবং আমি নির্দিধা্য সাক্ষী দিচ্ছি আল্লাহর রাসূল উনার দায়িত্ব পরিপূর্নরুপে পালন করেছেন।
আমি আপনার কোন উইক পয়েন্ত খুজতে যাই নাই। কারন আপনার পুরা লেখাটাই অসংলগ্ন এবং উইক পয়েন্টে পরিপূর্ন। বুখারী শরীফের ই হাদীস আমার সাহাবীরা আমার উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ট"। তাই বল্লাম তথা কথিত নতুন নবী নামক কাজ্জাবদের অবস্থান কোথায়???
আরবী ভাষার জ্ঞান আমার কম সেটা আমি অকপটে স্বীকার করেছেি এবং চেষ্টা করছি শেখার জন্য। কিন্তু আমি ইংরজীর অনুবাদ গুলো দিয়া বুজার চেষ্টা করি। আর আল-ইমরানের আয়াত আমি চালাকি করে কেয়ামতের বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছিনা। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতেছি এইটা কেয়ামতের সময় সম্পর্কে বলা হয়েছে। কেয়ামতের দিন যেন আমরা নবী, শহীদ, সালেহ, সিদ্দিকদের সঙ্গী করা হয়। এবং এইটাই এই আয়াতের সারমর্ম। সকল তাফসীরের একি ব্যাখ্যা আমি পড়েছি।
যখন যেখান থেকে সুবিধা সেখান থেকে কিছু কিছু নিয়া আপনি প্রমান করার চেষ্টা করছেন যে আরো নবী আসবেন?? ঈসা আ: মুহাম্মদ সা: এর উম্মত হিসেবে নাযিল হবেন এবং এইটা প্রমানের জন্য ুনি হ্বজ্জ এবং উমরা উভয়টা অথবা খালি হ্বজ্জ বা খালি উমরা করবেন। আর হ্বজ্জ হচ্ছে আল্লাহর রাসূলের উপর নাযিল কৃত ফরজ। এবং ইসলামের মৌলিক পাচটি বিধানের একটি। ঈসা আ: এর উপর হ্বজ্জ ফরজ করা হয় নাই এবং অনেক হাদীস ও এই ব্যাপারে এসেছে। স্বয়ং বুখারীতে এই ব্যাপারটা আছে।
আপনি যে কত দুর্বল তা আপনার সর্বশেষ বিদ্রোহী ভৃগুকে যে উত্তর দিয়েছেন তাতে আছে। সাহাবী এবং নবী হওয়া কি এক??? "তাফসীরে সাফী হচ্ছে শিয়াদের তাফসীর এবং আপনি যে হাদীস বলেছেন তা কোন বিশ্বস্ত রেওয়াত ই আসে নাই বা স্বকৃতী দেয় নাই"। আর আপনার প্রত্যেকটা আয়াতের ব্যাখ্যা এত প্যাচানো কেন?? যেখানে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন আমাদের জন্য কোরআন বোঝা সহজ করে দিয়েছেন।
এখন যারা আরো নবী আসবেন যারা বিশ্বাস করেন তাদের ব্যাপারে 'ধরেন মুসলমান হিসেবে আমরা জেসাস কে বিশ্বাস করি, মূসা আঃ কে বিশ্বাস করি এবং এই বিশ্বাস আমাদের ইমানের অংশ তাই বলে কি আমরা নিজেদের জিউস বা ক্রিশ্চান দাবী করব?? আবার ক্রিশ্চানরা মূসা আঃ কে বিশ্বাস করে তাই বলে তারা কি ইহুদী হয়ে গেলো?? এইটা কখনই না। একজন মুসলামানের একজন জিউস বা একজন ক্রিশ্চানের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে তার নবীর উপর বিশ্বাসে। আমরা মুসলামনরা বাকি সব নবীকে মেনে নিয়া আমাদের নবীকে সহ একটা স্বতন্ত্র বিশ্বাসী সম্প্রদায়। ঠিক তেমনি আপনার মুসলমনা না বরং মুসলমানদের থেকে আলাদা। একজন মুসলামান যে কারনে নিজেকে ক্রিশ্চান বা ইহূদী দাবী করতে পারেনা, যেমন একজন ক্রিশ্চান নিজেকে ইহূদী দাবী করতে পারেনা তেমনি একজন নতুন নবী বিশ্বাসী নিজেকে মুসলমান দাবী করার অধিকার নাই। আপনার বিশ্বাসে স্বতন্ত্র আপনার আলাদা থাকুন। অথবা আপনার আমাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস স্ঠাপন করে আমাদের সাথে একিভুত হউন।"
ধন্যবাদ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

দার্শনিক বলেছেন: সূরা আলে ইমরানের আয়াতে আপনার অর্থ শুনে আমি হতাশ হয়েছি। ওখানে তো বলাই আছে, "..... করে আমাদের মৃত্যু দিও" আপনি বলছেন কিয়ামত দিবসের কথা। আপনি "সঙ্গী" অর্থ করলেও তো মৃত্যুর আগেই করতে হবে এটা কেন বুঝেন না। এখন বলেন মৃত্যুর আগে কিভাবে অলরেডি ইনতেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গী করে মৃত্যু দিবে আল্লাহ তা'লা?

নতুন কোন নবীকে মানলেই ঐ নবীর উম্মাতের অন্তর্ভূক্ত হতে হয় কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। মুসা (আ.) এর সঙ্গে হারুন (আ.) কেউ আল্লাহ তা'লা নবী করে পাঠিয়েছিলেন তার সহযোগীতার জন্য। তাই হারুন (আ.) কে মানার অর্থ এই না মুসা (আ.) এর উম্মাতের কেউ নয় তারা।

ইমাম মাহদী (আ.) রাসূল (সা.) এর সত্তার মাঝে নিজেকে বিলীন করেছেন, তাই তার নিজের কোন সত্ত্বা অবশিষ্ট নেই। তাই তাকে মানলে রাসূল (সা.) কে অমান্য করার কোন কারণ নেই। রাসূল (সা.) ই সর্বশ্রেষ্ঠ ও সম্পূর্ণ নবী, তিনি ছাড়া বাকি সব নবীই অসম্পূর্ণ।

রাসূল (সা.) ই বলেছেন, ইমাম মাহদী (আ.) খলীফাতুল্লাহ হবেন অর্থাৎ আল্লাহর নবী। ঐ হাদীস ইবনে মাজাহ শরীফ থেকে উদ্বৃত যেটা সহীহ হাদীস গ্রণ্থ। তাই ঐ বিষয়ে আপনি কিছুই বলেননি এবং বিষয়টা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন।

ইসলাম হিকমতের কথা বলে, তাই প্রতিটি বিষয় হিকমতের সাথে চিন্তা করা উচিত। আমি ঘুড়িয়ে প্যাচিয়ে কোন কথা বলিনি। কুরআনের আলোকেই কুরআনের আয়াতগুলো বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছি। এবং যেসব হাদীস উল্লেখ করেছি, তা অবশ্যই সহীহ হাদীস।

আর কোনটা সহীহ হাদীস আর কোন যয়ীফ হাদীস এই রায় কে দিবে? এই যুগের মৌলানারা? যারা নিজেরাই ৭২ ভাগে বিভক্ত। যারা মুসলমানের সংজ্ঞা কি এটাই একসাথে ঠিক করতে পারে না। যাদের একজনের মতে অন্য দল কাফের, আবার তারাই আহমদী মুসলিমদের কাফের সাব্যস্ত করায় এক জোট। তাদের রায়ে সহীহ হাদীস যয়ীফ হবে না।

আর এই পোস্টে আমি সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করেছি তাই সব কোরআনের আয়াত ও হাদীস উল্লেখ করিনি। কুরআনে এমনও আছে আল্লাহ রাসূল (সা.) কেই আবার পৃথিবীতে আবির্ভূত করবেন। আপনি বলেন, রাসূল (সা.) পুনর্বার পৃথিবীতে আসলে নবী হবেন কিনা? রাসূল (সা.) আবার আসলে কোন সমস্যা নেই, কেবল রাসূল (সা.) এর মধ্যে নিজেকে বিলীন করে দেয়া কাউকে আল্লাহ নবী মনোনীত করলে সমস্যা। আমরা রূপক প্রতিনিয়ত কথায় ব্যবহার করি। কিন্তু কোরআনে রূপকের উল্লেখ থাকলে আমরা বলি কুরআন সহজবোধ্য করে নাযিল করেছেন আল্লাহ। বলে বুঝাতে চাই, রূপক যেন দুর্বোধ্য একটি বিষয়। দুর্বোধ্য হলে আমরা আমাদের কথায় এর এত প্রয়োগ কেন করি? কুরআনকে সস্তা গ্রণ্থ মনে করা উচিত না। এটা সবচেয়ে উচ্চমার্গের গ্রণ্থ, সর্বোচ্চ সত্তার বাণী এতে লিপিবদ্ধ। একে এমন ভাবে নেয়া উচিত না, যে রিডিং পড়তে থাকবো আর বুঝতে থাকবো। পড়া শেষ আর বোঝাও শেষ। এর প্রত্যেক আয়াতের নিগুঢ় তত্ত্ব লুকায়িত আছে যা সময় নিয়ে পড়লে, চিন্তা করলে এবং আল্লাহর কাছে শিখতে চাইলে আল্লাহ তা মানুষকে শেখান। কুরআন সহজবোধ্য সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মানে এটা বোঝার জন্য এই না কোন চিন্তা বা চেষ্টার প্রয়োজন নেই। এর অর্থ এই যে ব্যক্তি কুরআন বুঝতে চায় আল্লাহ তার জন্য কুরআন সহজবোধ্য করে দেন। আপনাকে কুরআনের তত্ত্ব বোঝার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করার অনুরোধ রেখে শেষ করছি।

২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

ডিজিটাল মোল্লা বলেছেন: কি ভাই নবি নিয়া লাফালাফি করেন??? আগে মিয়া নিজেরা এক হন। সারা দুনিয়ায় মুসলমানরা মাইরা খাইতাসে আর আপনেরা এইখানে কেডা শেষ নবি সেটা নিয়া পইরা আছেন। আরে ভাই আগে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই এক হন। তারপরে অন্য কথা নিয়া কাড়াকাড়ি করেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

দার্শনিক বলেছেন: আপনি যদি মোল্লা হয়ে থাকেন, তাহলে এই পোস্টের বিষয়বস্তু আপনার বোঝার কথা না। আলেম হয়ে থাকলে স্বাগতম এবং পুনর্বার পড়ার অনুরোধ রইল।

২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

ডিজিটাল মোল্লা বলেছেন: আরে ভাই জ্ঞান না থাকলে কি আর মোল্লা হই??? আপনি তো মিয়া সাধারণ জনগনের মত মোল্লা মানেই খারাপ ভাবা শুরু করসেন... জ্ঞান না থাকলে তো আর কই নাই। আর আমার কথা তো মনে হয় আপনার মাথার উপর দিয়া গেসে?? মিয়া আমরা যদি এখন নিজেরা মারামারি করি অন্যরা তো আমগো এই সুবিধা নিবো। আপনার পোস্টে তো ঝগড়া ছাড়া কিসু দেখতাসি না। ঝগড়া না কইরা আসেন আমরা এক হই...

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১

দার্শনিক বলেছেন: আপনার শেষ কথার সাথে আমি সহমত প্রকাশ করছি। ইসলামের এরকম দুরবস্থার কথা রাসূল (সা.) নিজেই বলে গেছেন যে আখেরি যুগে এরকমই অবস্থা হবে। কিন্তু ভাই, আমি আপনি চাইলেই তো আর এক হতে পারব না। আল্লাহ তা'লা যেভাবে চাইবেন তিনি মুমিনদের এক করবেন। হাদীসে আছে, আল্লাহ তা'লা ইমাম মাহদী (আ.) কে প্রেরণের মাধ্যমে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ কে এক করবেন। আমি সেই বিষয়টিরই একটি ক্ষদ্রতর অংশ এই ব্লগে লিখার চেষ্টা করেছি। তাই বিষয়টি যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.