নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নীল ভবিষ্যতের পানে চেয়ে...

দার্শনিক

কোন এক জ্যোৎস্না রাতে, কাঙ্ক্ষীত সেই স্বপ্নের আবেশে মাছটি উড়ে চলে, আলোকিত শুভ্র নীল দিগন্তের পানে....তাঁরই সন্নিধানে। মাছটি স্বপ্নে উড়ে যায়, স্বপ্ন সত্যির অপেক্ষায়....

দার্শনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তা\'লীমুদ্দিন ফাউন্ডেশনের কাদিয়ানী বিরোধী বক্তব্য ও কিছু কথা

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

সম্প্রতি তা'লীমুদ্দিন ফাউন্ডেশন নামে একটি নতুন গজিয়ে উঠা সংগঠন "কাদিয়ানী মতবাদ" নিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেছে। মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্যগুলো শুনে যে কথা আমার মনে জেগেছে তা হল:

১। "নতুন বোতলে পুরাতন মদ পরিবেশন" বাংলা এই প্রবাদটির কথাই সর্বাগ্রে মনে হয়েছে। কারণ নতুন কায়দায় যেসব অভিযোগ তারা পরিবেশন করছে তা বিগত ১২৫ বছর ধরেই বিভিন্ন সংগঠন ও আলেম-ওলামাগণ বলে আসছেন। আহমদীয়া মুসলিম জামাত এইসব মিথ্যাচারের যথাযথ জবাব বারবার দিয়ে আসছে। কিন্তু যাদের উদ্দেশ্য সত্যকে অনুসন্ধান না করে শুধুই সত্যের বিরোধিতা করা তারা নির্লজ্জের মত একই কথা বারবার বলে থাকে।

২। এই প্রচারটির দ্বারা আহমদীয়া জামাতের কোন ক্ষতি তো হবেই না বরং অগনিত লোকের মনে এই জামাত সম্বন্ধে আগ্রহের সৃষ্টি হবে এবং তারা সত্যের সন্ধানে যোগাযোগ করবেন। এতে সত্যের প্রচার হবে এবং উক্ত ফাউন্ডেশনের চালাকি ধরা পড়বে। বিগত ১২৫ বছর ধরে একই পদ্ধতিতে আহমদীয়াতের উন্নতি হয়ে এসেছে এবং আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী দুইশরও অধিক দেশে আহমদীয়া জামাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ আহমদীয়াত গ্রহণ করে খাটি ইসলামকে লাভ করেছে।

৩। যারা এই কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন তারা যদি আন্তরিকভাবে সত্যের সন্ধান করতে চান তাহলে আল্লাহর কাছে এই ব্যাপারে দোয়া করে সত্য জেনে নিতে পারেন। কারণ আহমদীয়া বিতর্ক নিছক একটি ধর্মীয় বিষয় যার মূল উদ্দেশ্য সত্যকে লাভ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। জাগতিক উদ্দেশ্যে যারা সত্যের বিরোধিতা করে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং এ যাবতকাল পর্যন্ত আল্লাহই হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এর বিরোধিতাকারী শত শত লোককে ধ্বংস করে দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ: মৌলানা আতাউল্লাহ শাহ বুখারী, মৌলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরি, মুহাম্মদ হোসেন বাটালবী, পন্ডিত লেখরাম, আবদুল্লাহ আথম, আলেক্সান্ডার ডুই এবং ইদানিংকালের জুলফিকার আলী ভুট্টু ও জেনারেল জিয়াউল হক প্রমুখ। কিন্তু দু:খের বিষয় হল এইসব দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার মত লোক স্বল্পই হয়ে থাকে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মৌলানা আতাউল্লাহ শাহ বুখারী, মৌলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরি, মুহাম্মদ হোসেন বাটালবী, পন্ডিত লেখরাম, আবদুল্লাহ আথম, আলেক্সান্ডার ডুই কিভাবে ধ্বংস হলেন?
জানতে চাই............

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

দার্শনিক বলেছেন: পন্ডিত লেখরাম সম্পর্কে জানুন:
https://en.wikipedia.org/wiki/Pandit_Lekh_Ram

আলেক্সান্ডার ডুই সম্পর্কে জানুন:
https://en.wikipedia.org/wiki/John_Alexander_Dowie

আব্দুল্লাহ আথম ও মৌলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরির পরিণতি সম্পর্কে জানুন:
https://en.wikipedia.org/wiki/Prophecies_of_Mirza_Ghulam_Ahmad#Prophecy_concerning_Abdullah_Atham

মুহাম্মদ হোসেন বাটালভী সম্পর্কে জানুন:
https://en.wikipedia.org/wiki/Molvi_Muhammad_Hussain_Batalvi

মূল কথা হচ্ছে এরা প্রত্যেকেই হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এর কট্টর বিরোধি ছিলেন। কিন্তু দেখুন পৃথিবী আজ তাদের ভুলে গেছে। কিন্তু মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) এবং তার প্রতিষ্ঠিত আহমদীয়া মুসলিম জামাত কে আল্লাহ তা'লা পৃথিবীতে টিকিয়ে রেখেছেন এবং উত্তোরত্তর উন্নতি দান করছেন।

পবিত্র কোরআনের সূরা আল্ হাক্কায় আল্লাহ তার পক্ষ থেকে সত্য দাবীকারকের একটি মানদন্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর তা নিম্নরূপ:

‌"এবং সে যদি কোন কথা মিথ্যা রচনা করিয়া আমাদের প্রতি আরোপ করিত, তাহা হইলে নিশ্চয় আমরা তাকে ডান হাতে ধৃত করিতাম, অতএব আমরা তার জীবন-শিরা কাটিয়া দিতাম।" (সূরা আল হাক্কা ৬৯:৪৫-৪৭)

অর্থাৎ মিথ্যা দাবীকারক বেশিদিন পৃথিবীতে টিকতে পারে না। এটাই হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এর সত্যতার অকাট্য প্রমাণ। তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য আলেম-ওলামারা, খ্রিষ্টাণ মিশনারীরা এবং আর্যসমাজিরা হেন চেষ্টা করতে বাকি রাখেনি। তার জামাতকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য অপচেষ্টার কমতি করেনি। তবু এই জামাত পৃথিবীতে সম্মানের সাথে টিকে আছে এবং প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দুইশরও অধিক দেশে এই জামাত বিস্তার লাভ করেছে।

মজার বিষয় হচ্ছে বিরুদ্ধবাদীরা বলেন, রাসুল (সা.) যেই ৩০ জন মিথ্যা নবী দাবীকারকের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) সেই সকল মিথ্যা নবীদাবীকারকদের একজন। যদি তা-ই হয়, তাহলে প্রশ্ন জাগে, বাকি ২৯ জন কারা? এবং তাদের অনুসারিদের এবং জামাতের অবস্থা কি? আশা করি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি চিন্তা করলে সত্য আপনার নিকট উদ্ভাসিত হবে। ইনশাআল্লাহ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ‌"এবং সে যদি কোন কথা মিথ্যা রচনা করিয়া আমাদের প্রতি আরোপ করিত, তাহা হইলে নিশ্চয় আমরা তাকে ডান হাতে ধৃত করিতাম, অতএব আমরা তার জীবন-শিরা কাটিয়া দিতাম।" (সূরা আল হাক্কা ৬৯:৪৫-৪৭)
উপরোক্ত আয়াতটিতে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে উল্লেখ করে নাজিল করেছেন।কাফেরদের রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর প্রতি আল ক্বোর'আন রচনার মিথ্যা অভিযোগের জবাবে আল্লাহতায়ালা আয়াতটি নাজীল করেন।আল ক্বোর'আনের যে কোনো তাফসীর গ্রন্থেই তার উল্লেখ আছে।
নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে আল্লাহর বাণীর ভুল ব্যাখ্যা দেবেন্না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

দার্শনিক বলেছেন: আপনার বোঝার ক্ষমতা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। এই আয়াতে আল্লাহ তার প্রিয় রাসূল (সা.) কে উল্লেখ করে নিজের এমন একটি নিয়মের কথা ব্যক্ত করেছেন যেটা সকল ওহী ইলহামের দাবীকারকের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। কারণ আল্লাহর নিয়মের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম নেই।

কিন্তু আপনাকে কেমনে বোঝাব? এটা চিন্তা করে কুল পাচ্ছি না।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কিন্তু আপনাকে কেমনে বোঝাব? এটা চিন্তা করে কুল পাচ্ছি না।

তাবলীগে হতাশ হলে চলবে কেনো???
চিন্তা করে বের করেন............তারপরে বুঝান
কিপ ট্রাইং

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫১

ইহসান আকসার মাহমুদ বলেছেন: http://www.alislam.org
http://www.ahmadiyyabangla.org
http://www.somewhereinblog.net/blog/kikoriaajvebenapai

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.