নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসিএস পরীক্ষার কক্ষে এতো বিধি নিষেধ কেন!!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২০

৩৭তম বিসিএস প্রিলি. পরীক্ষা আজ হয়ে গেল!!

ছবি: ইন্টারনেট

৩৭ তম বিসিএসের প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা আজ শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এতে অংশ নেয় দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থী। আর লোক নিয়োগ দিবে ১২৩৬ জন। তার মানে অনেক বড় যুদ্ধ হবে! কে কাকে পিছনে ফেলে উপরে উঠবে সেই যুদ্ধ। আর এরকম পরীক্ষায় যুদ্ধ তো থাকবেই!! দেশের সর্বোচ্চ খেতাব অর্জন, সবচেয়ে বড় কর্মকর্তা পদে নিয়োগ, কেই বা না চায়?!! প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০০ নম্বর এই পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ন হলে তারপর লিখিত। ২০০ নম্বর পরীক্ষায় বাংলায় ৩৫, ইংরেজীতে ৩৫, সাধারন বিজ্ঞানে ১৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৩০, ভূগোল ১০, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ১৫, গানিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ১০ এই হলো মান বন্টন।।

এখন আসি মূলকথায়; এই ২০০ নম্বর পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সময় কিছু নিয়ম নীতি বা বিধি নিষেধ আছে, যেমন, পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল, সাইয়েন্টিফিক বা সাধারন ক্যালকুলেটর, ঘড়ি নিয়ে যাওয়া নিষেধ!! এইখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে! ২০০ নম্বরের পরীক্ষা২ ঘন্টা সময়, এর মধ্যে এতো ক্রিটিকাল প্রশ্নের উত্তর করা বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা!! এর মধ্যে এরকম বিধি নিষেধ আরোপ করা কি ঠিক? আচ্ছা ধরা যাক কেউ মোবাইল নিয়েই হলে প্রবেশ করলো, এই দুই ঘন্টা সময়ের মধ্যে কি কেউ পারবে একটা কল করে অন্য কারোও কাছে সাহায্য চাইতে! একটা সাধারন ঘড়ি তাও নেয়া নিষেধ,!! এর উপর পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনজন পরিদর্শক থাকেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওয়াশরুমেও যেতে দেয়া হয় না । এত কিছুর পর এত নিয়ম, বিধি-নিষেধ কেন? এমনে তো তারা প্রশ্ন ফাস ঠেকাতে পারে না, তার ওপর যতসব নিয়ম কানুন! কি বোঝাতে চায় না দেখাতে চায় যে, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন অসুদপায় অবলম্বন করা যায় না! বিষয় টা এমন যে, তলে তলে টেম্পু চালায় আমরা বললেই হরতাল। এখন অনেকেই বলতে পারেন যে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাস হয় না, যদি নাও হয় ক্যাডার নিয়োগে তো ঠিকই দূর্নীতি হবে তখন, তখন তো এই নিয় কানুন কেহই মনে করবেনা। আর প্রশ্ন যে ফাস হয় না সে কথা কেউ কি খুব নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবে!!
আমার কথা একটাই নিয়ম কানুন যদি প্রতিষ্ঠিতই করতেই হয় তাহলে সব দিকে কেন নয়?! লোক দেখানো এরকম কারসাজী আর কতদিন চলবে?!
কথা গুলো একদম নিরেপেক্ষ ভাবে বলতেছি কোন দল বা জাতির পক্ষে নয়।


ছবি সূত্র : নিজ মোবাইল ক্যামেরায় তোলা

ভূল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মোবাইলে শুধু কল করেই যে কাজ সারা যাবে তা নয় - এখনকার যুগ স্মার্ট ফোন, স্মার্ট অ্যাপলিকেশনের। ফোন সাইলেন্ট করে প্রশ্নের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমু, ভাইবার এসবে অন্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া কয়েক মিনিটের কাজ।
বাইরে থেকে উত্তর বের করে দিতেও বেশি সময় লাগবে না তাতে - দেড় ঘন্টার মত। তখন পাঠিয়ে দিলেও ২৫ মিনিট হাতে থাকে। সেই সময়ে উত্তর দেখে দেখে দাগানোটা কঠিনও হবে না অতটা।
মোবাইল নিতে না দেওয়ার বড় কারণ এটা। যেহেতু শুধু স্মার্ট ফোন নিষিদ্ধ করা যাবে না, তাই সব ধরণের মোবাইলই পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ। শুধু বিসিএস না - সব ধরণের পরীক্ষায়ই নিষিদ্ধ।

ক্যালকুলেটর ইদানীং কালে ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতেও ইউজ করতে দেয় না। দিলেও অতি সাধারণগুলো এর অনুমতি দেয়। কারণ, সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর গুলোয় অনেক উত্তরই বাই-ডিফল্ট দেওয়া থাকে। তাতে একজন পরীক্ষার্থী আসলে কতটুক জানে তা বের করা যায় না। এবং যার ঐ ধরণের ক্যালকুলেটর নেই সে পড়বে চিটিং এর মাঝে। (MS, ES দুই সিরিজের ক্যালকুলেটরে অনেক পার্থক্য। MS ক্যালকুলেটরের একই মডেলের ভার্সণও অনেকগুলো। কয়েকটায় বাই ডিফল্ট ডাটা থাকে, কয়েকোটায় থাকে না।) এর থেকেও বড় কারণ, নকল ক্যালকুলেটরে লিখে নিয়ে যাওয়া। পেন্সিল দিয়ে লিখলে সরাসরি বুঝা যায় না ঠিকই, কিন্তু কাঁত করলে ঠিকই স্পষ্ট হয়ে উঠে। এমন অনেক ক্ষেত্রেই হয়। তাই নিষিদ্ধ এটাও।

ঘড়ির কারণ জানিনা। তবে পরীক্ষা হলে ঘড়ি থাকলে এটা সমস্যা হওয়ার কথা না।

এই কারণেই এসব নিয়ে ঢুকতে দেয় না।

আপনি এসব উপায় নিয়ে ভাবেননি - তাই অন্যান্য সমস্যার থেকে এটার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াটা আপনার কাছে অন্যরকম লাগছে। এখন ভাবুন - আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থীর মাঝে কয়জন আপনার মত করে সৎ ভাবে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা রাখে এবং কয়জন রাখে না। তাহলেই এই স্টেপের অর্থ বুঝতে পারবেন।

আর, অন্যান্য সমস্যাগুলোর কথা ঠিকই বলেছেন। প্রশ্ন ফাঁস এটা অনেক বড় কেলেঙ্কারী। অন্যসবগুলোর মত এটার প্রতিও জোরদার হতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, আপনার কথাগুলো খুবই ভালো লাগছে,,
তবে ভাই একটু কথা বলি, যে পাশ নম্বর ১১০-১২০ এর মধ্যে, বাকি ২৫ মিনিটে এত সঠিক উত্তর দেখে করাটা পারা যাবেনা কারন তিনজন পরিদর্শক থাকেন কেন্দ্রে ধরা খেয়ে যেতে পারে। উনারা এটা করতে পারেন যে মোবাইল টা পরিদর্শকের কাছে জমা রাখতে পারে যদিও নেয়ার সময় বিশৃঙ্খলা বাধবে।
হ্যা সাইয়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর পরীক্ষায় পারমিট না দেওয়া ঠিক আছে। তবে হাত ঘড়ি রাখা যাবেনা এইটা একদম বাড়াবাড়ি, আমাকে একজন ধরে বলতেছিলো মানিব্যাগ নিয়া আসছেন কেন, পরে অবশ্য একজন মিট করে দিছে কিন্তু এগুো কি অহেতুক বাড়াবাড়ি না। সব না দেক কিছু তো দেয়া উচিততাই না। এইজন্য কথা গুলো তুলে ধরা।
তবে ভাই আপনার কথা গুলো ভাললাগছে; আমার ভাই কথা একটাই আইন প্রযয়োগ হলো সবখানেই হবে কয়েকটা স্থানে কেন?!

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

সজীব মোহন্ত বলেছেন: বিধিনিষেধের কারণ ছাত্রছাত্রীরা খুবই সৎ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হ্যা ভাই আসলেই বেশি সৎ, তবে আমি পরীক্ষা দিছি তো জানি কেমন গার্ড দেয়া হয়, অসদুপায় অবলম্বন করা খুবই কঠিন আর ধরা খেলে পরীক্ষা বাতিল।এটা ঠিক বিধিনিষেধ থাকবেই তবে সবখানেই যথাযথ থাকতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ.,,

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিধি নিষেধগুলো নিয়ে রক্তিম দিগন্ত এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমারও ভাল লেগেছে।
কিন্তু আমাদের দেশের প্রশাসন সব সময় উল্টা কাজ করে, যেখানে কঠিন দায়িত্ব পালন করার দরকার সেখানে চোখ বন্ধ করে রাখে। এই বিষয়টা খুবই হৃদয় বিদারক।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.