নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ
"ব্যবহারেই বংশের পরিচয়" কথাটাকে আরও একটু উচুতে নিয়ে গেল মাশরাফি। এখন নিশ্চিন্তে বলা যায় " ব্যবহারেই দেশের পরিচয় "
তখন ২৮.২ ওভার তাসকিন বল নিয়ে দৌড়ে আম্পায়ার পর্যন্ত আসলো ঠিক তখনই এক দর্শক মাশরাফির দিকে ছুটে আসলো! মাশরাফি কিছুটা ভয় পেয়ে যায়! তবুও সে ভক্ত দর্শককে বুকে জড়িয়ে ধরে নেয়। এমনকি দায়িত্বরত সিকিউরিটি লোকজনদের সে বোঝায় যে " সব কিছু ঠিক আছে "। কি অসাধারন ভাবে সে পরিস্থিতি সামলালো, আবার সেই লোকটাকেও সুরক্ষা করলো, আহ্! কি ভাষায় প্রশংসা করবো খুজে পাইনা। যিনি এই কান্ডটা ঘটালেন সাহসী এই পুরুষের নাম "মেহেদি হাসান" ।
আমরা দর্শকের ভালোবাসাটা যতটুকু তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা ও সম্মান আমাদের জন্য টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি ভাইয়ের। মাশরাফি একজন জীবন্ত দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ সহ সমগ্র পৃথিবীর গর্ব। আমাদের অহংকার সারা বিশ্বের বিস্ময়!! নেপোলিয়ন যদি বেচে থাকতেন তাহলে নিশ্চিত বলতেন "আমাকে একটা মাশরাফি দাও আমি তোমাদের পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট উপহার দিবো"।।
ওই দুই পায়ে ভর করে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন পাহাড় চূড়ায়..
অভিনন্দন বালাদেশ ক্রিকেট দলকে শততম জয় এনে দিয়েছে আজ। অভিনন্দন আফগানিস্তান দলকেও তারাও খুব ভাল খেলেছে।
#হৃদয়ে_মাশরাফি
ভালোবাসার আরেক নাম মাশরাফি..
পরে গিয়েও কিভাবে উঠে দাড়াতে হয়, কিভাবে বুকে জড়িয়ে নিতে হয়, সেটা মাশরাফিই করে দেখাতে পারে। পাঁচ বার সার্জারি করা ওই পায়ে ভর করেই বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবা,, অভিনন্দন
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৩০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মাশরাফি মাশরাফিই। তার সাথে কারো তুলনা চলে না। আমার আদর্শও মাশরাফি।
সে যখন পড়ে গিয়েছিল, তখন তো একদম আত্মা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। পরে যখন উঠে দাঁড়ালো তখনো ভয়। আর যখন রান-আপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিল তখন একদম নিশ্চিত যে মাশরাফি এইবার আর মাঠ থেকে উঠতে যাচ্ছে না। মাঠেই থাকবে। তার দৌড়ের গতি দেখেই বুঝা গিয়েছে সে ব্যাথা পাচ্ছে, তবুও দলের মনোবল ভেঙ্গে যাবে বলে মাঠ থেকে উঠে যায়নি। যখন গেল তখন দলের জয় প্রায় সুনিশ্চিত। এটাই হল নেতার লক্ষণ।
ফ্যানের ব্যাপারটা মাশরাফি চমৎকার ভাবে হ্যান্ডেল করেছে। এমনিই দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, তার উপর খেলা চলাকালীন এমনভাবে মাঠে ঢুকে পড়া খুবই অদ্ভুত। সেটাও আবার ইংল্যান্ড যেদিন দেশে আসলো সেদিনই। মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরা তৎপর ছিল না বুঝাই যায়। মাশরাফিও প্রথমে চমকে গিয়েছিল। পরে সব বুঝে শুনেই জড়িয়ে ধরে। নিরাপত্তাকর্মীদেরও এমন ভাবে হ্যান্ডেল করে যেন, এটা তেমন কিছুই না। যাতে এতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আর কেউ কিছু বলতে না পারে - সেই কাজও সেরে দিল। তবে, এই ফ্যানের দৌড়ে দলের সবাই ই চমকে গেছে।
মাশরাফি জড়িয়ে ধরায় এবং নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ফ্যানকে হুট করে ছেড়ে না দেওয়ায় - সবাই ব্যাপারটাকে মাশরাফির মহত্ব হিসেবেই ভাবছে। এটাই দরকার। মাশরাফি যেমন বুঝে শুনে ব্যাপারটা মাঠে হ্যান্ডেল করেছে, ফ্যানদের ঐ ভাবেই ব্যাপারটাকে আপাতত দূরে রাখা উচিৎ। মিডিয়াও এটাকে খুব একটা বড় করছে না। আপাতত ইংল্যান্ড দলের সাথে সিরিজটা শেষ হোক।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাশরাফি মাশরাফিই। উনি একজন আদর্শ।
নিরাপত্তা কর্মীদের দোষ দেয়াটা ঠিক হবে কি না তা বলতে পারছি না তবে এরকম পাগল ভক্ত গ্যালারি তে থাকেই। আর মাশরাফি যেভাবে পরিস্থিতি সামলালো তা প্রসংশা করার মতো ভাষা আমার কাছে নেই, এতো বড় মনের মানুষ শুধু যে বাংলাদেশীরাই হয় সেটার প্রমান মাশরাফি। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা আর দোয়া আছে সবসময় মাশরাফির জন্য ইনশাআল্লাহ্ কোন রকম সমস্যা হবেনা আর।। আল্লাহ সহায় হোক
ভাই, আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্যবার ধন্যবাদ.,,,,,
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
সজীব মোহন্ত বলেছেন: এতো নিরাপত্তার মধ্যে এই লোক মাঠে প্রবেশ করলো কিভাবে?
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই প্রশ্নটা এখন সবারই! এত্তো নিরাপত্তা ভেদ করে কিভাবে সে মাঠে প্রবেশ করলো? জানি না, নিরাপত্তা কর্মীর কারোও সহায়তা থাকতে পারে, হতেও পারে? বলা যায় না!
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাশরাফির একনিষ্ঠতা এবং অধ্যবসায় শুধু খেলোয়াড়দেরই নয়, দেশবাসীর জন্যেও শিক্ষনীয় বিষয়।
রক্তিম দিগন্ত এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও অধিনায়ক মাসরাফির জন্য রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।
ধন্যবাদ মুল্যবান পোস্ট এর জন্য ।