নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ক্রিকেট প্রীতি

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রীতি

ছবি:- মিরাজ ভাইয়ের তৈরী

আমরা টিপিকাল বাঙালী রা বর্তমানে ক্রিকেট প্রেমকে দেশ প্রেমে পরিনত করে ফেলছি। যা সঠিক নয়। হতে পারি আমরা ক্রিকেট ক্র্যাজি ন্যাশন কিন্তু এত পাগলামীরও কিছু হয় নাই। ক্রিকেট ভালোবাসতে পারি তাই বলে সব বিসর্জন দিতে হবে, একদম জান দিয়ে ফেলতে হবে তা ঠিক কখনই নয়।।
মূল কথায় আসি, হার জিত খেলারই অংশ এর বিস্তারিত বলা বাহুল্য। আমরা বাংলাদেশী অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট করবো। খেলা ও খেলোয়ার সবাইকে শ্রদ্ধা করবো, ভালোবাসবো। আমরা জাতি হিসেবে একটু বেশি সেন্টিমেন্টাল আর ক্রিকেটের প্রতি একটু বেশিই। তাই প্রায়শই দেখা যায় যে, যখন কেউ ভালো খেলে, দল ভালো করে তখন তাকে এবং দলকে আসমানে উঠিয়ে ফেলি!! আবার কোন এক সময় যদি খারাপ খেলা শুরু করে তখন একদম মাটির নিচে দাবিয়ে ফেলি না পারলে!! আবার বাংলাদেশের ক্রিকেটর কোন ভুল ত্রুটি নিয়ে কথা বললে দেশের শত্রুও বানিয়ে ছাড়ে। এখানে বলতে হয়, কেউ একজন বলেছিলো দেশের ক্রিকেট নিয়ে কিছু বললে তার খবর আছে এমন টাইপ অনেক কথাই শুনতে হয়। ওই মিয়া আপনে খেলার কি বুঝেন!! এমন টাইপ কথাও শুনতে হয়। হাস্যকর, এই জাতির কি হবে???
অবশ্যই দেশকে ভালোবাসি, দেশের ক্রিকেট দলকেও। ভালোবাসি বলে তার শুধু ভালোটা নিয়ে উল্লাস করবো তা হয় না। ভালোবাসার মানে হলো তার ভালো মন্দ সব দিকেই সতর্ক থাকতে হবে। যদি সে ভূল করে অবশ্যই তার ভূল ধরিয়ে দিতে হবে, সে যদি কোন অন্যায় বা অবহেলা করে তার প্রশ্রয় কখনো দেয়া যাবে না। আর সে যদি ভালো কিছু করে তা অবশ্যই ভবিষ্যতে মনে রাখতে হবে; ভালোবাসাটা এরকমই হওয়া উচিত। বারবার ভূল করবে বারবার অতিরিক্ত দরদে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে, এর নাম ভালোবাসা না। যে ভালোবাসে সে দুইটা কথা বলার অধিকার রাখে, আর সেটা যদি সঠিক হয় তাহলে সেটাকে সবারই অনুধাবন করা উচিত।। বাংলাদেশ ভালো খেলছে, এখন অনেক বড় বড় দেশও বাংলাদেশের সাথে খেলতে ভয় পায়। এটা গর্বের বিষয়, কিন্তু এ গর্ব নিয়ে বেশি লাফালাফি আর গর্ব করলে হবে না। সদা মোকাবেলার প্রস্তুত থাকতে হবে।।
গত একদিনের ম্যাচের আরও আগ থেকে দেখে আসছি বাংলাদেশের ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং দুটোতেই ভালো ঘাটতি আছে; তা খুব দ্রুত শোধরাতে হবে। হ্যা এটা ঠিক যে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভাবে আন্তর্জাতিক খেলায় থাকছে না তাই অনেক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, এর জন্য কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকতে হবে। তাদের সব বিষয়েই তদারকি করতে হবে, খেলোয়ারদেরকে সব সময় খেলানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই তো টিম স্পীডটা থাকবে।।
যখন বাংলাদেশ দল জিতে যায় তখন আমরা সবাই উল্লাস করি, আবার যখন হেরে যাই তখন মন খারাপ হয় স্বাভাবিক ভাবেই, আর তখনই আমরা খেলোয়ারদের কে দোষারপ করি যে ওই প্লেয়ারটা ভালো খেলেনি ওর আরও ভালো খেলা উচিত ছিলো বা ওই প্লেয়ারটাকে বাদ দিয়ে অন্য আরেক জনকে নিলো না কেন! ইত্যাদি অনেক কথাই বলি তবে এভাবে বলাটাও ঠিক নয়। সবাই ভালো খেলার আগ্রহেই মাঠে নামে তারপরও অনেকেই পারেনা অনেকই সফল হতে পারে। মাশরাফি সাকিব, তামিম, মুশফিক, আশরাফুল, মাহমুদুল্লাহ, নাসির যারা বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন।। আবার এরাই যখন কেউ খারাপ খেলছেন তখন অনেকেই বলেছেন দল থেকে বাদ দেয় না কেন এদেরকে!! আমি মনে করি এভাবে বলাটা ঠিক নয়। ভালো খারাপ দিন সবারই আসবে। আমাদেরও ধৈর্য ধরতে হবে, ওদেরকে সাপোর্ট দিতে হবে। আর টিম ম্যানেজম্যান্ট তো আছেই তারা যাকে ভালো মনে করবে তাকে খেলাবে। এটাও ঠিক যে টিম ম্যানেজম্যান্টও মাঝে মাঝে একটু আউলাইয়া যায়, থাইক এ বিষয়ে কিছু বলবোনা।।
একটা কথা হলো যে, ওদের প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা অনেক তাই প্রত্যাশাটাও অনেক। তবে সব দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে যে ওরাও মানুষ ওরা সুপারম্যান না, আমাদের মতই সাধারন। তাই ভুল ত্রুটি কিছু মেনে নিতে হবে। আবার বেশি ভুল করলে প্রশ্রয়ও দেয়া যাবে না।


ছবিসূত্র:- ইন্টারনেট..,,

২০ তারিখ বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের টেষ্ট ম্যাচ শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো।।

কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য লেখাটা লেখিনি। সবারই নিজস্ব মতামত আছে তবে লেখা গুলো কাউকে বিরুদ্ধ করে লেখিনি।। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আশা করি।
সবাইকে ধন্যবাদ...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমার দেশপ্রেমের সূত্রপাতটা ঘটেছিল এই ক্রিকেট দিয়েই। ক্রিকেট প্রেম মানেই দেশ প্রেম না কিন্তু ক্রিকেট প্রেম থেকেই দেশের প্রতি একটা আবেগ তৈরি হয়। যেটা থেকে আস্তে আস্তে দেশের অন্য সবকিছুর প্রতি আবেগ চলে আসে।

যে কোন দেশের অন্যতম বড় পরিচায়ক কিন্তু এই খেলাধুলাই। অলিম্পিকের কারণে অনেক দেশই আমাদের কাছে পরিচিত হতে পারছে। খেলাধুলায় উন্নত দেশকে বিশ্বের সব মানুষই চিনে থাকে। ক্রিকেটের মাধ্যমেও বাংলাদেশকে চিনছে।

আর, আমাদের ক্রিকেটের প্রতি আবেগটা অন্যরকম। আমরা দেখেছি বাংলাদেশকে নিচু অবস্থান থেকে আজকের অবস্থানে এসে পৌছাতে। আমরা হারতে হারতে ক্লান্ত হয়ে জিততে শুরু করেছি। তাই হারলে আমাদের গায়ে তা লাগেই। ক্রিকেট প্রধান দেশে ক্রিকেটের একটা ম্যাচ হারা মানেই অনেক সমালোচনার সূচনা হয়। এটা ভালবাসা থেকেই হয়। যারা খেলা বুঝে - তারা গালিও দেয়, আবার তারাই কিন্তু পরের ম্যাচে দলের জন্য চেঁচিয়ে গলা ফাঁটায়।

প্রধান খেলায় হারলে সব দেশের সব সমর্থকই বিরূপ আচরণ করে। যেমন - আমেরিকা বাস্কেটবলে হারলে, ব্রাজিল ফুটবল বা ভলিবলে হারলে, নিউজিল্যান্ড রাগবীতে হারলে, ভারত্, পাকিস্তানে ক্রিকেট, হকিতে হারলে - এটাই ঐতিহ্য। আমরাও ক্রিকেটের হারটা পছন্দ করি না। কারণ, আমরা এটাকে ভালবাসি। ভালবাসাকে কে হারতে দেখতে চায় বলুন?

আমার ক্রিকেট খেলা দেখার ইতিহাস নিয়ে অনেক কথাই বলা যাবে। একদিন লিখব ভাবছি।


আর, টেস্ট ম্যাচ ২০ তারিখ থেকে শুরু, কাল থেকে না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কথাগুলো ভালো লাগছে+++ তবে আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হলো আমরা একটু বেশি উতলা হয়ে যাই যা ঠিক নয়, ক্রিকেট প্রেম দিয়ে সব কিছু বিচার করা ঠিক নয়। প্রেম সব দিকেই থাকতে হবে।
আর আপনারা ভালো লেখক চাই আপনি এ বিষয় নিয়ে কিছু লিখুন।
এবং ভুল টা শোধরানোর জন্য ধন্যবাদ, আমি গতকাল কে শুনছি খেলা আজকে,,,,

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এটাও ঠিক যে টীম ম্যানেজমেন্টও মাঝে মাঝে আউলাইয়া যায়" - হ্যাঁ, কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন, আর আমার আপত্তিটা সেখানেই। আমি মনে করি, দল নির্বাচক এবং ব্যবস্থাপকদের অনুরাগ বিরাগ বিহীন দল নির্বাচন করা উচিত। আমার মনে হয় নাসিরকে অনেকবার অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, কিংবা চাপে পড়ে দলে নিয়েও তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ সে একজন জয় ছিনিয়ে আনা খেলোয়াড়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.