নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ
এর আগেও আমরা টেষ্ট ম্যাচ জিতেছি, তবে ইংল্যান্ডের সাথে টেষ্টে এই জয় একটি ঐতিহাসিক জয়। বড় কোন দলের সাথে বিশেষ করে ইল্যান্ডের সাথে এরকম একটা জয় খুউবই প্রয়োজন ছিলো। অভিনন্দন বাংলাদেশি টাইগারদের...,,.
ভাবতেই গর্ব হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেষ্টেও ঘুরে দাড়াতে শিখে গেছে, ঘুরে দাড়াতে পারে। এই জয়টা দিয়ে টাইগাররা বিশ্বকে জানিয়ে দিলো ইচ্ছে করলেই বাংলাদেশও জয় ছিনিয়ে আনতে পারে। গতকাল যখন খেলা দেখি তখন ইংল্যান্ড ১০০ রান বিনা উইকেটে ঠিক ওই মুহুর্তেও বিশ্বাস করতে পারিনি বাংলাদেশ জিতবে। যখন উইকেট পতন শুরু হলো তখন মনে অনেক জোর পেলাম। আর জয়ের আনন্দ সেতো পুরোপুরি বাধভাঙা। ঠিক ওয়ানডে খেলার টেষ্টেও হেরে এভাবে ঘুরে দাড়াতে পারে সত্যি গর্বের বিষয়। ১৪ মাস পর টেষ্ট খেলতে নেমে এত নৈপুন্য, এত বড় জয় সত্যি অসাধারন।
আশা করি ভবিষ্যতে ইন্ডিয়া সহ আরো বড় দলগুলোকেও হারাবে বাংলাদেশ। আর টেষ্ট কিছু দূর্বলতা আছে তা বিসিবি কে অবশ্যই দ্রুত সমাধান করতে হবে, এতে করে আমরা আরও ভালো ফলাফল পাবো। যেমন প্রথম টেষ্টে ব্যাট্সম্যানদের কিছু গাফিলতি ছিলো তাই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গেছে, ফিল্ডিং আরো করতে হবে। আর বাংলাদেশের বোলিং সেতো বিশ্বে অন্যতম পরাশক্তি। এখন ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ এক অনন্য পরাশক্তির নাম, আশাকরি অন্যান্য টেষ্ট খেলুরে বড় দলগুলো বাংলাদেশে টেষ্ট খেলতে অবশ্যই আসবেন।
সব খেলোয়ারকে অভিনন্দন জানাই, মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো, মিরাজ ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলুক এই দোয়া রইলো।
ঐতিহাসিক এই জয়ে আমরা সকলেই গর্বিত। দিনটি স্মরনীয় হয়ে থাকুক এই কামনাই করি।
গর্জে উঠো বাংলাদেশ...,,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, সবাই ভালো থাকবেন
এবং দেরি করে লেখাটা পোষ্ট করার জন্য দুঃখিত
ছবি: ইন্টারনেট।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: স্বপ্ন অলীক নয়, বাস্তবায়ন হবেই...
আপনার কথা গুলো খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমিও একমত প্রোষন করি আপনার সাথে।
ভারত আমাদের টেষ্টে আনছে ঠিকই তখনই যখন দেখছে যে অনেক বড় দলের সাপোর্ট আছে তখন। আাবার আমাদের টেষ্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়ার জন্য অনেক প্রচেষ্টাই করেছে। ভারত বাংলাদেশের ক্রিকেটের কল্যকন কতটুকু চায় তা বিশ্বকাপেই দেখা হয়ে গেছে। পারলে আসুক এবার টেষ্ট খেলতে দেখিয়ে দেয়া হবে। আমাদের ব্যাট্সম্যানরা যদি একটু দায়িত্বের সাথে খেলে তাহলে কেউই আমাদের আটকে রাখতে পারবেনা।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এখনো অনেক বাকী। এটা শুরু। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। একদিন আমরা ক্রিকেটবিশ্ব শাসন করবো।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এখনো অনেক বাকী। এটা শুরু। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। একদিন আমরা ক্রিকেটবিশ্ব শাসন করবো।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,,
আপনার কথা সঠিক ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। একদিন আমরা ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবো।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
টেস্টের মত করে টেস্ট জেতায় আমি খুবই আনন্দিত।
ভারত আমাদেরকে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়ে আসায় ভাল ভূমিকা রেখেছে। যদিও পরবর্তীতে তারাই আমাদের বড় শত্রুতে পরিণত হয়। এই ভারত যদি বাংলাদেশকে সঠিকভাবে গুরুত্ব দেয় - তাহলে বলে রাখতে পারি - ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ অ্যাশেজের মতই রোমাঞ্চকর হবে। কারণ, ভারত-বাংলাদেশের বিগত সবগুলো ম্যাচই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। সত্যি বলতে - গত কয়েকবছরের কথা বললে - উপমহাদেশের মূল দ্বৈরথ ভারত-পাকিস্তান থেকে সরে ভারত-বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
আর, আমাদের সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম দরকার। বোর্ডকে সচেতন হতে হবে, নির্বাচকদের দক্ষ হতে হবে, কোচিং স্টাফ ভাল করতে হবে। হাতুড়ে কে আমি আমাদেরকে বেশ ভাগ্যবানই মনে করি। এই কোচ সাইকোলজি ভাল জানে। সবাই কোচকে গালি দিয়েছে 'টেস্টে আমাদের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্যই নেই' কথাটা বলার জন্য। কিন্তু, আমি বলব - লোকটা ঠিকই বলেছে। সময়মত বলেছে। কারণ, তার কথাতেই তেতে গিয়ে আমরা এরপরের দুইটা ম্যাচেই ২০-২০ করে ৪০ টা উইকেটই তুলে নিয়েছি। এটা হল রিভার্স সাইকোলজি। আমাদের ফ্যানদের মাথায় তা ঢুকবে না।
ঘরোয়া লিগের বিশাল সংস্করণ প্রয়োজন। পিচ করতে হবে ফুল পেস, ফুল টার্নিং এবং ফুল ডেড - এই তিনজাতের। এই তিন ধরণের পিচে বিশেষজ্ঞ গড়ে তুলতে হবে। একেক কন্ডিশনের জন্য একেকটা দল তৈরি করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ারদেরকে আরো বেশি বেশি ঘরোয়া লিগে পরিশ্রমের তাগিদ দিতে হবে। (আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াররা ঘরোয়া ক্রিকেটে অতটা খেলে না কিন্তু)। এরকম করলে - ঘরে বাইরে কোন জায়গায়ই আমাদের খেলতে অসুবিধা হবে না। পেস, টার্নিং উইকেটে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদেরও শিখতে হবে - কীভাবে এরকম পিচে ব্যাট করা যায়। আবার, মরা পিচে বোলারদের শিখতে কীভাবে উইকেট নেওয়ার কৌশল করা যায়।
তাহলেই হবে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে অপ্রতিরোধ্য।
স্বপ্নটা হয়তো অলীক, কিন্তু বাস্তবায়ন কিন্তু খুব কঠিন হবে না করা।